The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 59

→ভেড়ার মাংস বার্বিকিউ করেছে ওরা।রোয়েনকে দুপ্লেটে মাংস দুই পিস দিলো।মাংস গুলো স্টিকে ভরা।রুহীর মাংস খাওয়ার সময় কেমন যেন লাগতে থাকে।রোয়েন মাংসে কামড় দিয়ে বলল,
.
.
-”বেশ কিন্তু রুহী খেয়ে দেখো।”
-”আচ্ছা।”
.
.
রুহী এবার ছোট্ট করে কামড় দিয়ে বলল,
.
.
-”আসলেই তো।”
.
.
দুজনে মাংস খাচ্ছে।রুহী আড় চোখে মেয়েগুলোকে দেখে নেয়।মেয়ে গুলো এতসময় রোয়েনকে দেখছিলো রুহীর চোখে চোখ পড়তেই ওরা সরে যায়।রোয়েন ব্যাপরটা খেয়াল করে রুহীর দিকে তাকায়।রুহী চুপচাপ খাচ্ছে তবে ওর চেহারা দেখে মনে হচ্ছে ভীষন রেগে আছে।ওরা খাওয়া শেষ করে বেরিয়ে আসে।রুহী রোয়েনের কাঁধে মাথা রেখে হাঁটছিলো।রোয়েন এটা ওটা বলছিলো রুহী হু হা করে উত্তর করছিলো।হোটেলে ফিরে এসে দুজনে প্যাকিং সেড়ে নেয়।প্যাকিং করে দুজনে শুয়ে পড়ে।রুহী থম ধরে আছে।রোয়েন রুহীর গাল ধরে নিজের দিকে ফিরায়।তারপর বলল,
.
.
-”রুহী যেই কেউ আমার দিকে তাকিয়ে থাকুক আই ডোন্ট কেয়ার।আমি শুধু তোমার,তোমাকেই ভালবাসি।”
-”আমি জানি রোয়েন কিন্তু আপনাকে কেউ দেখলে সহ্য করতে পারিনা।”
-”আই লাভ ইউ রুহী।”
.
.
রোয়েন রুহীকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ওর ঠোঁটে চুমু দিয়ে শুষে নিতে শুরু করে।রুহী রোয়েনকে চুমু খেতে ওর শার্ট খুলে নিতে চেষ্টা করতে থাকে।রোয়েন উঠে বসে শার্ট খুলে নিয়ে রুহীর আঁচল খুলে ওর গলায় মুখ ডুবায়।ঘন ঘন চুমুতে ভরিয়ে দিতে থাকে রুহীর গলা ও ঘাড়।পরদিন সকালে নাস্তা সেড়ে ওরা বেরিয়ে পড়ে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে।দার্জিলিং থেকে তিনঘন্টার পথ সিক্কিম।সেখানে ওরা একদিন থেকে গ্যাংটক যাবে।তিনঘন্টার পথ অতিক্রম করে ওরা সিক্কিম পৌছে যায়।সেখানে রোয়েনের বুক করা হোটেল টামারিন্ডে চলে আসে।আজ রাতটা এখানে কাঁটাবে।এদিকে আনিলা শোহরাব রেজোয়ান মাহবুবের খুব খেয়াল রাখছেন।ওনার খাবার ঔষধ সব কিছুর খেয়াল রাখছে।রুহী আর রোয়েন সেদিন রাতটা কাঁটিয়ে দেয় সিক্কিমে। পরদিন সকালে গ্যাংটক এর জন্য বেরিয়ে পড়লো।