The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 12

ইয়ারাবী কোথা ও গিয়ে শান্তি পাচ্ছেনা।যেখানেই যাচ্ছে লোকটার নেশাতুর দৃষ্টি ওকে প্রত্যেক পদে পদে ঘায়েল করছে।যেখানেই যায় লোকটার মায়াবী চোখ জোড়া থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা।যেন সে ওকে চোখে চোখে রাখছে।অবশ্য ইয়ারাবী ও নিজের চোখ সরাতে পারছেনা লোকটা থেকে।কেমন যেন এই চোখজোড়ায় অদ্ভুত টান কাজ করছে।আর যতোবারই খয়েরী চোখজোড়ার দিকে চোখ পড়ে ততোবারই ছাদে ঘটা কাহিনী গুলো মনে পড়ে যাচ্ছে।আর তখনই লজ্জায় কুঁকড়ে যাচ্ছে ইয়ারাবী।কিছুঘন্টা আগে ও সব ঠিক ছিলো কিন্তু ছাদের থেকে আসার পরই হৃদয়ে যেন তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।কোনভাবেই নিয়ন্ত্রনে আনা যাচ্ছেনা।তার স্পর্শ গুলো অজান্তেই ভীষন ভালো লাগছিলো।সুখের সাগরে নিয়ে যাচ্ছিলো সেই সময়টায় যখন সে,,,,,,,,,,ইয়ারাবীর গালে চুমু দিতে দিতে ওর কাঁধের ওপর পড়ে থাকা চুল গুলো আলতো হাতে সরিয়ে দিলো আরাভ।তারপর কাঁধের ওপর থাকা গাঢ়ো তিলটা নজরে পড়ে আরাভের।তারপর সেদিকে তাকিয়ে দুষ্টু হাসে আরাভ।ইয়ারাবী চোখ বুজে রয়েছে।বুকটা ধড়াস ধড়াস করছে।ওর ঘন নিশ্বাস গুলো আরাভের নিশ্বাসের সাথে বাড়ি খাচ্ছে।আরাভ ইয়ারাবীর কাঁধ থেকে চোখ সরিয়ে ওর চোখ জোড়ার দিকে তাকায়।বন্ধচোখজোড়ার পাতা কাঁপছে।আরাভ চোখের পাতায় ঠোঁট ছোঁয়াতেই চোখ খুলে ইয়ারাবী।
গাল দুটো লাল হয়ে এসেছে লজ্জায়।
তারপর এক পা এক পা করে পিছিয়ে যেতে থাকে ইয়ারাবী।আরাভ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থেকে বুঝার চেষ্টা করছে কি করতে চাইছে এই মেয়ে?ছাদ থেকে বেরিয়ে সিড়ির কোনায় পা চলে যেতেই আরাভ ইয়ারাবী হাতের কুনুই ধরে ওকে সামলায়।
-পাগল আপনি?একটু হলেই পড়ে যেতেন?রেগে গিয়ে বলল আরাভ।
-আ আমি!!!পিছনে তাকায় ইয়ারাবী।ওর পা সিড়ির থেকে বেরিয়ে গেছিলো বেশ খানিকটা।
আরাভ ওকে নিজের কাছে টেনে আনলো।ইয়ারাবীর লম্বা চুল গুলো কাঁধের ওপর দিয়ে ফর্সা কাঁধ দুটো ঢেকে দিলো।তারপর নিজে পিছনে ফিরে দাঁড়ায়।ইয়ারাবী দৌড়ে নিচে চলে আসে।
বোনকে এমন অস্থির হতে দেখে কলিগদের কাছ থেকে সরে আসে আরাবী।
-ইয়ারাবী!!!! কি হলো তোর?আরাবী ইয়ারাবীর কাছে এসে বলল।
-জি আপু।না কিছুনা কি হবে আবার?আশেপাশে তাকিয়ে বলল ইয়ারাবী।
-ইয়ারাবীর চুলে হাত দেয় আরাবী।তোর চুলের এ অবস্থা কেন?
