The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 24

পুরো পার্টিতে রুহী রোয়েনকে জামাই ভাইয়া বলেই ডাকছিলো।রোয়েন বারবার রাগী গলায় বলছিলো রুহী প্লিজ ডোন্ট ডু দিস।রুহী মজা পেয়েই বলছিলো জামাই ভাইয়া জামাই ভাইয়া।আরাবী মা বাবার কাছে এসে দাঁড়ালো বাবাই দাদা তোমাকে আর মাকে ডাকছে।রুহী!!!ডেকে উঠে রোয়েন।জি জামাই ভাইয়া উত্তর দিলো রুহী।আরাবী কিছুটা অবাক হলো মায়ের কথায়।মা জামাই ভাইয়া ডাকলে কেন বাবাই কে?মেয়ের কথায় হেসে উঠলো রুহী।লম্বা হিস্ট্রী। পরে বলবো।রোয়েন রেগে দাঁতে দাঁত চেঁপে বলল বৌ আপু এবার চলো বাবা ডাকছে।
বৌ আপু!!!!অবাক হয় রুহী।হুম বৌ আপু চলো বাবার কাছে যেতে হবে।শয়তানি হাসে রোয়েন।রোয়েন আর ডাকবেনা এভাবে রেগে অস্থির রুহী।তখন ডাকছিলে তখন কেমন লাগছিলো আমার বলো?একটু হেসে বলল রোয়েন।
হুহ অসভ্য লোক কোথাকার।মুখ ভেঁচিয়ে বলে রুহী।রোয়েন রুহীকে নিয়ে সাজিদ রায়হানের কাছে চলে যায়।এদিকে রুপন্তী রেহান ইয়ারাবী এসে পৌছুলো রোয়েনের বাসায়।আরাবী আজ ডার্ক রেড কালারের একটি গাউন পরে এসেছে।সেই সাথে রেড স্টোনের ছোট্ট লকেটের চেইন আর ছোট্ট গাঢ়ো লাল পাথরের কানের দুল।চিকন ঠোঁটজোড়ায় টকটকে মেরুন কালারের লিপস্টিক।চোখজোড়ায় টানা কাজল আর লম্বা চুলগুলো খোঁপায় গুঁজে দেয়া হয়েছে।এতো টা সুন্দর লাগছে ইয়ারাবীকে আজ।চাঁদ ও লজ্জা পাবে ওকে দেখে।রেহান রুপন্তী ইয়ারাবী রায়না রাহমান সাইফ রাহমান আজিজ রায়হান আর সাজিদ রায়হানের কাছে এলো।সাজিদ আর আজিজ রায়হান একসাথে দুবাই থাকেন।আর সাইফ রাহমান আর রায়না রাহমান আবু ধাবী থাকেন।বাংলাদেশে ফিরার বদৌলতে তারাও দুবাই এসে আজিজ রায়হান আর সাজিদ রায়হানের সাথে মিলিত হয়েছেন।আজিজ রায়হান ছোট মেয়েকে দেখে কেঁদেই দিলেন।রুপন্তী ও কাঁদছে।এদিকে ইয়ারাবী দাদিকে জোরে জড়িয়ে ধরেছে।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-ইরু আমার দম আটকে আসছেরে ছাড় দাদু।রায়না রাহমান বলে উঠলেন।
-না দাদু ছাড়বোনা।আগের মাসে আসার কথা ছিলো তোমার আসোনি।মুখ গুমড়ো করে বলল ইয়ারাবী।
-তাহলে এটা কি আমার শাস্তি দাদুমনি?নাতনি কে জড়িয়ে বললেন রায়না রাহমান।
-জি তোমার শাস্তি।আরো জোরে ধরবো।তবে ইয়ারাবী আর জোরে ধরেনি।ছেড়ে দিয়েছিলো।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
দাদা নানার সাথে ও কথা বার্তা আর খুব দুষ্টুমি করলো ইয়ারাবী।ছোট নাতনী বলে কথা।সাজিদ রায়হানের তো মাথা আউলে দিয়েছে ও প্রশ্ন করে করে।রুপন্তী রেহান রোয়েন আর রুহীর কাছে এলো।জিজু কংগ্রাচুলেশনস। খুব ভালো লাগছে আপনার হাসপাতালের খবর শুনে।ধন্যবাদ রুপন্তী আমি নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।তবে সব ঠিক হয়েছে ।বলে উঠে রোয়েন।রেহান ভাইয়ের সাথে আলিঙ্গন করলো।হঠাৎ ওদের পাশে এসে দাঁড়ালো আকরাম আজহার আর আরাভ।আরাভকে দেখে ইয়ারাবী সরে গেলো সেখান থেকে।কিন্তু ইয়ারাবীর সরে যাওয়া ঠিকই চোখে পড়ে আরাভের।আরাভ আর আকরাম আজহার কে রোয়েন বলল আজ আমার বাবা চাচা আর মা আসছে চলুন ওনাদের সাথে স্বাক্ষাত করিয়ে দেই।আরাভের বুকে কেমন চিনচিনে ব্যাথা করে উঠে।আজ কতো বছর পর মানুষ গুলো কে দেখবে ও।আরাভ আর আকরাম আজহারকে রায়না রাহমান সাইফ রাহমান আজিজ রায়হান আর সাজিদ রায়হানের কাছে আনে রোয়েন।
আরাভ কে দেখে সাজিদ রায়হান আর আজিজ রায়হান এসে জড়িয়ে ধরলো মনের অজান্তেই।রায়না রাহমান ও আরাভ কে দেখে কিছুটা আবেগআপ্লুত হয়ে পড়লেন।আরাভ রায়না রাহমানকে বললো দাদু কাঁদছেন কেন আপনি?
