The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 70

রুহী যোহরের নামাজ পড়ে নেয় গোসল সেড়ে।
রোয়েন ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নেয়।আজ কালো পাঞ্জাবী পরেছে ও।সাথে সাদা পাঞ্জাবী।চুল গুলো ব্রাশ করে নিয়েছে।হাতে কালো চেইনের ঘড়ি।আর সাথে মনমাতানো পারফিউম।রুহী নামাজ সেড়ে উঠে খাটে বসে আছে।যেতে ইচ্ছে হচ্ছেনা। কেন যেন মনটাই টানছেনা।রোয়েন তখন রুহীর রুমের সামনে এসে দাঁড়ায়। রুহীকে বসে থাকতে দেখে রোয়েন রুমে ঢুকে রুহীর সামনে এসে দাঁড়ায়। রুহী রোয়েনের উপস্থিতি বুঝেও মাথা নুইয়ে বসে আছে।রোয়েন বলল,
.
.
-”রেডি হচ্ছো না কেন?”
-”সেই কৈফিয়ত আপনাকে দিবো নাকি?”
-”কথাটা ভালভাবে জিজ্ঞেস করেছি।তো উত্তর টাও ভালভাবেই আশা করি।”
.
.
রুহী কিছু না বলে বসে আছে।রোয়েন রুহীর পাযহে এসে বসে।রুহীর এক হাত নিজের দুহাতের ভাজে নেয়।রুহী বলল,
.
.
-”রুহী তোমার জন্য ব্যাপারটা সহজ না।সেটা বুঝতে পারছি।কিন্তু রুহী একটা জিনিস চিন্তা করে দেখ তোমার বাবা খুশি আছেন।এই লোকটা ২২ বছর অবিবাহিত ছিল তোমার কথা ভেবে।কিন্তু আমার কারনেই সে বিয়ে করল।তাকে আমি বাধ্য করেছি।কারন দেখ আমরা যখন দার্জিলিং এ ছিলাম তখন উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।তখন তুমি ওনার যত্ন নিতে পেরেছিলে বলো?পারোনি।ওনির যত্ন নিয়েছিলো মিস আনিলা শোহরাব।রুহী দেখো তোমার বিয়ে হয়েছে।তোমার নিজের সংসার হয়েছে।তুমি তো সবসময় ওনার খেয়াল রাখতে পারবেনা তাইনা?ওনার বয়স হয়েছে রুহী।ওনার খেয়াল রাখা উচিৎ তাই না?দেখো ওনি আগে অনেকটা অসহায় ছিলেন।ছেলে মেয়ে আর নেই তুমি ছাড়া।ওনার ও জীবন সঙ্গী দরকার ছিলো রুহী।সে সঙ্গী আনিলা শোহরাবই।কারন ওনি তোমার বাবাকে ভালবাসেন অনেক আগের থেকে যখন তুমি হওনি।”
.
.
রুহী রোয়েনের দিকে কান্না জড়িত চোখে তাকায়।রোয়েন খাটের ওপর রাখা শাড়ীটা রুহীর হাতে দিয়ে ওর গালে হাত রেখে কাছে টেনে নেয়।তারপর রুহীর মাথার পিছনে মুখ নিয়ে ওর ঘাঁড়ে চুমু খায়।রুহী কেঁপে উঠে রোয়েনের হাত আলতো করে স্পর্শ করে।একটু পর সরে আসে রোয়েন।রুহী মাথা নিচু করে থাকে।রোয়েন বলল,
.
.
-”রেডি হয়ে নাও।”
.
.
রুহী কিছু না বলে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।রোয়েন বেরিয়ে আসে।রুহী শাড়ী পরে একটু রেডি হয়ে নেয়।তারপর রুম ছেড়ে বেরিয়ে আসে।রোয়েন রুহীকে দেখে সবসময়কার মতো ওর রুপে জ্ঞানহারা হয়।কি করবে?বৌ টা যে এতোটাই রুপসী।ওর সৌন্দর্যে নিজেকে কিভাবে ঠিক রাখবে রোয়েন?রুহীকে দেখে কথা গুলো ভাবতে রুহী রোয়েনের কাছে এসে দাঁড়ায়।রুহী একবার পুরোটা দেখে নেয় রোয়েন।গাঢ় নীল শাড়ীটাতে কতোটা অপরুপ লাগছে বলে বুঝাতে পারবেনা রোয়েন।রুহী রেগে রোয়েনের দিকে তাকাতেই রোয়েন মজা করে বলল,
.
.
-”ইসস ঘায়েল হয়ে গেলাম যে?”
-”উফ বিরক্তি!!!”
.
.
বলেই রুহী নিচে নেমে আসে।রোয়েন রুহীর পিছনো নেমে আসে দূষ্টু হাসি দিয়ে।দুজনে বেরিয়ে পড়ে রেজোয়ান মাহবুবের বাসার উদ্দেশ্যে।সেখানে গিয়ে ওরা দেখলো আনিলা মাছ ভাজি করছেন।কিচেন হুডের শব্দে পুরো বাসা মুখরিত।রেজোয়ান মাহবুব দরজা খুলে দেন।রুহী বাবাকে জড়িয়ে ধরে।তখনই আনিলা মাছ রেখে ওদের কাছে আসে।রোয়েন দুজনকে মুখে সালাম জানায়।আনিলা সালামের উত্তর দিয়ে রুহীকে বুকে টেনে নেয়।রুহীর যেন মনে হলো ওনি যতোটুকুই ভালবাসেন হয়ত সত্যি।কারন বুকে টেনে নেয়ার সময় মনে হচ্ছিলো প্রচন্ড মায়া আছে।রুহী সরে আসে ওনার কাছ থেকে।আনিলা বলেন,
.
.
-”তোমরা ভিতরে এসে বসো।আমার বাবা এসেছেন।”
-”ওনার সাথে দেখা করে আসি তাহলে।”
.
.
বলে উঠে রোয়েন।আনিলা হেসে সায় দেন।রোয়েন রুহীকে নিয়ে আনিলার বলে দেয়া রুমে আসে।রুহী দেখতে পায় একজন বয়স্ক লোক খাটে শুয়ে আছে।কিছুটা অসুস্থ লাগছে তাকে।রুহী ওনাকে সালাম করে দাঁড়িয়ে থাকে।তাজোয়ার শোহরাব বললেন,
.
.
-”রুহী বসো এখানে।আমি তো সম্পর্কে তোমার নানা হবো।”
.
.
রুহী বসতে চাইছেনা।রোয়েন চোখ রাঙ্গাতেই রুহী বসে যায়।তাজোয়ার শোহরাব বুঝতে পারছেন বিয়েটা মেনে নিতে এখন পারছেনা রুহী।তাজোয়ার শোহরাবের সাথে একটু কথা বলে রুহীকে নিয়ে বেরিয়ে আসে রোয়েন।রুহী আর রোয়েন কে আনিলা মন ভরে খাইয়েছেন।ওনার রান্না ও বেশ।রুহী না চাইতে ও ভালোই খেয়েছে।লাঞ্চ করে আর ও কিছুসময় গল্প করে বেরিয়ে আসে ওরা নিজেদের ঘরের উদ্দেশ্যে।ঘরে ফিরে রুহী রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়।সে ঘরে যতক্ষন ছিলো ওর বাবা বলছিলো আনিলা এটা করো আনিলা সেটা করো।রুহীকে এটা দাও ওটা দাও।মোট কথা আনিলা কে ওর বাবা ও স্ত্রী মানতে শুরু করেছে।মা এতো সহজ কেন সব কিছু মেনে নেয়া?ভালবাসা ভুলে যাওয়া কি এতো সহজ মা?রুহী কাঁদতে থাকে।
সন্ধ্যায় রুমের দরজা খুলে।সামনে ওদের রুম দেখতে পায়।সেখানে একটা লাগেজ আর রোয়েনের হাত ব্যাগটা গুছানো।রুহী চিন্তায় পড়ে গেলো এভাবে প্যাকিং করলো কেন রোয়েন?রুহী দেখার চেষ্টা করে ভিতরে সে আছে কিনা?নাহ পেলো না তো।রুহী এবার একপা একপা করে এগোয়।লাগেজটায় কাগজ লাগানো কস্টিপ দিয়ে। রুহী পড়ার জন্য নিচে ঝুঁকতে গেলে কেউ যেন পিছন থেকে ওর কোমড় চেঁপে ধরে।রুহী লাফিয়ে উঠতে নিলে রোয়েন ওর কাঁধে চুমু খেয়ে বলল,
.
.
-”ভয় পেও না আমি।”
.
.
রুহীর এবার যেন একটু আশ্বস্ত হলো।তারপর ও নিজেকে ছাড়াতে চাইছে ও।রোয়েন এবার বলল,
.
.
-”এত নড়াচড়া করলে কি করে হবে বলো?আজ তো অন্তত আমার বাহুডোরে শান্ত হয়ে থাকো।কালকের পর হয়ত আমার এই স্পর্শ গুলো কে মিস করবে।”
.
.
রুহীর বুক ধড়াস ধড়াস করছে।এভাবে কেন বলছে সে?রোয়েন বলল,
.
.
-”কাল সুইজারল্যান্ড যাচ্ছি কাজে।পনের দিনের জন্য।”
.
.
রুহী সরে আসতে চেষ্টা করে কিন্তু লোকটা ওকে শক্ত করে ধরে আছে।
.
.
-”এমন করছো কেন?তোমারই তো বর আমি।একটু শান্ত হয়ে থাকো।খেয়ে ফেলবো না তোমাকে।”
.
.
রুহীর হাসি পায়।তারপর ও শক্ত করে রেখেছে মুখ।রুহীর দিকে তাকায় রোয়েন।তারপর বলল,
.
.
-”আই লাভ দিস এ্যাটিচিউড।আফটার অল কোব্রা কিং এর ওয়াইফ তুমি।”
.
.
