The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 11
আলতো হাতে স্বামীর গাল স্পর্শ করে রুহী।রোয়েন রুহীর বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে।লোকটার চেহারায় এতো মায়া যে রুহী নিজেকে এই মায়ার অন্তরালে হারিয়ে ফেলেছে।তবে মায়া কাঁটিয়ে উঠতে চায়না ও।সারাজীবন লোকটাকে ভালবেসে নিকের মাঝে বেঁধে রাখতে চায়।রুহীর স্পর্শে কিছুটা নড়ে উঠে রোয়েন।তারপর রুহীর গলার গভীরে মাথা গুঁজে আবার ও ঘুমিয়ে পড়ে রোয়েন।
-ভাই কি খবর?ভুলেই গেছো আমাকে?অভিমানী কন্ঠে বলল অর্পন।
-ভাইয়ের কথায় মৃদু হাসে আরাভ।না ভুলিনি তোকে।পরশুই তো কথা হলো।
-পরশু!!ভাই ইটস লং টাইম।তুমি সত্যিই ভুলে গেছো আমাকে।
-বড় নিশ্বাস টেনে কিছুক্ষন চুপ করে থাকে আরাভ তারপর বলে উঠলো,অর্পন জানিস তো কতো ভালবাসি তোকে।
-আই নো ভাই।মজা করছিলাম।তা কি খবর ওখানকার?জিজ্ঞেস করে উঠে অর্পন।
-ভালোই তবে বাবাইয়ের হসপিটালের কাজ চলছে।বলে মৃদু হাসে আরাভ।
-হুম।দেখা হয়েছে আঙ্কেল আন্টির সাথে?বাবার থেকে শুনলাম আরাবী আপুর সাথে মিটিং করেছো?একনাগাড়ে জিজ্ঞেস করতে থাকে অর্পন।
-বাবাই আর মার সাথে দেখা হয়নি এখনো।তবে দাওয়াত দিয়েছে আরাবী বাবাই মায়ের ২৭ তম এনিভার্সারি। বলে উঠে আরাভ।
-তুমি কি যাবে ভাই?জিজ্ঞেস করলো অর্পন।
-যেতাম না তবে আরাবীর কথা ফেলতে পারিনি।আর আঙ্কেল ও বারবার জোর করছিলো।বলে উঠে আরাভ।
-তাহলে তো ইমেডিয়েটলি দেখা হচ্ছে সবার সাথে।পরিচয় দেবে কি?বলে উঠে অর্পন।
-নাহ পারবোনা সেটা।সেখানে যাবো আরাবীর বিজনেস পার্টনার হিসেবে আর কিছুনা।(আরাভ)
-ভাই যা হওয়ার হয়েছে।অনেক গুলো বছর পেরিয়ে গেছে।এবার তো আঙ্কেল আন্টিকে তাদের ছেলে ফিরিয়ে দাও।বলে উঠে অর্পন।
-অর্পন তুই এসব আর কখনো বলবিনা।রাখ ফোন। রাগী গলায় বলে আরাভ কেঁটে দেয় কল।
সন্ধ্যায় গরম তিনকাপ কফি এনে আরাবী মা বাবার সামনে বসলো।ওর হাতে এক বক্স মিষ্টি আছে।রোয়েন মিষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে।আরাবীর মুখে হাসি।
-কিরে মা মিষ্টি কেন?কোন সুখবর আছে?জিজ্ঞেস করলো রুহী।
আছে মা আছে।জানো এতো দিন কেউ ডিল সাইন করছিলো না আমার সাথে।আর আজ একজন ডিল সাইন করলো আমাদের কোম্পনীর সাথে।মেয়ের কথায় ঠোঁটের কোনে হাসি ফুঁটে উঠে রোয়েনের।খুব ভালো লাগছে শুনে মামনি।
তা সেই কোম্পানীর নাম কি?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
-Arvpon company Florida.বলে উঠে আরাবী।
-ফ্লোরিডা!!!ভ্রু কুঁচকায় রোয়েন।আমেরিকান কোম্পানী আমাদের সাথে ডিল সাইন করছে?কেমনে যোগাযোগ করলি ওদের সাথে?
