The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 62

অর্পন বেশ কয়েকদিন ফেন্সিকে লক্ষ করছে।মেয়েটার অনেক রুপ দেখতে পাচ্ছে ও।কখনো রাস্তায় গরীব লোককে সাহায্য করছে কখনো অফিসের স্টাফদের সাহায্য করছে।কারোর ওপর রাগ করা দূরে থাক উঁচু গলায় কথা ও বলছেনা।সবার সাথে বেশ মিশছে।ব্যাপারটা স্বাভাবিক না লাগলে ও অর্পনের ভালো লাগছে এভাবে ফেন্সিকে দেখতে।
আর এখন প্রায়ই শাড়ী পরে আসে।সাথে থাকে স্লিভলেস ব্লাউজ।ওকে ভালোই লাগে দেখতে বেশ মানায়।ওর হাতের বাহুর তিল বেশ আকর্ষনীয়।কিছুটা খয়েরী বর্নের তিলটা।ডার্ক ব্রাউন চুল গুলো বেশির ভাগ সময়ে পিঠের ওপর এলোমেলো ভাবে ছড়ানো থাকে।
অর্পন ওকে দেখতে থাকে পলকহীন ভাবে।আগে যেমন ফেন্সিকে দেখলে রাগে পিত্তি জ্বলে যেতো এখন তেমন টা হয়না।ভালোই লাগে ওকে দেখতে কথা বলতে।ওর পাশাপাশি থাকতে।
একমাস ধরে ফেন্সিকে পর্যবেক্ষন করছে অর্পন।এমন একটা দিন ও নেই যে ফেন্সি ওকে নিজের নতুন নতুন রুপ দেখিয়েছে।ওর ভালো গুন গুলো অর্পনকে আকর্ষিত করছে ওর দিকে।
কথা গুলো ভাবতে ভাবতে পানি খেতে গিয়ে পুরো পানি শার্টের ওপর ঢেলে দিলো।
আকরাম আজহার বেশ সময় পর্যন্ত ছেলেকে দেখছেন।কেমন আজগুব আচরন করছে।তরকারি শার্টে পড়ে সাদা শার্ট হলুদ হচ্ছে।আর এখন পানি ঢেলে দিলো।কি ভাবছে ছেলেটা অতো?
-ওই হারমজাদা ছেলে!!!চেঁচিয়ে উঠলেন আকরাম আজহার।
-বাবার চিৎকারে সম্বিৎ ফিরে পেলো অর্পন।জি বাবা!!!!
-কি ভাবছিস তুই?শার্ট দেখ নিজের কি অবস্থা করেছিস?বেকুব কোথাকার।
-অর্পন নিজের শার্ট দেখে জিভে কামড় দিলো।আ’ম সরি।এক্ষুনি চেঞ্জ করে আসছি।
অর্পন দৌড়ে রুমে চলে গেলো।মিসেস আজহার স্বামীর দিকে তাকিয়ে আছেন।আকরাম আজহার ছেলের দিকে তাকিয়ে কি বলবেন ভেবে পাচ্ছেন না।
-ছেলেটার কি হলো হঠাৎ?বলে উঠেন মিসেস আজহার।
-জানিনা।কই থাকে কি করে?কি নিয়ে এতো ভাবছিলো?বলে উঠেন আকরাম আজহার।
-বনানীর প্রজেক্টের পর থেকে এমন হয়ে গেছে ছেলেটা।বলেন মিসেস আজহার।
আকরাম আজহার খেয়ে উঠে বেরিয়ে গেলেন।অর্পন চেঞ্জ করে বেরিয়ে আসতেই ওর সেল বেজে উঠলো। অর্পন চুল মুছতে মুছতে ফোন হাতে নিলো।ফেন্সির নম্বর দেখে ওর বুকে ঢোল বাজতে আরম্ভ করলো।
নিজেকে শান্ত করে কল রিসিভ করলো অর্পন।
-হ্যালো মিঃ অর্পন।
-জি বলুন।
-আই নিড টু মিট ইউ এট ফাইভ পিএম।ডোন্ট বি লেট।
-ইয়েস।
-ফাইভ মিনিট ইজ ফাইভ মিনিট। মাইন্ড ইট?