তোমাকে দেখে আমার আরুর কথা মনে পড়লো।আরুকে কতো দিন দেখিনা।কই আছে আমার নাতি?কেঁদে বলছিলেন রায়না রাহমনা।আরাভ রায়না রাহমানকে জড়িয়ে ধরলো।
আরাবীর সাথে কথা বলছিলো ইয়ারাবী।আরাবীর কিছু কলিগ আসায় ইয়ারাবীকে বলল তোর সাথে পরে কথা বলছি।কিছু কলিগ এসেছে তাদের এটেন্ড করতে হবে।
ওকে আপু।ইয়ারাবী অন্যদিকে চলে যাচ্ছিলো।হঠাৎ ওর মনে হলো ওর পিছনে আরাভ আসছে।কিন্তু সেদিকে নজর দিলো না ইয়ারাবী।নিজের মতো গেস্টদের সাথে কথা বলছে।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
আরাভ অনেক চেষ্টা করলো ইয়ারাবীর সাথে কথা বলতে কিন্তু সুযোগ হয়ে উঠছেনা ওর।আরাভ বুঝতে পারছেনা মেয়েটা কেন অবহেলা করছে ওকে?কি হলো কথা বলছেনা?ভীষন রাগ হচ্ছে ওর মেয়েটার প্রতি।থাপড়িয়ে গাল লাল করে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে।ইয়ারাবী আড়চোখে পিছে তাকিয়ে আরাভকে দেখছে।কিন্তু আর দেখতে পাচ্ছে না লোকটাকে।না চাইতেও মন টা খারাপ হয়ে যায় ইয়ারাবীর।গেস্টদের সাথে কথা বলে অন্যদিকে যেতে থাকে ইয়ারাবী।হঠাৎ হাতে টান পড়লো ওর।কেউ ওকে একটা খালিরুমে এনে ওর কোমড় জাপটে ধরলো।অন্ধকার রুমে লোকটাকে দেখতে পারছেনা ইয়ারাবী।লোকটার শরীর থেকে অত্যন্ত সুঘ্রান আসছে।খুব পরিচিত ঘ্রানটা।ইয়ারাবীর বুক কাঁপছে।হঠাৎ ছায়ালোক বলল
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-ইগনোর করছো কেন?
-ইগনোর তাকে করা যায় যে আমার নিজের কেউ।আপনি কে হন যে আপনাকে ইগনোর করবো?লোকটা কে চিনতে পারলো ইয়ারাবী।লোকটা আরাভ।
-আরাভ সজোরে দেয়ালে চেঁপে ধরলো ইয়ারাবীকে।তারপর বলল কেউ হইনা আমি?
-নাহ। ছাড়েন আমাকে।ওনাকে মেসেজ দিলে রিপ্লাই দিবেনা কল ও ধরবেনা।হুহ বিড়বিড় করে বলছিলো ইয়ারাবী।
-এতো অভিমান?দুষ্টু হেসে বলল আরাভ।
-অভিমানীর কি হলো?ছাড়েন।জোরে বলল ইয়ারাবী।
-আরাভ পকেট থেকে একটা চকলেট বের করে বলল এটা কি চাও তুমি?