-আরাবী সব খুলে বলল।বাবাই লোকটাকে খারাপ মনে হয়নি।
-দেখ আরাবী একটু সাবধানে থাকিস।পারলে লোকটাকে আমার সাথে কথা বলিয়ে দিবি।বলে উঠে রোয়েন।
-বাবাই ওনাকে আমি পার্টিতে ইন্ভাইট করেছি সেখানে কথা বলে নিও।বলে উঠে আরাবী।
-ওকে।ভালো করেছিস।কফি মগে সিপ দেয় রোয়েন।
ইয়ারাবীকে সেদিনের কর কল অথবা মেসেজ দেয়নি।ইয়ারাবী ভাবে বেটা সটকে পড়েছে।হুহ আসছিলো আমাকে সরি নেয়াতে।পরক্ষনেই অজানা এক ভয় ইয়ারাবীর শরীর মন শিহরিত করতে শুরু করলো।সে যদি আর মেসেজ কল না দেয়?ইয়ারাবীর মাঝে অজান্তেই ভীষন খারাপ লাগা শুরু হয়।কি করবে ও?লোকটাকে মেসেজ করবে?তার সরি।এক্সেপ্ট করবে?কিন্তু সে যে বেহায়া হতে চাচ্ছে না আর।অজানা এক পুরুষের জন্য এরুপ টান শোভা পায় না ওর জন্য।লোকটাকে চিনে না জানেনা।
তারপর চকলেটের বক্সটার দিকে তাকায় ইয়ারাবী।রাগের জায়গায় রাগ।রাগ করে চকলেট কে ইগনোর করা কি যায়?এমনিতেই ও বেশির ভাগ চকলেট খেয়ে ফেলেছে।বাকি আছে দুটো।লোকটাকে ফিরিয়ে দিতে হলে কিনেই দিতো ও।
বক্সটা কাছে টেনে নেয় ইয়ারাবী।তারপর সেখান থেকে একটা চকলেট বের করে মুখে পুরে চোখ বুজে নেয়।অস্ফুট স্বরে বলে উঠে উমমমম!!!!!
রোয়েনের বাসায় পার্টির আগের দিকে কিছু নিকট আত্মীয় এসেছে যারা বেশ দূরে থাকে।আরাবী মায়ের হাতে মেহেদী পরাচ্ছে।তবে ঘন্টা খানেক যুদ্ধে জয় লাভ করেই রুহীকে মেহেদী পরাতে বসেছে আরাবী।রুহীর দুহাত ভরে মেহেদী রাঙ্গিয়েই ক্ষান্ত হলো আরাবী।এদিকে রুপন্তী আর ইয়ারাবী এসেছে মেহেদী লাগাবে আরাবীর হাতে।রুহী নিজের হাত জোড়া কে দেখতে গিয়ে খেয়াল করলো হাতের তালুতে মেহেদীর নকশার মাঝে ওর আর রোয়েনের নাম লিখা।ঠোঁটে ফুঁটে উঠলো লজ্জামাখা একচিলতে হাসি।এদিকে ইয়ারাবী নিজের হাতের দিকে পলকহীন ভাবে চেয়ে আছে।আরাবী খুব সুন্দর করে ওর হাত জোড়া রাঙ্গিয়ে দিচ্ছে।
-আপু খুব সুন্দর মেহেদী রাঙ্গাতে পারো তুমি?বলে উঠে ইয়ারাবী।
-তাই নাকি?মেহেদী লাগানোয় ব্যাস্ত আরাবী বলে উঠে।
-হুম।ইয়ারাবী সম্মতি জানালো।
রোয়েন আর রুহীর জন্য অর্ডারকৃত কাপল ড্রেস চলে এসেছে।তবে ইয়ারাবী আর আরাবী নিজ দায়িত্বে লুকিয়ে রেখেছে।কারন এগুলো সারপ্রাইজ।
রুহী ঘরে আসতেই রোয়েন রুহীর হাত চেঁপে ধরলো।মুগ্ধ দৃষ্টিতে স্ত্রীর হাতযুগল পর্যবেক্ষন করছে ও।