-ইয়েস।
সাথে সাথে কল কেঁটে গেলো।অর্পন আলমারির কাছে এগিয়ে গেলো।তারপর কালো শার্ট আর ব্লু কোট বের করে নিলো।নিজেকে আজ খুব ভালোমতো রেডি করলো অর্পন।গায়ে খুব মিষ্টি পারফিউম দিয়ে বেরিয়ে পড়লো ও।
এদিকে আরাবীটা বেশ চুপচাপ হয়ে গেছে।সে রাতটার পনেরদিন পার হয়ে গেলো।মেয়েটা ঠিক মতো কথাই বলছেনা। আর্ভিনের নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে।কাজটা করে ভুল করলো না তো?
|
|
|
|
|
|
আরাবীর বেশ কয়েকবার আর্ভিন কথা বলতে চেয়েছিলো।কিন্তু আরাবী সময়ের দোহাই দিয়ে গেছে।আর কতোটা সময় চায় ও?আর্ভিনের জানতে হবে কি হয়েছে আরাবীর?নাহলে যে শান্তিই পাচ্ছেনা আর্ভিন।
আরাবী জানালার পাশে দাঁড়িয়ে রাতের আকাশ দেখছে।
কথা গুলো ভাবতে আরাবীর দিকে নজর চলে যায় আর্ভিনের।বাহিরের থেকে আসা দমকা বাতাস আরাবীর শাড়ীর আঁচলটাকে ঠিক থাকতে দিচ্ছেনা। শাড়ীর আঁচলের ফাঁকে সাদা মসৃন পেট আর্ভিনকে পাগল করে দিচ্ছে।আর্ভিন চোখ সরিয়ে নিতে গিয়ে ও পারছেনা।কি করবে ও?আরাবীর উড়ন্ত চুলের ফাঁকে সাদা ঘাড় পিঠ দেখা যাচ্ছে।আর্ভিন চোখ সরিয়ে নিলো কষ্টে।ওর বুকের মাঝে বেড়ে উঠা ঝড়ো হাওয়াটাকে কোনমতে থামিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো।কোনমতেই বুকের তোলপাড় কমছেনা।চোখজোড়া বারবার আরাবীর দিকে চলে যাচ্ছে।বৌটা তো ওর।ভালোবাসে এই রমনীকে।কাছে পেতে চাইছে এখন।কিন্তু এই ইচ্ছাটা কে এখন প্রকাশ করা যাবেনা।সময় দিবে ও।
আর্ভিনের চোখে ঘুম চলে আসে।
রাতে ঘুম ভাঙ্গে আর্ভিনের মুখে এলোপাথাড়ি চুমুর কারনে।ভয় পেয়ে চোখ খুলে বোকা বনে গেলো আর্ভিন।আরাবী ওর ওপর শুয়ে ওর সারামুখে চুমু দিচ্ছে আর কাঁদছে।খাটের পাশের লাইটটাকে জ্বালিয়ে দিলো আর্ভিন।ভীষন অবাক লাগছে ওর।আরাবী ওকে চুমু দিচ্ছে আর কাঁদছে।কি হলো মেয়েটার?
এদিকে আরাবী কেঁদেই যাচ্ছে এক নাগাড়ে।আর্ভিন আরাবীকে বসিয়ে ও উঠে বসলো।তারপর দুগালে হাত রেখে চোখ মুছে দিয়ে বলল,
-কি হলো?কাঁদছো কেন?
-সরি আর্ভিন।
-মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো আর্ভিনের।আরাবী ওকে সরি বলছে।কি হলো সরি কেন বলছো?
