তোকে চাই

ভার্সিটির মাঠের মাঝ বরাবর হাঁটছি সাথে আছে চিত্রা।কিন্তু বেচারীর মন আসলেই আমার সাথে আছে কিনা তাতে বেশ সন্দেহ হচ্ছে আমার।সে

শুভ্র ভাইয়ার মেজাজ ভীষন রকম গরম।।উনি একবার চেয়ারে বসছেন তো একবার হাঁটাহাঁটি করছেন…কিছুতেই নিজেকে শান্ত করতে পারছেন না ।।সাহেল ভাইয়া

দুপুরের খাবার পর শুভ্র ভাইয়ার দরজায় উঁকিঝুঁকি দিচ্ছি।ভেতরে ঢুকবো কি না বুঝতে পারছি না। উনি নিশ্চয় ঘুমিয়ে গেছেন এতোক্ষণে… ভেতরে

ব্রেকফাস্ট করে ছাদে গিয়ে বসতেই মা এসে হাতে একটা পার্সেল ধরিয়ে দিলো।।আমি অবাক চোখে আম্মুর দিকে তাকাতেই ব্যস্ত ভঙ্গিতে বলে

আপু আর অভ্র ভাইয়ার বিয়ে হয়ে গেছে? . তো?তোমার কি মনে হয় এখনো বসে আছে?বাসর ঘরেও ঢুকে গেছে এতোক্ষণে। বুঝো

জানালা দিয়ে রহিমা খালাকে ডেকে দরজা খুলতে বললাম।।রুম থেকে বেরিয়েই সোজা হাঁটা দিলাম আঙিনায়।আপুর বিয়েটা এখনও শেষ হয় নি।সবাই বিভিন্ন

সারারাত গল্প মত্ত থেকে এখন সবার চোখই ঘুমে ঢুলুঢুলু। আমি ছাদের কার্নিশ ধরে দাঁড়িয়ে আছি আর আমার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে

দরজাটা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই ডক্টর আহানের করুণ অবস্থা চোখে পড়লো।হাতে-পায়ে প্লাস্টার আর ব্যান্ডেজের ছড়াছড়ি।ইশশ….আমার জন্য উনার এতোটা ক্ষতি হয়ে গেলো।

ছাদের দরজায় ঠেস দিয়ে হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছেন শুভ্র ভাই।।ঠোঁটে শয়তানি হাসির রেখা।আমি দ্বিধাদ্বন্দে হয়রান…রাগ পাবো নাকি ভয়??উনি আমার

বিয়ের শপিং-এ যাবো আজ।চিত্রাকে ফোন দিয়ে আসতে বলেছি….দুজন একরঙা শাড়ি পড়বো আজ।শাড়িটা হাতে নিতেই আম্মু খুশিতে গদগদ হয়ে বলে উঠলেন-