বস বয়ফ্রেন্ড Season 2 ! পর্ব- ২৩
মেঘ – wht an annoying mouth!
বলেই মুখ সামনে ঘুরিয়ে কিস করে বসলাম।
।
তারা – হাতে খামছি লাগায় দিলাম নখ
দিয়ে।
।
মেঘ – ও আল্লাহ! !
।
তারা – ভাল হইছে।
আর করবেন?
।
মেঘ – করব মানে দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।
এবার ওর হাত ২ টা শক্ত করে ধরলাম।
এবার কি হবে তারা? ?
।
তারা – এই এই ভাল হচ্ছেনা কিন্তু।
।
মেঘ – খামছি দেওয়ার আগে মনে ছিল না? ?
আর এটা আমি আমার বিল নিচ্ছি।
।
তারা – কিসের বিল।
।
মেঘ – অইখানে বলেছিলাম মনে নেই।
।
তারা – আমি টাকা দদিয়ে দিচ্ছি ছাড়ুন।
।
মেঘ – টাকা নিব না।
আমি।
এইটাই নিব।
১হাত দিয়ে শক্ত করে অর ২হাত অর পিটগের
সাথে লাগিয়ে দাড়িয়ে আছি।
আরেক হাত দিয়ে অর গাল ধরে যা করার শুরু
করে দিলাম।
তারা ১মে বাধা দিচ্ছিল কিন্তু পরে শান্ত
হয়ে দাড়িয়ে থাকল।
আমি দেকগ্লাম তারা চোখ বন্ধ করে আছে।
আস্তে করে হাত টা ছেড়ে অকে আরো শক্ত
করে জরিয়ে ধরলাম।
।
হঠাত করে খেয়াল করলাম তারা হাত দিয়ে
শক্ত করে আমার চুল ধরে আছে।
আরেক হাত দিয়ে আমার জেকেট।
কত ক্ষন এইভাবে ছিলাম জানিনা।
।
তারাকে ছেড়ে অর দিকে তাকালাম এখনো
চোখ বন্ধ করে আছে।
ঠোট ২টা ভিজে আর লাল হয়ে আছে।
হাত দিয়ে মুছে দিলাম।
তারা চোখ খুলল।
তারাকে কোলে নিলাম।
।
তারা – কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।
।
মেঘ – কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিস্ফিস করে
বললাম we need fresh air now sweethrt.
তারা লজ্জা পেল।
।
ছাদে –
।
মেঘ – তারা আমরা নতুন ভাবে শুরু করতে
পারিনা??
এক বার ভেবে দেখনা।
আমি তোমাকে ভালবাসি বলেই তো over
react করেছি।
তুমি কি বুঝতে পারছনা।
তারার হাত টা ধরলাম।
।
তারা – আমি নিচে যাচ্ছি।
আমার ভাল লাগছেনা।
।
মেঘ – তারা দাড়াও।
।এই মেয়ে কি আমাকে মাফ করবেনা
কোনোদিন অ।
আমি কি আমার ভালবাসা ফিরে পাবোনা
কখনো।
নাহ হার মানলে চলবেনা।
।
নিচে গেলাম।
তারা! তারা!
কিরে সাড়াশব্দ নাই কেন কই গেছে।
অর রুমে গেলাম।
অহ শাওয়ারে গেছে।
।
তারা – বাইরে বের হলাম।
বাহ বিছানায় খুব সুন্দর একতা গাউন দেখতে
পেলাম।
লং এন্ড ব্লাক।
সো নাইছ।
।
নিশ্চয় উনি রেখে গেছে।
কিন্তু আমি পরবো না।
হুহ।
কারন রাগ দেখানোর জায়গা লাগবে তো।
।
অন্য জামা পরলাম।
রুম থেকে বের হলাম।
।
মেঘ – তারাকে দেখে মেজাজ টাই খারাপ
হল এত ভাল একতা জামা দিলাম আর অ
গেঞ্জি আর জিন্স পরে বের হল।
অই মাইয়া আমার জামা চোখে পরেনি?
