প্রেমে পড়া বারণ

শেষ পর্ব Taslima Munni রেহানের কথা শুনে একটু কেঁপে উঠলাম। সেটা রেহানের চোখে পড়েনি। রেহান হয়তো অন্য সময়ের

আমি চিৎকার করে কাঁদলাম। অনেক কাঁদলাম। এ আমার মন ভাঙার গল্প। এ কষ্ট কেবল আমার। কান্নাটাও আমার, একান্ত নিজের। এই

রেহানের যত কাছে যাচ্ছি যত আমার হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। ওর দিকে তাকাতে পারছি না। ওর দিকে তাকাতে নিজের সাথে

খুব শখ করে বৃষ্টিতে ভেজার ফল হাতেনাতে পেলাম। রাতেই ঝাকিয়ে জ্বর আসলো। গোটা একটা দিন জ্বরে পুড়েছি। বিকালে রেহানের আম্মু

রেহান গম্ভীর একটা লুক নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললো – এটা করলি কেন?? – কি করলাম? – আমি ডাকার পরেও

আমার মন ভালো নেই।। আমরা ফিরে যাচ্ছি একটা মাইক্রোবাসে করে। সবার মধ্যে একটা স্বস্তি। এই ট্যুরে এসে অনেক কিছু ফেইস

দিয়া হুজুরের সামনে রাখা ছুরি নিয়ে একটা আঙুলের মাথায় টান দিয়ে কেটে দেয়। টপটপ করে কয়েক ফোঁটা রক্ত পড়ে সাদা

রেহান ভয়ে দুইহাত পিছনে সরে আসলো! দিয়ার ভাবভঙ্গি ভালো লাগছে না। ওর আচরণে অদ্ভুত পরিবর্তন কারো চোখ এড়ায়নি। আমাকে দেখা

রাতে আর তেমন কিছু ঘটেনি। বাকি রাতটা স্বাভাবিক কেটে গেলো। সকালের সূর্যটা অন্যদিনের মতো উঠলেও আমাদের জন্য অন্যসব স্বাভাবিক দিনের

ও আমাকে মেরে ফেলবে! বাঁচাও!! আমি ওদের ফেলে পালাতে চেষ্টা করছি। কিন্তু দিয়া আর রেহান জোর করে আটকে রেখেছে!. –