The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 33
কাপল ড্যান্সের সময় আরাভ ইয়ারাবীর কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো।ইয়ারাবী চোখ বুজে আরাভের স্পর্শ অনূভব করতে থাকে।আরাভের হাত ইয়ারাবীর শাড়ী ভেদ করে ওর সাদা কোমড় জড়িয়ে ধরেছে।ইয়ারাবীর হৃদয়ে শীতল বায়ু প্রবাহিত হয়ে গেলো।আরাভের কোট খামচে ধরে ওর কাঁধে মুখ গুঁজে দিলো।আরাভ ইয়ারাবীর আঁচল সরে যাওয়া কাঁধে ঠোঁট ছোঁয়াতেই একটু সরে আসে ইয়ারাবী।আরাভ ইয়ারাবীর দুকাঁধ চেঁপে ধরে ওকে নিজের বুকের মাঝে জড়িয়ে নিলো।ইয়ারাবী যেন সম্পূর্ন নির্ভরতার জায়গা পেয়ে আরাভের বুকের মাঝে লেপ্টে রইলো।নিজে ও জড়িয়ে রয়েছে আরাভকে।
আরাবী আর্ভিন সেদিন কলাতলি বিচে চলে যায় বিকেলের নাস্তা সেড়ে।সূর্য ডুবার নাম করে ও ডুবছেনা।আকাশটা সোনালী আভায় ছেয়ে গেছে। আরাবী কমলা রং এর গেঞ্জী আর সাথে সাদা থ্রিকোয়াটার প্যান্ট পরে আছে।আর আর্ভিন গাঢ়ো নীল গেঞ্জী আর কালো থ্রিকোয়াটার প্যান্ট।দুজনে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে সমু্দ্রের দিকে মুখ করে।ঢেউয়ের সাথে আসা পানি ওদের পদযুগল কে ভিজিয়ে দিচ্ছে।আর্ভিন আরাবীর হাত নিজের হাতে বন্দী করে।আরাবী আভিনের দিকে মিষ্টি হেসে তাকায়।আরাবীর চেহারায় সূর্যের সোনালী অাভা ছড়িয়ে পড়েছে।চোখের মনি গুলো সোনালী বর্ন ধারন করেছে।গালজোড়া উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।এই সৌন্দর্য বর্ননাতীত।নিজের বিবেকের সাথে মিনিট খানেকের লড়াই করে আরাবীর কপালে ঠোঁট ছু্ঁইয়ে দিলো আর্ভিন।আর্ভিনের চোখ পড়লো ডাব ওয়ালার দিকে।আরাবীর দিকে তাকায় আর্ভিন, তারপর হাসিমুখে বলল
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
– ডাব খাবে।
-আরাবী পিছনে তাকায়।তারপর আর্ভিনের দিকে চেয়ে বলল খাওয়া যায়।
-আর্ভিন আরাবী দুজনে গিয়ে দুটো ডাব কিনে খেলো।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
খাওয়া শেষে রিসোর্টে ফিরে এলো ওরা।ওদের রুমে দুটো বেড পাশাপাশি পাতা আছে।আর্ভিন নিচে গেছে কোন এক কাজে।আরাবী ফ্রেশ হয়ে বেরুলো।গায়ে গোলাপী রং এর সুতির স্যালোয়ার কামিজ।চুল গুলো তোয়ালেতে পেঁচিয়ে কোন এক কলিগের সাথে কথা বলায় ব্যাস্ত হয়ে পড়লো ও।বেশ রাত করে আর্ভিন ফিরে এসে বলল পাঁচহাজার টাকার প্যাকেজ আছে সেন্টমার্টিনের।ওদের বাস এসে সকাল ভোরে আমাদের নিয়ে যাবে।বিকেলে খাওয়াদাওয়া করিয়ে আবার রওনা হবো। আরাবী মাথা ঝাঁকিয়ে সায় দিলো।আরাবী একটা টিভি ছেড়ে খাটে বসে পড়লো আর আর্ভিন ফ্রেশ হতে চলে গেলো।তারপর দুজন বেশকিছুক্ষন গল্প করে শুয়ে পড়লো।
কাপল ড্যান্স শেষে ইয়ারাবী সরে এসে জুস হাতে নিলো।আরাভ ইয়ারাবীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।ইয়ারাবী চোখজোড়া অশ্রুসজল হয়ে এসেছে।ইয়ারাবী পুরো জুসটাকে এক ঢোকে খেয়ে গ্লাস টাকে টেবিলে রাখতে চাইলো কিন্তু গ্লাসটা নিচে পড়ে চুরমাচুর হয়ে গেলো।ইয়ারাবীর অশ্রু গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে।আরাভ ইয়ারাবীকে পলকহীন ভাবে দেখছে।ইয়ারাবীর কপালে ফোঁটা ঘাম দেখতে পাচ্ছে আরাভ।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-Are you ok Yarabi?জিজ্ঞেস করে আরাভ।
-,,,,,,,,,,,,,
-ঘামছো কেন? খারাপ লাগছে কি তোমার?
-আপনি খুব কষ্ট দিয়েছেন আমায়।আমার রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন আপনি।সামনে তাকিয়ে বলছে ইয়ারাবী।
-আমি সত্যি ভীষন দুঃখিত ইয়ারাবী।মাফ করে দাও আমাকে প্লিজ।
-ইয়ারাবী কিছু বলল না।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
ইয়ারাবী তোমার বাসায় যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে।চলো তোমাকে পৌছে দেই।বলে ইয়ারাবীর হাত ধরে সামনে এগুতে চাইলো আরাভ।ইয়ারাবী আরাভের হাত টেনে ধরলো।আজ কেমন নেশা লাগছে ইয়ারাবীর।সব কেমন যেন ঘোলাটে লাগছে ওর।মাথা ভার ভার লাগছে।আরাভ ইয়ারাবীর দিকে ফিরে তাকায়।ইয়ারাবী আরাভের কাছে এসে দাঁড়ায় তারপর বলল আমায় চুমু দিন।আরাভ প্রচন্ড ঝটকা খেলো।ক ক কি বললে তুমি?কাঁপা গলায় প্রশ্ন করলো আরাভ।ইয়ারাবী আরাভের গালের সাথে গাল লাগিয়ে বলল প্লিজ কিস মি আরাভ।আরাভের ভিতর তুফান শুরু হচ্ছে।ইয়ারাবী হয়েছেটা কি তোমার?বাসায় চলো।বেশ অবাক লাগছে আরাভের।মেয়েটা এসব কি বলছে?কখনো তো নিজ থেকে চুমু খেতে চায়নি।আরাভ প্লিজ আমাকে চুম দিন।আমাকে নিজের নেশায় জড়িয়ে নিন।আরাভের কাঁধে ঘাড়ে অনবরত চুমু দিতে দিতে বলল ইয়ারাবী।আরাভের পুরো শরীর কাঁপছে।আরাভ ইয়ারাবীকে সামনে এনে ওর কপালে চুমু দিয়ে বলল চলো বাসায় যাবে।ইয়ারাবী আরাভ কে জড়িয়ে বলল একটু আদর দিয়েই কেন তাড়াচ্ছেন আমাকে?সব আদর কি ফেন্সির জন্য?আমাকে একটু ভালোবাসা দেন না।আরাভ বলল ইয়ারাবী এসব কি বলছো?তোমার মাথা ঠিক নেই বাসায় চলো।ইয়ারাবী সরে এলো আমি যাবো না বলে দৌড়ে সিড়ি বেয়ে উপরে চলে গেলো ও।আরাভ ইয়ারাবীর পিছু নিতে নিতে ওর বেড রুমে চলে এলো।ইয়ারাবী দরজার দিকে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে।ওর পিঠে ফোঁটা ফোঁটা পানি জমে আছে।ব্লাউজের ফিতা খোলা।সাদা পিঠ আরাভের বুকে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-ইয়ারাবী দেরি হচ্ছে বাসায় চলো।বলে উঠে আরাভ।
-আজ ভালোবাসা দিবেন নয়তো আমি আমাকে শেষ করে দিবো।ছুড়ি দেখিয়ে বলল ইয়ারাবী।
-ভয় পেলো আরাভ।ইয়ারাবী এসব ঠিক না।রাখো এটা।
-আমার গলায় চালাবো ছুড়িটা।কেঁদে কেঁদে বলছিলো ইয়ারাবী।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
আরাভ ইয়ারাবীর কাছে এসে দাঁড়িয়ে ওর গালে কপালে অনবরত চুমু খেয়ে বলল এইতো ভালোবাসা দিলাম তোমায়। বাসায় চলো।ইয়ারাবী আরাভের ঠোঁটে আলতো করে চুমু খেয়ে সরে এলো।তারপর শাড়ীর আঁচল টাকে আলগা করতেই ওর হাত চেঁপে ধরলো আরাভ।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-এমন করোনা ইয়ারাবী।বলে উঠে আরাভ।
