The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 23
-কিরে রুহী? কি হলো তোর?হাপাচ্ছিস কেন?
-না নানু মানে আসলে মামা কবে আসবে?
-জি??তোর মামার আসতে দেরি হবে।মামী আজ রাতে রওনা হবে।
-ওহ।
-দেখতো রোয়েন স্যার ফ্রেশ হয়েছে কিনা?
-নানু সবেই তো রুমে গেলো। আমি বরং নানাকে দেখে আসি।
-ওকে যা।
.
.
রুহী দৌড়ে হাসান হামিদের রুমে চলে আসে।হাসান হামিদ রুহীকে দেখে কেমন যেন কেঁপে উঠে বসা থেকে শুয়ে পড়েন।তারপর কেশে কেশে বলতে লাগলেন,
.
.
-কিরে রুহী?
-কিছুনা নানা।সরি না বলে আসলাম।
-ইটস ওকে।এসে বস।
-জি নানা।
.
.
রুহী নানার পাশে এসে বসলো।নানা রুহীর মাথা হাতাচ্ছে।রুহী ও একদম বাচ্চাটির মতো ওনার কাছে বসে আছে।
.
.
-তা রুহী তোর বাবার বসের নিজের বাড়ি আছে?
-জি নানা আছে।
-ওহ।তুই কি পড়াশুনা করছিস?
-জি নানা।
.
.
এমনি আরো অনেক গল্প করতে থাকে।তার মাঝে রেজোয়ান মাহবুব রুমে ঢুকেন।
.
.
-বাবা খেতে আসবেননা?
-তোমার বস এসেছে নিচে?
-স্যার ফ্রেশ হয়ে বের হলো।বললেন সবাই কে নিয়ে খাবেন।
-আচ্ছা চলো তাহলে।
.
.
হাসান সাহেব নিচে নামতে গেলে রুহী ওনাকে ধরে নামায়।তারপর তিনজনে নিচে নেমে আসে।এরই মাঝে নেমে আসে রোয়েন।কালো গলা বন্ধ লম্বা হাতার গেঞ্জী আর ডার্ক ব্লু প্যান্ট।রেজোয়ান মাহবুব উঠে এসে রোয়েনকে ডাইনিংটেবিলে বসান।রুহী সেলিনা হামিদের সাথে খেতে বসতেই রোয়েন রুহী চোখ রাঙ্গিয়ে নিজের পাশে বসতে বলে।রুহী ভয় পেয়ে মাথা নাড়ালেই রোয়েন রেগে গিয়ে চোখ রাঙ্গায়।শেষমেষ রুহী না পারতেই সবার সামনে উঠে রোয়েনের পাশে বসে।হাসান হামিদ রোয়েনের সাথে কথা বলছেন।রোয়েন খাওয়ার মাঝে রুহীকে দেখছে।খাওয়া শেষে
.
.
হাসান হামিদ রেজোয়ান মাহবুব ও রোয়েন ড্রয়িংরুমে বসে গল্প করতে থাকে।
রোয়েন গল্প করছে ওনাদের সাথে।।হঠাৎ রুহী উপস্থিত চায়ের ট্রে নিয়ে।সবাইকে বাবা ও নানা কে চা দিয়ে রোয়েনের দিকে চা ধরে রুহী।রোয়েন চা নিয়ে খেতে থাকে একমনে।বিকেলে সবাই এক সাথে রেজোয়ান মাহবুবের রুমে বসে ছিলো।সেলিনা হামিদ আচমকা বললেন,
.
.
-দেখিতো রুহী কি এনেছিস আমাদের জন্য?
-নানু আসলে তাড়াহুড়া করে এসেছি নানা অসুস্থ শুনে। তো কিছু এ্যারেঞ্জ করতে পারিনি।
-এতো তাড়াহুড়া করার কি ছিলো?কিছু টাকা পাঠিয়ে দিলেই পারতি।
.
.
