তোকে চাই

ফ্লোরে ধপ করে বসে পড়লাম আমি।চারপাশের কিছুই বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না আমার।চোখের পানিগুলোও শোক জানাতে নারাজ।আমাকে এভাবে বসে পড়তে দেখে

গেইট থেকে দৌঁড়ে বেরিয়েই রাস্তায় এসে দাঁড়ালাম।আশেপাশে রিক্সার টিকিটারও দেখা মিললো না আমার।বাসা থেকে সিটি হসপিটাল প্রায় ১ ঘন্টার পথ।সেখানে

জানালার গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি আমি।।আকাশে মস্ত এক চাঁদ ওঠেছে… এই বিশাল চাঁদটাকে বারবার ঢেকে দিচ্ছে এক টুকরো

আমি একটা ঢোক গিলে উনার দিকে তাকালাম।।চোখে রাগের আগুন জ্বালিয়ে শান্ত দৃষ্টিতে আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন উনি।কি ভয়ানক সে চাহনী।।সামনে

কিছুক্ষণ অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থেকেই গাড়ির পেছনের দরজাটা খুলে ধপ করে বসে পড়লেন উনি।মাথা নিচু করে…হাতদুটো মুঠো করে

সেদিন রোদদের গ্রামের বাড়ি থেকে ফেরার পর বাসায় ঢুকতেই চিত্রার মা একরকম টেনে ঘরে নিয়ে গেলো তাকে….দরজা লাগিয়ে আনন্দিত কন্ঠে

আ..আমি আপনাকে সস্কেন করতে যাবো কেন?কি সব বলছেন আপনি?ঠিকভাবে ড্রাইভ করুন….এমনিতেই তো কতো দেরি হয়ে গেছে তারওপর উল্টাপাল্টা কথা বলছেন….

গাড়িতে চুপচাপ বসে আছি আমি….আমার ঠিক সামনেই চোখ মুখ লাল করে বসে আছেন শুভ্র।। উনার চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে কতোটা

হালকা রোদের ঝিলিকে ঘুম ভেঙে গেলো আমার।তবু চোখ বুজে পড়ে রইলাম বিছানায়….কেমন যেনো সুখী সুখী পরিবেশ চারদিকে।।রুমের প্রতিটি কোণায় এক

আপনাকে জ্বালাচ্ছি আর আমি??ইম্পসিবল… সারাদিনে একবারও আপনার সাথে দেখা হয় নি আমার….তাহলে জ্বালালাম কিভাবে শুনি?? . আমার কথায় হয়তো হাসলেন