ঝরা ফুলের বাসর

তিয়াসকে নিয়ে আমার মধ্যে যে খারাপ ভাবনা ছিল, সে তার সীমান্তও অতক্রম করে ফেলেছে। অনেক বেশি অপরাধী সে! আমি নুজহাতের

সারা হসপিটাল মাতিয়ে, সবাইকে হাসিয়ে তুলি স্যারের সাথে নিজের বাড়িতে গেলো।মিলি নিজের রুমে তুলিকে নিয়ে গিয়ে অনেক খেললো।আর বলল বাবাই

আপুর মেয়েকে আমি নিয় নি।আমার মনে হচ্ছিল এটা আমার সন্তান নয়।আবার ভেতর থেকে একটা টান অনুভব করছিলাম।ডাক্তারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম

মেঘ স্যার খুব ভেঙে পরেছে।আবির চৌধুরী নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে।আমরা অনেক খুঁজেছি কিন্তু আপুকে কোথাও পাই নি।নিজেকে বন্দী করে রেখেছে

আমরা প্রিয়ার কাছে জানতে চাইলাম এসবের মানে কি? আর এখানে ও কি করছে? তখন প্রিয়া আমাদের বলল কিছুদিন হসপিটাল আর

আজ আপুর জন্মদিন। মেঘ স্যার একটার পর একটা সারপ্রাইজ দিয়ে চলেছে আপুকে। আপুও খুব খুশী। স্যার হসপিটালের সবাইকে সাক্ষী রেখে

কাশতে কাশতে ঘুম ভেঙে গেলো আপুর।কাকিমণি গ্লাসে পানি ঢেলে আপুর সামনে ধরলো।কাঁপাকাঁপা হাতে আপু গ্লাসটা নিতেই দরজার সামনে চোখ গেলে

হৃদের বাড়ন করা স্বত্বেও আপুর রুমে গিয়েছিলাম আমি।আপুর সাথে কথা বলেছিলাম আর এটা দেখে হৃদ প্রচন্ড রেগে গিয়েছিলো। আমার সাথে

স্যার জড়িয়ে ধরে ডাকছে আপুকে।আপু নড়ে উঠলে সোফায় আপুর মাথাটা ঠেকিয়ে রেখে উঠে দাড়ালেন স্যার।মুখটা ঘুরিয়ে নিলেন আপুর দিক থেকে।আপু

কথা শেষ হতেই আপুর গালে পরলো এক চড়! আপু গালে হাত রেখে রেগে মুখ তুলে সামনে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবে