প্রেমের পাঁচফোড়ন

“কি দেখেছেন আপনি??” . “দেখলাম তুমি শাহরিয়ার শান্তর কালো জ্যাকেটটা পরে আরামসে ঘুমাচ্ছো” . “আমার শীত করতেসিলো বলে পরেছি আর

আহানা মুখটা বাঁকা করে আরেকদিকে ফিরিয়ে নিলো,সে কি বলবে,কি করবে সেটাই ভাবতেসে,অনেক ভেবে একটা নিশ্বাস ফেলে বলার চেষ্টা করতে গিয়ে

শান্ত সবার গিফট নিয়ে তমালের হাতে দিলো,তমাল পরিচিত একটা রিকসায় সব তুলে বললো শান্তর বাসায় পৌঁছে দিতে,সেখানে যে গার্ড আছে

আহানা গালে হাত দিয়ে মাথা দেয়ালে লাগিয়ে চেয়ারে বসা অবস্থায় ঘুমাচ্ছে শান্ত আহানার কাছে এসে হাতের ওড়নাটা নিয়ে ওর গায়ে

“নাহ,নার্স একটা ফালতু স্যুপ দিয়ে গেছিলো আমি সেটা খাইনি” . “আচ্ছা আপনি থাকেন,আমি বাসা থেকে খাবার বানাই আনতেছি” . “না

আচ্ছা,আমি বুঝিয়ে বলবো ওদের একটা কথা বল তুই আহানাকে এই বাসায় রেখেছিস কেন?ফ্ল্যাটে নিয়ে গেলেই পারোস . আহানা যেতে চায়

শান্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে মন খারাপ করে বললো মা??দেখতেসো তো? তুমি বলে দাও কি করবো আমি,এই মেয়েটা আমার টাইপের

কেন লজ্জা করবে?তুমি এখন আমার বউ,এখন তো লজ্জা লাগারই কথা না,অবশ্য তখনও বউ ছিলে,পাতানো বউ,তখন সাহস দেখাতে পেরেছি আর এখন

রেডি হয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে হাঁটা ধরলো সে পথেই দেখা হয়ে গেলো শান্তর সাথে শান্ত দাঁত কেলিয়ে বাইক স্টার্ট দিতেছে

ইন্টারেস্ট নেই তো এখনও এখানে কি করতেসেন?বের হোন বলতেসি,অসভ্য লোক একটা! মুখের উপর দরজা লাগিয়ে দিলো আহানা দরজা দিয়েই হেসে