তোকে চাই – Season 2 ! Part- 42
কিছুক্ষণ অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থেকেই গাড়ির পেছনের দরজাটা খুলে ধপ করে বসে পড়লেন উনি।মাথা নিচু করে…হাতদুটো মুঠো করে মুখের কাছে এনে বসে আছেন চুপচাপ।আমি ততক্ষণে হেঁচকি তুলে চলেছি ক্রমাগত।কোনো ছেলে বউ এর মুখে “আই লাভ ইউ ” শুনলে এমন থম মেরে বসে থাকতে পারে জানা ছিলো না আমার।আমি এবার এগিয়ে গিয়ে উনার কাছাকাছি দাঁড়িয়ে কাঁপা গলায় বললাম -” কককি হয়েছে?” সাথে সাথেই আমার হাতটা টেনে নিজের কোলে বসিয়ে নিলেন আমায়…দু’হাত পেটে শক্ত করে চেপে ধরে কাঁধে মুখ রেখে বলে উঠলেন –
.
আমাকে পাগল বানানোর পায়তারা করছো?নাকি নিজে পাগল হয়ে গেছো?আমি পাগলামো শুরু করলে আমায় সামলাতে পারবে তো রোদসোনা?
.
উনার গরম নিঃশ্বাস তখন আমার ঘাড়ে পড়ে চলেছে বিক্ষিপ্তভাবে।কেঁপে কেঁপে উঠছি মুহূর্তে। আমায় চুপ থাকতে দেখে আবারও ফিসফিস করে বলে উঠলেন উনি-
.
কি খেয়েছো আজ, বলো তো? হাজবেন্ডের প্রতি আজ এতো ভালোবাসা….!!!
.
এবার আমার কি হলো কে জানে? উনার দিকে ঘুরে বসে উনার গলা জড়িয়ে ধরে বলে উঠলাম –
.
আমার হাজবেন্ড যে কিউটটটটট তার প্রতি ভালোবাসা না এসে উপায় আছে?আমার বরের সবকিছুই একদম আদর আদর…
কথাটা বলেই উনার গালে টুপ করেই চুমু দিয়ে বসলাম আমি….যাকে বলে টাইট কিস!!আমার কাজে উনি হতবাক।রোবটের মতো বসে আছেন উনি…..যেনো চারপাশে কি চলছে কিছুই মাথায় ঢুকছে না তার।।আমি মুচকি হেসে উনার চুল ঠিক করতে করতে বলে উঠলাম –
.
ডিনার করেছেন?
.
আমার কথায় যেনো স্বাভাবিক হলেন উনি।।একটা ঢোক গিলে বলে উঠলেন –
.
উহুম মনে ছিলো না ডিনারের কথা।কাজের চাপে ক্ষুধাও পায় নি তখন।কিন্তু এখন জলজ্যান্ত স্টোবেরি আইসক্রিম দেখে প্রচচচুর ক্ষুধা পাচ্ছে।।(দুষ্টু হেসে)
.
উনার কথায় আমি অবাক হওয়ার চেষ্টা করে বলে উঠলাম –
.
আইসক্রিম? কই আমার তো চোখে পড়ছে না!!তবে এতো রাতে আইসক্রিম খেতে হবে না।আমি আপনার জন্য খাবার নিয়ে এসেছি খাবেন চলুন।।
.
কিহ খাবার এনেছো?রাস্তায় বসে খাবো?(অবাক হয়ে)
.
রাস্তায় খাবেন কেন?গাড়িতে বসে খাবেন…আমি খাইয়ে দিবো।প্লিজ!!
মহারানীর আদেশ শিরধার্য।(মুচকি হেসে)
.
গাড়িতে পাশাপাশি দুজন বসে আছি।আমি উনাকে খাওয়াচ্ছি আর উনি সিটে গা এলিয়ে দিয়ে একদৃষ্টিতে আমাকে দেখে চলেছেন।।যাকে বলে তৃষ্ণার্ত দৃষ্টি…কিছুক্ষণ ওভাবেই পড়ে থেকে সোজা হয়ে বসলেন উনি।আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন –
.
এতোরাতে খাবার গরম করে আনার কি প্রয়োজন ছিলো?(ভ্রু কুঁচকে)শুধু শুধু কষ্ট করলে…আমি এমনি খেয়ে নিতে পারতাম।
.
খাবার গরম করে এনেছি কে বললো আপনাকে?(উনি ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই) নিজে রান্না করে এনেছি….একদম ফ্রেশ!!
.
কিহহ!!(অবাক হয়ে) এতো রাতে রান্না করতে গিয়েছো কেন তুমি?ঘুম বাদ দিয়ে এসব করার মানে কি?তোমার ঠিকঠাক ঘুম না হলে যে মাথা ব্যাথা করে জানো না?(রেগে) সবসময় বাচ্চামো!!
