তোকে চাই – Season 2 ! Part- 34
ব্রেকফাস্ট করে ছাদে গিয়ে বসতেই মা এসে হাতে একটা পার্সেল ধরিয়ে দিলো।।আমি অবাক চোখে আম্মুর দিকে তাকাতেই ব্যস্ত ভঙ্গিতে বলে উঠলেন উনি-
.
তোর নামে এসেছে…দেখ তো কে পাঠালো!!
.
কথাটা বলে আবারও ব্যস্ত ভঙ্গিতে নিচে নেমে গেলেন আম্মু। আম্মুর যাওয়ার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে পার্সেলটার দিকে তাকালাম।আমার জন্য পার্সেল??কে পাঠাবে??মনের মাঝে হাজারও প্রশ্ন নিয়ে চোখদুটো কুঁচকে দূরের নীল আকাশটির দিকে তাকালাম।পার্সেলটা খুলে মনের কৌতূহলটা মিটাতে ইচ্ছে করছে না মোটে।থাকুক না কিছু কৌতূহল!! এই অচেনা প্রশ্নগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করতে বেশ লাগছে!!ছাদের পাশের আম গাছটায় লাল নীল রঙের একটি পাখি এসে বসেছে প্রায় আধা ঘন্টা হলো।কি অলস তার চালচলণ,, আচ্ছা?? এই ঢাকা নামক কাকের দেশে এই রূপসী পাখিটা এলো কিভাবে??তারও কি আমার মতো অস্তিমজ্জায় অলসতা ভর করেছে??তারও কি একজন শুভ্র আছে??পাগলাটে টাইপ শুভ্র!!অসম্ভব সুন্দর এই পাখিটার নামটা জানতে ইচ্ছে করছে খুব।।মা নিশ্চয় জানে নামটা,, কিন্তু মাকে ডেকে জিগ্যেসই করতে ইচ্ছে করছে না মোটেই।।থাকুক না নামটা অজানা….সব সৌন্দর্যই কি নাম দিয়ে বিচার করা জরুরি??থাকুক না কিছু নাম হীন সৌন্দর্য…নাম হীন অনুভূতি।।কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকার পর পার্সেলের বাদামী রং এর আবরণটা খুলে চোখ রাখলাম ভেতরের জিনিসটিতে।।ডায়েরি!!অসম্ভব রকম কৌতূহল নিয়ে ঝটপট হাতে নিলাম ডায়েরীটা…ডায়েরীর উপরে আাঠা দিয়ে লাগানো ক্যাম্পাস লাইব্রেরীর টেবিলে মাথা রেখে ঘুমন্ত আমার ছবি…তার নিচে ছোট ছোট গোটা গোটা অক্ষরে লেখা “❤For sunshine ” “সানসাইন” শব্দটা দেখেই যে মানুষটার কথা প্রথম মনে হলো সে হলো সাহেল ভাইয়া। তাহলে কি সাহেল ভাইয়াই পাঠিয়েছে এই পার্সেল?এটাই কি উনার বলা গিফ্ট!!অধীর আগ্রহ নিয়ে ডায়েরীটা খুললাম…তাতে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা-
❤সাইনশাইন,
.
