The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 24

-কই ছিলে সারাদিন?ধমক দিয়ে বলে রোয়েন।
-আজ একটু কাজ ছিলো।
-তাতে আমি কি করবো?কি শুরু করেছো এখানে এসে?ঘুম থেকে উঠে তোমাকে পাচ্ছিনা সারাটাদিন দূরে দূরে থাকছো।ফাজলামি পেয়েছো?
.
.
রুহী মন খারাপ করে নিচে তাকায়।কিছু বলার নেই।আজ সারাদিন নানু ব্যাস্ত রেখেছিলো।একাজ সেকাজ দিয়ে।রুহীর ও ইচ্ছে হচ্ছিলো ওনার কাছে যেতে ওনার স্পর্শ পেতে।ওর তো বড্ড মন টানছিলো লোকটার জন্য।রোয়েন রুহীর দিকে ভ্রু কুঁচকে চেয়ে আছে।রুহী এখনো মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে দেখে রোয়েন ওর দুগাল চেঁপে ধরে ওর মুখ উঠায়।রুহী রোয়েনের হাত সরাতে চাইছে।কারন অনেক জোরে চেঁপে ধরেছে সে।কিন্তু রোয়েনের সেদিকে কোন খেয়াল নেই।রুহীর ঠোঁটজোড়ায় ঠোঁট ডুবায় ও।এদিকে সেলিনা হামিদ নাতনী কে খু্ঁজতে বেলকনির সামনে এসে নীরা হামিদকে দেখতে পায়।
.
.
-নীরা রুহী কি ব্যালকনিতে?থাক তোমাকে দেখতে হবেনা আমিই দেখছি।ব্যালকনি খোলার চেষ্টা করেন সেলিনা হামিদ।
-না মা!!! রুহী ওদিকে যেতে দেখেছি।মনে হয় ওয়াশ রুমে গেছে।ওকে দেখলে আপনার কাছে পাঠিয়ে দেবো।
-ওকে ঠিক আছে।জলদি করে পাঠাবে।
-জি মা।
.
.
গজরাতে গজরাতে সেই স্থান ত্যাগ করেন সেলিনা হামিদ।মুখে দুষ্টুমির হাসি টেনে আনেন নীরা হামিদ।ব্যালকনির দরজায় বলতে শুরু করলো,
.
.
-চালিয়ে যাও ভাগনী আমি পাহাড়া দিচ্ছি।হেসে কথা গুলো বলেন নীরা হামিদ।
.
.
মামীর ডাকে লাফিয়ে উঠে রুহী।রোয়েনের কোন খবর নেই।রুহীর কোমড় জড়িয়ে আছে রোয়েন।রুহী কোনমতে রোয়েনের মুখ সরিয়ে দেয় তারপর ফিসফিস করে বলে,
.
.
-মামী এখানে।আপনি যান প্লিজ।
-সো হোয়াট।জোরেই বলে রোয়েন।
-প্লিজ ছাড়েন।মামী আসছি।জোরে বলল রুহী।
-এসে যাও ভাগনী।নীরা হামিদ হেসে বলেন।
.
.
রুহী বেরিয়ে আসে।রোয়েন বেরিয়ে কিছুনা জানার মতো রুমে চলে যায়।নীরা হামিদের পাশে দাঁড়ায় রুহী।
.
.
-অনেক লাভিং বয়ফ্রেন্ড জুগিয়ে ফেলেছিস রুহী।
-না মামী তেমন কিছুনা।
-কেমন কিছু মামনি?রুহীর চিবুক নেড়ে দেন নীরা হামিদ।
-রুহী লজ্জা মাখা হাসি দেয়।মামী প্লিজ। নানু ডাকছে দেখে আসি।
-ওকে যাও।আর ওনাকে বলবে ওয়াশরুমে ছিলে।
-আচ্ছা মামী।
.
.
রুহী সেলিনা হামিদের কাছে চলে আসে।
.
.
-রুহী তোর নানার পায়েস খেতে ইচ্ছে হচ্ছে।
-আচ্ছা নানু বানাচ্ছি।
-পারলে লুচি ও বানিয়ে দিস।
-ঠিক আছে।
.
.
সেলিনা হামিদ বেরিয়ে যেতেই নীরা হামিদ পাকঘরে আসে।রুহীকে একা কাজ করতে দেখে ওনি বলে,
.
.
-দেখি তো আমি ও কিছু সাহায্য করি।
-না মামী আমি করছি।
-চুপ থাক।করছি আমি।
.
.
রুহী আর না করেনা।নীরা ও ওর সাথে কাজে লেগে যায়।এদিকে রান্না শেষ করে রুহী খাবার বাটিতে বেড়ে টেবিলে নিয়ে আসে।সবাই টেবিলে এসে উপস্থিত হয় কিন্তু হাসান হামিদ কে দেখা গেলোনা।নানা কে না দেখে রুহী সেলিনা হামিদকে জিজ্ঞাস্ করে,
.
.
-নানা কে খাবার উপরে দিয়ে আসি।
– নারে রুহী তোর নানার নাকি খেতে ইচ্ছে হচ্ছেনা।
-ওহ।মন খারাপ হয়ে যায় রুহীর।
.
.