-মেয়েটাও না কি করে বুঝিনা।বাবা মা বুড়িয়ে গেছে তারপর ও ও নিজের শখ আহ্লাদ পূরন করবেই।হেসে বলল রুহী।
-বুড়ো শরীরে হয় মন থেকে নয়।বয়স যতোই বাড়ুক তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা অটুট।হ্যাপি এ্যানিভার্সারি বৌ।রুহীর কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে বলল রোয়েন।
রুহীর চোখজোড়া ভিজে গেছে।তাদের বিয়ের সাতাশ বছর পূর্ন হয়ে গেলো।এতো টা বছর পার হয়ে গেলো কি করে বুঝতেই পারেনি ও।তারপর রোয়েনের বুকে মাথা রাখে রুহী”হ্যাপি এ্যানিভার্সারি প্রিয়।বেশ গভীর রাতেই রুপন্তী আর ইয়ারাবী বাসায় ফিরে যায়।আরাভ গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে খাটে শরীর এলিয়ে দিলো।ওর চোখ জোড়া ফোনের ওয়াল পেপারে থাকা ইয়ারাবীর খরগোশ ওয়ালা ফেসটার দিকে।আজকালকার মেয়েরা এমন ছবি তুলে কি মজা পায় বুঝে উঠে না আরাভ।তবে ইয়ারভ কে দেখতে খরগোশের বাচ্চার মতোই লাগছে।ওর চোখজোড়া কতোটা মায়াবী সেটা বলে বুঝাতে পারবেনা আরাভ।ছবিটায় হাত ছোঁয়ায় আরাভ।মায়াময়ী কে দেখার প্রহর শেষ হচ্ছে না যেন।ছবিটা দেখতে দেখতেই একসময়ে ঘুমিয়ে পড়লো আরাভ।
সকাল থেকে রোয়েনের বাসায় ভীষন তাড়াহুড়ো লেগে গেছে।ঘর গুছানি, ঝাড়ু দেয়া,আসবাবপত্রের ধুলোবালি পরিষ্কার চলছে।আর রান্নাবান্নার কথা না বললেই নয়।অবশ্য পার্টির রান্না বান্না করছে বাবুর্চিরা।রান্নার গন্ধে সারাবাড়ি মৌ মৌ করছে।
আরাবী অফিসে গেছে ৮ টার দিকে।রুহী আর রোয়েন পুরো ঘরে হেঁটে হেঁটে কাজ দেখছে।
বিকেলে একটু তাড়াহুড়ো করে ঘরে ফিরে আসে আরাবী।রুহী আর রোয়েনের রুমে এলো ও দুটো প্যাকেট হাতে।মেয়েকে দেখে রুহী খাট থেকে উঠে এলো।
★★★★
-মা তোমাদের জন্য ছোট্ট একটা গিফট।দেখো পছন্দ হয় কিনা?বলে উঠে আরাবী।
-রোয়েন মেয়েকে দেখছে।রুহী মেয়েকে নিয়ে ভিতরে ঢুকলো।তারপর প্যাকেট দুটো খুলে ভিতর থেকে কালো রং এর একটি শাড়ী আর রোয়েনের জন্য কালো কম্পলিট সুট।কোটের কলারে মসলিন কাপড়ে পাইপিন দেয়া।দেখেই মনে হলো অনেক দামী।
রোয়েন আর রুহীর মুখে হাসি ফুঁটে উঠলো।
-এগুলো কেন করতে গেলি মামনি?বলে উঠে রোয়েন।
-বাবাই এদিন বছরে এক বারই আসে।তাই পুরো দমে উদযাপন করা উচিৎ নয় কি?
