The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 121

→বেশ মজা করে খাবার গুলো খেয়ে নেয় রোয়েন।প্রত্যেকটা রান্নায় রুহীর হাতের স্বাদ পাচ্ছে।তৃপ্তি ভরে খেয়ে উঠে দাঁড়ায় ও। রুমে গিয়ে রুহীকে দেখতে পাবে তো?রুহীকে দেখার প্রহর কাঁটছেইনা। বৌটা ওর সাথে লুকোচুরি খেলছে না তো?হাত ধুয়ে রুমে যাওয়ার জন্য সিড়ির পানে পা বাড়ায় রোয়েন।রুমে এসে খেয়াল করলো লাইট অফ।আলো জ্বালিয়ে দেখলো বিয়ের শাড়ীতে খাটে বসে আছে রুহী।কিছুক্ষনের জন্য থমকে গেলো রোয়েন।সত্যি রুহী ওর সামনে বসে আছে?স্বপ্ন দেখছেনা তো ও?রুহী কিছু বলছেনা শুধু রোয়েনকে পলকহীন ভাবে দেখছে।রোয়েন এগিয়ে এসে খাটে বসে পড়ে।রুহী নড়েচড়ে বসলো।রোয়েন রুহীকে দেখছে যেন আজ দেড়বছর আগে চলে গেল।ওদের বিয়ের দিনের সময়টায়।রুহী মাথা নিচু করলো।কি বলবে কিভাবে বলবে বুঝতে পারছেনা।রোয়েন গলা পরিষ্কার করে বলল,
”রুহী আ’ম সরি।”
রুহীর চোখে পানি এসে যায়।এবার ভুলটা ওর ছিলো। কিছু না ভেবে কাল চলে গিয়েছিলো।আর এখন সে সরি বলছে।রুহী এগিয়ে আসে রোয়েনের দিকে তারপর ওর কালো শার্টের মাঝে মুখ ঘষতে ঘষতে বলল,
”আমি দুঃখিত রোয়েন।কাল যা করেছিলাম ঠিক হয়নি।”
রোয়েন হেসে রুহীর মাথায় হাত রেখে বলল,
”আমি এতেই খুশি তুমি আমাকে বুঝতে পেরেছো।”
রুহী মাথা সরিয়ে রোয়েনের দিকে চেয়ে বলল,
”তোমাকে পুরোটা বুঝতে চাই।তোমার সমুদ্রের হৃদয়ের গভীরে ডুবে যেতে চাই রোয়েন।আর কখনো উঠতেই চাইনা।”
রুহীর কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দেয় রোয়েন। তারপর একটু সরে এসে রুহীর চিবুক ধরে মাথা উঁচু করে নিজের দিকে এনে বলল,
”রুহী তুমি এমনিতেই আমার পুরোটা জুড়ে আছো।আমি তোমাকে বুঝতে চাই খুব ভালভাবে যেন সামনে আর কোন ভুল না করতে পারি।”
রুহীর ঠোঁটে হাসি ফুঁটে উঠে।রোয়েনের দুগালে ঠোঁট ছুঁইয়ে বলল,
”বললে না কেমন লাগছে আমায়?”
”দেড় বছর আমার নববিবাহিতা স্ত্রীকে দেখছি।সেদিন সব ঠিক থাকলে নিজ হাতে তোমাকে ফেলে দিতে পারতাম না।”
”ওটা নাটক ছিলো তুমি জানো।”
”ঠিক আছে।বাট সেদিন মন চাইছিলো নিজেকে শেষ করে দেই।”
রুহীর হঠাৎ খেয়াল হলো দ্রিধা নেই। রোয়েন কে বলল,
”দ্রিধা কই?”