“সানশাইন” নামটা শুধুই আমার জন্য…এই নামের অধিকার আর কাউকে দিও না প্লিজ।থাকুক কিছু আমার ঝুলিতে খুব গোপনে।।ভার্সিটির প্রথম দিনটিতে ক্যান্টিনে ঠিক আমার সামনের চেয়ারটাতে বসা মেয়েটির বাচ্চাদের মতো ঘন ঘন পলক ফেলে ভয় ভয় দৃষ্টিতে আমাদের দিকে তাকানো!!হঠাৎ করে রেগে ওঠা…আর কি জেদ!! বাচ্চা একটা মেয়ের এতো উত্তাপ?এতো সাহস?সেদিনই বুঝে গিয়েছিলাম আমার আর রক্ষে নেই….এবার তো মরণ নিশ্চিত। দ্বিতীয় দিনটিতে হলুদ জামা পড়ে গুটি গুটি পায়ে হাজারো অস্বস্তি নিয়ে দাঁড়ালো আমাদের সামনে।দ্বিধা ভরা কন্ঠে বলে উঠলো-” সরি ভাইয়া!!” বলো তো .. এতো সুন্দর করে সরি বললে কি রেগে থাকা যায়??তোমার বলা ওই সরি কথাটা বুকে গিয়ে লেগেছিলো সেদিন….কি মিষ্টি সে স্বর!!শুভ্ররও হয়তো সেইম ফিলিংসটায় হয়েছিলো তাই তো বিনা বাক্যে ক্ষমা করে দিলো তোমায়।।যদিও এর পেছনে আরেকটা কারণও ছিলো…সেদিন শুভ্র জানতো তুমি ওর ফুপ্পির মেয়ে…সাথে জানতাম আমিও।।সেদিন সেই মুহূর্তে দুটো মন কেঁপেছিলো একইসাথে….আমার মনে ছিলো ভালোবাসা আর শুভ্রর মনে ছিলো ভালোবাসা আর পাগলামো।।তোমাকে পাওয়ার পাগলামো।।তুমি ওর সাথে নিজ থেকে কথা বলবে শুধুমাত্র এই কারণটার জন্য দিনের পর দিন নিকৃষ্ট ব্যবহার উপহার দিয়েছে তোমায়….তার উদ্দেশ্য একটায়.. রেগে হোক,,হেসে হোক বা প্রতিশোধ নেওয়ার আশায় হোক তুমি তার সাথে কথা বলো!!প্রতিটি দিন তুমি ক্লাস থেকে বের হতেই দুটো মানুষের দৃষ্টি তোমার উপর পড়তো সবার আগে….সেদিন লাইব্রেরীতে শুভ্র নিজের বেস্ট এসাইনমেন্টটায় দিয়ে দিয়েছিলো তোমায়…ভাগ্যিস আমিও গিয়েছিলাম খাতা হাতে…দেখেছিলাম তোমার সাথে ওর অন্তরঙ্গ মুহূর্ত।। জানতে পেরেছিলাম তোমার প্রতি শুভ্রর ফিলিংস…আর থমকে গিয়েছিলো হৃদয়!!তারপরও হাল ছাড়ি নি আমি ভেবেছিলাম বলবো তোমায় কিন্তু দিন দিন বাড়ছিলো তোমার প্রতি শুভ্রর পাগলামো।তুমি চিন্তাও করতে পারবে না কতোটা পাগল সে তোমার জন্য!! তোমার অগোচরেও যারা ভুলেও তোমার দিকে তাকিয়েছে তাদের অবস্থা কতটা বাজে করেছে তা শুধু আমি জানি।।তোমায় দেখে শিষ দিয়ে উঠার অপরাধে ভার্সিটির এক জুনিয়রকে ১০ দিন হসপিটালাইজড থাকতে হয়েছে।।নিজের পরিচয় গোপন করে তোমার কাছে যাওয়ার ওর চেষ্টাও আমার চোখে পড়েছিলো…তার সাথে পড়েছিলো অনেক দীর্ঘশ্বাস!!যেদিন রাতে তোমার সাথে ইনসিডেন্টটা হলো…সেদিন পিলে চমকে গিয়েছিলো আমার….শুভ্রর রিয়েকশন ছিলো তার থেকেও ভয়ানক।।সেদিন আরেক শুভ্রকে দেখেছিলাম আমি…কতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সে!! তোমায় হসপিটালে এডমিট করার পর সারাটা রাত জানোয়ারের মতো মেরেছিলো ওদের।।চিৎকার করে কেঁদেছিলো তোমাকে হারানোর ভয়ে….নিজের হাতের কি অবস্থা করেছিলো দেখেছিলে নিশ্চয়??তোমার জানার বাইরেও কতো ধরনের পাগলামো করে সে শুধু তোমার জন্য তা হয়তো শুধু আমিই জানি….