মেয়ের কথায় রুহী আর রোয়েন হেসে মেয়েকে দুজনেই জড়িয়ে ধরলো।
সন্ধ্যায় কিছু কিছু গেস্ট চলে আসতে শুরু করেছে।রুহী মেয়ের দেয়া কালো শাড়ী পরে নিয়েছে।যদি ও নিজের বয়সের সাথে মানায় নি শাড়ীটা তবু ও মেয়ের শখ।এদিকে রোয়েন সুটটা পরে রুমে এসেই রুহীকে পিছন থেকে জড়িয়ে নিলো বুকের গভীরে।কারন বৌটাকে আগের মতোই মায়াবতী লাগছে।বয়স তো ওর সৌন্দর্য একদমই কেড়ে নিতে পারেনি।আরাবী আজ চকোলেট। কালারের একটি গাউন পড়েছে।কোঁকড়া লম্বা চুল গুলো উঁচু করে খোপা করে নিলো।জামার সাথে মানানসই মেকাপ আর হালকা অর্নামেন্টস নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে পড়লো আরাবী।কারন গেস্টদের ওরই সময় দিতে হবে।
আরাভ গোসল সেড়ে চুল গুলোকে ড্রায়ারের গরম বাতাসে স্শুকিয়ে নিলো।তারপর কালো একটা শার্ট পরে উপরে ধূসর রং এর কোট আর প্যান্ট পরে নিলো।হাতে দামী একটি কালো চেইনের ঘড়ি।আয়নায় নিজেকে ভালো মতো পর্যবেক্ষন করে রুম থেকে বেরিয়ে আসে আরাভ।তারপর উঁচু হিলের শো পরে আকরাম আজহার আঙ্কেল আর আন্টি কে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো নিজের বাসার উদ্দেশ্যে।ইয়ারাবী আজ সাদা কালারের সোল্ডার অফ একটি গাউন পরেছে।গাউন টির নেটের হাতার ভিতর দিয়ে ইয়ারাবীর ফর্সা সুন্দর হাত দুটি দৃশ্যমান।আর কাঁধের গাঢ় কালো তিলটা ফুঁটে উঠেছে।বাবা মায়ের হাত ধরে রোয়েনের ঘরে প্রবেশ করলো ইয়ারাবী।লম্বা চুলগুলো একটু ফুঁলিয়ে খোপা করে নিয়েছে ও।গলায় কানে সাদা পাথরের হালকা অর্নামেন্টস।
ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আরাবী আর ইফতেখার(সাজ্জাদের ছেলে)।
-ইফতেখার ভাইয়া ভালো আছেন?মিষ্টি হেসে বলল ইয়ারাবী।
-হুম।বাহ ইয়ারাবী কে আজ খুব সুন্দর লাগছে।বলে উঠে ইফতেখার।
-থ্যাংক ইউ ভাইয়া।বলে আরাবীর কাছে চলে গেলো ইয়ারাবী।
সামনে এগিয়ে এলো রোয়েন আর রুহী।রুপন্তী আর রেহান রোয়েন আর রুহীকে দেখে খুব খুশি।একে অপরের ভাই বোন কে জড়িয়ে ধরে সরে এলো।
-বাহ আপি চমৎকার লাগছে।বলে উঠে রুপন্তী।
-যাহ কি যে বলিস।লজ্জা পেয়ে বলল রুহী।
-রেহান ইয়ারাবী কই?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
-আরাবীর সাথে ওইদিকে চলে গেলো।বলে উঠে রেহান।
-আচ্ছা চল ভিতরে। রেহান আর রুপন্তী রুহী আর রোয়েনের সাথে ভিতরে চলে যায়।