”রামীলার কোলে ছিলো।”
”আমি গিয়ে নিয়ে আসি।”
রুহী খাট থেকে নেমে যাচ্ছিলো।রোয়েন ওর কোমড় চেঁপে বলল,
”থাকতে দাও না।”
অবাক হয়ে রোয়েনের দিকে তাকায় রুহী।তিনমাসের বাবু মাকে ছাড়া কিভাবে থাকবে?এই লোক পাগল।
”পাগল তুমি।”
”রুহী আজ রাতটা আমার তোমার।”
”তাই বলে ওকে রামীলার কাছে রাখবো?বয়স তিন মাস মাত্র রোয়েন।”
আক্ষেপ হয় রোয়েনের।আজকের রাতটাও একটা এঞ্জয় করতে পারবেনা ওরা।মেয়েটা রাতে বিরাতে উঠে না কাঁদলেই হলো।রুহী বাবু কে নিয়ে রুমে আসে।দ্রিধা ঘুমে বিভোর।ওকে দোলনায় শুইয়ে দেয় রুহী।রোয়েন নিজের শার্ট খুলে খাটের ওপর রাখলো।মেয়েকে শুইয়ে রোয়েনের দিকে তাকাতেই লজ্জায় কুঁকড়ে গেলো ও।রোয়েন উঠে রুহীর কাছে এসে দাঁড়ায়।তারপর ধীরে ধীরে রুহীর ঘোমটা খুলে দিলো।রুহীর মনে হচ্ছে আজ সব নতুন।আজই বিয়ে হয়েছে ওদের।কেমন লজ্জা লাগছে।দম বন্ধ হয়ে আসছে ওর।রোয়েন রুহীর লেহেঙ্গার হাতা কাঁধ থেকে খানিকটা সরিয়ে সেখানে ঠোঁয়া ছোঁয়াতেই রুহী রোয়েনকে কাঁধে রাখা হাত শক্ত করে মুঠ করে নেয়।অনেকটা দিন পর এই ছোঁয়া অন্যরকম অনুভূতি জাগাচ্ছে।রোয়েন সরে এসে রুহীর কপালে গালে চুমু দিয়ে ওকে কোলে তুলে নেয়।রুহী লজ্জা মাখা হাসি দিয়ে রোয়েনের বুকে মাথা রাখে।ওকে শুইয়ে দিয়ে ওর ওপর হালকা ভাবে নিজের ভর ছেড়ে দেয় রোয়েন।রুহীর ওষ্ঠজোড়ায় নিজের উষ্ণ স্পর্শ দিয়ে ওর গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয় রোয়েন।বড় বড় নিশ্বাস নিয়ে রোয়েনকে জড়িয়ে ধরে রুহী নিজের সাথে।দুজনে আবার পবিত্র মিলনে বেঁধে যেতে থাকে।এ মিলন চিরকালের।যা কখনো শেষ হবার নয়।
পরদিন সকালে রামীন আশফিনার ফ্লাইট বাংলাদেশে ল্যান্ড করে।সেখানে ওদের রিসিভ করতে আসে রামীনের বড় ভাই।
ভাইয়ের সাথে কিছুসময় গল্প করে তিনজনে বাসার জন্য বেরিয়ে পড়ে।বড় ভাবি বেশ সকাল করেই উঠে গেছেন। রামীন আর আশফিনার রুমে গরম পানি আর প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র দিয়ে আসার জন্য কাজের লোক গুলোকে অস্থির করে তুলেছেন।আটটায় রামীন আশফিনা আর বড় ভাই ঘরে এসে পৌছে।তবে এখন কেউই তেমন গল্প করেনি কারন তিনদিনের লম্বা জার্নি পেরিয়ে এসেছে ওরা।নিশচয়ই খুব ক্লান্ত বোধ করছে। রামীন আর আশফিনা রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নেয়।ভাবি দুজনের জন্য নাস্তা পাঠিয়ে দেয় রুমে।ওরা নাস্তা খেয়ে শুয়ে পড়ে।বেশ ক্লান্ত দুজনেই।প্লেনে একদমই ঘুম হয়নি।এদিকে রোয়েন উঠে ফ্রেশ হতে চলে যায়। অনেকদিন পর আজ বেশ ভালো ঘুম হয়েছে।রুহী ওর জীবনে আবার ফিরে এসেছে আগের মতো করে।ওদের মাঝে সব ঠিক হয়ে গেছে আবার।ভাবতেই বেশ ভালো লাগছে রোয়েনের।বাবুর কান্না শুনে চোখ খুলে রুহী।পাশে রোয়েনকে না পেয়ে উঠে বসে ও।গায়ে একটা গায়ের কাপড় ঠিক করে মেয়েকে কোলে তুলে নেয় রুহী।কান্না শুনে মনে হলো বেশ ক্ষুধার্ত।বাবুকে খাইয়ে দিতে শুরু করে ও।এরই মাঝে রোয়েন বেরিয়ে আসে ফ্রেশ হয়ে।রুহী বলল,
”মেয়েকে একটু রাখো।আমি শাওয়ারটা নিয়ে আসি।”
রুহীর কাছে এগিয়ে আসে রোয়েন। মাথা নিচু করে রুহীর মাথায় ঠোঁট ছুঁইয়ে বলল,
”যাও। ”
রুহী উঠে কাপড় নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায়।আজ আরেকটি শুক্রবার এসে গেছে ওদের জীবনে।এ শুক্রবারটি রোয়েন রুহীর জন্য সুখ বয়ে এনেছে।
রোয়েন রুহী দুজনে নাস্তা সেড়ে গরম চা হাতে গল্প করছিলো বসে।তখনই রামীনের কল আসে রোয়েনের নম্বরে।রোয়েন কল রিসিভ করে বলল,
”কখন আসলি?”
