The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 10

→সেদিন রাতে ঘুমের মাঝে প্রচন্ড চিৎকার করে উঠে রুহী।শব্দটা কানে আসতেই ধুপ করে উঠে বসে রোয়েন।চিৎকার করে কাঁদছে মেয়েটা।রাতে খেয়ে শুয়ে পড়ে রুহী। রোয়েন আজকাল এতোটা আসেনা ওর রুমে দরকার ছাড়া।ব্যাপারটা স্বাভাবিক হলে ও বেশ কষ্ট দায়ক মনে হয় রুহীর।এর কারন জানা নেই ওর।খাওয়ার মাঝেই দরজার দিকে চোখ পড়ে রুহীর খয়ের বর্নের চোখজোড়ার ওপর।লোকটা ওকে দেখছিলো এতোসময় ধরে।ওদের চোখাচোখি হতেই সরে যায় রোয়েন।রুহী রোয়েনের সরে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।কিছুক্ষন পর রোয়েন ও খেতে বসে।রুহী লোকটার খাওয়া দেখছে।তার খাওয়ার ধরন ও বেশ।একদম সোজা হয়ে বসে আছে।হাতের চামচ টাকে খাওয়ার ওপর ঘুরাতে ঘুরাতে কোন এক চিন্তায় বিভোর সে।রুহী ও ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে আছে রোয়েনের দিকে।কি ভাবছে লোকটা অতো।তারপর একচামচ খাবার মুখে তুলে পাশের রুমাল টাকে নিজের মুখের ওপর রেখে আলতো ভাবে একবার মুছে নিয়ে ফোন কানে চেঁপে রুমে চলে গেলো।কি খেলো সে? এতো সময় ধরে তো কি যেন ভেবে যাচ্ছিলো।খাবার শেষ করে রুম থেকে বের হয় রুহী।রোয়েনের প্লেটের সামনে এসে দেখে একটু খাবার ও খায়নি।পুরোটা প্লেটেই।শুধু একপাশ থেকে একটু নাই।অজান্তে বেশ খারাপ লাগে রুহীর।তারপর ও চুপচাপ প্লেট রেখে হাত মুখ ধুয়ে নেয় রুহী।তারপর রুমে এসে শুয়ে পড়ে।
ঘুমের মাঝেই রুহীর মনে হতে থাকে।কে যেন গায়ে হাত বুলাচ্ছে ওর।ও যেন জালাল উদ্দীনের সেই চেহারা টা দেখতে পাচ্ছে।লোকটা ওর পুরো শরীরে হাত বুলাচ্ছে।দম।আটকে আসছে ওর।জালাল উদ্দীনের মুখ ওর দিকে এগিয়ে আসতেই চোখ খিচে বন্ধ করে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে রুহী।সাথে সাথে কেউ যেন ওর রুমের লাইট জ্বালিয়ে দিলো।রুহী দুহাতে মুখ চেঁপে চিৎকার করে কাঁদছে।কেউ এসে ওর সামনে বসে ওর হাত চেঁপে ধরে,
.
.
-কি হলো তোমার?
.
.
বেশ পরিচিত একটা কন্ঠ তারপর ও ভয় লাগছে রুহীর।খুব ভয় লাগছে।যেন চোখ খুললে সেই লোকটা কে দেখতে পাবে।
.
.
-না না প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন প্লিজ।
-রুহী কি হলো?সব ঠিক আছে।
.
.
রোয়েন বেশ বুঝতে পেরেছে সেই ঘটনা রুহীর মাথায় চেঁপে বসেছে।অবশ্য বসবারই কথা।ব্যাপারটা রুহীর জন্য বেশ ভয়ানক ছিলো।এ ঘটনা এতো সহজে কম সময়ে ভুলার মতো নয়।রোয়েন বুকে টেনে নেয় রুহীকে। তারপর ওর মাথায় হাত বুলাতে থাকে।
.
.
-তুমি ঠিক আছো রুহী।ভয় পেও না।
.
.
