প্রেমের পাঁচফোড়ন

প্রেমের পাঁচফোড়ন !! Part- 52

আহানা মুখটা বাঁকা করে আরেকদিকে ফিরিয়ে নিলো,সে কি বলবে,কি করবে সেটাই ভাবতেসে,অনেক ভেবে একটা নিশ্বাস ফেলে বলার চেষ্টা করতে গিয়ে শান্তর চোখে চোখ পড়লো,তার এই চাহনি দেখে মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না আহানার
শেষে মুখ খুলে বললো-
“আমার হাত ছাড়ুন!এসব ঠিক না শান্ত”
.
শান্ত আহানার হাতে একটু চাপ দিয়ে বললো “কেন ঠিক না আহানা?আমাদের তো বিয়ে হয়েছে তাই না”
.
“ওটা বিয়ে ছিল না”
.
শান্তর চোখ লাল হয়ে গেছে,চোখ বন্ধ করে আবারও খুললো নাহহহ এবারও ঠিক আগের মতই লাল তবে একটু বেশিই লাল
আয়নায় নিজেকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে সে
“আমি এই বিয়ে মানি আহানা,তুমি অস্বীকার করতেসো কেন?”

আহানা হাত নড়াচড়া করতে করতে বললো “বিয়ে জোর করে করলেই সেটা বিয়ে হয়ে যায় না শান্ত,মনের মিল থাকতে হয়,ভুলে গেছেন কোন পরিস্থিতিতে আমাদের বিয়েটা হয়েছিলো,কেন হয়েছিলো??
আমার প্রতি তো আপনার কোনোদিন ইন্টারেস্টই ছিল না তাহলে এসব কি?আজ বলবেন না?যে আহানা তোমার প্রতি আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই বুঝেছো”!!
অনেক হইসে,হাত ছাড়ুন এখন,বেশি বেশি হচ্ছে কিন্তু
আর আপনি তো…….!
.
শান্ত ততক্ষণে আহানার ঠোঁটজোড়া তার আয়ত্তে নিয়ে ফেলেছে
আহানার চোখ দিয়ে ২ফোঁটা পানি গড়িয়ে শান্তর সেই হাতে পড়লো যেটা দিয়ে সে আহানার হাত চেপে ধরে আছে
মেঘের ডাকটা খুব জোরে শোনা গেলো সেসময়ে,আজ শান্তকে সবচাইতে বেশি আপন মনে হচ্ছে আহানার
চোখ বন্ধ করে সে অনুভূতি অনুভব করায় ব্যস্ত
কারেন্ট চলে গিয়েছে,আলো আছে তবে সেটা বজ্রপাতের
আহানা চোখ খুলে শান্তর চোখের দিকে তাকালো,শান্তর চোখ জোড়া তার চোখকেই দেখতেসে,মনে হয় এতক্ষণ ও দেখতেসিলো,চোখ বন্ধ থাকায় বুঝতে পারেনি আহানা যে শান্তর চোখ তার দিকেই ছিল
আহানা তার হাত ঢিলা পেয়ে শান্তকে জড়িয়ে ধরে ফেললো খুব শক্ত করে,কেমন একটা লজ্জা কাজ করতেসিলো শান্তর চাহনি দেখে,তাই উপায় না পেয়ে জড়িয়ে ধরলো সে
দুজনেই চুপ হয়ে আছে
আহানা কয়েক মিনিট বাদেই শান্তকে ছেড়ে দিলো,পাশ কেটে চলে গেলে রুম থেকে
শান্ত নিজেকে কনট্রোল করে আহানাকে গিয়ে আটকালো
.
“আহানা প্লিস,এই পরিস্থিতিতে যেও না,আমি তোমাকে আর টাচ করবো না”
আহানা চোখ মুছে সোফায় বসে পড়লো
কি হয়েছে কিছুক্ষন আগে সেটা ভেবে হাসবে নাকি কাঁদবে সেটায় ভেবে পাচ্ছে না,কিরকম রিয়েক্ট করা উচিত তার??তাকে এইমাত্র যে লোকটা ছুঁয়েছে সে তার স্বামী
“আর আমারও তো সম্মতি ছিল,আমি কেন সম্মতি দিলাম!কেন দিলাম!!
হয়ত শান্তর ও একই অনুভূতি হচ্ছে,তাই সে সামনে থেকে চলে গেছে”
এত রাত,এত মুশলধারায় বৃষ্টি হচ্ছে ,বাসা কাছে হওয়ার সত্ত্বেও আহানা বের হতে পারছে না,আবার এখানেও থাকা সম্ভব না
আহানা পাগল হয়ে যাচ্ছে মূহুর্তগুলো মনে করতে গিয়ে