.
কেউ একজন জ্বর শরীরে সারারাত জেগে অফিস করছে আর আমি এটুকু করতেই তার এতো রাগ??ডাক্তার যে তাকে ফুল বেড রেস্ট দিয়েছে সে কি তা মানে?তাহলে আমি কেন তার কথা মানতে যাবো,, হুয়াই?(খাবার মাখতে মাখতে)
.
এবার উনি কোমরে হাত দিয়ে একটানে নিজের কাছে নিয়ে গেলেন আমায়।।ডানহাতে গাল চেপে ধরে বললেন-
.
সে তার জ্বরের মেডিসিন পেতেই এতো কিছু করছে মিসেস আবরার শুভ্র।যদি তার মেডিসিনের কিছু হয়….সামান্যও শরীর খারাপ হয়….তাহলে তার চেপে খারাপ কেউ হবে না।।বুঝলেন?(ভ্রু নাঁচিয়ে)
.
উনি আমার গাল ছেড়ে দিতেই উনার দিকে রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে উঠলাম –
.
দি আবরার শুভ্রর ওয়াইফকে ধমকি!!হে যুবক তোমার এতো বড় সাহস?? জানো আমার বর তোমার কি অবস্থা করবে??
আমার কোথায় হুহা করে হেসে উঠলেন উনি।কোনোরকম হাসি থামিয়ে বলে উঠলেন –
.
রোদপাখি এমন আর করো না তো।তুমি অসুস্থ হয়ে পড়লে তো আমার সহ্য হবে না সোনা।(বোতল থেকে পানি খেয়ে) খাওয়া কমপ্লিট এবার বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।গো….
.
আমি অসহায় দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকালাম।উনি ভ্রু কুঁচকে বলে উঠলেন –
.
কি হলো?যাও!!
.
নাহ…যাবো না।(মুখ কাঁচুমাচু করে)
.
যাবে না মানে?(অবাক হয়ে)
.
বলছি কি…আপনার তো এখান থেকে বাসায় যেতে প্রায় ১ ঘন্টা লেগে যাবে তাই না?এখন বাজে ২ টা ২০…. তারমানে বাসায় যেতে যেতে বাজবে ৩ টা ২০।।এরপর ফ্রেস হবেন…..ঘুমাতে যাবেন ততক্ষণে সকালই হয়ে যাবে।।তারথেকে বরং….
.
তারথেকে বরং??(ভ্রু কুঁচকে)
.
আপনি এখানেই গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ুন না….আমি পাশে বসে পাহারা দিবো,,মাথায় হাত বুলিয়ে দিবো…(হাসার চেষ্টা করে)
.
আমার কথায় শান্ত দৃষ্টিতে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে শীতল গলায় বলে উঠলেন-
.
বলা শেষ?নাও গো…
.
প্লিজ প্লিজ প্লিজ….
.
চুপ…একদম চুপ।সবসময় জেদ ভালো লাগে না।আমি যখন বলেছি এখন রুমে গিয়ে ঘুমাবে তো ঘুমাবে..ব্যস। আর একটা কথাও না।গো( ধমক দিয়ে)
.
প্লিজ না….একটু থাকি।(কাঁদো কাঁদো মুখে)
.
নো মিনস নো রোদ।সবসময় বাচ্চাদের মতো বিহেভ করবে না যাও….(গম্ভীর গলায়)
.
না যাবো না আমি। এখানেই,, আপনার সাথে বসে থাকবো… যাবো না।
.
থাপ্পড় না খেতে চাইলে যাও এখান থেকে….নয়তো সত্যি সত্যি থাপ্পড় দিবো একটা।(চোখ রাঙিয়ে)
.
উনার চোখের দিকে তাকিয়ে অন্তরাত্মা কেঁপে উঠলো আমার।চোখ দুটো ভরে উঠলো মুহূর্তেই।কোন কথা না বলে চরম রাগ আর অভিমান নিয়ে চুপচাপ গাড়ির দরজা খুলতে গেলেই আমার বাম হাত চেপে ধরলেন উনি।করুন কন্ঠে বলে উঠলেন –
.
সরি রোদপাখি।এভাবে বলা ঠিক হয় নি….সরি।
.
হাত ছাড়ুন….(শান্ত গলায়)
.
সরি তো বাবা…. রাগ করে না।
.
হাতটা ছাড়ুন…
.
ইয়া খোদা!! এই বাচ্চাটাকে কিভাবে বোঝাবো আমি??(উপরের দিকে তাকিয়ে)
.
আমি হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতেই এক ঝটকায় আমাকে সিটের সাথে চেপে ধরলেন উনি। ততক্ষণে খোঁপা খুলে চুলের অবস্থা বেকাহিল..উনি সাবধানে আমার ঘাড়ের কাছের চুলগুলো সরিয়ে গলয় মুখ ঢুবিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে উঠলেন –
.