সেলিনা হামিদের কথায় বেশ অবাক হয় রোয়েন।টাকা নিয়ে এমন করছে এরা?নাতনী থেকে কি টাকার মায়া বেশি?রাতের খাবার শেষে সবাই গল্প সল্প করে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতে থাকে।রোয়েন রুমে অনেক আগেই চলে গেছে।নানা নানুর সাথে আরো কিছু সময় গল্প করে বেরিয়ে আসে রুহী।সিড়িতে পা রাখতেই ওর মনে পড়ে রোয়েনের কাছে যাওয়ার কথা।সাথে সাথে হাতঘড়ি টা চেক করে রুহী।সেখানে সাড়ে বারোটা বাজতে পাঁচমিনিট বাকি।রুহী কোনমতে দৌড়ে রুমে এলো।নিজের চুল গুলো আচড়ে নিয়ে রোয়েনের রুমের দিকে পা বাড়ায়।
রোয়েন খাটে বসে ল্যাপটপে কাজ করছিলো।হঠাৎ দরজায় শব্দ হতেই মাথা উঠায়।তারপর গম্ভীর কন্ঠে বলল,
.
.
-আসো।
.
.
রুহী ভিতরে ঢুকে দরজা ঘেঁষে দাঁড়ায়।রোয়েন রুহীকে আড়চোখে দেখে কাজ করতে থাকে।রুহী দাঁড়িয়ে আছে সেভাবে।পাঁচমিনিট পার হয়ে গেলো।লোকটার কোন খবর নেই।রুহী এবার বেশ বিরক্ত হয়ে বলল,
.
.
-এভাবে দাঁড় করিয়ে রাখার মানে হয়না।
-জাস্ট সাট আপ।মাথা উঠিয়ে বলল রোয়েন।
-পা ব্যাথা করছে আমার।গেলাম আমি।
.
.
কথাগুলো বলে বের হতে নিতেই ডাক পড়ে রুহীর।
.
.
-নড়বেনা।
.
.
রুহী পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে রইলো।
.
.
-সামনে ঘুরো।
.
.
রুহী এবার সামনে ফিরে,
.
.
-আসতে বলেছিলাম কয়টায়?
-সাড়ে বারোটা।
-এসেছো কয়টায়? ১২.৩৫ এ।
-সেজন্য পাঁচমিনিট দাঁড় করিয়ে রেখেছেন আমাকে?চিৎকার করে বলল রুহী।
-ডোন্ট সাউট।
.
.
রুহীকে কোলে করে নিয়ে খাটে বসায়।তারপর আলতো হাতে ওর পা চাঁপতে শুরু করে রোয়েন।রুহী চোখ বুজে নিয়ে রোয়েনের হাতের ওপর হাত রাখে।তারপর ধীরে বলল,
.
.
-প্লিজ না।
.
.