শান্ত মাথায় হাত দিয়ে বিছানার এক কোণে বসে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে আছে
সে কি আহানাকে জোর করলো?না জোর করেনি
“জোর করে হলে আহানা জড়িয়ে ধরতো না আমাকে,হঠাৎ এমন কেন করলাম আমি,একবার আহানাকে জিজ্ঞেস করলে হয়তবা ভালো হতো!!”
.
আহানা কিছু ভেবে না পেয়ে শেষে দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো বাসার থেকে
শান্ত দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে উঠে আসলো বিছানা থেকে
আহানা চলে যাচ্ছে
“আহানা দাঁড়াও প্লিস!”
আহানা বৃষ্টির মধ্যে বেরিয়ে পড়েছে রাস্তায়,শান্ত ছাতা নিয়ে দ্রুত গতিতে ওর কাছে গিয়ে ওর হাত ধরে আটকালো
.
রোড সম্পূর্ন ফাঁকা,যে গুটিকয়েক দোকান ছিল সব বন্ধ হয়ে গেছে,এসময়ে দোকান খোলা থাকতো,বৃষ্টি বলে বন্ধ হয়ে গেছে,আর রাত ও কম হয়নি যে খোলা থাকবে
ল্যাম্পপোস্টের আলো চারিদিকে আর বৃষ্টির শব্দ সব মিলিয়ে নির্জন পরিবেশ তৈরি করেছে,অথচ এই ল্যাম্পপোস্টের আলোতে স্পষ্ট দুজনকে দেখা যাচ্ছে,স্পষ্ট হয়ে আছে তাদের মুখের গড়ন,তাদের মুখের ভাবগতি কেমন তাও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে,তবে শুধু তারাই একজন আরেকজনকে দেখতে পাচ্ছে,দূর থেকে কেউ তাকালেও চিনবে না, কিছু বুঝবেও না
আহানা কিছুক্ষন চুপ করে থেকে শান্তর দিকে তাকিয়ে বললো “আমাকে যেতে দিন”
শান্ত ছাতা ওর মাথার উপর এনে ধরলো
শান্তর মুখের ভাব দেখে বোঝা যাচ্ছে কিছুক্ষন আগে যেটা হয়েছে সেটা সে ভুলে গিয়ে আহানাকে সামলাতে এসেছে এখন,কারণ তার দায়িত্ব এটা
আহানা শান্তর হাত ছাড়িয়ে একটু পিছিয়ে গেলো
ছাতার নিচ থেকে দূরে গিয়ে দাঁড়ালো সে
তার চোখ দিয়ে পানি পড়ে যাচ্ছে অনবরত,বৃষ্টির ভিতরেও ঠিকই ওর চোখের পানি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে কারণ ল্যাম্পপোস্টের নিচেই ওরা দুজন দাঁড়িয়ে আছে
এক পাশে ছোটখাটো দোকানপাট যেগুলো বন্ধ আর আরেকপাশে ১০তলা বহুতল ভবন,যেটা সম্পূর্ন অন্ধকার হয়ে আছে কারন পুরো দালানেই কারেন্ট চলে গেছিলো
গার্ড আইপিএস অন করতে গেছে

নিজেকে শক্ত করে আহানা কথা বলা শুরু করলো অবশেষে
.
“আমি আপনার যোগ্য না শান্ত!আমি একটা রাস্তার মেয়ে,এক নারীর অবৈধ সন্তান!
আমার কোনো পরিচয় নেই শান্ত!আপনার পাশে আমাকে মানায় না
যে বিয়েটা হয়েছে আমাদের সেটা আমি ভেঙ্গে দিব,আপনি চিন্তা করবেন না,তাও আমার জন্য আমি আপনার জীবন নষ্ট হতে দিব না
আমাকে এতদিন হেল্প করেছেন তার জন্য আমি ঋনি আপনার কাছে
আমার চাকরি আছে,আমি নিজেই নিজের খরচ বহন করতে পারবো
আপনার মা আমার দায়িত্ব নিয়েছিল আমি অনাথ বলে আর এতদিন আপনি নিয়েছেন,আপনাদের হাজার হাজার শুকরিয়া,ব্যস!এর বেশি সম্পর্কটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত হবে না
আপনার সাথে আমাকে একটুও মানায় না,কোথায় আপনি আর কোথায় আমি,আপনার বাসার বুয়াও সেই খাবার খায় না যেটা আমি খাই তাহলে কেন?কেন আমাদের সম্পর্কটার কোনো নাম হবে,নাম দেওয়া অনুচিত হবে,আমি কখনওই আপনার যোগ্য ছিলাম না,হবো ও না
আপনি প্লিস এই সম্পর্কটার ইতি টানুন,এতে আপনারই ভালো হবে,এলিনা আপু আপনাকে পাগলের মত ভালোবাসে,আপনি উনাকে বিয়ে করলে আপনারা দুজনই সুখী হবেন
আর আমার মত মেয়ের জীবনসঙ্গী হতেই হবে এমন তো না,আমি এতদিন একা একা জীবন কাটিয়েছি বাকি কটা বছর ও চালিয়ে নিতে পারবো
আমি আপনাকে ভালোবাসি না শান্ত!আমার এই ভালোবাসা না বাসাতে কোনো মূল্য নেই এ সমাজে”!!!
কেউ যদি জিজ্ঞেস করে আপনার স্ত্রীর কেন মা বাবা নেই তখন কি বলবেন আপনি?
আমি আপনাকে এরকম পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না
আমি এরকম প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি বলেই আমি জানি কেমন লাগে,তাই বলতেসি আপনি প্লিস আমাদের সম্পর্কটাকে শেষ করে দিন,এভাবে আমাদের জীবন চলতে পারে না,যত দিন বাড়বে ততই আমি দূর্বল হয়ে যাবো, নিজেকে সামলাতে পারবো না
এখনও দূর্বল হইনি আমি আর তাই এখন সম্পর্কটাকে শেষ করে দিন
কেউ জানবে না যে কোনো একদিন আমাদেরও কখনও নাম না জানা সম্পর্ক ছিল!আপনি চাইলে আমি এই বাসাও ছেড়ে দিব তাও আমার সাথে আপনি নিজেকে জড়াবেন না,আমি আপনার জীবনে সুখ আনতে পারবো না,আমাকে যা দিয়েছেন তা অনেক
একজন অনাথ মেয়ের এর চেয়ে বেশি পাওনা হতে পারে না
আমি আপনাকে ভালোবাসি না,বাসি না আমি!!