কারোর মেসেজ পেয়ে আরাবী দরজার দিকে এগিয়ে যায়।আরাভ আর আকরাম আজহার আর তার ওয়াইফ চলে এসেছে।আরাবী রোয়েন আর রুহীকে ডেকে দরজার কাছে নিয়ে এলো।
আরাভ গাড়ি থেকে নেমে আঙ্কেল আন্টি কে নিয়ে গেটে ঢুকতেই ওর বুক ধুক করে উঠলো।মনে পড়ে গেলো সেদিনের কথা।কিভাবে বেরিয়ে গেছিলো ঘর থেকে।আর আজ ১০ বছর আবার ফিরে এলো তবে মেহমান হয়ে ছেলে হয়ে নয়।আরাভ ভিতরে তাকাতেই আরাবীকে দেখতে পেলো।বোনটাকে আজ অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে।তারপর ভিতরে ঢুকতেই ওর শরীর কাঁপতে শুরু করলো।
রোয়েন আর রুহী আরাভের দিকে চেয়ে আছে একনজরে যেন হারানো ছেলেকে দেখছে।আরাবী আরাভের দিকে তাকিয়ে বলল আমার বাবা মা ওনারা।আরাভ রোয়েন আর রুহীকে দেখছে।আরাভ এগিয়ে গিয়ে দুজনকে পা ধরে সালাম করতেই দুজনেই বলে উঠলো, কি করছো বাবা।পা ধরে সালাম করতে হবেনা।মুখে করলেই হবে।আরাভ উঠে দাঁড়িয়ে রোয়েনকে জড়িয়ে ধরলো।রোয়েন অপরিচিত ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরেছে।কেন জানি অজানা মায়া অনুভব হচ্ছে ছেলেটার জন্য।আরাভ সরে এলো।
আরাবী বলল বাবাই ওনি মিঃ আরাভ আজহার(আরাভকে দেখিয়ে)। আরাভ নাম শুনে রুহী কেঁদে দিলো রোয়েনের চোখ ভিজে এসেছে।আরাবীর দিকে তাকায় আরাভ।এনি প্রবলেম?জিজ্ঞেস করলো আরাভ।রোয়েন রুহীকে নিয়ে অপরপাশে চলে গেলো।আকরাম আজহার তার ওয়াইফ আর আরাভ কে নিয়ে ভিতরে বসালো আরাবী।
আরাভ কে আর আকরাম আজহার আর তার ওয়াইফকে জুস দেয়া হলো।আরাভ একমনে জুসে সিপ দিচ্ছে।আর গান শুনছে।ঘরে খুব জোরে গান বাজছে।খুব সুন্দর একটা রোমান্টিক সং।জুসে সিপ দেয়ার এক পর্যায়ে আরাভ খেয়াল করলো খুব পরিচিত একটা মুখ।
ইয়ারাবী জুস বারে বসে রেহানের সাথে কথা বলছে।হঠাৎ ওর ফোনে মেসেজ টিউন বেজে উঠে।ইয়ারাবী ফোন বের করে দেখলো,
সাদা গাউনটায় গর্জিয়াস লাগছে বিউটিফুল।”ইয়ারাবীর চোখ কপালে।
-কি আবোল তাবোল বকছেন?রিপ্লাই দিলো ইয়ারাবী।
-আবোল তাবোল নয়।সাদা গাউনটা যতোটা না সুন্দর আপনার ছোঁয়ায় এর সৌন্দর্য পরিপূর্নতা পেয়েছে।(আরাভ)
-মুখ ভেংচি ইমোজি।(ইয়ারাবী)
-আপনার জেঠুর বাসা ও খুব সুন্দর সাজানো হয়েছে।ইচ্ছে হচ্ছে ছাদটায় ঘুরে আসি।আপনি ও আসুন একসাথে জোছনা বিলাস করি।(আরাভ)
-হোয়াট?পাগল!! কই আপনি?(ইয়ারাবী)
-আপনার জেঠুর ছাদে।(আরাভ)
-মিথ্যা ভয় পেয়ে যায় ইয়ারাবী।
