The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 58

আনিলা শোহরাবকে দেখে বেশ অবাক হলেন রেজোয়ান মাহবুব।রোয়েনের গুপ্তচর হবার সুবাদে তাকে বেশির ভাগ সময় এখানে ওখানে কাটাতে হয়।প্রায়শই দেশের বাহিরে ও যায়।কখন আসে কখন যায় তার কোন হদিস পাওয়া যায়না।আনিলা শোহরাব এমনি তেই বেশ রুপবতী।বয়স আঁচ করা যায়না।যার কারনে তার কাজ বেশ সহজ হয়ে যায়। খুব সহজে শত্রুপক্ষদের মাঝে ঢুকে গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।যার কারনে আনিলা শোহরাব রোয়েনের বেশ পছন্দ।কারন সে বেশ নিখুঁত ভাবে কাজ করতে পারে।রেজোয়ান মাহবুব উঠে বসতে চাইলে আনিলা শোহরাব ওনাকে থামায়।তারপর ওনার পাশে বসে বললেন,
.
.
-”শুয়ে থাক।তোমাকে বেড রেস্টে থাকতে হবে কয়েকদিন।”
-”সেটা ঠিক আছে।কিন্তু তুমি কবে এলে?”
-”স্যার যেদিন গেলো সেদিন অফিসেই ছিলাম।”
-”আমি দেখিনি কেন?”
-”তুমি কেন কেউই দেখেনি।যাকগে স্যুপ এনেছি খেয়ে নাও।অনেক দূর্বল তুমি।”
-”কিন্তু আমার কি হয়েছে?অফিসে ছিলাম। ”
-”জ্ঞান হারিয়েছিলে।রামীন সহ তোমাকে এখানে নিয়ে এলাম।ডাক্তার বলল তোমার মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে।খুব সাবধানে থাকতে হবে।উত্তেজিত হলে আরো বড় দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।”
.
.
শেষ কথাটা বলার মুহূর্তে আনিলা শোহরাবের চোখজোড়া জ্বলজ্বল করে উঠে।রেজোয়ান মাহবুবের কেমন অস্বস্তি হচ্ছে।ওনি একটু বিরক্তি নিয়ে বললেন,
.
.
-”দেখো আমি ঠিক আছি।তোমার যাওয়া উচিৎ।”
-”তুমি ঠিক আছো কি নেই সেটা আমি জানবো।কারন ডাক্তারের সাথে আমি কথা বলেছি তুমি না।সুতরাং স্যুপটা খেয়ে ঘুমাতে চেষ্টা করো।”
-”আনিলা প্লিজ,,,,,,,,,,,”
-”একদম চুপ।”
.
.
রেজোয়ান মাহবুব কিছু বলতে পারলেননা।ওনার ভালো লাগছেনা।মনে হচ্ছে প্রয়াত স্ত্রীকে ধোকা দিচ্ছেন।আনিলা শোহরাব রেজোয়ান মাহবুবকে কিছুক্ষন দেখে চামচে স্যুপ নিয়ে ওনার দিকে ধরেন।রেজোয়ান মাহবুব চামচ আর বাটি নিজ হাতে নেয়ার জন্য হাত বাড়িয়ে বলে উঠেন,
.
.
-”আমাকে দাও আমি খাচ্ছি।”
-”তোমার এখন উঠে ঠিক মতো বসার শক্তিটাও নেই।নিজে কিভাবে খাবে।চুপ করে আমার হাতে খেয়ে নাও।”
-”আমি পারবো।”
-”শশশশশ।ত্যাড়ামী স্বভাবটা কবে যাবে বলো তো?”
.
.