-আপু আসলে মানে!!!আরাবীর পিছনে তাকায় ইয়ারাবী।আরাভ ওর দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসছে।ইয়ারাবী সরে দাঁড়ায়।মানে আপু মনে হচ্ছিলো খোলা চুলেই ভালো লাগছে।নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বলল ইয়ারাবী।
-গাউনের সাথে খোলা চুল না খোপা ভালো লাগে।চল তোর চুল সেট করে দিচ্ছি।ইয়ারাবীকে নিয়ে রুমে চলে গেলো আরাবী।
বেশ সময় নিয়ে সুন্দর করে ইয়ারাবীর চুল খোপা করে দিলো আরাবী।খোপায় সাদা স্টোনের একটা কাঁটা ও গুঁজে দিলো যার কারনে খোঁপা টা আরও আকর্ষনীয় লাগছে।আরাবী নিজে আরেকটু রেডি হয়ে নিলো।
আরাভ রুহীকে দেখে উঠে ওর কাছে এগিয়ে এলো।
-ম,,,,,সরি আন্টি ওয়াশরুমটা কোন দিকে?মুখে কিছুটা হাসি নিয়ে বলল আরাভ।ও জানে ওয়াশরুম কোথায়?কিন্তু তারপর ও জিজ্ঞেস করলো।
-এসো আমার সাথে দেখিয়ে দিচ্ছি।বলে উঠে রুহী।
– জি ঠিক আছে।আরাভ রুহীর পাশাপাশি হাঁটতে লাগলো।
রুহী হাঁটছে আর আরাভকে এক মনে দেখে যাচ্ছে।আরাভ ব্যাপারটা বুঝতে পারলো যে মা ওকে দেখছে।কিন্তুকিছু করার নেই।হঠাৎ রোয়েন ওদের পথ আটকায়।
-রুহী কই যাও?জিজ্ঞেস করে রোয়েন।
-ওকে ওয়াশরুমে নিচ্ছি।বলে উঠে রুহী।
-একটু কাজ ছিলো রুহী।আরাভের দিকে এক নজর তাকিয়ে বলল রোয়েন।তখনই পাশ থেকে আরাভ বলল আন্টি আপনি আঙ্কেলের সাথে যান সামনেই ওয়াশরুম দেখা যাচ্ছে।
রুহী হেসে বলল আচ্ছা যাও।তারপর রোয়েনের সাথে অন্যদিকে চলে গেলো রুহী।আরাভ ওয়াশরুমে গিয়ে নিজের কাজ সেড়ে এলো।
-কি হলো?জিজ্ঞেস করে রুহী।
-রুহীর গলায় দুহাতে জড়িয়ে ধরলো রোয়েন।একটা কাপল ড্যান্স রাখলে কেমন হয়?
-খারাপ না।তুমি কি চাইছো কাপল ড্যান্স রাখতে?বলে উঠে রুহী।
-হুম।সেই সুযোগে আমরা ও একটু নেচে আমাদের স্পেশাল ডে টাকে স্মরনীয় করতাম।বলে উঠে রোয়েন।
-ওকে ঠিক আছে।রুহী বলে উঠলো।
ইয়ারাবীকে নিয়ে নিচে নেমে এলো আরাবী।কেক টাকে রুমের একদম মাঝে নিয়ে এলো দুবোন।রুহী আর রোয়েনকে পাশাপাশি কেকের সামনে দাঁড় করানো হয়েছে।আরাভ আর ওর আঙ্কেল আন্টি ও এসে দাঁড়ালো কেকের সামনে।রোয়েন আট রুহী কেক কাঁটতেই সজোরে সবাই বলে উঠলো”Happy Anniversary ‘আরাভ ইয়ারাবীকে দেখছে।ইয়ারাবীর চোখে চোখ পড়তেই নানান ইশারা করছে আরাভ।তা দেখে ইয়ারাবী অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।রোয়েন রুহী একে অপরকে কেক খাইয়ে আরাবী কে খাওয়ালো।ইয়ারাবী ও বাদ পড়লোনা।খালামনি জেঠু দুজনের হাতেই কেক খেয়েছে ও।রুহী কেকের একটুকরো নিয়ে আরাভের সামনে এসে দাঁড়ায়।আরাভের দিকে কেক বাঁড়ায় রুহী।আরাভ মাথা নিচু করে মায়ের হাতে কেক খেলো।আবার নিজে ও মাকে কেক খাওয়ালো।রুহীর চোখজোড়া জ্বলজ্বল করে উঠে।আরাভ রোয়েনকে ও কেক খাওয়ালো।রোয়েন ও অজান্তে নিজের ছেলেকে কেক খাওয়ায়।আরাবী ইয়ারাবীর হাত ধরে বলল
