1. নতুন গল্পঃ3. রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প গুলোঃবস বয়ফ্রেন্ড Season-4

বস বয়ফ্রেন্ড Season-4 ! পর্ব- ১ থেকে ১৮ & শেষ !

নিলান্তিকা নাদিয়া
উফফ এত দেরি হয়ে গেল মেয়েটা কি আজ ও
আসবেনা? ?মেয়েটা কি দেখতে পারবনা। তার উপর এই ড্যানি
বার বার
ফোন দিচ্ছে।

: হ্যালো। yes dany!
.
ড্যানি- স্যার। আপনার ১০ টায় মিটিং আর
এখন সাড়ে ৯ টা বাজে।
বড় স্যার খুব রাগ হচ্ছেন।
আপনি আজ জগিং এ আমাকেও নিয়ে যান
নি।

: আচ্ছা আমি এখনি আসছি।

বাইক স্টার্ট করে বাসার দিকে রৌনা হলাম।
আসলে ড্যানি আমার বডি গার্ড। আজ ওকে
সাথে করে আনিনি।
আর যে মেয়েটার জন্য আমি অপেক্ষা
করছিলাম ওই মেয়েকে আমি কোনো দিন ও
দেখিনি।
আমি এইখানে প্রতি দিন জগিং এ আসি।
কিন্তু হঠাত একদিন জগিং এ এসে একটা
সুর শুনলাম।মেয়ে গলায়
খুব খুজার চেস্টা করেছি কিন্তু এত মানুষ এর
ভিড়ে ওকে কখন খুজে পাইনি।
আর দেখতেও পারিনি।১০দিন এইভাবেই
কেটেছে।
প্রতি দিন একি সুর শুনতাম
কিন্তু ২ দিন ধরে আসছেনা মনে হচ্ছে।
আজ ত এতক্ষন অপেক্ষা করলাম তাও আসলনা।
বাসায় ঢুকতেই –
রাহাত খান ( নায়কের বাবা)- রাদ! !!!!!

রাদ- yes dad
( রাদ হচ্ছে গল্পের নায়ক)
.
ড্যাড-
what’s the time? ?
.
raad- 10:00 am.
( মাথা নিচু করে)

ড্যাড- তোমাকে আগেই বলেছি আমি কাজে
কোনো রকম গাফেলতি পছন্দ করিনা।

রাদ- ড্যাড im sry.
sorry.
.
ড্যাড- ড্যানি! !! ড্যানি! !”

ড্যানি- yes sir!!!
.
ড্যাড- তোমার কাজ হচ্ছে রাদ এর সাথে
থাকা সবসময়।every second, every minute.
dany- sry sir.
bt রাদ স্যার আমাকে যেতে মানা করেছিল।

ড্যাড- রাদ তুমি কি ভুলে গেছ আগে কি
হয়েছিল? ? এর পর যেন আর ভুল না হয়।

রাদ- yes dad.
sry again.
.
ড্যাড- তুমি সব কিছুতে এত গাফিলতি করো
কেন? ? তোমার মত এমন হলে আমি লন্ডন এর
মত জায়গায় এত বড় এম্পায়ার গড়তে পারতাম
না।

আচ্ছা এখন নাস্তা করে অফিস যাও।

রাদ- bt dad meeting? ??
dad- meeting দেরি করে হবে আমি তোমার
পি.এ কে ফোন করে বলেছি টাইম পিছিয়ে
দিতে।

রাদ- নাস্তা করে রেডি হয়ে বের হয়ে
গেলাম।
আমি বাইকে রাইড করতে বেশি পছন্দ করি।
তাই আমি বাইকে আর ড্যানি আমার পিছনে
গাড়ি তে আসছে।

অফিসে পৌঁছে আগে মিটিং এ গেলাম।
লিলি( পি.এ)- স্যার এইযে ফাইল গুলা।

রাদ- মিটিং শেষ করে কেবিন এ গেলাম।
এত কাজের মাঝে কানে শুধু মেয়েটার সুর
ভেসে আসছে।
চোখ বুজলেই একটা অবয়ব দেখতে পাই।
আহিল- may i come in sir.
rad- yes. come.
আহিল- স্যার আজকে আমাদের নেক্সট
প্রজেক্ট এর জন্য আপনার লোকেশন দেখতে
যাওয়ার কথা ছিল।
রাদ- damn. আমি এটাও ভুলে গিয়েছিলাম।
shit.
ওকে আমি এখনি যাচ্ছি।
কোট খুলে জ্যাকেট পরে নিলাম।
বাইকের চাবি নিয়ে বের হলাম।