রেজোয়ান মাহবুব আর কিছু বললেননা।চুপচাপ আনিলা শোহরাবের হাতে খেয়ে নেন।খাওয়ার মাঝে ওনার ঠোটের কোনে চিকেনের একটু লেগে যায়।আনিলা শোহরাব অনেকটা কাছে এগিয়ে আসেন।তারপর মুচকি হেসে হাত দিয়ে মাংসটা সরিয়ে নেন।রেজোয়ান মাহবুব এক ঝটকায় মাথা সরিয়ে নেন।আনিলা শোহরাব হেসে ওনাকে জোর করে নিজের দিকে ফিরিয়ে খাইয়ে দিয়ে ঔষধ দেন।রেজোয়ান মাহবুব শুয়ে পড়তে পড়তে বললেন,
.
.
-”আমি ঘুমোবো।লাইট বন্ধ করে যাও।”
-”তোমাকে আটকে রাখিনি।ঘুমাও তুমি।আমি এখানে কাজ করবো ওখানে নেট কানেকশান ভালোনা।”
.
.
রেজোয়ান মাহবুব অপরপাশ ফিরে শুয়ে পড়েন।আনিলা শোহরাব উঠে লাইট বন্ধ করে দেন রুমের।রেজোয়ান মাহবুব কে দেখানোর জন্য ল্যাপটপ খুলে বসেন।কিন্তু এখানে বসেছেন একমাত্র রেজোয়ান মাহবুবের জন্য।কিছুটা সময় বসে তাকে দেখার জন্য তার খেয়াল রাখার জন্য।এদিকে রোয়েন রুহী হোটেলে ফিরে আসে।রুমে এসে ওরা চেঞ্জ করে নিচে নেমে পড়ে ডিনারের জন্য।ওয়েটার এসে ওদের সামনে দাঁড়িয়ে ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করে,
.
.
-”স্যার কি খাবেন?
-”আপনাদের কি আছে এখানে?”
-স্যার আমাদের এখানে স্পেশাল ডিশ হচ্ছে কোয়াতি।এটা এখানকার ট্র্যাডিশনাল ফুড।”
-”জিনিস টা কি?”ভ্রু কুঁচকায় রোয়েন।
-”স্যার এটা হলো মিক্সড স্যপু ভেজিটেবল আর মুরগীর মাংসের।”
-”রুহী খাবা এটা?”
-”এখানে যেহেতু এসেছি টেস্ট করে দেখি।”
-”একটা অর্ডার করি। ভাল লাগলে আরেকটা নিবো।”
-”আচ্ছা।”
-”একটা আপনাদের কোয়াতি স্যুপ আর দুকাপ কফি।ওটা পরে হবে।”
-”ওকে স্যার আর কিছু?”
-”না ঠিক আছে।”
.
.
লোকটা চলে যায়।রোয়েন রুহীর হাতের ওপর হাত রেখে ওর গালে চুমু দেয়।রুহী লজ্জায় মুখ অন্যদিকে ফিরিয়ে নেয়।লোকটা কিছুক্ষন পর একটা বড় বাটি নিয়ে আসে।সেখানে প্রায় এক বাটি স্যুপ।দুটো চামুচ এনেছে লোকটা।রোয়েন রুহী দুজনে একটু খেয়ে নেয়।বেশ ভাল তবে ওদের আর লাগবেনা।খাওয়া শেষে রোয়েন বিলপে রুমে চলে যায়।ওদের রুমের বারান্দা দিয়ে তাকালে একটা কৃত্রিম ঝড়না আছে।পাহাড়টা ও কৃত্রিম।সেখান থেকে নির্গত হওয়া পানি গুলো রং পাল্টাচ্ছে।রুহী সেদিকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে থাকে।কিছুক্ষন পর রোয়েন ওর পাশে এসে দাঁড়ায়।রোয়েন রুহীর মাথার কিনারায় নাক ঘষে গরম নিশ্বাস ছাড়ছে।ওর চোখজোড়া বন্ধ।রুহী আর ঝড়নার দিকে মনযোগ দিতে পারেনা।রোয়েন ওকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে ওর গলায় নাক ঘষতে শুরু করে।রুহী রোয়েনের শার্ট খাঁমচে ধরে আছে।কিছুক্ষন পর রোয়েন মাথা উঠিয়ে রুহীর শব্দ করে চুমু খেয়ে ওর পাশে শুয়ে রুহীকে নিজের দিকে ফিরিয়ে নেয়।দুজনের মুখে হাসি।রোয়েন রুহীর কাপড়ের নিচে দিয়ে রুহীর শীতল পেটে হাত রাখে।রুহী রোয়েনের খালি বুকে হাত ছোঁয়ায়।
.