তুমি কি জানো??রাত ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত তোমাদের বাসার জামরুল গাছটার পেছনে দাঁড়িয়ে থাকে শুভ্র! একঝাঁক মশার কামড় খায়…এরমধ্যে কফি হাতে তুমি বেলকনিতে আসো…এতো দূর থেকে রাতের অন্ধকারে তোমার ছায়াটা দেখেই বাড়ি ফিরে সে…রাস্তায় দাঁড়িয়ে রিকশার জন্য তোমার বিরক্তি নিয়ে অপেক্ষাও একটা আগ্রহের বস্তু ওর…তাই তো কখনোই আধাঘন্টার আগে রিকশা পাও না তুমি…কারণটা বুঝেছো নিশ্চয়!!আমার আর শুভ্রর পছন্দগুলো সেইম…ড্রেস কিনতে গেলে সেইম ড্রেস ডাবল না হলে অর্ডার দিয়ে হলেও বানিয়ে নিতাম আমরা…কিন্তু ভাগ্য দেখো…লাইফের সবচেয়ে এক্সপেন্সিভ জিনিসটায় তো ডাবল পেলাম না।।তোমাকে পাওয়া হলো না।।যদি লাইফের অর্ধেক হায়াত দিয়ে হলেও আল্লাহর কাছে আরো একটা “তোমাকে” অর্ডার করতে পারতাম তবু করে নিতাম সানশাইন!! কিন্তু এমন তো আর হওয়ার নয় তাই না?? কখন সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় জানো?যখন মনে হয় তোমাকে নিয়ে নিজের কল্পনায়ও ভাবার অধিকার নেই আমার তোমার সবটাতেই শুধু শুভ্রর অধিকার,…তখন ক্ষতবিক্ষত হই আমি…মারাত্মকভাবে ক্ষতবিক্ষত হই।। তবু সরে দাঁড়িয়েছে কারণ আমি জানি…শুভ্র তোমাকে না পেলে পাগল হয়ে যাবে…কিন্তু আমি হবো না।।যতবার তুমি সামনে আসো নিজেকে বলি তাকাবো না,, দেখবো না তোমায়…কিন্তু চোখটা শুনলে তো!!বেহায়া চোখ বারবার ঘুরেফিরে সেদিকেই যায়।।এই চিন্তা করো না…আমি কিন্তু খারাপ নেই বরং ভালো আছি।।বাচ্চাদের মতো ভাবি কি জানো?কোন এক পরি আসবে আর তার ম্যাজিক দিয়ে তোমাকে ভুলিয়ে দিবে…আসবে তো সানশাইন??নিশ্চয় আসবে তাই না??এক সপ্তাহ পর ফাইনাল এক্সাম শেষ হচ্ছে…পাড়ি জমাবো অনেক দূরের দেশে।ভাবলাম যাওয়ার আগে ফিলিংসগুলো জানিয়ে দিই তোমায় আপাতত বুকের ভারটা তো হালকা হবে।।শুভ্রও পেয়েছিলো স্কলারশিপ কিছু না ভেবেই রিজেক্ট করলো।।তোমায় ছাড়া নাকি থাকতে পারবে না সে…বড্ড হারানোর ভয় ওর…।।তোমার পছন্দ করে দেওয়া শাড়িটা বড্ড সুন্দর ছিলো… আমি দেশে ফিরলে আমার বউ এর শাড়িটা তুমিই পছন্দ করে দিও…দিবে তো??আর একটা কথা,, প্লিজ দেখা হলে স্বাভাবিক থেকো একদম আগের মতো…নয়তো লজ্জা পাবো বেশ!!
.
সাহেল💔
.
ডায়েরীর এই পৃষ্ঠা টা পড়ে স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম আমি…সাহেল ভাইয়া??কিছু কিছু সত্য না শুনাটায় যে মঙ্গল তা আজ বুঝতে পারছি আমি।।কোনো জানলাম শুধু?কোনো খুললাম পার্সেলটা? একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ছাদের কোণে গিয়ে দাঁড়ালাম… মনটা বলে উঠছে বার বার…পরিটা যেনো আসে!! খুব শীঘ্রই আসে!! মার ডাকে ঘোর ভাঙলো আমার…তৈরি হওয়ার জন্য চেচাচ্ছে মা…আজ নাকি আপুকে আনতে যাবো আমরা…আবারও একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিচে নেমে গেলাম আমি….