ড্যানি- স্যার। আপনি একা বের হবেন না
প্লিজ।

রাদ- ড্যানি কিছু দরকার হলে আমি ফোন
দিব।
আর হ্যা ড্যাড কে কিছু বলার দরকার নেই।

ড্যানি- bt sir.
.
raad- dany.
আমি ছোট বাচ্চা না।
I can take care of myself. তুমি অফিসেই
থাকো।

ড্যানি- yes sir.
রাদ- বাইকে করে লোকেশন দেখতে
যাচ্ছিলাম।
এই রোড এ তেমন গাড়ি চলেনা।
কারন লোকেশন টা শহর থেকে একটু দুরে।

ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি ও শুরু হয়ে গেল।
আমি এর মাঝেই বাইক চালিয়ে যাচ্ছি।
হঠাত কোথা থেকে কেউ আমার বাইক এর
সামনে এসে পড়ল।
আমি জোড়ে ব্রেক মারলাম।

মেয়েটা- আ আ আ আ আ

রাদ- বাইক থেকে নেমে হেলমেট খুললাম।
মেয়েটা মুখ ২ হাত দিয়ে ঢেকে আছে ভয়ে।
মেয়েটাকে নিচ থেকে উপর পর্যন্ত
একটু দেখলাম।
স্কার্ট পড়া, ফুল হাতা গেঞ্জি, গলায় স্কার্ফ
জরানো।
এই যে মিস whatever

মেয়ে- মুখ থেকে হাত সরিয়ে what do u mean
by miss whatever? ??
raad- ok miss চার চোখ।

মেয়ে- হ্যালো আমার নাম আদর। ওকে? ?
( গল্পের নায়িকা। খুব কিউট দেখতে, লম্বা
লম্বা চুল। কোমড়ের নিচ পর্যন্ত, আর চোখে
চশমা পরা।আসলে চোখে একটু প্রব্লেম তাই
ছোট থেকেই চশমা পরে )

রাদ- তোমার নাম আদর হোক আমার বাদর
হোক তাতে আমার কি? ? তুমি এইভাবে
আমার বাইকের সামনে আসলে কেন?? কিছু
হয়ে গেলে ত আমার ই দোষ হত।

আদর- excuse me। বাইক চালাতে পারেনা।
নিজের বাবার রাস্তা মনে করে গাড়ি
চালান নাকি? ??

রাদ- এই মেয়ে mind ur language.
না হলে..

আদর- না হলে কি হ্যা হ্যা।
আংগুল দেখিয়ে।

রাদ- কিছু বলতে যাব তখন ই ফোন এল।
কথা বলতে লাগলাম।

আদর- পাজি ছেলে। হুহ।
চলে এলাম।

রাদ- কথা শেষ করে দেখি মেয়ে চলে
যাচ্ছে।
চিতকার করে বললাম- চোখ আকাশে রেখে
না চলে মাটিতে রেখে চলবে এখন থেকে।

আদর- আর আপনি বাপের রাস্তা না মনে করে
ভাল মত বাইক চালাবেন।

হুহ

রাদ- কাজ না থাকলে মেয়ের আজ খবর ছিল।
লোকেশন এ চলে এলাম।
লোকেশন টা ভাল মত দেখে নিলাম।
খুব পছন্দ হয়ে গেল প্লেস টা।
তারপর বাইকে করে অফিসে এলাম।

আহিল- স্যার লোকেশন টা পছন্দ হয়েছে /?

রাদ- খুব পছন্দ হয়েছে।
খুব সুন্দর।

আহিল- স্যার আমরা কি কাজ শুরু করে দিব? ?

রাদ- ড্যাড এর সাথে কথা বলে জানাব।
অপেক্ষা কর।

আদর – রাগে গজ গজ করতে করতে বাদায়
এলাম।
এতক্ষন ধরে কলিং বেল বাজাচ্ছি আমার মা
এর খবর নেই ।

রেহানা বেগম ( আদরের মা)- কিরে এত বার
বেল বাজায় কেউ? ? আসতেও ত সময় লাগে.