.
-”রুহী তোমাকে দেখলে নিজের মাঝেই থাকিনা আমি।যেদিন তোমায় প্রথম দেখেছিলাম সেদিন আর নিজ দুনিয়ায় ছিলামনা।”
-”আমি আসার পর যেদিন প্রথম এসেছিলেন বাসায় সেদিন প্রথম দেখেছিলেন আমাকে।”
-”না তুমি তোমার বাবাকে এ্যাংগেজমেন্টের জন্য কাপড় কিনে সেগুলো পরে ছবি পাঠিয়েছিলে সেগুলো আমি ও দেখেছিলাম।এরপর তুমি চলে এসেছিলে।বাংলাদেশে আসার পর তোমাকে লুকিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম।চুলের পানি ঝড়াচ্ছিলে তুমি।”
-”ওহ।আমি তো ভয়ই পেয়ে গিয়ে ছিলাম।বেরিয়ে ছিলাম যে কে এসেছে।তাহলে কই ছিলেন তখন আপনি?”
-”তুমি যখন বেরিয়েছিলে ঠিক তোমার পিছে ছিলাম।এবং তুমি খু্জে মরিয়া হচ্ছিলে কে তোমায় লুকিয়ে দেখছিলো।”
-”আমার জান বের হয়ে যাচ্ছিলো।কিন্তু আপনি তো আমাকে ভালবাসতেন।তাহলে সবসময় রাগী চোখে তাকাতেন কেন?”
-”কারন আমি সবসময় তোমার ওপর নজর রাখতাম।কিন্তু যখনই কাছে পেতাম তোমাকে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রন থাকতোনা।”
-”কিন্তু বিয়ের আগে নিজেকে যথেষ্ঠ কন্ট্রোল করেছিলেন।”
-”কারন আমি চাইনি তোমার কোন ক্ষতি হোক আমার দ্বারা।”
.
.
রুহী এবার রোয়েনের কাছে এগিয়ে এসে বুকে চুমু খেয়ে বলল,
.
.
-”এখানে সারাজীবন থাকতে চাই রোয়েন।কখনো হারাতে চাইনা।”
.
.
রোয়েন কিছু না বলে বুকে টেনে নেয় রুহীকে।তারপর দুজনে ঘুমিয়ে যায়।এদিকে রেজোয়ান মাহবুবের রুমে সারারাত কাঁটিয়ে দেন আনিলা শোহরাব।সকাল ভোরে অন্য রুমে চলে যান।সকালে রোয়েন আর রুহী উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে নাস্তা করতে যায়।ওয়েটার থেকে জানতে পারলো আজ এখানে একটা মেলা হবে।নাচ গান হয়।অনেকে বার্বিকিউ করে।ওরা নাস্তা করে রুমে এসে রেডি হয়ে নেয়।এদিকে রামীন তখনই রোয়েনকে কল দেয়।রোয়েন ফোন রিসিভ করে বেশ কিছু সময় চুপ থাকে।তারপর বারাম্দায় চলে যায়।রুহী বুঝতে পারছেনা কি হলো হঠাৎ?রুহী কাপড় পাল্টিয়ে বারান্দায় এসে রোয়েনের পিছে দাঁড়ায়।
.
.
-”এখন কেমন আছে বাবা?”