রুহীর মন খারাপ সেটা রোয়েন খেয়াল করে।পায়েস টা বেশ হয়েছে।রুহী খেয়াল করে রোয়েন অনেকটুকুই খেয়েছে।মনটা এবার ভালো হয় রুহীর।অন্তত ওনি আর বাবা খাচ্ছে এটাই অনেক।রোয়েন খাবার শেষ করে উপরে চলে যায়।কিছু সময় পর রুহীর ফোনে মেসেজ আসে।রুহীসবার থেকে আড়াল হয়ে মেসেজ চেক করে,
“এখুনি আসো আমার রুমে।”নীরা হামিদ লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছিলো।ওনার বেশ লাগে রোয়েন আর রুহীকে।বেচারী মেসেজ তো চেক করছে খেয়াল ও করেনি কেউ লুকিয়ে দেখছে ওকে।নীরার হাসি পাচ্ছে।ও বলেই দিলো,
.
.
-ভাগনী যাও যাও ডাকছে।কি চায় দেখো!!”
-মামী আপনি?
-তোকে অনেক ভালোবাসেন ওনি তাই না?
-জানি না মামী।
-যাও গিয়ে দেখো কেন ডাকছে?
-জি।
.
.
রুহী যেতে নিবে তখনই সেলিনা হামিদ ওকে আটকায়।
.
.
-রুহী কই যাচ্ছিস?
-নানু রুমে যাচ্ছিলাম।
-আচ্ছা রুহী আমার কোমড়টা খুব ব্যাথা একটু চেঁপে দে না।
-আসছি।
.
.
রুহীকে থামিয়ে নীরা বলল,
.
.
-রুহীর নাকি খারাপ লাগছে।আমি চেঁপে দিচ্ছি।রুহী তুই গিয়ে ভিক্স লাগিয়ে রেস্ট কর।
-না মামী!
-চুপ থাক।যা বলছি কর।মা চলুন।
-চলো বৌমা।
.
.
রুহী রোয়েনের রুমের কাছে আসতেই পিছন থেকে কেউ ওর পেট জড়িয়ে ধরে দুহাতে।রুহী কেঁপে উঠে।তারপর কাঁপন ধরা কন্ঠে বলল,
.
.
-আমি ঘেমে আছি।
-তোমার ঘর্মাক্ত ঘ্রানটাই ভালো লাগে।
-ছি!!!!
.
.
রুহীর কথায় পাত্তা না দিয়ে রোয়েন ওকে রুমে ঢুকিয়ে দরজা লাগায়।রুহীর বুক ধুকপুক করছে।রোয়েন ওকে ছেড়ে দেয়।তারপর ওর ডান হাতের পাতায় চুমু খেতে থাকে।রুহীর ভালো লাগছে।
কিছুসময় পর রুহীর হাত ছেড়ে রোয়েন বলল,
.
.
-কাল সকালে রেডি থেকো বের হবো।
-আচ্ছা।
.
.
রুহীকে কোলে করে বিছানায় বসায় রোয়েন।তারপর ওর পায়ের কাছে বসে ওর ডান পা নিজের রানের ওপর রাখে রোয়েন।তারপর সেখানে সাদা পাথরের একটা নুপুর পরায় ও।
.
.
-খুব সুন্দর হয়েছে।
-থ্যাংকস।
.
.
খাটে উঠে বসে রোয়েন।তারপর রুহীকে বুকে টেনে শুয়ে পড়ে।
পরদিন সকাল থেকে রুহীকে বুয়ার মতো খাঁটিয়ে যাচ্ছে নানু।রোয়েন অনেকবার কল করেছে।রুহী ফোন ধরতে পারছেনা। ওর কান্না পাচ্ছে।নাস্তার টেবিলে দেখা হয় ওদের কিন্তু রোয়েন ওর দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকে।কারন রোয়েন রুহীকে সারাদিন দেখেছে রুমে বসে।কি করেছে রুহী।নাস্তা করে রুমে চলে যায় রোয়েন।কিছুক্ষন পর নিচে এসে রুহীর হাত টেনে রুমে চলে যায় সবার সামনে।সবাই অবাক।রুহীকে রুমে এনে দেয়ালে চেঁপে ধরে রোয়েন।
.
.
-ফোন ধরোনি কেন?
-,,,,,,,,,,
-কিছু বলো।কাল বলেছিলাম না বের হবো।ধমক দেয় রোয়েন।
.
.
কেঁদে দেয় রুহী।কারন ও কি করবে?আজ সারাটা সকাল কাজ করেছে ও।রোয়েন রুহীকে নিজ হাতে রেডি করিয়ে দেয়।তারপর ওকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।আজ নিজের পছন্দে রুহীকে শপিং করে দিয়েছে রোয়েন। রুহী বারবার না করছিলো শুনে নি রোয়েন।সন্ধ্যায় ঘরে ফিরতেই কাজের ঝাঁপি তুলে দেয় নানু ওর মাথায়।রুহী মুখ বুজে কাজ শুরু করে।হঠাৎ কেউ ওর হাত ধরে পাকঘর থেকে নিয়ে আসে।রুহী মাথা তুলে দেখে আরমান হামিদ।রুহী জড়িয়ে ধরে লোকটাকে।
চলবে
(আজ কি লিখেছি নিজেই জানিনা।খুব বাজে হয়েছে।মন শরীর কোনটাই ভাল লাগছেনা।তারপর ও একটু লিখার প্রচেষ্টা করলাম।)