অভিশপ্ত বাসর

পরের দিন বিকেলে সাবিহা হসপিটালের জন্য তৈরি হচ্ছে এরমধ্যে বেল বাজল। নিশ্চই পরিচিত কেউ নইলে তো আগে দারোয়ান ফোন দিত।

হঠাৎ দেখে সাবিহার কিছু স্টুডেন্টস ওদের দিকে তাকিয়ে আছে,ও তো পুরো পালাই পালাই অবস্থা। পরে গাড়িতে উঠে সে কি হাসি!!

মেহবুব গাড়ির লুকিং গ্লাস দিয়ে সাবিহাকে দেখছিল যতক্ষন পারছিল।এক সময় মোড় ঘুরতেই সাবিহা আয়না থেকে হারিয়ে গেল।দেখতে দেখতে হঠাৎ খেয়াল

মেহবুব বাথরুম থেকে এসে দেখে সাবিহা রুমে নেই। ড্রেস চেঞ্জ করে বাইরে এলো। ওকে দেখেই তিতুনরা দুইভাইবোন কাছে এলো।কত গল্প

এই শুনেন। পিছন থেকে উদগ্রীব হয়ে ডাকল সাবিহা মেহবুবকে। ও পিছন ফিরে বলল,- জি বলেন? ওর এই সম্মোধনে রাগে সাবিহার

বাসার পথে যাচ্ছিল সারাটা পথ ও সাবিহার কথা ভাবতে ছিল।কেমন যেন একটা ভাললাগা কাজ করছিল ওর মনে। সাবিহার নিষ্পাপ সরলতা

সাবিহা মেহবুবকে দেখে যতটা অবাক তারথেকেও বেশি অবাক হলো যখন মেহবুব হঠাৎ করে বলল -আচ্ছা আজ আমি আসি। তুমি ভাল

পরেরদিন সাবিহার ডিউটি শুরু হবার পর ও আর মেহবুবের আলাদা করে খোজঁ নিতে পারে নি,শুধু রেগুলার ফলোআপে দেখে এসেছে আর

রাতে কয়একবার সাবিহা মেহবুবের কেবিনে গেল, ওকে দেখতে। ও তখন বেঘোড়ে ঘুমুচ্ছে, মাথায় ব্যান্ডিজ বাঁধা,মুখটা ব্যাথার যন্ত্রনায় কুঁচকিয়ে রয়েছে। আজ

সাবিহা যখন বিকেলে হসপিটালে পৌছাল ইমারজেন্সীতে যে রোগীর ফলোআপ নিবে তার কেবিনের সামনে পৌছেই দেখল ওর শাশুড়বাড়ির লোকজন সবাই বসে