এবার যেন একটু ভালো লাগছে রুহীর।মনে হচ্ছে বেশ ভরসার জায়গা এটা।রুহীর চোখের কোন বেয়ে পড়া অশ্রু ওর ঠোঁটে এসে থেমেছে।রোয়েন রুহীকে বুকে জড়িয়ে বসে আছে।রুহী জড়িয়ে ধরেনি রোয়েনকে।ওর কেন ইচ্ছে হচ্ছে লোকটাকে জড়িয়ে ধরতে কিন্তু পারছেনা।একটুপর সরে এলো রুহী নিজ থেকেই।রোয়েন ওর কাঁধ ধরে শুইয়ে দিলো।রুহী নিষ্পলক চোখে রোয়েনকে দেখছে।হঠাৎ রোয়েন রুহীর গালে কপালে তারপর ঠোঁটের কোনা ঘেঁষে চুমু খেতে থাকে।রুহীর খুব আরাম হচ্ছে।এভাবে কতোটা সময় কেঁটে গেলো বলতে পারেনা রুহী।কারন ঘুমের মাঝে ও স্পর্শ গুলো পাচ্ছিলো।রুহী চুমু খেতে খেতেই ঘুমিয়ে যায়।সরে এলো রোয়েন।রুহী ঘুমিয়ে গেছে চুমু খেয়ে।ঠোঁটের কোনা দিয়ে একটু হাসলো রোয়েন। মেয়েটা ওর প্রিন্সেস ওর প্যাশন ওর সব।কথা গুলো ভাবতে ভাবতোই রুহীর কপালে চুমু দিয়ে উঠে দাঁড়ায় রোয়েন।তারপর আলো নিভিয়ে বেরিয়ে এলো রুম থেকে।সেরাত টা কেঁটে গেলো।পরদিন সকালে অফিসে আসে রোয়েন।তার আগে রুহী কি খাবে না খাবে সব ঠিক করে দিয়ে এসেছে।
,
,
,
,
অফিসে এসে নিজের কেবিনে চলে আসে রোয়েন।তারপর কল করে শামীমকে রুমে আসতে বলল।কিছুক্ষন পর শামীম রুমে এলো।
.
.
-স্যার ডেকেছিলেন।
-ইয়েস।আজ বিকেলে ছুটি।
-জি স্যার???
-হুম।আচ্ছা আমার কোব্রা আর কিং এর কি খবর?
-স্যার এখন রফিক ওদের খেয়াল রাখছে।তবে ভালো আছে ওরা।অবশ্য খেতে চাচ্ছেনা ওরা কিছুদিন যাবৎ।
-চেষ্টা করেনি খাওয়াতে?ভ্রু কুঁচকায় রোয়েন।
-চেষ্টাতো জারি আছে।আপনি অনেকদিন যান না ওদের কাছে।
-বাঁকা হাসে রোয়েন।আজ খাবে ওরা পেট ভরে খাবে।
-জি স্যার!!
-সবাইকে জানাও আজ বের হবো আমরা সবাই রুহীকে নিয়ে।
-জি স্যার।মুচকি হাসে শামীম।
.
.
শামীম বের হতেই রামীন হেসে উঠে শব্দ করে।দাঁত কড়মড় করে রোয়েন তবে কাজে মনযোগ দিয়ে আছে ও।পাশ থেকে রামীন বলল,
.
.
-সিরিয়াসলি দোস্ত ডেটে যাবি তাও আবার সবাইকে নিয়ে।রোমান্টিক ডেট হবে পারিবারিক পিকনিক মুহাহাহাহা।
-জাস্ট শাট আপ।এতো বেশি বুঝিস কেন তুই?রেগে বলল রোয়েন।
-ওকে বস ভুল হয়ে গেছে।আর বলবো না ভাই।কাজ কর তুই।
.
.
সামনে ফিরে কাজে মনযোগ দেয় রোয়েন।বিকেল হতেই একজন কে কল দেয় ও।তারপর অপরপাশ থেকে কল রিসিভ হতেই রোয়েন বলল,
.
.
-জালাল কে নামিয়ে সুইমিংপুলের পাশে এনে দাঁড় করাও পাঁচারটার মধ্যে।
-জি স্যার।
.
.
রোয়েন ফোন কেঁটে সবাইকে সুইমিংপুলের পাশে অপেক্ষা করতে বলে ঘরে চলে এলো।রুহী জানালার হাতল ধরে বসে আছে।রুহীকে কিছুক্ষন দেখে রোয়েন একটা শপিংব্যাগ রুহীর দিকে দিয়ে বলল,
.
.