সিক্কিম থেকে গ্যাংটকের পথ আড়াই ঘন্টার।সেখানে ওদের কয়েকদিন থাকার প্ল্যান আছে।সেদিন সাড়ে তিনটায় গ্যাংটকে পৌছে গেলো ওরা।সেখানকার একটা পাঁচ তারা হোটেলে চলে আসে।দুজনে হোটেল রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নেয়।তারপর নিচে নেমে এসে ডিনারটা সেড়ে নেয়।ডিনার করেই বেরিয়ে পড়ে বাহিরে হাঁটবে বলে।হোটেলের বাহিরটাই খুব সুন্দর।রুহীকে অনেকগুলো ছবি তুলে দেয় রোয়েন।পরদিন ওরা সোগমো লেকে আসে।এ লেকের পানি।চারিপাশে পাহাড়। দেখতে বেশ অসাধারন।সোগমো লেকে বেশ খানিকটা সময় পার করার পর হোটেলে ফিরে আসে ওরা।হোটেলের সামনে আসতেই দেখলো গানের আসর বসেছে।একজন লম্বা চুল ওয়ালা লোক গান গাইছে।গানটা ছিলো পঙ্কজের চান্দি জেইসা।রোয়েন আর রুহী সেখানে থামে।আরো অনেক গান চলল।কিছু মেয়ে এসে নাচতে শুরু করে।এক পর্যায়ে তারা রোয়েন রুহীকে নিয়ে আসে নিজেদের মাঝে। রোয়েন রুহী হালকা নেচে হোটেলে ঢুকে পড়ে।
গ্যাংটকে পাঁচদিন থাকে ওরা।এ কয়েকদিনে নাথুলা পাস,সেভেন সিস্টার্স ওয়াটার ফল সহ আরো অনেক জায়াগায় ঘোরে।
বাংলাদেশে ফেরার আগের দিন রোয়েন বিকেল থেকেই আর আসেনি হোটেলে।রুহী অনেক চিন্তায় পড়ে যায় কারন রোয়েন কখনো ওকে হোটেলে একা ছাড়েনা।
রুহীর ভয় লাগছে একা একা।
অনেকটা সময় পার হয়ে যায়।রোয়েনের খবর নেই।এদিকে রাত দশটা বেজে গেছে।রোয়েনের অপেক্ষায় রুহী কাউচে শুয়ে ঘুমিয়ে যায়।হঠাৎ দরজায় নক পেয়ে রুহীর ঘুম কেঁটে যায়।এক লাফে উঠে দরজা খুলে দেয় ও।কেউ নেই তবে ওর সামনে একটা শপিংব্যাগ।রুহী রুম থেকে কিছু টা বেরিয়ে খুঁজতে থাকে।কিন্তু কাউকে পায়না।ওর ভয় লাগছে।রোয়েনের ও ফোন বন্ধ আসছে।
রুহী ব্যাগটা নিয়ে রুমে চলে আসে।ব্যাগটা টিটেবিলের ওপর রেখে কিছুক্ষন সেটার দিকে চেয়ে থাকে।কি মনে করে সেটা হাতে নেয় রুহী।প্যাকেটটির ভিতর থেকে কালো রং এর একটা গাউন বের করে আনে।আর সেই সাথে একজোড়া উঁচু হিলওয়ালা জুতা আর অর্নামেন্টস।
রুহী অবাক হয় কার কাজ হতে পারে?ওনার মনে হচ্ছে।কিন্তু ওনিই যদি হন তাহলে!!!!