-খুব কষ্ট দিয়ে ফেলেছি আপনাকে আর্ভিন।আমি সত্যিই দুঃখিত।মাফ করে দিন।
-আমি কষ্ট পাইনি আরাবী।
-মিথ্যে বলছেন!!আর্ভিনের বুকে ঢলে পড়ে আরাবী।
আরাবীর চুল হাতিয়ে দিতে লাগলো আর্ভিন।সত্যি কষ্ট পাইনি আরাবী।যা করেছো সেগুলো আমার কর্ম ফল।আমি মেনে নিয়েছি। প্লিজ কেঁদোনা।আরাবী উঠে আর্ভিনের গলা জড়িয়ে ওর কাঁধে মাথা রেখে কাঁদতে লাগলো।
-আর্ভিন ভালোবাসি আপনাকে।আপনাকে চাই আমি।
-আমি ও ভালোবাসি বৌ।অনেকটা ভালোবাসি।আমি ও চাই তোমাকে।
-আরাবী সরে এলো।চোখে পানি কিন্তু ওর ঠোঁটের কোনে হাসি।আজ আপনার আরাবীকে পেয়ে গেলেন আর্ভিন।ভালবাসবেননা?
আরাবীর গাল ধরে কাছে টেনে ওর কপালে চুমু দিলো আর্ভিন।আরাবী চোখ বুজে নিলো।আর্ভিন আরাবীর ঠোঁটে একটু চুমু দিয়ে ওকে শুইয়ে দিলো।তারপর ওর ওপর শুয়ে পড়ে আর্ভিন।আরাবীর ঠোঁট জোড়া শুষে নিতে নিতে আরাবীর শাড়ী ভেদ করে ওর মসৃন পেট হাত ছোঁয়ায় আর্ভিন।আরাবী আর্ভিনের শার্ট খামচে ধরেছে।আর্ভিন ধীরে আরাবীর পেটের ওপর শাড়ী সরাচ্ছে। তারপর আরেকটু নেমে এসে আরাবীর গলায় মুখ ডুবালো।
এদিকে রুমের কাছে আসতেই আরাভ গান শুনতে পেলো।
Cham Cham… Paijaniya
Cham Cham… Haye Paijaniya
Dekha Dekhi Dil Mera Judd Gaya Re
—————————
রুমে ঢুকতেই আরাভের চোখ ছানা বড়া।বৌটার চার মাস হয়ে গেলো।পেটটা একটু উঁচু হয়েছে।তবে সেটা বোঝা যায়না।ইয়ারাবী আরাভের একটা শার্ট পরে Chamma chamma গানটায় নাচছে।শার্টটা ওর হাটর বেশ উপরে উঠে গেছে।লম্বা চুল গুলো ছাড়া পিঠের ওপর এলোমেলো করে।দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বেকুব হয়ে গেছে আরাভ।আরাভ ইয়ারাবীর কাছে এগুতেই ইয়ারাবী ওর শার্টের কলার টেনে ধরে গানের তালে তালে গাইছে আর নাচছে।
Tere Close Aake Teri Saanson Mein Samaau Raja
Tere Close Aake Teri Saanson Mein Samaau
Teri Neende Chura Loon
Chamma Chamma Baaje Re Meri Paijaniya
Re Chamma Chamma Baaje Re Meri Paijaniya
আরাভের গালে গাল ঘঁষে দিচ্ছে ইয়ারাবী গানের তাল তালে।আরাভ ইয়ারাবীকে কোলে উঠিয়ে আগেই বন্ধ করে খাটে এনে বসালো।ডাক্তার দেখিয়েছে কয়েকদিন যার কারনে ওর অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
ইয়ারাবী হাসি মুখে স্বামীকে দেখছে।তারপর কাঁদো গলায় বলল
-গান বন্ধ করলেন কেন?
-এ অবস্থায় নাচছো কেন?