আদর- বক বক না করে সরোত। আমার মেজাজ
খুব খারাপ।

মা- কেনো রে। কি হয়েছে ।?? কার সাথে
ঝগড়া লাগিয়েছিস? ??

আদর- মা! ” আমি ঝগড়া করি তুমি বলতে
পারলে? ?

মা- আচ্ছা কি হয়েছে আগে বল।

আদর- আমি রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে বাসায়
ফিরছিলাম। আর হঠাত বলা নেই কওয়া নেইই
কোথার থেকে এক ছেলে বাইক দিয়ে দিল
আমায় ধাক্কা। আরেক্টু হলে তোমার মেয়ে
সোজা উপরে চলে যেত।

মা- কিছু হয় নি ত তোর?? দেখি দেখি কই
লেগেছে??

আদর – আরে লাগেনিত মা।
আরেক্টু হলে লাগত।

মা- দোষ ত ওই ছেলের না দোষ ত তোর।
চোখ নিশ্চয়ইই তুই আকাশে রেখে
হাটছিলি? ?

আদর- (মনে মনে) ওই ছেলে যা বলল আমার মা
ও তাই বলল? ?)
কি কি কি বললা তুমি? ? আমি আকাশে চেয়ে
হাটি? ?
মা- তা নয় ত কি? ?
এত চঞ্চল হলে কিভাবে হবেরে??

আদর- মা! ! দোষ আমার না।

মা- তুই চুপ কর।
আচ্ছা যা ফ্রেশ হয়ে নে।
আচ্ছা আগে এটা বল কলেজে তোদের
পার্ফোরমেন্স কেমন ছিল? ?
আদর- ভালই ছিল।
রাতে কিন্তু আমি বাইরে ডিনার করব ওদের
সাথে।
তুমি আমার অপেক্ষা করনা কিন্ত।

মা- আচ্ছা আচ্ছা।

রাদের ড্যাড- রাদ আজ কে একটা মিটিং
আছে রাতে।
আমার করার কথা ছিল সেটা তুমি এটেন্ড
করবে।

রাদ- বাট ড্যাড!!

ড্যাড- কোনো কথা নয়।
এবার দায়িত্ব নেওয়া শিখ।
আমি জানি তুমি অনেক ভাল বিজনেস
সামলাতে পারবে।

রাদ- ওকে।
আমি সময় মত চলে যাব।

রাতে-
আদর- (ফোনে) কিরে নিরব জলদি আয়। ৮ টা
বেজে গেল ত।

নিরব – আরে এখনি বের হচ্ছি।

আদর- আসতে ত বললাম। কিন্তু কোন জামা
পরব বুঝতে ত পারছিনা।
পরে একটা রেড শার্ট , ব্লাক জিন্স, আর
গলায় স্কার্ফ জরিয়ে নিলাম।
সাথে জ্যাকেট ও।
রাতে যে ঠান্ডা পরে।

বাইরে দাড়িয়ে নিরব এর জন্য অপেক্ষা
করতে লাগলাম

নিরব- জলদি বাইকে উঠে আয়।

আদর- বাইকে উঠলাম।
দিয়া, কেয়া, আবির ওরা কই? ?

নিরব- আবির ওদের নিয়ে চলে গেছে।

আদর- যাক ভালই হয়েছে।
রেস্টুরেন্ট এর সামনে নামলাম।
নিরব তুই ভেতরে যা আমি ফোনে কথা বলে
আসি।

মা কে ফোনে দিয়ে কথা বলে ভেতরে
ঢুকলাম ফোনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
হঠাত খেলাম ধাক্কা।
ধাক্কা খেয়েই পরে যাচ্ছিলাম কেউ মনে হল
ধরল।
চোখ ভয়ে বন্ধ করে আছি।

রাদ- এই মিস চারচোখ। চোখ খোলো।

আদর- আমি চোখ খুললাম।
আরে আপনিইইইইই!!!!!!
ছাড়ুন আমাকে।

রাদ- ওকে।
বলে ছেড়ে দিলাম।

আদর- ও মা!!!!!!! আমি শেষ।
আমি উপরে তাকালাম।
দেখি হাসছে।
পাজি শয়তান।

রাদ- আমি পাজি ও না শয়তান ও না।
তুমি ছাড়তে বললে তাই ছেড়েছি।

আদর- তাই বলে এভাবে??

রাদ- হাত বাড়িয়ে দিলাম।
চলবে

বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *