The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 55
→রোয়েন আর রুহীকে নিয়ে রোয়েনের বন্ধুরা অনেক সময় পর্যন্ত গল্প করে পার্টির পর ও।রামীন আর রেজোয়ান মাহবুব এয়ারপোর্ট থেকে এসে পৌছায়নি এখনো।রোয়েনের বন্ধুরা বেশ মজা করতে পারে।রুহীকে হাসিয়ে মারছিলো।রোয়েনের তবে সেদিকে কোন খেয়াল নেই।মায়াবতীকে দেখায় মগ্ন ও।তা বুঝতে পেরে জুয়েল হেসে হেসে বলল,
.
.
-”দোস্ত এক চেহারা সারাদিন দেখতে কতো ভাল লাগে তোর?আজ আমাদের ও একটু দেখ।”
.
.
জুয়েলের কথায় রাগান্বিত চোখে ওর দিকে তাকায় রোয়েন।এদিকে রুহী ও বেশ লজ্জা পেয়ে যায়।রোয়েন বলল,
.
.
-”এটাই একটা চেহারা যেটা ঘন্টার পর ঘন্টা দেখলে ও তৃষ্ণা মেটে না।”
-”বাহ তোর কি ভালবাসা ভাবির জন্য।ভাই আমি তো জাস্ট ফেড আপ আঁখির ওপর।সারাক্ষন ক্যাচাল করতেই থাকে।”
-”তুই ওনাকে টাইম দিবিনা ওনি তোকে সালাম দিবে?”
-”ল্যাব থেকে আইসা জাস্ট শুয়ে পড়ি।আমার শরীর আর চলতেই চায়না।”
-”দেখ আমাদের বৌরা তাদের বাবা মা আত্মীয় সজন কে ছেড়ে আমাদের কাছে আসে।তারা কি চায় বল?একটু ভালবাসা একটু সময়।”
-”দেখ ভাই সময় দিতে চাই।অফ ডে গুলায় জানোস বাসার কাজ করায়।”
-”হাহা তো হেল্প করবিনা ভাবির?”
-”ভাই মজা করিসনা একটা বছর পার হতে দে।বুঝবি মজা।”
-”লেটস সি।”
.
.
কথাটা বলে রুহীর দিকে তাকায় রোয়েন।রুহী রোয়েনের দিকে একবার তাকিয়ে মাথা নিচু করে।মাঝখান থেকে ফাহমিন বলল,
.
.
-”ভাবি আপনার জামাই কিন্তু গান খুব ভালো গাইতে পারে।”
-”ওহ।”মুচকি হাসে রুহী।
-”ওকে বলেন আজ আপনার জন্য গান গাইতে।”
-”আপনারা বলুন ভাইয়া।”
-”আরেহ ভাবি আমরা মরে গেলে ও ও গান ধরবেনা।আপনিই বলেন।”
.
.
ফাহমিনের কথায় রুহী রোয়েনের দিকে তাকায়।তারপর আস্তে করে বলল,
.
.
-”একটা গান গেয়ে শুনান প্লিজ।”
.
.
রোয়েন উঠে দাঁড়াতেই ওর বন্ধুরা বলল দেখলি বৌ বলার সাথে সাথে গান গাওয়ার জন্য প্রস্তুত।রোয়েন রাগি লুক দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নেয়।রুহীর দিকে ফিরে তাকায়।তারপর রুহীর দিকে তাকিয়েই গান ধরলো,
Jo Meri Rooh Ko Chain De Pyaar De
Woh Khushi Bangaye Ho Tum
Zindagi Ban gaye Ho Tum
Zindagi Ban gaye Ho Tum
Jo Meri Rooh Ko Chain De Pyaar De
Woh Khushi Ban gaye Ho Tum
Zindagi Ban gaye Ho Tum
Zindagi Ban gaye Ho Tum
Jism Se Jaan Tak Paas Aate Gaye
In Nigaahon Se Dil Mein Samaate Gaye
Jism Se Jaan Tak Paas Aate Gaye
In Nigaahon Se Dil Mein Samaate Gaye,,,,,,,,,,,
রুহী রোয়েনের দিকে তাকিয়ে আছে।কতো সুন্দর গান গাইলো লোকটা।রুহীর নিজেকে বড্ড ভাগ্যবতী মনে হয়।এমন ভালবাসতে পারা বর কারোর ভাগ্যে জুটতে পারে ওর জানা নেই।লোকটাকে ও খুব ভালবাসে রুহী।অনেকটাই ভালবাসে।সে ভালবাসার পরিমাপ করা যায়না।রোয়েনের গানের মাঝেই ওর বন্ধুরা হাত তালি দিতে থাকে।গান শেষ হতেই সবাই স্বজোরে হাত তালি দিলো।জুয়েল বলল,
.