।
তারা – নাহ।
।
মেঘ – তাই আচ্ছা আমি দেখাচ্ছি।
টেনে রুমে নিয়ে গেলাম।
গাউন হাতে নিয়ে তারার দিকে দিলাম।
নেও পড়।
।
তারা – না।
।
মেঘ – পড় বলছি।
।
তারা – না না না।
।
মেঘ – পড়বেনা?
ঠিক আছে আমি পড়িয়ে দিচ্ছি বলেই হাত
বাড়াতেই
।
তারা – হাত থেকে জামা নিয়ে পড়ছি পড়ছি।
।
মেঘ – গুড।
রেডি হয়ে আস।
।
তারা – রেডি হয়ে বাইরে আসলাম।
।
মেঘ – তারার গলায় সেই চেইন টা।
দেখা যাচ্ছে।
।
তারা – কি করছেন।?
।
মেঘ – এটা পুরান হয়ে গেছে।
।
তারা – এটা খুলবেন না।
বলে সরে গেলাম।
।
মেঘ – কেন?
।
তারা – আমি না বলেছি তাই।
।
মেঘ – আচ্ছা।
।
চল।
।
তারা- কই?
।
মেঘ – চল ঘুড়ে আসি।
।
তারা – তাড়াহুড়া করতে যেয়ে গায়ে জেকেট
পরিনি শীতে অবস্থা খারাপ।
হাত দিয়ে হাত ডলছি।
।
মেঘ – শীত লাগছে।
নেও এটা পড়।
।
তারা – লাগবেনা
।
মেঘ – অকে।
।
বাইরে থেকে ডিনার করে বাসায় ফিরলাম।
।
তারা – হাচি দিতে দিতে জিবন শেষ।
ঠান্ডা লেগে গেছে।
।
মেঘ – নেও কফি খাও।
।
তারা – কফি মুখে নিয়ে এসে গেল হাচি।
সামনে তাকিয়ে দেখি সব উনার মুখে যেয়ে
পড়ছে।
sorry sorry sorry.
মেঘ – তারারারা।
।
তারা – আমি সোজা রুমে যেয়ে দিলাম দরজা
বন্ধ করে।
।
মেঘ – শাওয়ার নিয়ে বের হলাম।
।
রুমের দরজা লাগাতে যাচ্ছিলাম দেখলাম
তারা আস্তে আস্তে বাড়ির মেইন দরজা
খুলছে।
।
তারা!
।
তারা – কি কি কি কে কে।
।
মেঘ – কি করছ?
।
তারা – কি কি কিছুই না হেহে।
রুমে যেতে নিচ্ছিলাম।
।
মেঘ – দাড়াও দাড়াও।
পালিয়ে যাবে কই?
।
তারা – হুহ।
আরে আরে কই নিয়ে যান।
।
মেঘ – রুমে ঢুকিয়ে দিলাম।
বাইরে দরজা বন্ধ করে দিলাম।
থাক এবার।
।
তারা – ভাল হচ্ছেনা কিন্তু।
খুলুন খুলুন।
শুনছেন।ঘরের সব ভাংচুর করলাম যেন দরজা
খুলে।
।
রনি – স্যার কি হইছে।
।
মেঘ – যা খুশি করুক।
তুমি যাও।
।
সকালে –
মেঘ – এখন দরজা খুলুলে হুদাই রাগ দেখাবে।
থাক।
।
তারা – সকাল শেষ হয়ে দুপুর হল।
আমার ক্ষুদা লাগছে আর কুত্তাটা দরজা
খুলছে না।
।
মেঘ – হাতে খাবার নিয়ে দরজা খুললাম।
।
কু ক্ষুদা লাগছে?