-চল একজনের সাথে দেখা করাই তোকে।
-কার সাথে আপু?জিজ্ঞেস করলো ইয়ারাবী।
-চল।গিয়ে দেখবি।ইয়ারাবীর হাত টেনে আরাভের সামনে দাঁড় করায় আরাবী।
ইয়ারাবী ওপরে তাকাতেই আরাভের চোখে চোখ পড়লো।আরাভ হালকা চোখ টিপে একটু হাসলো।
-মিঃ আরাভ এটা আমার ছোট বোন ইয়ারাবী।বলে উঠলো আরাবী।
-ইয়ারাবী!!!!ওহ ইয়ারাবী নাইস নেম।তারপর ইয়ারাবীর দিকে তাকায় আরাভ।হাত বাড়িয়ে বলল হ্যালো মিস ইয়ারাবী।
আরাবীর দিকে তাকাচ্ছে আবার আরাভের দিকে তাকাচ্ছে ইয়ারাবী।ভয়ে ভয়ে হাত বাড়িয়ে দিলো ইয়ারাবী।আরাভ ওর হাত ধরে হ্যান্ডশেক করলো।আরাভের মুখে দুষ্টু হাসি।
এরপর পালা এলো কাপল ড্যান্সের।সব ছেলে মেয়েরা গোল হয়ে দাঁড়ালো।এই নাচের নিয়ম হলো একমিনিট পর পর পার্টনার চেঞ্জ হবে।
আরাভ আসতে চাইছিলোনা।কিন্তু বোনের আবদারে ও না করতে পারলোনা।ইয়ারাবী পাশে তাকায় ওর পার্টনার কে দেখার জন্য।কিন্তু যা দেখলো ওর এক্সপ্রেশন ভুত দেখার থেকে ও ভয়ের ছিলো।হঠাৎ পুরো রুমের লাইট অফ হতেই ইয়ারাবী আরাভের হাত চেঁপে ধরলো।খুব হালকা নীল লাইট জ্বলে উঠলো।একসময় লাইটটা হালকা গোলাপী,সাদা সবুজ,বেগুনী রং এ পরিবর্তন হচ্ছে। ইয়ারাবী পাশে তাকায় কার হাত ধরে আছে ও?তখনই আরাভ ইয়ারাবীর হাত ধরে টেনে বুকের সাথে লাগিয়ে নেয়।পিছনে ইফতেখার ছিলো।ইয়ারাবী সরে গেলে ইফতেখারের সাথে বাড়ি খেত।ইয়ারাবী সরে আসতে নিলে আরাভ ওর হাত চেঁপে ধরলো।তারপর মাথা নিচু করে ফিসফিসিয়ে বলল মিস ইয়ারাবী ড্যান্স করবেন তো আমার সাথেই করতে হবে।আপনি যেখানেই যাননা কেন পার্টনার চেঞ্জ হবে।একসময় না একসময় আমার কাছে আসতেই হবে।এর চেয়ে ভালো আমার সাথেই শুরু করুন।
ইয়ারাবী চোখ বড় করে তাকায় আরাভের দিকে।আরাভ সামনে তাকিয়ে হাসলো।গান ছাড়া হলো,
Rehna tu pal pal dil ke paas
Judi rahe tujhse har ik saans
Khud pe pehle na itna yakeen
Mujhko ho paaya
Mushkil si ghadiyan aasaan huin
Ab jo tu aaya
Ik baat kahun tujhse
Tu paas hai jo mere
Seene se tere sarr ko lagaa ke
Sunti main rahun naam apna
Seene se tere sarr ko lagaa ke
Sunti main rahun naam apna
O lekhdi tera naa jindari zaaniye
Bas rehna tere naal ve zuriye
Rehna tu pal pal dil ke paas
Judi rahe tujhse har ik saans
Seene se tere sar ko laga ke
Sunta main rahun naam apna
O o naam apna
আরাভ।ইয়ারাবীর কোমড় চেঁপে নিজের সাথে জড়িয়ে রেখেছে।ইয়ারাবী অন্যদিকে চেয়ে ওর বুক ধুকপুক করছে।আরাভের হাত ইয়ারাবীর কোমড়ে হালকা স্লাইড করছে আবার সুড়সুড়ি দিচ্ছে।আরাভের ঠোঁটের কোনে হাসি আর ইয়ারাবীর চোখে ভয় একটু একটু ভালো লাগা।
এদিকে রোয়েন আর রুহী নিজেদের অতীতে ফিরে গেলো।রুপন্তী আর রেহানের এ্যাংগেজমেন্টের কথা মনে পড়ে গেলো।সেদিন তো এভাবে একে অপরকে জড়িয়ে রেখেছিল।