শান্ত ছাতা নিয়ে এগিয়ে এসে আহানার পিঠে হাত নিয়ে ওকে কাছে টেনে নিলো
আহানার কথাগুলো আদৌ শুনেছে কিনা কে জানে,তবে মনে হয় না সে আহানার কথাগুলো বুঝার চেষ্টা করেছে
মুখটা নিচু করে নামিয়ে আহানার ঠোঁট কামড়ে টেনে ধরলো
ঠিক ১০সেকেন্ড বাদেই ছেড়ে দিলো ওকে,আহানার বলা কথাগুলোর উত্তরে “””না””” বুঝাতে চেয়েই সে এখন এমনটা করলো
তারপর ধাক্কা দিয়ে ওকে দূরে সরিয়ে দিলো সে
আহানা স্তম্ভিত হয়ে চেয়ে আছে শান্তর মুখের দিকে
শান্ত ছাতা বন্ধ করে এগিয়ে এসে আহানার হাতে ছাতাটা দিয়ে চলে গেলো
একটু দূরে গিয়ে থেমে গেলো সে,মাথা বাঁকিয়ে আহানার দিকে তাকিয়ে বললো
♥”কিন্তু আমি বাসি,ভালো খারাপ দুটোই বাসি”♥
কথা শেষ করে চলে গেলো সে
আহানা রোবটের মত দাঁড়িয়ে ওর চলে যাওয়া দেখতেসে
লোকটাকে এতক্ষন ধরে কি বুঝাইলাম আর সে কি বুঝলো!
আমাকে ছুঁয়ে কি প্রমান করতে চাইলেন উনি!