”এই আটটায় ঘরে আসলাম।”
”ওহ।আশফিনা কেমন আছে?”
”ভালো আছে।তোরা কেমন আছিস?”
”আলহামদুলিল্লাহ। খাওয়া দাওয়া করলি?”
”হুম।দ্রিধা মামনি কেমন আছে রে?”
”এই ভালোই।”
”শুনলাম আঙ্কেল আসছে।”
”হুম।”
”কেমন আছেন উনি?”
”ভালো আছে বাবা।”
”নিয়ে আসিস ওনাকে।”
”শুন আজ হয়ত আমরা আসতে পারি। তোরে অনেকদিন দেখিনি।সে সাথে আশফিনাকে ও দেখা হয়ে যাবে।”
”আরে চলে আয়।মেয়েটাকে ও নিয়ে আসিস।”
”আচ্ছা।”
”ফাহমিনের কি খবররে?বেটা তো বেশ খুশি।”
”ও ভালো আছে।এ্যাংগেজমেন্ট হয়ে গেছে সামায়রার সাথে।”
”হুম।বুড়া বয়সে ভিমরতী পাইছে ফাহমিন্নারে।”
স্বজোরে হেসে উঠে রোয়েন।তারপর হাসি থামিয়ে বলল,
”যাহ কি বলিস।হি লুকস বেটার দেন জুয়েল।”
”জুয়েল কে আমাদের আঙ্কেল লাগে জানিস তুই?”
আরো একদফা হেসে রোয়েন বলল,
”ওর সামনে বলিস তোরে আস্ত রাখবেনা।”
এরপর দুবন্ধু হাসতে শুরু করে।
রামীন হাসির মাঝেই বলল,
”তুই কি আজ অনেক বেশি খুশি?”
হাসি থামিয়ে রোয়েন বলল,
”অনেকটাই।কারন না পাওয়ার অনেক কিছুই পেয়ে গেছি আজ।”
”কি পেয়ে গেলি?”
”এতো শুনতে হবেনা।বিকেলে আমরা আসবো।তুই ঘরেই থাকিস।”
”আচ্ছা।”
রোয়েন কল কেঁটে রুহীর দিকে তাকায়।রোয়েন কে এভাবে হাসতে প্রথম বার দেখছে রুহী।লোকটাকে খুব খুশি খুশি লাগছে। এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে রোয়েন জিজ্ঞেস করলো,
”কি হলো?কি দেখছো?”
”তোমাকে।বেশ ভালোই লাগছে আজ।”
”আগে লাগেনি?”
”লেগেছে তবে আজ বেশি।”
রোয়েন হঠাৎ রুহীর হাত ধরে নিজের ওপর এনে ফেললো।রুহীর কপালের ওপরের চুল গুলো সরিয়ে ওর মুখখানা চুমুতে ভরিয়ে দিতে থাকে। আবার ও মিশে যায় ওরা একে অপরের মাঝে।এদিকে ফাহমিনকে বেশ চিন্তিত লাগছে।সকাল থেকেই কেমন হয়ে আছে ওর চেহারাটা। ফারদিন খান আর নীলাদ্রি অনেকটা সময় ধরে ছেলেকে পর্যবেক্ষন করছেন।দুপুরে খাবার টেবিলে ফারদিন খান জিজ্ঞেস করেই বসেন,
”কি হয়েছে তোর?”
”বাবা একটা বিষয়ে খুব কনফিউশানে ভুগছি।”
”কি হয়েছে?”
”রবিন কল করেছিলো।ও জার্মানিতে আছে।সেখানে আমাকে যেতে বলল।ওখানে একটা ডিগ্রি করলে আমার কিছু বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হবে।এবং ওর হাসপাতাল আছে।সেখানে ক্লাশ নিতে পারবো।রবিন বলছিলো ওখানে গেলে আমাদের জন্য অনেক ভালো হবে।”
”হুম।চলে যা তাহলে।”
”কিন্তু বাবা আসাটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।আর আগে আমাকে সেখানকার নাগরিক হতে হবে।এবং সেটায় অনেকটা সময় লেগে যাবে।”
ফারদিন খান লম্বা নিশ্বাস ছেড়ে বললেন,
”দেখ আব্বু এমন সুযোগ হাত ছাড়া করিসনা।তুই আমাদের কথা ভাবছিস?ভালো থাকবো আমরা।”
”তোমরা ও চলে এসো তাহলে।”
”এতবড় বাড়ি একা রেখে যাবো না আমি।”
নীলাদ্রি তখন বলে উঠেন,
”এতো ভাবিস না ফাহমিন।তোর আব্বু ঠিকই বলছে আমরা ভালো থাকবো।”
ফাহমিন চুপ হয়ে গেলো।নীলাদ্রি বললেন,
”তাহলে তো সামায়রা কে ও পাঠায় দেয়া উচিৎ তোর সাথে।যেহেতু শিফট হবি সেখানে।কবে না কবে আসবি।এই ফারিয়ার আব্বু সামায়রার পরিবারের সাথে কথা বলেই দেখোনা কি বলেন ওনারা?”