খাবার টেবিলে বসে আছি…সবাই খাবার নিয়ে ব্যস্ত মামুদের কিছু গেস্টও আছে সাথে।।পানিটা মুখে নিয়ে গিলতে যাবো ঠিক তখনই ধুমধুম করে নিচে নেমে এলেন শুভ্র ভাইয়া।।উনাকে দেখেই গলায় পানি আটকে এলো আমার…এলোমেলো চুল…সাদা টি-শার্ট,, লাল থ্রী কোয়াটার প্যান্ট পড়ে ব্যস্ত ভঙ্গিতে চেয়ারে বসেই বলে উঠলেন উনি-
.
মা?তাড়াতাড়ি খেতে দাও…পড়া এখনও কমপ্লিট হয় নি আমার…আই হেভ টু ফিনিশ মাই সিলেবাস…
.
কথাটা বলেই নিচু হয়ে খেতে শুরু করলেন উনি।।এদিক ওদিক একটুও তাকালেন না…ঢং!! হঠাৎ করেই উনার সেই দূরসম্পর্কের মামি বলে উঠলেন-
.
দুলাভাই?অভ্রর তো বিয়ে হয়েই গেছে এবার শুভ্রর বিয়েটাও তো দিতে হবে।।আপনি একদম চিন্তা করবেন না দুলাভাই…আমি মেয়ে ঠিক করে নিয়েছি!! খুবই লক্ষি একটা মেয়ে।।শুভ্র বাবা?ওর সাথে একটু দেখা করবি?এনি টাইম দেখা করতে রাজি সে।
.
মহিলার কথা শুনে গলায় খাবার আটকে গেলো আমার।।শুভ্রও বিষম খেলো…আমার দিকে আড়চোখে তাকালো।।মামু কিছু বলতে যাবে তার আগেই মহিলাটা আবারও বলে উঠলেন…
.
দেখা না করলেও ফোনে আপাতত কথা বলে নে ….লক্ষি ছেলে!
.
শুভ্র বিরক্ত মুখে বললো….
.
আমি কেবল স্টাডি করছি মামি…সো আমার বিয়ে নিয়ে এতো টেনশন করতে হবে না তোমায়।।আগে স্যাটেল হই তারপর বউ আমার ঘরে আপনাআপনিই চলে আসবে…
.
আরে তোর আবার স্যাটেল কি রে??তোর তো সব স্যাটেলই…আমি ফোন লাগিয়ে দিচ্ছি..খেতে খেতেই কথা বলে নে না।।তোর অবশ্যই পছন্দ হবে।।মেয়েটা তুই বলতে পাগল!!
.
মামির কথায় বিরক্তিতে চোখ মুখ কুঁচকে বলে উঠলেন শুভ্র-
.
আমার পছন্দের সিস্টেমটা ওয়ানটাইমার…একবার উইজ হলে আর কাজ করে না।।আর তোমার ভাগ্য খারাপ সেটা ইউজ হয়ে গেছে…এখন রাণী এলিজাবেথ কে এনে দিলেও কাজ হবে না।।আর আমি কোনো পাগল ছাগল কে বিয়ে করবো না।।সো লিভ ইট।
.
আরে কথা তো বল।।আমার মান রাখতে আপাতত একটু কথা বল বাবা!! কতো বড় মুখ করে বললাম তোর সাথে কথা বলাবো।।প্লিজ বাবা!!
.
শুভ্র এবার ভ্রু কুঁচকে তাকালেন…ডান হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বলে উঠলেন-
.
ওকে দাও!! ইউ হেভ জাস্ট ফাইভ মিনিটস…
.
মামি খুশিতে গদগদ হয়ে ফোনটা ডায়াল করেই উনার হাতে ধরিয়ে দিলেন।।রাগে শরীর জ্বলে যাচ্ছিলো আমার।।শুভ্র খুব স্বাভাবিকভাবে ফোনটা নিয়ে টেবিলে রেখে লাউডে দিলেন…হয়তো উনি আমার মনের অভিপ্রায় বুঝতে পারছিলেন।।কিছুক্ষণ পরই রিনরিনে কন্ঠে একটা মেয়ে বলে উঠলো-
.
হ্যালো??
.
হ্যালো আই এম আবরার শুভ্র….আমার মামি বললো আপনি আমার সাথে কথা বলতে চান।বলুন প্লিজ….
.
ওহ মাই গড! আপনি?কেমন আছেন?এক্চুয়েলি আমি খুবই নার্ভাস ফিল করছি।
.
মেয়েটির কথায় ভ্রু কুঁচকে তাকালাম।ফাজিল মাইয়া এতো নার্ভাসনেস আসে কই থেকে তোর??কি বুঝাতে চাস তুই??উনি আমার দিকে তাকিয়েই মুচকি হাসলেন তারপর প্লেটের দিকে তাকিয়ে খাওয়ায় মনোযোগী হয়ে বলে উঠলেন-
.
এতো নার্ভাস হওয়ার কিছু নেই মিস! কি বলবেন তাড়াতাড়ি বলুন…আই এম বিজি।
.
আপনি কি ওলওয়েজ গম্ভীর মুখে থাকেন?হাসেন না??
.
হাসি তো…বউয়ের পাশে থাকলে অলওয়েজ হাসি হাসি মুডে থাকি গম্ভীরতা সিস্টেমটা তখন আর কাজ করে না।।নেক্সট!”
.
বউ?বউ মানে??
.
আপনি কি প্রাইমারিতে পড়েন??প্রাইমারি পড়া ছেলেমেয়েরাও তো বউ মানে বুঝে… আপনি বুঝেন না??স্ট্রেঞ্জ!!
.
উনার কথায় সবাই মুখ চেপে হাসছেন আর আমি লজ্জায় লাল রং ধারন করছি।।মেয়েটা আবারও বলে উঠলো-
.
ওকে লিভ ইট।আমরা কি কোথাও দেখা করতে পারি??
.
না পারি না।
.
কেনো??
.
আপনার সাথে দেখা করার কোনোই রিজন নেই।তাই দেখা করতে পারি না।
.
তাহলে ফোনে কথা বলছেন কেন?
.
মামির সম্মান বাঁচাতে…
.
হা হা হা…আপনি আসলেই অনেক কিউট।।আচ্ছা বলুন তো…এমন কে আছে…যাকে রিকুয়েষ্ট করলে আপনি আমার সাথে দেখা করবেন.. আমি তাকে পা ধরে রিকুয়েষ্ট করবো।।প্লিজ বলুন
.
এমন কেউ নেই। আপাতত আমি কারো রিকুয়েষ্ট শুনছি না।।একজনের টা শুনবো বাট সে এই রিকুয়েষ্ট টা করবে না…সো প্রশ্নই আসছে না।
.
উনি কথাটা বলার সাথে সাথেই সবাই আমার দিকে তাকালো…আমি মাথা নিচু করে খাবার খেতে শুরু করলাম…কি অস্বস্তিকর পরিবেশ!!এই মাইয়া মরে না কেন??অসভ্য!! খুব দেখা করার শখ না?তোকে তো আমি..
.
কে সে একজন??
.
মাই ওয়াইফ…এন্ড ইউর টাইম ইজ ফিনিশ!! বাই..
কথাটা বলেই ফোনটা ডিসকানেক্ট করে উঠে দাঁড়ালেন উনি।।মামানির দিকে তাকিয়ে বললেন-
.
মা?আগামী তিনঘন্টার মধ্যে আমার রুমে যেনো কেউ না ঢুকে আমি ঘুমোবো…
.
মামনি ভ্রু কুঁচকে রহস্যময়ী হাসি দিয়ে বললেন.. ” কেউই ঢুকতে পারবে না?” মামনির কথায় হেসে উঠলেন শুভ্র।।আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়েই ব্যস্ত ভঙ্গিতে সিঁড়ি ভেঙে নিজের রুমে ঢুকে গেলেন,, যেতে যেতে বলে উঠলেন- “যার কথা বলছো সে এনিটাইম এলাউড মা…” উনার মামি এখনও শক খাওয়া চোখে তাকিয়ে আছেন।সাথে অন্যান্য গেস্টরাও..” ওয়াইফ” শব্দটা নিতে বড্ড কষ্ট হচ্ছে তাদের।আমি মাথা নিচু করে আড়চোখে সবার দিকে তাকাচ্ছি।সবাই ঠোঁট চেপে হেসে চলেছে এমন কি মামুও!! ছি কি লজ্জা!!!
.
#চলবে..