খুব জোরে মেঘে ডাক দিলো,আর এখানে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়ানো ঠিক হবে না
আহানা হাত দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বাসায় ফিরে আসলো,দরজা বন্ধ করে নিজের রুমে এসে ফ্লোরে বসে গেলো
সবসময় সুখ জিনিসটাকে আমি ভয় পাই,অনেক অনেক ভয় পাই
কখনও হাতে টাকা পেলে খুব খুশি হতাম তারপরেই টাকা গুলো বাসা ভাড়া দিয়ে,চাল আর নুন কিনলেই যখন শেষ হয়ে যেতো তখন মনটা ভেঙ্গে যেতো,কত শখ থাকতো আমার
কিন্তু আজ পর্যন্ত একটা শখ ও আমি পূরন করতে পারিনি,সাধ্য হয়নি আমার
শান্ত আমার জীবনে আসার পর থেকে এক এক করে যা পারে সব করে যাচ্ছে,কিন্তু সুখ আসেই দুঃখের আবাশ নিয়ে!
এরপরে আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে জানি না আমি
তবে আর কোনো কষ্ট সয্য করার ক্ষমতা নেই আমার,আমি আর পারবো না কিছু সয্য করতে
শান্ত আমাকে সীমাহীন সুখের কাছে নিয়ে সুখের স্বপ্ন দেখাচ্ছে
ঠিক তখনই আমার ভয় হয় সুখকে হারানোর
আমি জীবনের ২০টা বছরে সুখ দেখিনি
সে আমি কিনা এখন সুখ পাবো?আমার তো কপালই পোড়া,আর তাই এখন সুখ দেখেও মন খারাপ হয়,এই সুখ স্থায়ী হয় না হবেও না জানি
শান্ত কেন বুঝতে চায় না আমার কথা,কেন বুঝতে চায় না সে!
ফোনে টুংটাং করে আওয়াজ হলো,শান্ত মেসেজ দিয়েছে
রান্নাঘরে আসতে বলেছে
ততক্ষণে কারেন্ট ও চলে এসেছে
আহানা বাতি জ্বালিয়ে রান্নাঘরে আসলো,ঠিক তখনই শান্ত ফোন করলো ওকে
আহানা কানে ফোন ধরে এক দৃষ্টিতে শান্তর বারান্দার দিকে চেয়ে রইলো
শান্ত গ্রিলে হাত রেখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে
.
“জামা চেঞ্জ করে ফেলো আহানা,নাহলে জ্বর হবে আর থ্যাংকস ফর দ্যা গিফট!”
.
গিফট?কিসের গিফট?
.
“কিসটা”আমার জন্মদিনের বেস্ট গিফট ছিল আহানা
আমি জানি তুমি আমাকে কিছু দিতে পারবে না আর আমার চাইও না কিন্তু পরেই মনে পড়লো তোমার কাছে আমার জন্য এমন উপহার আছে যেটাতে টাকা খরচ হবে না তোমার
আর তাই আমি আমার গিফট নিয়ে নিলাম,এই জন্মদিনটা আমার সারাজীবন মনে থাকবে
.
আহানা জানালা থেকে সরে দাঁড়ালো
শান্ত চুপ করে থেকে একটা নিশ্বাস ফেলে বললো যাও জামা চেঞ্জ করে ফেলো,এন্ড আই এম সরি যদি তোমাকে আজ কষ্ট দিয়ে থাকি তার জন্য
কল কেটে গেলো
আহানা ফোন তাকের উপর রেখে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে চুপ করে
সোফার রুমের সামনে দিয়ে বেডরুমে যাওয়ার সময় চোখ পড়লো সোফার উপরে কুশনের নিচে শান্তর জ্যাকেটের উপর
শান্তর কালো জ্যাকেট! এটা তো কয়েকদিন আগে পরেছিল মনে হয়
তাহলে এখানে আসলো কিভাবে,আমি তো খেয়ালই করিনি,শান্তর হয়ত মনে নেই
আহানা জামা চেঞ্জ করে এসে জ্যাকেটটা হাতে নিয়ে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে জ্যাকেটটা পরে নিলো সে
মুখে হাসি ফুটলো,জ্যাকেটা পরা অবস্থায়ই ঘুমিয়ে পড়লো সে
শান্ত ঘুমায়নি,সারারাত জেগে ছিল,চোখে ঘুম নেই তার
শুধু আহানাকে নিয়ে ভেবেছে
“ব্যস আর না এবার সবাইকে জানানো উচিত আহানা আমার লিগালি ওয়াইফ
ওকে আর আমি এভাবে জীবন কাটাতে দিব না,অনেক কষ্ট করেছে জীবনে আর না,আর কোনোদিন চোখের পানি ঝরতে দিব না ওর”
ভোরের আলো এসে দেয়ালে পড়েছে,শান্ত বেড থেকে উঠে বেরিয়ে পড়লো আহানার বাসার দিকে
যেই ভাবা সেই কাজ,মই এনে বারান্দা দিয়ে বাসায় ঢুকতে হয়েছে তাকে
আহানার রুমে এসে থেমে গেলো সে
আহানা ওর জ্যাকেটটা জামার উপর দিয়ে পরে ঘুমাচ্ছে
শান্ত মুচকি হেসে কাছে এসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো
“এই জ্যাকেটা কদিন আগে খুলে কই রেখেছি সেটাই ভুলে গেসিলাম তাহলে এখানে রেখে গেসিলাম,আর উনি সেটাকে আঁকড়ে কাল ঘুমিয়েছেনও
আসলে কাল আমার তোমার সাথে থাকাটা জরুরি ছিল
হুম ছিল!!
তবে যা হয়েছে তাতে তোমাকে একা থাকতে দেওয়াটা বেশি ইম্পরট্যান্ট ছিল বলেই একা যেতে দিয়েছি তোমাকে”

শান্ত রান্নাঘরের দিকে গেলো নাস্তা বানাতে
আহানা আওয়াজ পেয়ে উঠে বসলো,তাড়াতাড়ি গায়ের থেকে শান্তর জ্যাকেটটা খুলে বিছানায় রেখে নেমে গেলো রান্নাঘরের দিকে
.
শান্ত কাজ করতে করতে বললো খুলে লাভ নেই,আমি কিন্তু দেখে ফেলেছি
চলবে♥