রুহীর ভালো লাগছে না।রোয়েনের হাতে চিমটি কেঁটে দেয়।রোয়েন ব্যাথায় আর্তনাদ করে উঠে।তাতে ওর হাতজোড়া রুহীর পেটে আলগা হয়ে আসে।রুহী সেই সুযোগে দৌড়ে বেরিয়ে যায়।রুহী নিচে নেমে আসে।ও খেয়াল করলো কিছুসময় পরই রোয়েন বেরিয়ে গেছে ঘর থেকে।রুহী একবার রোয়েনকে দেখে কাজে মন দেয়।
রাত এগারোটা রোয়েনের আসার নাম নেই।রুহী নিচে হাঁটা হাঁটি করছে কই গেলো সে?উপরে উঠে এলো ও।রোয়েন নিজের রুমটাকে আজ একটু বেশিই গুছিয়ে রেখেছে।রুহী খেয়াল করে দরজার মাঝে একটা কাগজ লাগানো।সেখানে লিখা,কামড়টার প্রতিশোধ সুদে আসলে নিবো।কই কই কামড় খাবে সেটা চিন্তা ও করতে পারবেনা মাই কুইন।”
.
.
-”হুহ যত্তসব ফালতু চিন্তা ধারা।”
.
.
কিছুটা বিরক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে রুহী।রাত বারোটায় ঘরে আসে রোয়েন।কিছুটা হন্তদন্ত হয়ে উপরে উঠে যায় ও।রুহী টেবিলে খাবার বেড়ে সেখানে অপেক্ষা করছে রোয়েনের।কিছুক্ষন পর নিচে আসে রোয়েন।খেতে বসে যায় কিন্তু রুহীর সাথে কোন প্রকার কথা বলেনি।রুহী ও নিজে নরমাল আছে।খেয়ে দেয়ে রুমে চলে যায় রোয়েন।রুহী পুরো বাসার লাইট অফ করে রুমে যাওয়ার পথে রোয়েনের রুমের দিকে তাকায়।দরজা একটু চাঁপানো।ভিতরে হালকা চাঁদের আলো পড়েছে।চমৎকার লাগছে।একটু গুনগুন শব্দ শুনতে পায় রুহী।বেশ কৌতুহল হয় রুহীর।দরজা খুলে রুমে ঢুকে খেয়াল করে পুরো রুম ঠান্ডা হয়ে আছে।রুহী শাড়ীর আঁচল টাকে অপর কাঁধে জড়িয়ে দিলো।
আশেপাশে তাকাচ্ছে ও।হঠাৎ রুহীর হাত টেনে কেউ যেন নিজের কাছে নিয়ে এলো।ওর সামনে ওর প্রিয় মানুষটা। রুহী রোয়েনকে দেখছে।রোয়েন রুহীকে বুকে টেনে নিলো।তারপর হালকা দুলিয়ে নাচতে শুরু করে।কোথা থেকে যেন গান শুরু হয়।
Kaise mujhe tum mil gayi?
Kismat pe aaye na yakin.
Utar aayi jheel mein
Jaise chaand utartaa hai kabhi
houley houley, dheere se.
Gunguni dhoop ki tarah se tarannum mein tum
Chhookey mujhe Guzri ho yun.
Dekhoon tumhe, Ya main sunoo.
Tum ho sukoon, Tum ho junoo.
Kyun pehle na Aayi tum?
Kaise mujhe tum mil gayi?
Kismat pe aaye na yakin.
Main to ye sochta tha ke aaj kal
Upar wale ko fursat nahi.
Phir bhi tumhe banake woh
Meri nazar mein chadh gaya.
Rutbe mein woh aur badh gaya.
গান শেষ হয়ে গেলো।রুহীকে এখন ও বুক থেকে সরায়নি রোয়েন।রুহী সরতে চাইছে।রোয়েন ওকে ধরে রেখেছে শক্ত করে।
.
.
-”রুহী আর কতো দূরে থাকবে বলো?আমাকে মেরে ফেলছো ধীরে ধীরে।আমার হৃদয়ের রক্তক্ষরনটাকে দেখতে পাচ্ছো না তুমি।আমি বড্ড অস্থির হয়ে আছি রুহী।কেন দেখতে পাচ্ছোনা কেন বুঝতে পারছো না আমার অস্থিরতাকে।আমার হৃদয় টা আজ একদম প্রান হীন রুহী।আমার তোমাকে চাই রুহী তোমার ভালবাসাটা চাই।কেন আমাকে দূরে সরিয়ে রাখছো বলো তো?কেন ভুলে যাচ্ছো ভালবাসাটাকে।আমি তোমাকে অনেক ভালবাসতে চাই।অনেক ভালবাসতে চাই।আই লাভ ইউ রুহী আই লাভ ইউ।”
.
.
রোয়েনের কথা গুলো শুনে রুহী কাঁদতে শুরু করেছে।রোয়েন রুহীর মুখ উঠিয়ে ওর পুরো মুখে চুমু খেতে শুরু করে।এভাবেই রুহীকে নিয়ে শুয়ে পড়ে খাটে।রুহীর ঠোঁট শুষে নিতে নিতে ওর শাড়ী ভেদ করে পেটে হাত ছোঁয়ায় রোয়েন।
চলবে