The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 23

আর্ভিন রোয়েনের ঘরে এসে উপস্থিত হয় খুব সকালেই।রোয়েন আর রুহী বেশ অবাক হয় ওকে দেখে।
রোয়েন আর্ভিন ভিতরে ঢুকালো।আর্ভিন সোফায় এসে বসলো।রোয়েন ওর সামনের সোফায় বসলো।
ভালো লাগছে তোমায় দেখে।বলে উঠে রোয়েন।ধন্যবাদ আঙ্কেল।ভালো আছেন আপনি?জিজ্ঞেস করে উঠে আর্ভিন।এই তো বাবা কোনরকম।রুহী ওদের সামনে চা নাস্তা এনে রাখলো।আর্ভিন চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে।রোয়েন ওর সামনে বসে চা খাচ্ছে।আঙ্কেল মিস আরাবী কেমন আছেন?জিজ্ঞেস করলো আর্ভিন।এইতো বাবা একটু ভালো আছে।দেখা করবে?একনাগাড়ে বলল রোয়েন।জি দেখা করা যায়।মলিন হেসে বলল আর্ভিন।রুহী!!! ওকে আরাবীর কাছে নিয়ে যাও।বলে উঠে রোয়েন।রুহী আর্ভিনকে উপরে নিয়ে এলো।আরাবী শুয়ে ল্যাপটপে কাজ করছে।ওর রুমে কেউ আছে সে সম্পর্কে কোন আইডিয়া নেই ওর।আরাবী!!!!ডেকে উঠে রুহী।মাম্মা কাজ করছি।পরে বলো?ল্যাপটপের স্ক্রীনে তাকিয়ে বলল আরাবী।আর্ভিন এসেছেন তোর সাথে দেখা করতে।বলে উঠে রুহী।আরাবী ভ্রু কুঁচকায়।ওর ভীষন রাগ হচ্ছে।আর্ভিন আপনি বসুন ওখানে।আমি একটু কাজ সেড়ে আসি।বলে বেরিয়ে পড়লো রুহী।আর্ভিন আরাবীর খাটের পাশের চেয়ারে বসলো।
,
,
,
,
,
,
,
,
-আ’ম সরি ফর দ্যাট নাইট।বলে উঠে আর্ভিন।
-আরাবী কাজ করে যাচ্ছে চুপচাপ।
-আপনি কেমন আছেন এখন?জিজ্ঞেস করলো আর্ভিন।
-বেঁচে আছি।বলে উঠে আরাবী কাজের ফাঁকে।
-আর্ভিন একটা প্যাকেট আরাবীর খাটে রাখলো।আই থিংক আপনার পছন্দ হবে।বলে উঠে আর অপেক্ষা না করে বেরিয়ে গেলো আর্ভিন।
,
,
,
,
,
,
,
,
আরাবী আর্ভিনের যাওয়ার পথে চেয়ে রইলো।চোখের কোনায় অশ্রু চিকচিক করছে।আর্ভিনকে চলে যেতে দেখে রোয়েন বলল কই যাও আর্ভিন?লাঞ্চ করে যাও।না আঙ্কেল কিছু ইম্পরট্যান্ট কাজ চলে এসেছে।তাই যেতে হচ্ছে।আরেকদিন আসবো।বলে বেরিয়ে গেলো আর্ভিন। আরাবী প্যাকেটটি হাতে নিলো।কি আছে এতে?ভেবে প্যাকেটটি থেকে একটা খয়েরী মলাটে জড়ানো চারকোনার ভারি কিছু একটা পেলো ও আর দু বক্স চকোলেট।চকলেটের দিকে চেয়ে একটু হাসে আরাবী।তারপর মলাটটাকে ছিড়ে দেখলো সেদিন ডিনারের জন্য কালো শাড়ীটা পরেছিলো।সেই শাড়ীতে পুরো কেবিন নিয়ে ওর ছবিটা ফ্রেমে বাঁধানো।মনটা কেমন করে উঠে ওর।কি সুন্দর লাগছে ওকে।লোকটা কখন তুললো এই ছবি?আরাবী ছবিটাকে বুকে জড়িয়ে রাখলো।অপরদিকে ইয়ারাবীকে কলেজের গেটে একজন লোক এসে একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিলো।লোকটাকে চিনে না ও।কিন্তু প্যাকেটে ওর নাম আর ওর কলেজের ঠিকানা দেয়া।