The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 83

★★★★
ইয়ারাবী দ্রুত হেঁটে রুমে এসে দরজা আটকাতে নিলে আরাভ বাঁধা দিলো।ইয়ারাবী আটকাতে চাইলে আরাভ ভিতরে ঢুকে ইয়ারাবীকে বুকে জড়িয়ে নেয়।প্রথম কয়েকবার ইয়ারাবী সরে আসতে চাইলে আরাভ শক্ত করে ওকে বুকে জড়িয়ে রাখে।
ইয়ারাবীর চোখের কোনা বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ার আগেই হাত দিয়ে দ্রুত মুছে নিলো।কেমন যেন শান্তি লাগছে ওর।যেন আর ভয় নেই।কোন দুশ্চিন্তা নেই।ইয়ারাবী চোখজোড়া বুজে নিলো।আরাভ ইয়ারাবীর কোমড় শক্ত করে জড়িয়ে ওর মাথায় চুমু খায়।কিছুক্ষন পর সরে আসে ইয়ারাবী।তারপর অন্যদিকে ফিরে ওয়াশরুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে।আরাভ নিচে গিয়ে খাবার নিয়ে এলো রুমে।আয়রানা ঘুমে আচ্ছন্ন।ইয়ারাবী রুমে আসতেই আরাভকে দেখে বেরিয়ে যেতে নিচ্ছিলো।আরাভ উঠে ওকে কোলে নিয়ে নেয়।
.
.
.
-ছাড়েন!!!রেগে গেলো ইয়ারাবী।
-শশশশশ একদম চুপ।আয়ু ঘুমোচ্ছে।
-নামান আমাকে।
-বেশি কথা বলো তুমি।
.
.
.
ইয়ারাবীকে খাটে বসিয়ে আরাভ এক হাত দিয়ে ইয়ারাবীর হাত ধরে অপর হাতে ভাত মেখে ইয়ারাবীর দিকে ভাতের লোকমা ধরলো।ইয়ারাবী অন্যদিকে তাকায়।ঘাড় শক্ত করে আছে ও।
.
.
.
-তুমি আমার রাগ সম্পর্কে এখনো অবগত নও ইয়ারাবী।খেয়ে নাও।
-আমি খাবোনা আপনার হাতে।কেন চলে যাচ্ছেননা?
-লিসেন এটা আমার চাচা প্লাস শ্বশুরের বাসা।তোমার মতো এটুকুন মেয়ের কথায় আমি চলে যাবো?আমি আমার মেয়ে আর আমার বৌয়ের সাথে থাকবো।তোমার এতো সমস্যা হচ্ছে কেন?
-আপনার মতো এমন বেহায়া পুরুষ আর কোথাও দেখিনি।বজ্জাত লোক কোথাকার।
-ভালোবাসায় বেহায়া হতে হয়।আর বজ্জাত নাহলে এমন ত্যাড়া বৌকে সোজা করবো কিভাবে?
-হুহ।খানিকটা বিরক্ত হয়ে মাথা অন্যদিকে ঘুরায় ইয়ারাবী।
.
.
.
আরাভ জোর করে ইয়ারাবীকে ভাত খাইয়ে দিলো।ইয়ারাবী শুয়ে পড়ে।আরাভ ওর পাশ ঘেঁষে শুতেই ইয়ারাবী দূরে সরে যায়।আরাভ এবার ওর হাত টেনে বুকে নিয়ে নিলো।
ফারহানের বাজে ব্যাবহার দিনকে দিন বেড়ে যাচ্ছিলো।ইয়ারাবীর সাথে যখন তখন অসভ্যতা শুরু করে।কাজের বাহানায় ইয়ারাবীর গায়ে হাত লাগাতো।নিজের সব কাজ ইয়ারাবীকে দিয়ে করিয়ে নিতো ও।ফারহান ইয়ারাবীকে দিয়ে কাজের বাহানায় নিজের সামনে বসিয়ে রাখতো।কথায় ওর হাত ধরাতো ছিলো নিত্যদিনের কাজ ফারহানের।ফারহানের সামনে বসে আছে ইয়ারাবী।লোকটা কাজ করে যাচ্ছে এক নাগাড়ে তবে ইয়ারাবীর পায়ে পা দিয়ে স্পর্শ করার চেষ্টা করছে।ইয়ারাবী সরে বসলো।ফারহান কিছুটা বিরক্ত হয়ে ইয়ারাবীর দিকে তাকিয়ে কাজে মনযোগ দিলো আবার।
.
.
.
-ইয়ারাবী!!!
-জি স্যার!!!
-আরো এক কাপ কফি।
-জি স্যার।ইয়ারাবী বেরিয়ে গেলো।
.
.
.
কিছুসময় পর ইয়ারাবী কফি নিয়ে এলে ফারহান ইয়ারাবীর হাত ছুঁয়ে কফি নেয়।ইয়ারাবী হাত সরিয়ে নেয়।প্রচন্ড বিরক্ত লাগছে ওর।কিছু সময় পর ফারহান ল্যাপটপ ইয়ারাবীর দিকে ফিরিয়ে ওর পিছে ঝুঁকে দাঁড়ায়।বেশ লেগে দাঁড়িয়ে আছে ফারহান ইয়ারাবীর সাথে।হঠাৎ উঠে দাঁড়ায় ইয়ারাবী।ফারহান সোজা হলো।
.
.
.
-স্যার আমার ঘরে যেতে হবে।
-এখনো অফিস টাইম শেষ হয়নি।
-স্যার আমার কাজ আছে জরুরি।প্লিজ যেতে দিন।
-ওকে যেতে পারো।
.
.
.
আর একমিনিট অপেক্ষা করেনি ইয়ারাবী।বেরিয়ে গেলো অফিস থেকে।সারা রাস্তায় চোখের পানি ঝরিয়েছে ইয়ারাবী।ঘরে পৌছেই পরিষ্কার হতে চলে গেলো।ঝড়নার নিচে নিজের শরীর হাত খামচেছে ইয়ারাবী।কতোবড় ভুল করেছে ও লোকটার অফিসে জব নিয়ে।অনেক্ষন পর বের হয় ইয়ারাবী।আরাভ ঘরে নেই।আয়রানা কে জড়িয়ে শুয়ে পড়ে ইয়ারাবী।মেয়েটা মায়ের গাল ধরে মুখ দিয়ে শব্দ করছে।মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে ডুকরে কেঁদে উঠে ইয়ারাবী।মাকে কাঁদতে দেখে আয়রানা ও কাঁদতে লাগে।মেয়েকে শক্ত করে বুকে টেনে নেয় ইয়ারাবী।বিকেলে ফিরে আসে আরাভ।রুপন্তীর কাছে জানতে পারে ইয়ারাবী কিছু খায়নি।আরাভ রুমে এসে ইয়ারাবীর পাশে বসে ওর কাঁধে হাত রেখে হালকা ঝাঁকায়,
.
.
.
-ইয়ারাবী!!উঠো খাবে।
-উ,,,,,,,
-ইয়ারাবী!!!একটু খেয়ে নাও।
-উহু!!!!
.
.
.
আরাভ ইয়ারাবীকে উঠিয়ে বসায়।ইয়ারাবী এবার একটু চোখ খুলে আরাভ কে দেখতে পেয়ে নিজের হাত সরিয়ে নিলো।
.
.
.
-কি হলো ইয়ারাবী?
-কথা বলবেননা আমার সাথে।
-খাওনি কেন?
-ইচ্ছে নেই।
-রিজাইন করছো কেন?
-পার্সোনাল মেটার।
-তোমার আমার মধ্যে পার্সোনালের কি হলো?
-ধুর!!!!!!
.
.
.
উঠে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো ইয়ারাবী।রুপন্তী মেয়েকে খাওয়ায় জোর করে।পরদিন অফিসে গিয়ে ইয়ারাবী খেয়াল করলো ফারহানের কেবিনে দুজন লোক বসে আছে।সবার চেহারায় অসভ্যতার ভাব।ইয়ারাবী রুমে ঢুকতেই একজন ফারহানকে জিজ্ঞেস করে
.
.
.
-ফারহান কে এ?
-আমি পার্সোনাল এ্যসিসট্যান্ট।
-ওহ সেই পিএ পেয়েছো।আমার ও লাগবে।
-খুঁজে নাও।
.
.
.
ইয়ারাবী লোক গুলো কে দেখে বেরিয়ে যাচ্ছিলো।তখনই ফারহান ইয়ারাবী কে ডেকে উঠে,
.
.
.
-ইয়ারাবী!!
-জি স্যার!!
-কই যাও?
-আমার কেবিনে।
-গেস্ট আসছে কফি বানাও।
-ওকে স্যার।
.
.
.
ইয়ারাবী যতক্ষন সেখানে ছিলো লোকগুলো বাজে কথা বলছিলো ওকে নিয়ে।খুব কষ্ট হচ্ছিলো ওর।এদিকে সেদিন আরাভের যাওয়ার পর অর্পন ওর কথা গুলো ভেবেছে খুব।অফিস শেষ করে বের হতেই ফেন্সিকে দেখতে পায় অর্পন।ফেন্সি অর্পনের কাছে এসে পড়ে গেলো। অর্পন ফেন্সির পাশে বসে ওর মাথা কোলে তুলে নিলো। অর্পন ফেন্সির পিঠে হাত রাখতেই খেয়াল করলো ওর হাত রক্তে ভরে গেছে।
.
.
.
-ফেন্সি এ অবস্থা কি করে?
-আরাভকে কল দাও,জ্ঞান হারায় ফেন্সি।
.
.
.
ড্রাইভার কে কল দেয় অর্পন।ফেন্সিকে হাসপাতালে নেয়ার সময়ে আরাভকে কল দিয়ে সবটুকু জানায়।আরাভ তৎখনাৎ হাসপাতালে চলে এলো।ফেন্সিকে ওটিতে নেয়া হয়েছে।আরাভ অর্পনের দিকে এগুতেই ওর ফোন বেজে উঠে।আরাভ ফোন বের করে দেখে সালাম ব্যাপারি নামের লোকটা কল করেছে।ফোন রিসিভ করে আরাভ,
.
.
.
-হ্যালো!!
-স্যার ফারহান আপনার ভাইকে খুন করার পরিকল্পনা করছে।
-আরাভ বুঝতে পারলো কাজটা কার।তোমাকে পরে কল করছি।
-ওকে।
.
.
.
অর্পনের পাশে এসে দাঁড়ায় আরাভ।অর্পন কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেছে।অর্পনের কাঁধে হাত রাখে।অর্পন ভাইয়ের দিকে তাকায়।
.
.
.
-ডোন্ট ওয়ারি।সব ঠিক হয়ে যাবে।
.
.
.
কিছুসময় পর ডাক্তার জানায় ফেন্সি ভালো আছে।অর্পনকে ফেন্সির কাছে রেখে অারাভ বেরিয়ে পড়ে।
(রাঙ্গামাটি আসলাম প্রচুর টায়ার্ড আজ।আবার গল্প কবে দিব জানিনা।মাফ করবেন।)
চলবে