”ঠিকই বললে।আমি আজই কথা বলবো।”
ফারদিন খান ছেলের দিকে তাকিয়ে বললেন,
”কবে যাবি তুই?”
”বাবা সামনের মাসে।কারন কাগজ পত্র ঠিক করতে হবে।”
”তাহলে যা করার এর মধ্যেই সাড়তে হবে।”
ফাহমিন চুপচাপ বাবা মায়ের কথা শুনতে থাকলো।এদিকে রোয়েন রুহী রাভীন চৌধুরী আর মেয়েকে নিয়ে রামীনের বাসায় চলে আসে।দ্রিধাকে পেয়ে রামীন কোলে তুলে নেয়।তারপর আদর করে বলল,
”আমার আম্মাজান টা কেমন আছে গো?কতো বড় হয়ে গেছে আম্মুটা।”
আশফিনা আর রুহী একে অপরকে জড়িয়ে ধরে।রাভীন রুশান চৌধুরী রামীনকে দেখে বললেন,
”কতো বড় হয়ে গেলা রামীন।”
”জি আঙ্কেল আপনার দোয়ায়।ভালো আছেন?”
”আলহামদুলিল্লাহ বাবা।”
রামীন আশফিনার দিকে চেয়ে বলল,
”আশু রোয়েনের বাবা।”
আশফিনা উঠে এসে সালাম দেয় রাভীন চৌধুরীকে।গল্প করছিলো ওরা।রোয়েন কে নিয়ে আলাদা রুমে আসে রামীন।রোয়েন আর ও দুটো চেয়ারে বসে আছে পাশাপাশি।রামীন বলল,
”মন খারাপ করিসনা।যা হয়েছে ভালোর জন্যই হয়েছে।আঙ্কেলের ব্যাপারে তোর ধারনা পাল্টে গেছে এটাই অনেক।”
”জানিস খারাপ লাগছেনা আমার।বরং আমি খুশি বাবাকে পেয়েছি আমি।মায়ের ব্যাপারটা মনে পড়লে ঘেন্না লাগে আমার।যাকে এতোটা বছর বিশ্বাস করে এলাম ভালবেসে আসলাম সে আদৌ কি ভালবাসার যোগ্য ছিলো রামীন?”
”একদম না।বরং তোকে এখন আঙ্কেল তোর রাজ কুমারী আর রুহীকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।ভালো থাকতে হবে।এতেই সবার কল্যান।”
”হুম।”
অনেক ভেবে চিন্তে আরমান হামিদ কে কল দেন ফারদিন সাহেব।আরমান হামিদ কল রিসিভ করে কানে রাখেন।ফারদিন খান বললেন,
”আপনি বাসায় নাকি ব্যাস্ত আছেন?”
”ঘরেই আমি।বলুন।”
”আচ্ছা ফাহমিন জার্মানি যাবে।সেখানেই শিফট হয়ে যাবে।ডাক্তারির পার্পাজেই যাওয়া সেখানে।এখন যেহেতু আপনার মেয়ের জীবন ওর সাথে জড়িয়ে গেছে তাহলে দুজনকে এক করে দেয়াই ভালো কারন ফাহমিন কবে না কবে আসে বলা যায়না।পাঁচবছর ও লাগতে পারে দশবছর ও লাগতে পারে।তাই দুজন একসাথে চলে গেলে ভালো হতো।”
আরমান হামিদ চিন্তায় পড়ে গেলেন।মেয়েকে এত জলদি পার করার ইচ্ছা কোন সময়ই ওনার ছিলো না আর ফারদিন সাহেবের কথা ও ফেলে দেয়ার মতো নয়।আরমান হামিদ অনেক চিন্তা করে বললেন,
”তাহলে বিয়েটা পড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন?”
”সেটাই চাচ্ছিলাম।”
”তাহলে কবে আসবেন?”
”আপনার সুবিধামতো সময় বলে দেন।”
”আমার সুবিধা মতো বললে হবেনা।দুজনের কাগজ ঠিক করতে হবে।”
”তাহলে কাল সকালে চলে আসি।আপনি আপনার গেস্টদের বলে দেন।”
”আচ্ছা বলবো।”
”বিয়ের শাড়ীটা আপনাদের ঘরের জন্য বের হয়েছে।সব গেলো কিনা জানিয়ে দেবেন কষ্ট করে।”
”জি।রাখছি তাহলে।”
”আচ্ছা ভাই আল্লাহ হাফেজ।”
চলবে