তোমার আজ কি হয়েছে বলো তো?এমন পাগলামো কেন?তোমাকে দেখলে এমনিই পাগলামো শুরু হয়ে যায় আমার….এবার যদি তুমিও পাগলামো শুরু করো…তাহলে কিভাবে হবে বলো তো?আমি তো তাহলে কন্ট্রোললেস হয়ে পড়বো রোদপাখি!!আমার নিজেকে কন্ট্রোল করতে প্রবলেম হচ্ছে….তাই তোমাকে বলছি…প্লিজ চলে যাও…প্লিজজ।আর আমার রোদপাখিটাকে বকা দেওয়া জন্য এত্তোগুলো সরি….(ডানকান ধরে মাথা হেলিয়ে মিষ্টি হেসে) সরি!!
.
উনার কথায় মুখ ভেঙিয়ে উনাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে গাড়ি থেকে নেমে এলাম আমি।।কোন দিক না তাকিয়ে সোজা হাঁটা দিলাম গেইটের দিকে….উনি গাড়ি থেকেই চেঁচিয়ে বলে উঠলেন –
.
রোদপাখি??তোমার বাপ আর মামুকে বলে দিও…আবরার শুভ্র তার বউ নিতে আসছে….খুব শীগ্রই আসছে….(চিৎকার করে)
.
উনার কথা কানে আসতেই মুচকি হাসলাম আমি।একটু দাঁড়িয়ে উনার দিকে না তাকিয়ে আবারও হাঁটা দিলাম আমি।।নিজেকে কেমন পরিপূর্ণ লাগছে আজ….পেছনে থাকা মানুষটি যে ভালোবাসা ঘেরা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে… সেও তো এক শান্তি…মহাশান্তি!!
.
🍁
.
ক্লাস করে মাত্রই বেরিয়েছি।ক্লাস থেকে বেরিয়েই উঁকিঝুকি শুরু।নাহ!আজ শুভ্রকে নয় শিশির স্যারকে খুঁজ চলছে চারপাশে।চিত্রা যে উনাকে লাজুক লাজুক গলায় বলবে…”ওগো তুমি কেমন আছো?” আহ্ স্যারের কি রিয়েকশন হবে??ভাবতেই তো হাসিতে লুটোপুটি খেতে ইচ্ছে করছে আমার!! কথাগুলো ভেবে নিজের মনে হালকা হেসে চিত্রাকে নিয়ে পার্কিং এর দিকে যেতেই দেখি সামনে দাঁড়ানো ছেলে মেয়েরা উঠে দাঁড়ালো….মাঝ আড্ডায় এভাবে উঠে দাঁড়াতে দেখে অবাক হলাম দুজনেই।সাথে সাথেই তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজন বলে উঠলো –
.
গুড নুন স্যার!!
.
গুড নুন…ভালো আছো তোমরা?
.
জি স্যার…
.
কথাটা বলেই সব কটা একরকম দৌড়ে চলে গেলো সেখান থেকে। আমি আর চিত্রা মাথা ঘুরিয়ে তাকাতেই শকড…শুভ্র!!চিত্রা আমার দিকে তাকিয়ে দাঁত কেলাতেই চোখ রাঙিয়ে তাকালাম।ব্যাগটা শক্ত করে ধরে…অন্যহাতে চিত্রার হাত টা ধরে উনাকে “গুড নুন স্যার” বলেই পাশ কাটিয়ে যেতে নিলাম।কিন্তু ওই যে ভাগ্য!!পেছনে থেকে আমার হাতটা টেনে ধরে চিত্রার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন –
.
শালিসাহেবা?আপনার জামাই আপনাকে খুঁজে ওইদিকে…. যান যান….
.
চিত্রা উনার দিকে অবাক চোখে তাকাতেই চোখ টিপে হেসে উঠলেন উনি।সাথে সাথে চিত্রাও হেসে উঠে উল্টো রাস্তায় হাঁটা দিলো।।আমি যে এতো ডাকলাম কানেই নিলো না।।সেলফিস বান্ধুবী।।এবার উনি আমার দিকে তাকালেন।দুষ্টু হাসি দিয়ে ভ্রু নাঁচিয়ে বলে উঠলেন –
.
পালাও কেনো?কাল ছাড়তে চাইছিলে না, আজ ধরতে দিচ্ছো না…কাহিনী কি?ক্যান্টিনে চলো…খাবো ক্ষুধা লাগছে।
.
তো যান .. গিয়ে খান।আমায় টানেন কেন?আমায় খাবেন নাকি?(রাগী গলায়)
.
ইশশ…দহন বাড়িয়েও না রোদপাখি….পারলে তো প্রথম দিনই খেয়ে ফেলতাম।(চোখ টিপে)
.