-রেডি হয়ে নাও।বের হবো।
-আমার ভালো লাগছেনা।
-সবসময় একটা কথা এতো বার বলতে হবে কেন তোমাকে?একটা কথা বারবার বলা পছন্দ না আমার।যাও পাঁচ মিনিটের মাঝে রেডি হও।
-ওকে।
.
.
রুহী ওয়াশরুমে চলে গেলো ব্যাগ টা নিয়ে।রোয়েন সোফায় বসে রইলো লম্বা কোটটা গায়ে জড়িয়ে।কিছুক্ষন পর রুহী বেরিয়ে এলো গাঢ়ো বেগুনী বর্নের সিল্কের শাড়ী গায়ে জড়িয়ে।নিজেকে হালকা সাজিয়ে তুলল ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে।তারপর বেরিয়ে এলো রুম থেকে।চুড়ির শব্দে পাশ ফিরে তাকায় রোয়েন।তারপর আর কিছু বলতে পারলোনা।কারন আজ পরীদের ও হার মানিয়েছে ওর মায়াবতী।ওপরওয়ালার অন্যাতম সুন্দর সৃষ্টি ওর মায়াবতী।হঠাৎ রোয়েনের চোখ গেলো রুহীর শাড়ীর দিকে।তারপর অপেক্ষা না করে রুহীকে ঠেঁলে রুমে নিয়ে এলো রোয়েন।কারন ওর কাজের লোকেরা হাঁটা চলা করছে।রোয়েনের এমন আচরনে কিছুটা অবাক হয় রুহী।রোয়েন ওর দিকে তাকায়।রুহী চোখ নামিয়ে নেয়।রোয়েন এবার কিছু না বলে চুপচাপ রুহীর সামনে বসে ওর পেটের সাইডটায় ঠোঁট ডুবায়।রুহী কেঁপে উঠে সরে যেতে নিলে রোয়েন ওর কোমড় আঁকড়ে ধরে হাত দিয়ে।শাড়ির কোনা দিয়ে রুহীর পেট দেখা যাচ্ছিলো তখন।সহ্য হয়নি রোয়েনের।তাই নিয়ে এসেছে রুমে।রুহীর পেটে ঠোঁট বুলিয়ে শাড়ী টেনে পেট টা ঢেকে দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে রুহীর হাত টেনে বাহিরে নিয়ে আসে।সুইমিংপুলের সামনে সবাইকে দেখতে পায় রুহী।সাথে জালাল উদ্দীনকে ও।রোয়েনের হাতে একটা লম্বা ধারালো তলোয়ার ধরিয়ে দিলো কালো মোটা এক লোক।তলোয়ার টা জ্বলজ্বল করছে।মনে হচ্ছে একদম নতুন।জালাল উদ্দীনকে দুজন ধরে রেখেছে।ওনার হাত দুটো দুদিকে ছড়ানো।শামীম আর রফিক হাত দুটো ধরে আছে।রেজোয়ান মাহবুবের পাশে এসে দাঁড়ায় রুহী।মেয়েকে দেখে রেজোয়ান মাহবুব হাত প্রশ্বস্ত করে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়ান।রুহী রোয়েনকে দেখছে।লোকটার চেহারায় চরম হিংস্রতা প্রকাশ পেয়েছে।রোয়েন জালাল উদ্দীনের সামনে এসে দাঁড়ায়।তারপর বলল,
.
.
-রুহীর সাথে যা করেছিস আজ তার দ্বিগুন শাস্তি তোকে আমি দিবো।
.
.
কথাটা বলেই রোয়েন তলোয়ারটাকে স্বজোরে জালাল উদ্দীনের হাতের ওপর চালায়।সাথে সাথে রক্ত ছিটে পড়ে চার দিকে।রোয়েন হাতটা নিয়ে সুইমিংপুলের দিকে ছুড়ে মারতেই রুহীর মনে হলো পানিতে কিছু যেন খুব দ্রুত হাতটাকে কামড়ে ছিলে ফেলছে।
রুহী ধুপ করে রাস্তায় বসে গেলো।কারন রোয়েন অপর হাতটা ও এভাবে কেঁটে পানিতে ছুড়ে দিলো।তারপর পা জোড়া।এবার বাকি আছে শুধু শরীরটা।জালাল উদ্দীনের শরীরটাকে বেঁধে পানিতে ফেলে দিলো রোয়েন।এবার রুহী দেখলো দুটো কুমির জালাল উদ্দীনের শরীরটাকে খেতে শুরু করেছে।
চলবে