-আমি নাচবো।
-ইয়ারাবী পরে নেচো।এখন ঘুমুতে হবে।
-নাহ আপনি পচা।আমি নাচবো।
-আচ্ছা কাল আমরা দুজনে নাচবো কেউ না করবেনা।
-আপনি বদ লোক।আপনার সাথে নাচবোনা।
আরাভ কি বলবে বুঝতে পারছেনা।বৌ ওকে বদ লোক বলছে?ইয়ারাবী উঠে অন্যদিকে চলে গেলো।কিছুক্ষন পর আরাভের মনে হলো ইয়ারাবী ওর চোখে রুমাল বেঁধে বলল,
-খুঁজেন আমাকে।
-ইয়ারাবী আমি টায়ার্ড।প্লিজ খুলো।
-আপনার সব কথা চলবেনা।চলুন খুঁজুন।
-আচ্ছা তবে দৌড়াবেনা।আস্তে আস্তে হাঁটো।
চুরির ধান্দা।আমি এখানেই আছি।খু্ঁজুন আমাকে।ইয়ারাবী আরাভের চারপাশে হাঁটছে মাঝে মধ্যে আরাভ কে গুতো দিচ্ছে।আরাভের হাতে ইয়ারাবী হাত অথবা ওর মসৃন ঘাড়ের স্পর্শ লাগছে।
হঠাৎ আহ!!!!তারপর ঠোঁট টিপে গুঁমরে কান্নার শব্দ পেলো আরাভ।জলদি নিজের চোখের বাঁধন খুলে নিলো। ইয়ারাবী নিজের পা ধরে খাটে বসে ঠোঁট টিপে কেঁদে দিয়েছে একদম।
-তোমাকে বলেছিলাম না এখন খেলবোনা?কেন এতো জেদ করো বলো তো একটু?রেগে চিৎকার করলো আরাভ।
-আহ আমার আঙ্গুল টনটন করছে।কাঁদতে কাঁদতে বলল ইয়ারাবী।
ইয়ারাবীর পা থেকে ওর হাত সরিয়ে আরাভ দেখলো পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের নখ উল্টে গেছে।প্রচন্ড রক্ত বেরুচ্ছে।
-ও মাহ কি অবস্থা হলো পায়ের!!!বলে উঠে আরাভ।
এদিকে মেয়েটা কেঁদে যাচ্ছে।কাঁচা নখ উঠে গেছে।
আরাভ চটজলদ ফাস্ট এইড বক্স নিয়ে ইয়ারাবীর সামনে বসলো।মেয়েটা কেঁদেই যাচ্ছে।আরাভ ইয়ারাবীর কপালে চুমু দিলো।তারপর লিকুইড স্যাভলন দিয়ে রক্ত পরিষ্কার করে দিলো।তখন ইয়ারাবী চিৎকার করতে গিয়ে পারলোনা।ওর গলা আটকে গেছে।আরাভের চোখের কোনে পানি এসে গেছে।
-ইয়ারাবী নখটা উঠিয়ে ফেলতে হবে।
-না না না প্লিজ না।মরে যাবো।
-কিছু হবেনা।দেখো তুমি বুঝবানা।
-না আরাভ প্লিজ।
-না উঠালে এটা লেগে যাবে।আরো বাজে দেখাবে তোমার সুন্দর পা টা।
-দেখাক।আপনি উঠাবেননা।
-আরাভ বলল একটা গল্প শুনাই।
ইয়ারাবী আরাভের বুকে মাথা রেখে গল্প শুনছে।ওর চোখ থেকে এখন ও পানি গড়িয়ে যাচ্ছে।
গল্পের মাঝেই আরাভ ইয়ারাবীর নখটা আস্তে আস্তে ঘুরিয়ে তুলে ফেলতেই ইয়ারাবী চিৎকার দিয়ে আরাভের বুকে জোরে কামড় দিয়ে বসলো ইয়ারাবী।
-আহ!!!!!
চলবে