-কেন আমি এমন করলে কি হয়েছে।আমি করবো।এমন।বলে উঠে ইয়ারাবী।
-দেখো আমি তোমাকে এভাবে বলতে চাইনি কখনো।বাট আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।তোমার কাছে আসলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে খুব কষ্ট হয়।
-কন্ট্রোল করতে বলেছে কে আপনাকে?আজ নিজেকে আপনার কাছে সঁপে দিতে চাই।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
ইয়ারাবী আরাভের হাত ছাড়িয়ে নিলো।তারপর খাটে শুয়ে পড়লো।ইয়ারাবীর শাড়ীটা ঠিক নেই।ব্লাউজটা একটু লুজ হয়ে এর কলার একটু নিচে নেমে গেছে।আঁচলটা ও সরে গেছে বেশ খানিকটা।আঁচলের পাশেই আরাভের চোখে পড়লো ইয়ারাবীর সাদা ধবধবে পেট আর নাভির পাশের গাঢ় কালো তিলটা।পায়ের থেকে বেশ খানিকটা উপরে উঠে গেছে শাড়ী।আরাভের শরীর কাঁপছে।নিজেকে সামলানো টা বড় কষ্টের হয়ে উঠেছে।বেশ গরম লাগছে এসি অন থাকা সত্ত্বেও। গায়ের কোটটা খুলে চেয়ারের ওপর মেলে রাখলো আরাভ।ঘন ঘন নিশ্বাস নিয়ে ইয়ারাবীর পাশে বসে ওর পায়ে হাত ছোঁয়ায় আরাভ।আজ যদি মায়াময়ী কে আপন করে নিই তাহলে তেমন বড় ক্ষতি হবে কি?মায়াময়ী কে তো বড্ড ভালোবাসে আরাভ।আর আজ পরিস্থিতি ও আরাভের প্রতিকূলে।অনিচ্ছাস্বত্তেও ইয়ারাবীকে একান্ত নিজের করে নেয়ার ইচ্ছাটা প্রকট ভাবে ওর ওপর চেঁপে বসেছে।বুদ্ধি আর হৃদয়ের সাথে বিতর্কে পেরে না উঠে ইয়ারাবীর পায়ে ঠোঁট ছোঁয়ায় আরাভ।ঘন ঘন চুমু দিয়ে ইয়ারাবীর বুড়ো আঙ্গুল মুখে পুরে নিলো ও।ইয়ারাবী সুখের সাগরে ভাসছে।নিজেকে এ ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত রাখতে চাইছে না ও।আরাভ ধীরে ধীরে ইয়ারাবীর পেটে ঠোঁট ছোঁয়ায়।তিলে গাঢ়ো চুমু দিয়ে পুরো পেটে ঠোঁট ছোঁয়াতে শুরু করে আরাভ।ইয়ারাবীর সারা শরীরে কম্পন সৃষ্টি হয়েছে।আরাভের শার্ট খামচে ধরলো ইয়ারাবী।ওর মুখ থেকে গোঙ্গানো শব্দ আসতে থাকলো।আরাভ ইয়ারাবীর ওপর এসে আধশোয়া হলো।ইয়ারাবীর কপালে চুমু খেয়ে ওর নাকের ডগায় ঠোঁট ছোঁয়ালো।ইয়ারাবী চোখ বুজে আরাভের শার্টের সব গুলো বোতাম খুলে দিয়েছে।আরাভ শার্ট টা খুলে ছুড়ে মারলো।ইয়ারাবীর আঁচল খুলে দিয়ে এবার আরাভ নিজের ভর ওর ওপর দিয়ে দিলো।ইয়ারাবীর গালে অজস্র চুমু দিয়ে ওর কানে আলতো করে কামড় দিতেই ইয়ারাবী শিহরিয়ে উঠলো।আরাভ এবার ইয়ারাবীর ঠোঁটজোড়ার দিকে তাকালো।ইয়ারাবীর রসালো ঠোঁট জোড়া মুখে পুরে নিলো।ইয়ারাবীর ঠোঁট জোড়া শুষে নিতে নিতে ওর পরনের শাড়ীটা খুলে ফেলে দিলো।আজ ভালো খারাপ ভুলে গিয়ে একে অপরের মাঝে একাকার হয়ে গেলো ওরা।আজ নেই আর কোন দুরুত্ব।সকল দুরত্বের অবসান ঘটিয়ে আজ ইয়ারাবীকে একান্তভাবে নিজের করে নিচ্ছে আরাভ।
চলবে