প্যাকেটটির ভিতর থেকে একটা কাগজ বের করে আনে রুহী।
সেখানে লিখা ”রুফটপ”
রুহী গাউনটা পরে একটু সেজে নেয়।তারপর গয়না গুলো পরে রুম থেকে বেরিয়ে আসে।রুহী খেয়াল করলো ওদের রুমের সামনে থেকে শুরু করে সব খানে গোলাপের পাপড়ী ছড়ানো।রুহী হেঁটে হেঁটে আসছে।আবার কিছু কিছু জায়গায় লেখা ভালবাসি মায়াবতী।রুহীর বিস্ময়ের সীমানা নেই।
রুফটপের কাছে আসতেই দেখলো সেখানে একটা কাগজ দরজায় লাগানো।সেখানে লিখা,”কাম ইনসাইড মাই হার্ট”
রুহী হেঁটে ভিতরে চলে আসে।আর সেখানে দেখতে পায় পুরো ছাদে মোমবাতি।রুহী গাউন টা একটু উঁচু করে হাঁটতে থাকে।
হঠাৎ রুহীকে অবাক করে দিয়ে কিছু আলো জ্বলে উঠে এবং আকাশে বোম ফুঁটতে শুরু করেছে।বিভিন্ন রং চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে।রুহী আকাশের দিকে চেয়ে বিস্ময়ে।
হঠাৎ কেউ ওর হাত স্পর্শ করে।রুহী আকাশ থেকে চোখ সরিয়ে সেদিকে তাকায়।
এদিকে রেজোয়ান মাহবুব আগের মতোই অফিসে যেতে শুরু করেন সবার বাঁধা নিষেধ না মেনে।যার কারনে ওনার চিন্তা ও বৃদ্ধি পেতে থাকে।আনিলা শোহরাব ওনাকে আটকানোর অনেক প্রচেষ্টা চালান।কিন্তু কিছুতেই পারেননা।
সেদিন কাজ থেকে ফিরেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান।আনিলা দৌড়ে।ওনার কাছে চলে আসেন।ওনি একা মানুষ কিভাবে কি করবেন তাই রামীন আর শামীম কে কল দেন।
ওরা এসেই ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেয়।এদিকে রুহী রোয়েনকে দেখতে পায়। একে অপরকে দেখতে থাকে।রোয়েন রুহীর হাত ধরে একটা টেবিলের কাছে নিয়ে আসে। সেখানে রেড ভেলভেট আর চকোলেটের তিনতলার বড় একটি কেক। রুহী অবাক চোখে রোয়েনের দিকে তাকায়।তারপর বলল,
.
.
-”হঠাৎ এতো কিছু?সারাদিন কই ছিলেন?”
-”এগুলোর ব্যাবস্থা করেছি তোমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য।”
.
.
রুহী শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রোয়েনকে।রোয়েন রুহীকে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে।রুহী বলছে,
.
.
-”থ্যাংক ইউ রোয়েন আই লাভ ইউ।”
-”আই লাভ ইউ টু।”
.
.
রুহীকে সামনে আনে রোয়েন।তারপর দুজন কেক কেঁটে একে অপরকে খাওয়ায়।তারপর রুহীকে নিয়ে এক জায়গায় চলে আসে।রোয়েন রুহীকে টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে। হঠাৎ কোথা থেকে যেন গান বেজে উঠে,
Tere saamne aa jaane se
Yeh dil mera dhadka hai
Yeh ghalti nahi hai teri
Kusoor nazar ka hai
Jis baat ka tujhko darr hai
Woh karke dikha doonga…
Aise na mujhe tum dekho
Seene se laga loonga
Tumko main chura loonga tumse
Dil mein chhupa loonga
Tumse pehle, tumsa koi
Humne nahi dekha
কাপল ড্যান্সের পর রুহী রোয়েন একে অপরকে দেখতে থাকে।হঠাৎ রোয়েন রুহীর গলায় চুমু খেতে শুরু করে।রুহী রোয়েনকে জড়িয়ে ধরে।রুহীর গলায় চুমু খেয়ে ওকে কোলে তুলে নেয়।তারপর ওর ঠোঁটজোড়া শুষে নিতে নিতে রুমে চলে আসে।রুহীকে বিছানায় শুইয়ে ওর ঠোঁটে চুমু খেতে খেতে ওর গাউনের চেইন খুলে দেয় রোয়েন।কাঁধ থেকে গাউনের হাতা সরাতেই হঠাৎ কল আসে রোয়েনের নম্বরে।রোয়েন অনেকটা বিরক্ত হয়ে জোর করে রুহীকে চুমু খেতে থাকে।কিন্তু বারবার কল আসাতে রোয়েন উঠে কল রিসিভ করে বসে।অপরপাশ থেকে রামীন বলছিলো,
.
.
-”রেজোয়ান আঙ্কেল আবার ও স্ট্রোক করেছে।অবস্থা ভালোনা।হাসপাতালে এডমিট করা হয়েছে।”
-”হোয়াট!!!!তুই সেদিকে খেয়াল রাখ আমি দেখছি।”
-”ওকে।”
(গাইজ আমার শরীরটা অনেক খারাপ।তাই যতোটুকু সম্ভব হয়েছে দিয়েছি।)
চলবে