রুপন্তী আর রেহান ও নিজেরা একে অপরের মায়াবী চোখজোড়ায় ডুবে রয়েছে।পার্টনার চেঞ্জ হতে শুরু করলো।ইয়ারাবী চলে গেলো রেহানের কাছে আর রুপন্তী রোয়েনের সাথে।রুপন্তী হাসতে হাসতে শেষ।শালী দুলাভাই।রোয়েন ও হাসছে।রুহী আর আরাভ একসাথে নাচছে।সামিহা ইফতেখারকে কারোর সাথেই চেঞ্জ করেনি।স্বামীকে একটু বেশিই চোখে চোখে রাখে ও।আর আরাবী নাচছে ওর এক কলিগের সাথে।তারপর আবার ও পার্টনার চেঞ্জ হলো।ইয়ারাবী যথাসম্ভব ট্রাই করছে আরাভের হাতে না পড়ার জন্য।এদিকে আরাভ ইয়ারাবীকে নিজের কাছে আনার জন্য ধীরে এগুচ্ছে।রুপন্তী আরাভের সাথে নাচের সময় বারবার ওর দিকে তাকাচ্ছিলো।আপি ও বলছিলো এ লোক দেখতে নাকি ওদের আরাভের মতো।খালার এভাবে তাকানোয় কিছুটা ইতস্তত বোধ করছে আরাভ।এরপর ভাগ্যের টানে ইয়ারাবী আরাভের কাছে চলে এলো।তাও আবার গানের শেষ পর্যায়ে।আরাভ ইয়ারাবীর কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,
★★★★
-বলছিলাম না ঘুরে ফিরে আমার কাছেই আসতে হবে।ইয়ারাবী আরাভের দিকে নিরীহ চোখে তাকায়।আরাভ ইয়ারাবীকে সরিয়ে ঘুরিয়ে নিজের বুকের সাথে ওর পিঠ লাগিয়ে দিলো।নাচ শেষে লাইট জ্বলে উঠতেই ইয়ারাবী কে সরিয়ে আরাভ সেখান থেকে সরে যায়।ইয়ারাবী আরাভের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।এমন করলো কেন?ভেবে পায়না ইয়ারাবী।
আরাভ জুসবারের সামনে রাখা একটা টুলের ওপর বসে পড়লো।একটা ব্ল্যাক বেরির জুস অর্ডার করে বসে রইলো সামনে তাকিয়ে।
বসতে পারি??হঠাৎ পাশ থেকে কারোর কথায় ঘোর ভাঙ্গে আরাভের।পাশে তাকিয়ে দেখলো রোয়েন।
শিওর!!!বলে একটু সরে বসলো আরাভ।রোয়েনের গাজরের জুস দিয়ে গেলো একটা সার্ভেন্ট।আরাভ নিজের জুসে সিপ দিচ্ছে।
-তা কই থাকো যেন?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
-ভ্রু কুঁচকায় আরাভ।জি আমি ফ্লোরিডায় মিয়ামিতে থাকি।কিছুটা বিরক্ত হওয়ার চেষ্টা করে ও পারেনা আরাভ।
-শুনেছি অনেক বড় কোম্পানী আছে তোমাদের।অনেক নাম ডাক ও আছে।বলে উঠে রোয়েন।
-রোয়েনের দিকে একবার ও তাকায়না আরাভ কথা বলার সময়ে।জি আলহামদুলিল্লাহ।
-তা সেখানে কার সাথে থাকো?(রোয়েন)
-ছোট ভাই থাকে আমার সাথে।অন্য দিকে তাকিয়ে বলল আরাভ।
-হুম।কোম্পানী কি দুই ভাইয়ের নামে?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
-জি।Arvpon আমাদের কোম্পানীর নাম।বলে উঠে আরাভ।
-এতো বড় কোম্পানী তোমাদের।আমাদের কোম্পানীর সাথে ডিল সাইন করলে।বেশ ভালো কথা।আমার মেয়েটা খুব কষ্ট করে কোম্পানীটাকে এতো দূর এনেছে।বলে উঠে রোয়েন।
-সফল হতে হলে কষ্ট তো একটু করতেই হয়।সবাই করে আমরা দুই ভাই ও করেছি।
-রোয়েন মলিন হাসলো।
-তা আপনার হাসপাতালের কি কিছু হলো?জিজ্ঞেস করলো আরাভ।
-বড় নিশ্বাস নেয় রোয়েন।নাহ হয় নি।
-আরাভ চুপ হয়ে গেলো আবার।
-আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো সাজ্জাদ।আমরা দুজন অস্ট্রিয়ায় পড়াশুনা করেছি একসাথে।গতবছর হার্ট এটাক করে মারা গেছে ও।মন খারাপ করে বলল রোয়েন।
-আরাভ তাকায় বাবার দিকে।ওর চোখ ভরে আসে।ছোট বেলায় অনেক বার গেছিলো আঙ্কেলের কাছে পা দেখাতে।
রোয়েনের সাথে চোখাচোখি হতেই মাথা ঘুরিয়ে নিলো আরাভ।খুব খারাপ লাগলো শুনে।
-হুম মন খারাপ করে রোয়েন।
-মানুষ মরণশীল। একদিন সবাই মারা যাবে এটাই সত্যি।তাও কিছু মানুষ এ স্বল্প জীবন টাকে শুয়ে বসে কাঁটিয়ে দেয়।সামনে তাকিয়ে বলল আরাভ।
রোয়েন কিছু বলতে যাবে তখনই পিছন থেকে কেউ বলে উঠে আঙ্কেল আমরা আসি তাহলে।
পিছনে ফিরে রোয়েন।ইফতেখার আর ওর বৌ।
আচ্ছা বাবা আবার এসো ঠিক আছে?বলে উঠে রোয়েন।
জি আঙ্কেল আপনি ও আসবেন।আন্টিকে ও আনবেন।
আচ্ছা ঠিক আছে।(রোয়েন)
আরাভ সেখান থেকে উঠে চলে আসে।ওর চোখজোড়া খুঁজছে ইয়ারাবীকে।কিন্তু পায়নি।আকরাম আজহার একজনের সাথে দিব্যি গল্প করছেন।হঠাৎ খুব চিৎকার শুনতে পেলো আরাভ।খেয়াল করলো আরাবীর সাথে দুজন লোক বেয়াদবি করছে।আরাবী কলিগদের সাথে কথা বলছিলো।ঐ লোকদুটো বড় ব্যাবসায়ী।মদ্যপান করে সেদিক দিয়েই যাচ্ছিলো।হঠাৎ আরাবী কে দেখে ওরা ওকে বিরক্ত করতে শুরু করে।
লোকগুলা ওর হাত ধরে টান দিতেই আরাবী ওদের চড় মেরে দিলো।
পাশের মোটা লোকটা আরাবীকে চড় মারতে যাবে ঠিক তখনই আরাভ লোকটার হাত চেঁপে মুচড়ে ধরে।
-এতো সাহস কি করে হয় তোর ওনার গায়ে হাত দেয়ার?গলা ফাঁটিয়ে চিৎকার করলো আরাভ।
-তুই চিনিস আমাকে?কতো বড় বিজনেস ম্যান আমি।তোকে শেষ করে দিবো মুহূর্তেই।লোকটা বলে উঠলো।
পিছনের লোকটা আরাবীর হাত ছেড়ে আরাভের গলা পিছন থেকে চেঁপে ধরলো।আরাভ পিছনের লোকটা কে কিছু করতে পারছেনা।সামনের লোকটার হাত জোরে মুচড়ে ভেঙ্গে দিয়ে পিছনের লোকটাকে সামনে এনে বেধড়ম পেটালো।
মেয়েদের দিকে তাকানোর আগে নিজের ঘরে।মা বোনের কথা চিন্তা করবি।সে ও একজনের বোন হয়।নিজের বোনের গায়ে হাত দিতে পারবি?অসভ্য ইতর!!!
চিৎকার করতে লাগলো আরাভ।
এদিকে এতো চেঁচামেচিতে রুপন্তী মেয়ে কে নিয়ে এসে দাঁড়ায়।আরাভের গলা চেঁপে ধরতে দেখে ইয়ারাবী কেঁদে দিলো।ইচ্ছে হচ্ছে ওনাকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসতে।
পরে আরাভের শক্তি দেখে ইয়ারাবী কিছুটা স্বস্তি পায়।
রুপন্তী সেদিক থেকে চোখ সরিয়ে মেয়ের দিকে তাকায়।
-কাঁদছিস কেন মামনি?জিজ্ঞেস করে রুপন্তী।
-না মাম্মা চোখে কি যেন পড়লো।চোখে হাত দিয়ে বলল ইয়ারাবী।
-চল তোর চোখ দেখি।ইয়ারাবীকে নিয়ে ওয়াশরুমে গেলো রুপন্তী।
আরাভ আকরাম আজহার আর আন্টিকে তৈরি হতে বলল।আরাবী আরাভের কাছে এসে দাঁড়ায়।
-থ্যাংকস মিঃ আরাভ।আপনি না থাকলে আজ বাঁচতে পারতামনা।
-হালকা হেসে সরে গেলো আরাভ।
চলবে