বেশ অবাক হয় ইয়ারাবী।প্যাকেটটাকে দ্রুত ব্যাগে ঢুকালো রেহানকে আসতে দেখে।ঘরে ফিরে দৌড়ে রুমে আসে ইয়ারাবী।তারকর প্যাকেটটা থেকে জাম কালারের একটা গাউন বের করলো।তবে স্লিভ লেস।জামার পিছের অংশটুকুর বেশ কিছুটা অংশ নেটের।আর নিচের অংশটুকু ঢাকা।বেশ পছন্দ হলো গাউনটা।কিন্তু গিফ্ট দাতা কে?আরাভ নয়তো?কিন্তু ওনি তো খবর নেয়না আমার।ওনি হতে পারেনা।
,
,
,
,
,
,
,
,
দুদিন পর
রোয়েন আরাবী আর রুহী নাস্তার টেবিলে বসে আছে।বেশ সুস্থ লাগছে ওকে।আরাবী একটু কাশতেই ভ্রু কুঁচকায় রোয়েন।কিরে মা ঠান্ডা বাঁধালি কেন এমনিই অসুস্থ তুই।না বাবাই আসলে তেমন কিছুনা।আমতাআমতা স্বরে বলল আরাবী।আসলে নকলে এতো কিছু বুঝিনা আমি।ঠান্ডা পানির থেকে একমাইল দূরে থাকবি।রং চা খাবি বেশি করে।ধমকের স্বরে বলল রোয়েন।আচ্ছা বাবাই মুচকি হেসে বলল আরাবী।হঠাৎ ফোন বেজে উঠে রোয়েনের।ফোন হাতে নিয়ে দেখলো আরাভ কল করেছে।রোয়েন কল রিসিভ করে কানে রাখলো।
,
,
,
,
,
,
,
,
-হ্যালো আঙ্কেল!!অপরপাশ থেকে বলল আরাভ।
-জি বাবা বলো।কেমন আছো?জিজ্ঞেস করে রোয়েন।
-জি ভালো।আপনি কষ্ট করে আপনার হাসপাতালে আসুন।বলে উঠে আরাভ।
-হাসপাতাল কেন?কিছুটা অবাক হলো রোয়েন।
-আঙ্কেল আসুন আগে।পরে বলছি।
,
,
,
,
,
,
,
,
রোয়েন কল কেঁটে চা খেয়ে শার্ট চেঞ্জ করে বেরিয়ে পড়লো হাসপাতালের উদ্দেশ্যে। বুকটা কেমন যেন করছে।হাসপাতালে এসে রোয়েন বেশ অবাক হলো।ওর ছাত্র ছাত্রীরা নার্স সবাই দাঁড়িয়ে আছে হাসপাতালের সামনে।একজন পুলিশ এসে সিলগালা খুলে রোয়েনের দিকে তাকিয়ে হাসলো।আরাভ রোয়েনের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলল কংগ্রাচুলেশনস প্রফেসর।
আরাভ এগুলো কেমনে কখন করলা?বিস্ময় জথিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।আঙ্কেল যেটা হচ্ছে সেটাকে এঞ্জয় করুন।বলে উঠে আরাভ।রোয়েন কিছু বলল না।ডাক্তার রাব্বি আর সম্পা রোয়েনের কাছে এসে বলল স্যার ফাইনালি সব ঠিক হলো।রোয়েনের মুখে হাসি।কিছুক্ষন পর হামিদুল ইসলাম রোয়েনের কাছে এসে বলল প্রফেসর মাফ করবেন।রোয়েন ভ্রু কুঁচকে চেয়ে হামিদুল ইসলামের দিকে তারপর বলল নিজের সন্তানকে ভালোবাসলে তার গর্ভের সন্তানটাকে ও ভালবাসতে জানতে হয়।আমার ভুল হয়ে গেছে।বলল হামিদুল ইসলাম।তারপর দুজন পুলিশ হামিদুল ইসলামকে নিয়ে চলে যায়।রোয়েনকে নিয়ে সবাই হাসপাতালে ঢুকলো।রোয়েন চারপাশে তাকাচ্ছে।ওর চোখের কোনা জ্বলজ্বল করছে।আরাভ পিতার দিকে চেয়ে আছে।একজন আয়া এসে রোয়েনকে উদ্দেশ্য করে বলল স্যার কালকের মধ্যে সব পরিষ্কার কইরা দিমু।রোয়েন হেসে বলল অবশ্যই।ঘরে ফিরার মুহূর্তে আরাভকে রোয়েন বলল আজ সন্ধ্যায় একটা পার্টি রাখবো। অবশ্যই আসবে তোমার বাবা মাকে নিয়ে।মাথা ঝাঁকায় আরাভ।