নেও খাও।
।
তারা – খাবনা।
যান ভাগেন।
।
মেঘ – অকে।
আমি খাটে বসে খাচ্ছিলাম।
আর অকে দেখছিলাম।
।
তারা – পেটে ইদুর রেস করছে আর উনি
আমাকে দেখিয়ে খাচ্ছেন।
কুত্তা বিলাই,
উনার সাননে যেয়ে দাড়ালাম।
হাত থেকে প্লেট নিয়ে নিলাম।
বসে খাওয়া শুরু করলাম।
।
মেঘ – আরে এটা আমার ……
।
তারা – আরেক প্লেট এনে খান।
।
মেঘ – অর খাওয়া দেখছি।
পানি এনে দিলাম।
তারা খেয়ে নিল।
।
মেঘ – নেও।
।
তারা – না না না ওষধ খাব না।
।
মেঘ – কাল কের মত খাওয়াব?
।
তারা – না না চুপ করে খেয়ে নিলাম।
।
হুহ শান্তি নাই।
।
মেঘ – রনি বাইরে যাচ্ছি ও যেন কোরহাও না
যায় দেখে রেখ।
।
রনি – জি স্যার।
।
২ঘন্টা পর-
মেঘ – তারা! তারা!
।
রনি – ছাদে স্যার।
।
তারা – ছাদে বসে গান শুন ছিলাম।
পাশে উনি বসলেন।
আমি সরে গেলাম উনি আবার সরে আসলেন।
।
মেঘ – সরে যেয়ে লাভ নাই।
কি গান শুনছ?
কানে দিলাম একটা নিয়ে।
।
বাহ কি সুন্দর গান।
সন্ধা হচ্ছে চল নিচে।
।
তারা – আপনি যান।
আমি থাকব।
মেঘ – এমনি ঠান্ডা লাগছে আরো বেড়ে
যাবে।
।
তারা – লাগবেনা।
।
মেঘ – কথা শুন না কেন।
কোলে তুলে নিলাম।
।
তারা – আপনি শুনেন কোন কথা?
।
মেঘ – তোমার টা শুনব না।
আমার বাবু হক তারপির অর টা শুনব।
।
তারা – হুহ যে হলইনা তার কথা বলছে।
।বিয়ে হবার খবর নাই আর বাবু।
।
মেঘ – চল এখনি বিয়ে করে ফেলি।
।
তারা – অ হ্যালো থামুন।
আপনারে বিয়া?
হুহ।
।
মেঘ – তুমি কি আমাকে মাফ করবানা?
।
তারা – না।
।
মেঘ – তাতে কি তুমি তো আমার ই।
আমি জোর করে বিয়ে করব তোমাকে, তুলে
নিয়ে যাব তোমাকে হাহ।
।
তারা – গুন্ডা একটা।
।
মেঘ – হুম তাই ই।
।
তারা -( আমি আবার নতুন করে তার প্রেমে
পরেছি) তাকে এখনি জানাতে চাই না।
আমার ইগো মাঝখানে চলে আসছে।
।
মেঘ – কি ভাবছ।
।
তারা – কিছুনা।
।
মেঘ – সোফায় বসিয়ে দিলাম।
।
পাশে বসে টিভি দেখতে লাগলাম।
।
তারা – উঠে যাচ্ছিলাম।
।
মেঘ – কোথায় যাচ্ছ।
।
তারা – আসছি।
।
রান্নাঘর এ গেলাম উনি পাস্তা খুব পছন্দ
করতেন।
সেটাই রান্না করলাম।
।
মেঘ – বাহ কি সুন্দর ঘ্রান।
কিন্তু কোথা থেকে আসছে।
।
তারা – নিন।
।
মেঘ – দেখতে তো ভালই লাগছে কিন্তু খেতে
কেমন হবে কে জানে।
ভয়ে ভয়ে মুখে দিলাম।
।
তারা এটা তুমি রান্না করছ
?
।
তারা – হুম।
।
মেঘ – সত্যি?
।
তারা – হুম।
।
মেঘ- এত ভাল কিভাবে শিখলা।
।
তারা – তো আপনার কি মনে হয় আমি এত দিন
বাইরের খাবার খেয়ে আছি?
।
মেঘ – না মানে বিলিভ হচ্ছেনা।
।
তারা – হুহ।
।
মেঘ – যাক বউ আমার রান্না শিখে গেছে
।
তারা – আবার শুরু করছেন।
?
।
দুর।,
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!