-”ভালোই আছে।তবে ডাক্তার সাবধানে থাকতে বলেছে।”
-”হুম।আচ্ছা রাখছি রুহী রুমে আছে।”
-”আচ্ছা ঠিক আছে।”
.
.
ফোন কেঁটে রুমে আসে রোয়েন।রুহী খাটে বসে কাঁদছে।ঘাবড়ে গেলো রোয়েন।রুহীর পাশে এসে বসে রুহীর গালে হাত রাখে,
.
.
-”কি হয়েছে তোমার?”
-”ছুঁবেননা আমাকে।”রোয়েনের হাত ছুড়ে দেয় রুহী।
.
.
বেশ অবাক রোয়েন।রুহী কি তাহলে শুনে নিয়েছে?তারপর ও জিজ্ঞেস করে,
.
.
-”কি হয়েছে তোমার?”
-”আপনি আমার থেকে বাবার খবর লুকালেন কেন?আমি এখনই বাংলাদেশে যাবো।আপনি টিকিট বুক করেন।”রুহী কাপড় গুছাতে শুরু করে।
.
.
রোয়েন রুহীকে দৌড়ে ধরে নিজের সাথে লাগিয়ে নেয়।রুহী নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করছে আর কান্না করছে।রোয়েন এবার ধমক দিলো,
.
.
-”রুহী একদম চুপ করে আমার কথা শুনো।তোমার বাবা ভালো আছে।ওনার মাইল্ড স্ট্রোক করেছিলো। এখন ভালো আছেন ওনি।বিয়ের আগে নানা নানুকে নিয়ে যে কান্ড ঘটিয়েছিলে সেটা নিয়ে ওনি চিন্তয় করতো।যার কারনে স্ট্রোক করেছেন ওনি।এখন ভালো আছেন ওনি।তুৃমি এমন করলে ওনার টেনশন বেড়ে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।আর এ খবর আমি আজকেই জানলাম।তোমাকে ও বলতাম।কিন্তু তুমি তো না বুঝেই,,,,,,,,,,,”
.
.
রোয়েন সরে এসে পিছনে ফিরে দাঁড়ায়। রুহী রোয়েনকে পিছন থেকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকে।
.
.
-”ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম খুব। ভাবছিলাম আপনি আমার থেকে লুকাচ্ছেন।বারন্দায় গিয়ে কথা বলছিলেন কেন বলেন?আমার তাই বেশি ভয় লাগছিলো।রোয়েন প্লিজ রাগ করবেননা।”
.
.
রোয়েন এবার সামনে ফিরে রুহীকে বলল,
.
.
-”রুহী আমি চাই তুমি সবসময় আমার কথা শুনবে।আমাকে অবিশ্বাস করোনা কখনো।আমি মরে যাবো তুমি এমন করলে।”
.
.
রোয়েনকে জোরে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে রুহী।কিছুক্ষন পর রুহীকে পানি খাইয়ে দিয়ে শান্ত করে রোয়েন।তারপর রেজোয়ান মাহবুবের সাথে ওকে কথা বলিয়ে দেয়।বাবাকে সুস্থ পেয়ে এবার স্বাভাবিক হয় রুহী।বারবার বলছিলো কোন চিন্তা না করতে।রেজোয়ান মাহবুব ও মেয়ের কথায় হাসেন।এরপর রোয়েন ওকে নিয়ে বেরিয়ে যায়।দুজনে চা বাগানে আসে।রুহীর মন অতোটা ভালো নেই।বাবাকে খুব মনে পড়ছে।রোয়েনের নিজের ও ভালো লাগছেনা।কিন্তু ও চায়না রুহীর মন খারাপ থাকুক।রুহীকে নিয়ে চা বাগানে অনেকগুলো ছবি তুলে রোয়েন।বিকেলে ওরা বেরিয়ে আসে।এবং সেখান থেকে দার্জিলিং মলে আসে।মলটার বাহিরে মনে হতে পারে সাদাসিধে কিন্তু ভিতরে সুন্দর।ওরা কিছু গিফ্টস কিনলো সবার জন্য।কারন দার্জিলিং এ আজ ওদের শেষ দিন।কাল যাবে ইন্ডিয়ার রাজ্য সিক্কিমে।শপিং শেষ করতে করতে সাতটা বেজে যায়।সেখান থেকে বেরিয়ে হোটেলের পথ ধরে।
হোটেলে এসে কাপড় চোপড় পাল্টে দুজনে দু মগ কফি নিয়ে বসে।ওরা কফি খাওয়ার মাঝেই গল্প করছিলো।কফি শেষ হলে রোয়েন বলল,
.