রোয়েন ঘরে ফিরে এলো কিছু মিষ্টি নিয়ে। আরাবী আর রুহী ডাইনিং রুমে বসে ছিলো।রোয়েন মিষ্টি নিয়ে মেয়েকে আর রুহীকে খাইয়ে দিলো।
,
,
,
,
,
,
,
,
-হঠাৎ মিষ্টি?অবাক হলো রুহী।
-সুখবর আছে রুহী।বলে উঠে রোয়েন।
-আরাবী আর রুহী চেয়ে আছে রোয়েনের দিকে।কি সুখবর বাবাই।
-আরাভ ছেলেটা ফেরেশতা হয়ে এসেছে রে।বলে উঠে রোয়েন।
-কি হলো?কেন বলছো এসব?জিজ্ঞেস করলো রুহী।
-আমার হাসপাতালের সিলগালা খুলিয়ে দিয়েছে ও।বলল রোয়েন।
,
,
,
,
,
,
,
,
রুহী আরাবী লাফিয়ে উঠে রোয়েনকে জড়িয়ে ধরলো খুশিতে।ওরা কেঁদে দিয়েছে।রোয়েন দুজনকে জড়িয়ে ধরলো।রোয়েন ওদের জানালো আজ সন্ধ্যায় পার্টি হবে।বিকেলে সবাইকে অবাক করিয়ে দিয়ে ঘরে এলো সাজিদ রায়হান সাইফ রাহমান রায়না রাহমান আর আজিজ রায়হান।
দুবাই থেকে ফিরে এসেছে তারা।রোয়েন রুহী তো বেশ অবাক একে অপরের বাবা মাকে দেখে।বয়স্ক লোকগুলো কে সোফায় বসালো ওরা।আরাবীকে দাদা দাদিরা আর আর নানা আদর করছে।রুহী আজিজ রায়হানের পাশে বসলো রুহী। বাবার কাঁধে মাথা রেখে আছে রুহী।বাবা এতোদিন পর এলে?কান্না স্বরে বলল রুহী।আজিজ রায়হান মেয়েকে জড়িয়ে বলেন শরীরে কি সেই শক্তি আর আছে রে মা?রোয়েন এসে আজিজ রায়হানের পা ধরে সালাম করলো।চাচ্চু ভালো আছেন?জিজ্ঞেস করে রোয়েন।হ্যারে বাবা ভালো।ওনাদের রুমে দিয়ে সবাই যে যার রুমে চলে গেলো।সন্ধ্যায় গেস্টরা আসতে শুরু করেছে।রুহী অফহোয়াইট কালারের একটা শাড়ী বের করতেই রুহী শাড়ীটা ছিনিয়ে নিলো।তারপর গাঢ়ো বেগুনী কালারের একটা শাড়ী রুহীর হাতে ধরিয়ে দিলো।শাড়ী টা বেশ ভারি আর রুহীর বয়স হিসেবে মানানসই নয়।
,
,
,
,
,
,
,
,
-রোয়েন এটা পরবোনা।বলে উঠে রুহী।
-কেন?রেগে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
-এটা আমার বয়সের সাথে যায়না।বলে উঠে রুহী।
-বেশি বয়স বয়স করো তুমি।পরতে হবে পরো বলছি।ধমক দিয়ে বলল রোয়েন।
-রুহী মন খারাপ করে শাড়ী পাল্টে নিলো।জেদ করে গহনা পরছে।
-কি হলো?মুখ অমন পেঁচার মতো করে রেখেছো কেন?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
-জামাই ভাইয়া অতো রাগি ও না।তাহলে কিন্তু পার্টিতে যাবোনা।
-জামাই ভাইয়া হোয়াট???রুহী আবার যদি বলেছো না???রেগে চিৎকার করলো রোয়েন।
-জামাই ভাইয়া রেগোনা।প্রেশার বেড়ে যাবে তোমার।নিচে চলো।বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো রুহী।
চলবে