.
-”সেই রোমান্টিক সং ড্যুড।সো গানটাকি ভাবিকে ডেডিকেট করলি?”
-”তোর কি মনে হয়?”
-”না না কিছু না।আমি ভাবি যে মানুষ সব সময় গোমড়া মুখ নিয়ে থাকে সে মানুষ এতো ভালো ও বাসতে পারে।”
-”হুহ।”
.
.
রোয়েন নিজের জায়গায় এসে বসে পড়ে।এরই মাঝে রামীনকে আসতে দেখা গেলো।আজ ওর শেষ চুম্বন টাও অশ্রুভেজা ছিলো।এয়ারপোর্টে পৌছানোর সময় কাঁদছিলো আশফিনা।রামীন চেয়ে ও কিছু করতে পারছিলো না।এয়ারপোর্টে পৌছানোর পর রেজোয়ান মাহবুব নীরা হামিদ আর আরমান হামিদকে নিয়ে কিছু কথায় ব্যাস্ত হয়ে যায়।আর সামায়রা জুস কিনছিলো।রামীন আশফিনার পাশে এসে দাঁড়ায় তারপর আশফিনার হাত চেঁপে একটু আড়ালে চলে আসে।আশফিনা ক্রন্দনজড়িত চোখে রামীনের দিকে চেয়ে আছে।রামীন বলল,
.
.
-”আই লাভ ইউ আশফিনা।খুব মিস করবো তোমাকে।”
-”তাহলে আটকাচ্ছেননা কেন?”
-”সেটার অধিকার যে নেই আমার।”
-”চলেন বিয়ে করে নেই আমরা।তাহলে তো আটকাতে পারবেন।”
-”কি বলছো এসব?তুমি জানো আমার বাবা মা এখানে নেই।তোমার বাবা মা ও নেই। আমরা ওনাদের না জানিয়ে এ কাজ কিভাবে করতে পারি বলো?”
-”অন্তত আমার একটা চাওয়াতো পূরন করেন।”
-”কি চাওয়া তোমার?”
-”জানিনা এর পর আবার কবে দেখা হবে আমাদের।একটু চুমু দিন আমাকে।যেন আপনার এই স্পর্শ টা নিয়ে থাকতে পারি।”
.
.
রামীন না করতে পারেনা।ওর ও অনেক কষ্ট হচ্ছে ভালবাসার মানুষটাকে বিদায় দিতে।ভাগ্য যদি ওদের পক্ষে থাকে তাহলে হয়ত দুজনে এক হতে পারবে।রামীন আশফিনার কোমড় টেনে কাছে নিয়ে আসে।তারপর ওর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবায়।দুজনের ঠোঁট একে অপরে একাকার হয়ে যায়।রামীন কে দেখে সবাই বসতে বলে।রোয়েন খেয়াল করলো অনেক চুপচাপ রামীন।এ রামীনকে কখনো দেখেনি ও।রামীন সবসময় ওদের সাথে মজা করতে থাকে।আর আজ মলিন মুখে বসে আছে রামীন।রুহী রোয়েনের তাকানো দেখে রামীনের দিকে তাকায়।এর পর সবাই বিষয়টা খেয়াল করলো।জুয়েল ফাহমিন ইফরাজ সবাই জিজ্ঞেস করে কি হলো ওর?রামীন জানায় কিছুনা।বেশ রাত করে ওরা বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুত হয়।সবাই যাওয়ার পর রামীনকে ধরলো রোয়েন।সাথে রুহী ও আছে।রোয়েন জিজ্ঞেস করে,
.
.
-”কি হলো তোর?”
-”কি শুরু করেছিস তোরা?কিছু হয়নি।”
-”ক্যান ইউ রিমেম্বার আমাদের সম্পর্ক এমন না।বল কি হয়েছে?”
-”আশফিনা চলে গেছে জানিস তো?আমি ওকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারিনা।”
.
.
রুহী এতক্ষন চুপ হয়ে থাকলে ও এখন আর চুপ থাকতে পারেনি।ও বলল,
.
.
-”মানে কি?”
.
.
রোয়েন বলল,
.
.
-”ওরা দুজন দুজনকে ভালবাসে।”
-”আশফিনা ও আমাকে জানায়নি আর আপনি ও তো জানাতে পারতেন রোয়েন।”
-”সরি রুহী।আসলে হঠাৎ করে হয়ে গেছিলো।”
.
.
বলে উঠে রামীন।রুহী বলল,
.
.
-”ঠিক আছে ভাইয়া।কিন্তু আপনাকে এমন চুপচাপ মানায়না।আর আল্লাহ চাইলে আপনারা একে অপরকে পাবেন।”
-”দোয়া করো রুহী।তাই যেন হয়।”
-”এটাকি বোনকে বলতে হয় ভাইয়া?”
-”নাহ তা তো না।”
.
.
রোয়েন আর রুহী অনেকটা সময় রামীনের সাথে কাঁটায়।রামীন কে স্বান্তনা দিয়ে ঘরে ফিরে আসে।রুহী ঘরে ফিরে মুখ ধুয়ে জামা পাল্টে নেয়।রোয়েন খাটে আধশোয়া হয়ে আছে।রুহী খাটের কাছে আসতেই ওর হাত টেনে নিজের ওপর ফালায় রোয়েন।রুহীর সব চুল দিয়ে ওদের দুজনের মুখ ঢেকে যায়।রোয়েন সেই অবস্থায় রুহীর গলায় মুখ ডুবায় আর অপর হাতে রুহীর গুলো সরাতে থাকে।রুহীর শ্বাস প্রশ্বাস বাড়ছে।রোয়েন রুহীর গলায় চুমু খেতে খেতে ওকে জড়িয়ে ধরেই খাটে শুইয়ে দিয়ে ওর ওপর ভর দেয়।তারপর ওর ঠোঁটজোড়া নিজের আয়ত্বে নিয়ে নেয়।অনেকটা সময় কেঁটে যায়।এ ভালবাসা যেন শেষ হবার নয়।নিস্তব্ধ পরিবেশে দুজনের শ্বাস প্রশ্বাস ছাড়া কিছু শোনা যাচ্ছেনা।দুজনে একে অপরে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে।ঘড়ির কাঁটা গুলো থেমে গেছে ওদের উষ্ণ প্রেমের জালে।পর্দা গুলো উড়োউড়ি করছে ঠান্ডা বাতাসে।ভোর রাতে রুহী রোয়েনের বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে।রোয়েন জড়িয়ে ধরে আছে ওর মায়াবতীকে।রুহী বলল,
.
.
-”আশফিনার ওপর রাগ হচ্ছে আমার।”
-”তোমাকে জানায়নি সে জন্য?”
-”হুম।এটা কিমহয় নাকি বলেন?আমি ও তো ওর ফ্রেন্ড।”
-”হুম।হয়ত ও সুযোগ পায়নি।আমাদের এমনিতেই খুব ঝামেলা চলছিলো।”
-”তারপরও রোয়েন কষ্ট পেয়েছি আমি।”
.
.
রোয়েন রুহীর মাথায় চুমু খেয়ে বলল,
.
.
-”কাল কথা বলে নিও।এখন আমার সময় নষ্ট করোনা জান।”
.
.
বলে রুহীকে আবার ও খাটে শুইয়ে ওর ওপর ভর দেয়।রুহী না করা সত্ত্বেও রোয়েন শোনেনি।আবার একে অপরের মাঝে মেতে উঠে।
পরদিন সকালে রামীন আশফিনাকে কল দেয়।আশফিনা কথা বলার মাঝে খুব কাঁদছিলো।রামীন ওকে অনেক কষ্টে থামায়।হঠাৎ কথা বলার মাঝেই আশফিনা বলল,
.
.
-রামীন আমি আপনাকে পরে কল দিচ্ছি।বাবা আসছে!!!”
-”শিওর বায়।”
.
.
আশফিনা কল কেঁটে দাঁড়িয়ে যায়।আলম খান রুমে এলো ওর।তারপর কিছুটা রেগে জিজ্ঞেস করে,
.
.
-”কার সাথে কথা বলছিলি?”
-”ব ব বাবা এইতো র রুহীর সাথে।”
-”ওহ।ঠিক আছে।আর শোন কোন ছেলের সাথে কথা বলবিনা।আমি যেখানে চাইবো সেখানেই বিয়ে হবে তোর।”
-”জ জ জি ব ব বাবা।”
.
.
আলম খান চলে যেতেই আশফিনার সেলে আবার কল আশফিনা নম্বর না দেখেই কল রিসিভ করে বলল,
.
.
-”রামীন পরে কল করছি।”
-”তুই রামীন ভাইকে কল দিবি কেন?”
.
.
ফোনের অপরপ্রান্তে রুহীর গলা শুনে চমকে যায় আশফিনা।তারপর বলল,
.
.
-”আরে নাহ মানে ঐতো,,,,,,,”
-”তোর কাছে এমনটা আশা করিনি।তুই আমাকে না বললি কেমনে?”
-”সরি রুহী আসলে!!”
-”থাক থাক আর কৈফিয়ত দিতে হবেনা।তারপর বল কেমন আছিস?”
-”ভালোনা রে।”
-”কেন কি হলো তোর?”
-”বাবা আমাদের রিলেশন কখনো মেনে নেবেননা।”
-”বলেছিস ওনাকে?”
-”নারে রুহী।বাবা বলল ওনার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে হবে আমার।”
-”এ্যাডভান্স এতো বুঝিস কেন?আঙ্কেল মেনে নিতে ও তো পারে।”
-”বাবাকে আমি ভাল করেই চিনি।ভাইয়া গায়ক হতে চেয়েছিলো।বাবা ওকে জোর করে রাজনীতিতে ঢুকালো।ভাইয়ার জীবনের ঝু্কি ছিলো সেদিন জেনে ও ভাইয়াকে বাঁচাতে আসেননি।ভাইয়া আমাদের ছেড়ে চলে যায়।”
-”দেখ বুঝতে পারছি বাট অনেকটা বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু।হয়ত আঙ্কেল এখন ভাইয়ার মৃত্যুতে আফসোস করে।হয়ত তোর ব্যাপারটা মেনে নিতে ও পারে।”
-”তাই যেন হয় রুহী।বাবা না মানলে আমার মরে যাওয়া ছাড়া পথ থাকবেনা।”
-”ছি এমনটা বলিসনা।।”
.
.
দুই বান্ধুবীতে অনেকটা সময় পর্যন্ত কথা হয়।এদিকে রোয়েন অফিসে আসে।সবাইকে ওর রুমে ডেকে নেয়।সবাই এসে জড়ো হয়।রোয়েন বলল,
.
.
-”পনেরো বিশদিন আমি থাকবোনা।রুহীকে নিয়ে দার্জিলিং যাবো।আপনাদের দেখে রাখতে হবে সব কিছু।”
.
.
সবাই মাথা নেড়ে বেরিয়ে যায়।রোয়েন কাজে মন দিতে নিবে তখন রামীন বলল,
.
.
-”হানিমুন!!!!”
-”হুম।”
-”সেখান থেকে আসার পর কি সুখবর পেয়ে যাবো রোয়েন?”
.
.
বুঝতে না পেরে ভ্রু কুঁচকে বন্ধুর দিকে তাকায় রোয়েন।
.
.
-”আরে বুঝতে পারছিসনা?ঐ চাচ্চু হবার সুখবর আর কি?”
-”এসব কথা রেখে কাজ কর।”
.
.
ধমক দেয় রোয়েন।রামীন হেসে কাজে মন দেয়।
চলবে