ছিহ!!সব ছেলে লুচু।আপনার মতো ভুলাভালা চেহারার ছেলেরা আরো বেশি লুচু….শিশির স্যারের মতো একটা ছেলে,,যাকে দেখলে মনে হয় ভদ্রতার গোডাউন একখান….আর উনি কি করলেন?দেখতে গিয়েই চিত্রাকে চুমু দিয়ে দিলেন??ছিহ ছিহ… আর আপনার কথা তো বাদই দিলাম….আপনি তার থেকে কয়েকগুণ এগিয়ে….ক্লাসরুমে গলায় কামড়টা যে আপনি দিয়েছিলেন তা খুব ভালো করে জানি আমি…হুহ!!
.
আমার কথায় হেসে উঠলেন উনি।মাথা চুলকে বলে উঠলেন –
.
আমি তখন কন্ট্রোললেস হয়ে পড়েছিলাম…. আর তাছাড়া সব ছেলেরা তার বউয়ের চোখে লুচুই হয়…শিশির স্যার জানে সে চিত্রাকেই বিয়ে করবে…তাই ওমন বিহেভ করেছে।আর আমিও জানতাম দুনিয়া উল্টে গেলেও আমি এই এটম বোমকেই বিয়ে করবো….তাই আমিও ওমন বিহেভ করেছি।।তবে রোদপাখি….আমার কিন্তু তোমার সাথে লুচুগিরি করতেই বেশি ভালো লাগে…. এখনও করতে ইচ্ছে করছে,, করবো?(দুষ্টু হেসে)
.
ছিহ…ছাড়ুন আমায়!!
.
নো ছাড়াছাড়ি… চলো খাবো…আই মিন লান্চ করবো।।(মুচকি হেসে)
.
আমি যাবো না।খাবোও না…. ছাড়ুন আমায়….
.
তাহলে তোলে নিয়ে যাবো…
.
হোয়াটএভার….ছাড়ুন!!
.
আমার কথা শেষ হতেই কোলে তুলে নিলেন আমায়….ঘটনার আকস্মিকতায় চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম আমার।।ঢোক গিলে আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম…একটু দূরে রাতুল ভাইয়া আর কয়েকটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে….আশেপাশে আর কেউ নেই বললেই চলে…বুঝতে আর বাকি রইলো না…মহারাজ সব ঠিকঠাক করেই এসেছেন।আমি রাগী গলায় বলে উঠলাম –
.
নামান…নামান বলছি!
.
না আগে বলো লান্চে যাবে।
.
আচ্ছা যাবো নামান….(দাঁতে দাঁত চেপে)
.
🍁
.
ক্যাফিটেরিয়াতে বসে আছি। একগাদা খাবার অর্ডার দিয়েছেন উনি। এখন যে খাবার নামক অত্যাচার চলবে তা বেশ বুঝতে পারছি আমি।উনি আমাকে চোখ রাঙিয়ে খেতে বলবেন ঠিক তখনই পাশ থেকে কেউ বলে উঠলো –
.
আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া!
.
ওয়ালাইকুম আসসালাম…ভালো আছো?
.
জি ভাইয়া!ভাইয়া…আমি আপনাকে স্যার ডাকবো না ভাইয়া?
.
যা ইচ্ছে…(জোরপূর্বক হেসে)
.
আরে রোদ কেমন আছো?লান্চ করছিলে?আমি জয়েন করতে পারি?
.
ইয়াহ শ্রেয়া।প্লিজ!!
.
শ্রেয়া বসতেই আড়চোখে শুভ্রর দিকে তাকালাম আমি।উনি ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছেন।বিষয়টা যে তার মোটেও ভালো লাগছে না…তা বেশ বুঝতে পারছি আমি।।শ্রেয়া হয়তো উনার মনের ভাবটা বুঝতে পারলেন না….তাই হাসিমুখে বলে উঠলো-
.
ইউ আর সো লাকি রোদ।শুভ্র ভাইয়ার মতো ভাই পাওয়াও অনেক ভাগ্যের ব্যাপার।।বোনের কতো খেয়াল রাখেন উনি।।জাস্ট স্পিসলেস..
.
শ্রেয়ার কথায় প্রচুর হাসি পাচ্ছে আমার।।আগুনে ঘি ঢালার কাজটা বেশ ভালোভাবেই করেছে সে….শুভ্র ভ্রু কুঁচকে বলে উঠলেন –
.
তোমাকে কে বললো আমি ওর ভাই??
.
কেনো রোদই তো সেদিন বললো….আপনি ওর কাজিন… খুব স্নেহ করেন ওকে….(মুচকি হেসে)
.
এবার আগুন মাখা দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালো শুভ্র।।যেনো এখনই গিলে খাবে সে….
.
#চলবে….
.