.
-”রুহী চলো নিচে গিয়ে হেঁটে আসি।কাল তো চলেই যাবো।”
-”হুম চলুন।”
.
.
রুহী গায়ের ওপর পাতলা একটা চাদর জড়িয়ে নেয়।দুজনে বেরিয়ে আসে।রাস্তায় নেমে ওরা হাঁটতে থাকে।একপাশে বড় মাঠ আর অপর পাশে পাহাড়।হঠাৎ ওদের চোখ পড়ে মাঠের ওপর জ্বলন্ত আগুনের দিকে।দুজনে সেদিকে চলে আসে।কিছু ছেলে মেয়ে বার্বিকিউ করছে আর গান গাইছে।তবে সেটা হলো বাংলা গান।হঠাৎ রোয়েন আর রুহীকে দেখে একজন ছুঁটে এলো।তারপর বলল,
.
.
-”আমাদের সাথে জয়েন করুন ভালো লাগবে।”
-”আসলে একটু হাঁটছিলাম আমরা।কাল চলে যাবো তো।”বলে উঠে রোয়েন।
-”বাঙ্গালী আপু ভাইয়া আসেনননা।আমাদের এখানকার গাইড বার্বিকিউ করছে।একটু চেখে দেখুন।”
.
.
অনেক জোর জবর্দস্তির পর রোয়েন আর রুহী ওদের সাথে জয়েন করে।ওরা খুব মজা করছে।ছয়জন মেয়ে আর পাঁচজন ছেলে সেখানে।মেয়েগুলো ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরে আছে।রুহীর মুখে হাসি।আর রোয়েন ওকে দেখছে।আগুনের সোনালী আভায় অনেক মায়াবী লাগছে ওর মায়াবতীকে।রোয়েন কিছু বলতে যাচ্ছিলো তখনই রুহী উঠে মেয়ে গুলোর কাছে গেলো তারপর বলল,
.
.
-”তোমাদের দেখে বোঝাই যাচ্ছে আঠারো বছরের বেশি হবে না তোমাদের বয়স।এ বয়সে পড়াশুনায় মনযোগ দাও তোমরা।যখন সময় আসবে তোমরা ও নিজেদের জীবনসঙ্গী পেয়ে যাবে।অযথা আমার হাসবেন্ডকে দেখে কি লাভ বলো?”
.
.
মেয়ে গুলো অবাক চোখে চেয়ে আছে রুহীর দিকে।রুহী কিছুনা বলে চলে এলো সেখান থেকে তারপর রোয়েনের সামনে এসে বসে।রোয়েন অবাক ও কেন চলে গিয়েছিলো মেয়ে গুলোর কাছে?এদিকে রুহী বিড়বিড় করছে,
.
.
-”কাল নাগিনীরা কত্ত বড় সাহস!!!!!”
-”রুহী কি বলছো এসব কি করেছে ওরা?”
-”আপনাকে তো পারলে ওরা গিলে খাচ্ছিলো।”
.
.
রোয়েনের হাসি চলে আসে।কোনমতে হাসি আটকে বলল,
.
.
-”জেলাস!!!”
.
.
হুহ।মাথা ঘুরিয়ে নেয় রুহী।
চলবে