-নাহ। ইয়ারাবী ভাবছিলো ওকেই দেবে চকলেটটা।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
আরাভ চকলেটটা খেতে লাগলো খুলে।ইয়ারাবী মুখ শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে।লোকটা কেমন ওকে না দিয়ে নিজেই খাচ্ছে।আরাভ চকলেট থেকে একটু নিয়ে ইয়ারাবীর গালে মাখিয়ে লিক করতে লাগলো।ইয়ারাবী শকড হয়ে গেছে।ওর পা জোড়া বরফ হয়ে গেলো।কি হচ্ছে এসব?লোকটা কখন কি শুরু করে বুঝে উঠেনা ইয়ারাবী।আরাভ ইয়ারাবীর গাল থেকে চকলেট খেয়ে ঠোঁটের আশেপাশে চুমু খাচ্ছে।তারপর ইয়ারাবীর রসালো ঠোঁটজোড়া শুষে নিতে শুরু করলো ওর ডেইরিমিল্ক মাখানো ঠোঁট দিয়ে।ইয়ারাবী যেন সুখের দেশো হারিয়ে যাচ্ছে।১৫ মিনিট পর আরাভ সরে এলো।ইয়ারাবী ঠোঁটজোড়া মুখে পুরে নিয়ে আরাভের দিকে আতঙ্কিত চোখে চেয়ে আছে।আরাভ ইয়ারাবীর হাতে একটি চকলেট ধরিয়ে বেরিয়ে পড়লো।রোয়েন আরাভ কে স্টেজে আনলো।তারপর মাইকের সামনে বলল আজ এই পার্টিটা আমার হাসপাতালের সিলগালা খোলার খুশিতে।আর ঐ দিনটা এই খুশি গুলোর হকদার হলো মিঃ আরাভ আজহার।সরি মিঃরোয়েন চৌধুরী শুধু আমি না আমার ঘনিষ্ঠ একজন ফ্রেন্ড আছে যে আমাকে একাজে খুব বেশি সাহায্য করে তার কারনে আমরা পলাতক হামিদুল ইসলামকে ধরতে পেরেছি।সে হলো আরাভ স্টেজ থেকে নেমে আর্ভিনকে ধরে আনলো।এনি হলেন আমার বন্ধু মিঃ আর্ভিন মাহবুব।ওনার কারনে হাসপাতাল টা সেভ হয়েছে।আর্ভিন একটু হাসলো।রোয়েন অবাক চোখে আরাভকে দেখছে।সবাই হাত তালি দিলো।আরাবী আর্ভিনকে দেখছে।তারপর মুচকি হেসে হাততালি দিলো।সেদিন পার্টি তে আরাবী আর্ভিনকে হাসিমুখে বলল কাল কি আমরা ডিনারে যেতে পারি?আর্ভিন হেসে সায় দিয়েছিলো।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গে আরাভের। গরম কফি নিয়ে ল্যাপটপের সামনে বসে পড়লো ও।তখনই অর্পনের কল এলো আরাভের ফোনে।আরাভ কল রিসিভ করলো কানে লাগানো ব্লুটুথ দিয়ে।
,
,
,
,
,
,
,
,
-হ্যালো ভাই ভুলে গেছো আমাকে।
-বাবাইয়ের হাসপাতাল আরো কিছু কাজ নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছিলাম।বলে উঠে আরাভ।
-হুম জানি তো ভাবি কে নিয়ে ব্যাস্ত ছিলা।অভিমানী কন্ঠে বলল অর্পন।
-হুম সব জানি আর এও জানি সে কে?বলে উঠে অর্পন।
-একটু হাসলো আরাভ কে সে?আর জানিস কেমনে তুই?
-তুমি না জানালে কি আমি জানতে পারিনা?বলে উঠে অর্পন।
-নাহ সেটা তো অবশ্যই(আরাভ)।
-তা ভাই ফেমেলি কি মেনে নিবে?কথা উঠবে না?জিজ্ঞেস করে অর্পন।
-মেনে নিবেনা মানে এর ওপর দিয়ে যাবে।বলে উঠে আরাভ।
-মানে?ভ্রু কুঁচকালো অর্পন
-মানে আমার বাবাই চাচ্চু দুজনই কাজিনদের বিয়ে করেছে।মানলাম বাবাইয়ের বিয়ের সময় কিছু বলতে পারিনি।খালামনির বিয়ের সময় তো আমি ছিলাম।তখন কি কিছু বলেছিলাম।তাহলে আমার সম্পর্কে কেন কথা উঠবে?বলে উঠে আরাভ।
-ভালোই বললে ভাই হা হা হা হেসে দিলো অর্পন।
চলবে