কেউ কিছু বললনা।রোয়েন এসে রুহীর পাশে বসে।তারপর ওর কপালে দুচোখে চুমু দিয়ে ওর গলায় মুখ ডুবায়।রুহী বসে থাকার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে।থরথর করে কাঁপছে ও।রোয়েন ওকে শুইয়ে দিয়ে মাথা তুলে ওর দিকে তাকায়।তারপর রুহীর টপসের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে ওর পেট চেঁপে ধরে।রুহী কেমন যেন কুঁকড়ে যায়।রোয়েন এবার মাথা এগিয়ে রুহীর ঠোঁটজোড়াকে নিজের ঠোঁটের ভাজে নিয়ে নেয়।রোয়েনের ঠোঁটজোড়া ধীরে ধীরে রুহীর ঠোঁটের ভাজে প্রবেশ করতে থাকে।রুহী শক্ত করে রোয়েনের কাঁধ জড়িয়ে ধরে দুহাতে।বেশ অনেকসময় পর সরে আসে রোয়েন।তারপর রুহীকে বুকে টেনে নিয়ে শুয়ে পড়ে।দুজনেই হাঁপাতে থাকে।রুহী হাতের পিঠ দিয়ে নিজের ঠোঁটজোড়াকে স্পর্শ করছে আর মিটমিটিয়ে হাসছে।রোয়েন রুহীর পিঠ জড়িয়ে ধরে চোখ বুজে আছে।নিজেকে শান্ত করতে ব্যাস্ত ও।একসময় দুজনেই ঘুমিয়ে যায়।সকালে ভোরে উঠে নিজের রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে যায় ও।
সকাল দশটায় নীরা হামিদ এসে পৌছায় দুবাই নিজের শ্বশুর বাড়িতে।রুহী মামীকে পেয়ে ভীষন খুশি।নীরা হামিদ ও বেশ আদর করেন রুহীকে।রুহী মামীকে পেয়ে ভীষন খুশি।ওনার গলা জড়িয়ে হাঁটছেন।মামী ও রুহীকে নিয়েই আছেন।রুহী ভুলেই গেছে রোয়েনের কথা।দুপুরে লাঞ্চের সময় রোয়েনকে রুহীর দিকে চোখের ইশারা করতে দেখে কিছুটা চিন্তিত হন নীরা হামিদ।খাওয়ার পর রুহীকে একা পেয়ে রোয়েন টেনে এক খালি রুমে নিয়ে এলো।রুহী বেশ ভয় পেয়ে যায়।রোয়েন ওকে দেয়ালে চেঁপে বলল,
.
.
-রুম থেকে চলে গিয়েছিলে কোন সাহসে?
-নানু খুব সকালে উঠে।আপনার রুমে দেখলে রাগ করবে।
-সো হোয়াট/??
-হুম!!!
-যাও।
↓
↓
↓
↓
দুবাই আসার দুদিন পর রুহী কোথাও ঘুরতে যাওয়ার বায়না ধরে।কেউ রাজি হচ্ছেনা।ওদের মাঝেই রোয়েন রুহীকে জিজ্ঞেস করে,
.
.
-কই যাবে?
-একটা পার্ক আছে এখানে।ওয়াইল্ড ওয়াদি।ওখানকার ওয়াটার পার্কটা অনেক পছন্দ আমার।
.
.
সেলিনা হামিদ বললেন,
.
.
-আমার ভাগিনা কে বলি ও তোকে নিয়ে যাবে।
-না আমি যাবো ওর সাথে।যাও রুহী রেডি হয়ে নাও।বলে উঠে রোয়েন।
-ওকে।
.
.
রুহী রুমে চলে গেলো।দুজনে বেরিয়ে পড়ে ওয়াইল্ড ওয়াদি পার্কের উদ্দেশ্যে। ওখানকার ওয়াটার পার্কে গিয়ে রুহী একদম বাচ্চা হয়ে গেছে।পানি নিয়ে দুষ্টুমি করছিলো।রোয়েন রেগে গিয়ে বকা দিতে গিয়ে ও পারেনা।কারন বেশ খুশি লাগছে ওকে।রোয়েন নিজে রুহীর সাথে পানিতে মজা করতে থাকে।পানি ছিটিয়ে দিচ্ছিলো রুহীর দিকে।বেশ কিছুসময় পর দুজনে উঠে।চেঞ্জ করে বেরিয়ে আসে।রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে যায় ঘরের উদ্দেশ্যে। দুবাই তে পনের দিন হয়ে যায় ওদের।এ কয়দিনে রোয়েন রুহীর এতো ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেননা হাসান আর সেলিনা হামিদ।রুহীর সব কিছু রোয়েন করে দেয়।ওর কিছু লাগলে ও রোয়েন এনে দেয়।নিজের পাশে বসিয়ে খাওয়ানো।ওনারা যা ভেবেছিলেন কিন্তু এখন বুঝতে পারছেন তা না রোয়েন রুহীর সম্পর্ক ওদের ভাবনা থেকে ও গভীর।সেদিন রেজোয়ান মাহবুব কে ডেকে নেন হাসান হামিদ নিজের রুমে।রেজোয়ান মাহবুব গিয়ে দেখেন শাশুড়ী ও বসে আছেন ওখানে।রেজোয়ান মাহবুব ওনাদের সামনে বসে যায়।
.
.
-জি বাবা বলুন।
-রুহীর জন্য আমরা ছেলে দেখেছি।
-বাবা ও পড়াশুনা করছে।তাই বিয়ে নিয়ে ভাবছিনা।
-দেখো রেজোয়ান তোমার বস আর তোমার মেয়ের মাঝে কিছু আছে।পরে কোন অঘটন ঘটলে বুঝবা।
-বাবা ঐসব হবেনা।
-তুমি আজকালকার নিউ জেনারেশন সম্পর্কে কিছু জানোনা।তাছাড়া ছেলে খুব ভালো। রুহী ভালো থাকবে।
-বাবা এখন ওসব ভাবছিনা আমি।পরে আপনাকে জানাবো।
.
.
রুহী নীরা হানিদের সাথে রাতে নিজের রুমে গল্প করছিলো।ওর ফোন বেজে চলছে রুহীর সেদিকে কোন খবর নেই।নীরা হামিদ ও রোয়েন রুহীকে একসাথে খেয়াল করেছিলেন অনেকবার।তবে কিছু বলেনি।আজ আর সংবরন করতে না পেরে বললেন,
,
.
-তোর বাবার বস আর তুই কি একে অপরকে পছন্দ করিস?
-না মামী তেমন কিছুনা।
-আরে বলনা।আমরা ফ্রেন্ডের মতো।
-মামী সত্যি কিছু নেই।
.
.
রুহীর কল রিসিভ না হওয়ায় রোয়েন রেগে রুম থেকে বেরিয়ে রুহীর রুমের সামনে এসে দাঁড়ায়।তারপর দরজা খুলতে খুলতে বলছিলো,
.
.
-এতো বার কল করছিলাম ফোন ধরছিলেনা যে।ইম্পরট্যান্ট কথা আছে।
.
.
রোয়েন রুমে ঢুকে মামীকে দেখতে পায়।মামী রোয়েন কে দেখে উঠে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে বলছিলো,
.
.
-এখন কতো ইম্পরট্যান্ট কথা থাকবে।থাক তোমরা ইম্পরট্যান্ট কথা বলো আমি আর কাবাব মে হাড্ডি হচ্ছিনা।
.
.
মামীর কথায় রুহী লজ্জা পেয়ে রোয়েনের দিকে তাকায় মলিন চোখে।রোয়েন দরজা লাগিয়ে রুহীর সামনে এসে দাঁড়ায়।
.
.
-আমরা আছি আর তিনদিন।কোন কেনা কাটা থাকলে বলে দিও।
-জি আচ্ছা।
-হুম।
.
.
বেরিয়ে আসে রোয়েন।পরদিন সকালে রুহীকে নানান কাজে ব্যাস্ত রাখেন সেলিনা হামিদ।রোয়েন থেকে দূরে রাখার প্রচেষ্টা ওনার।রোয়েন ও রুহীকে দেখেনি সকালে একবার ও।বিকেল হয়ে যায়।রোয়েন বেশ রেগে আছে।রুহী কাজ করছিলো নানুর রুমে।হঠাৎ সেলিনা হামিদের ডাকে রুহী রুম থেকে বেরিয়ে কিচেনের দিকে যেতে নিলে ওর হাতে টান পড়ে।রোয়েন রুহীকে ব্যালকনিতে নিয়ে আসে।এদিকে মামী ব্যাপারটা খেয়াল করে সেখানে দাঁড়িয়ে রইলো।
রোয়েন রুহীকে দেয়ালে চেঁপে ধরে।
চলবে