-এসেই তো দেখুন গোলাপ গাছ গুলা খুব বড় হয়েছে।৪টা ফুল দেখছি।সো বিউটিফুল দে আর(আরাভ)।
-হুম।মাথা নিচু করে ইয়ারাবী।
-হোয়াট হুম?ছাদে আসুন না হয় আমি নিচে চলে আসবো বিউটিফুল। (আরাভ)
-এই না না প্লিজ এমন করবেননা।আমি আসছি।রিপ্লাই দিয়ে উঠে দাঁড়ায় ইয়ারাবী।কি করবে এখন ও? পাপা আমি একটু আসছি এক্ষুনি।রেহানকে কথা গুলো বলে উঠে ছাদের দিকে এগিয়ে যায় ইয়ারাবী।
ছাদ খুব সুন্দর করে সাজানো হয়ছে।হোয়ইট আর ব্লু লাইটিং করা পুরো ছাদ।ইয়ারাবী ছাদে এসে দাঁড়ায় একটা হালকা বাতাস ওর শরীর মন ছুঁয়ে গেলো।ইয়ারাবী নিজের চুল খুলে কাঁধের ওপর ফেলে দিলো।
হঠাৎ লাইটের আধো আলোয় কাউকে দেখতে পায় ইয়ারাবী।একটা পুরুষ ছায়া ওর দিকে হেঁটে আসছে।ইয়ারাবী ভয়ে ভয়ে পিছুচ্ছে।হঠাৎ দেয়ালে লেগে গেলো ইয়ারাবী।তখনই পুরুষ ছায়া দৃশ্যমান হয়।
-আ আ আপনি ক ক কে?কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করলো ইয়ারাবী।
-এখনো চিনতে পারোনি আমায় বিউটিফুল?ইয়ারাবীর দিকে মুখ এগিয়ে আনে আরাভ।ইসস চেহারার মায়ায় পড়ে গেলো আরাভ।ছবি থেকে ও অনেক বেশি মায়াময়ী ইয়ারাবী।কি রুপ!!এ রুপের তুলনা হয়না।ইয়ারাবীর শরীর থেকে আসা একটা মিষ্টি ঘ্রান আরাভের মন প্রান জুড়ে গেলো।আরাভ চোখ বুজে ঘ্রান নিতে নিতে ইয়ারাবীর চুলের গভীরে ওর মুখ হারিয়ে গেলো।
-ক ক কি ককরছেন?ক ক কেউ চলে আসবে?চিৎকার করে উঠলো ইয়ারাবী।
আরাভ ওর ডান হাতের আঙ্গুল ইয়ারাবীর ঠোঁটের ওপর রেখে লিপস্টিক গুলো মুছে দিয়ে কানে ফিসফিসিয়ে বলল লিপস্টিক লাগিয়ে নিজের কাল ডেকে এনোনা বিউটিফুল।ইয়ারাবীর বুক ধড়াম ধড়াম করে লাফাচ্ছে।
সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
-আপ আপ আপনি প্লিজ সরে দাঁড়ান।কেউ দেখে নিবে।ভয় জড়িত কন্ঠে বলল ইয়ারাবী।
আরাভ বুঝতে পেরে সরে আসতেই ইয়ারাবী চলে যাওয়ার জন্য সামনে আগাতেই আরাভ ওর হাত টেনে ধরলো।
চোখ জোড়া বড় করে নেয় ইয়ারাবী।
-সরি এক্সেপ্ট করুন নয়তো ছাড়বোনা।বলে উঠে আরাভ।
-সরি এক্সেপ্ট করে নেই নয়তো এ লোক ছাড়বে বলে মনে হয়না।ওকে এক্সেপ্ট করলাম সরি এবার তো ছাড়ুন।
আরাভ ইয়ারাবীর হাত টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।ইয়ারাবী কিছু বলার আগেই আরাভ দুহাতে ইয়ারাবীকে বুকে জড়িয়ে ওর গালে আলতো করে ঠোঁট জোড়া ছুঁয়ে দিতে শুরু করলো।চোখ বুজে নিলো ইয়ারাবী।
চলবে