Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 88
আনিলা বেগম খাট থেকে উঠে বসে শাড়ীর আঁচল কোনমতে গায়ে জড়িয়ে নিয়ে বলল রুপন্তী তো।শুধু বাহানা।তোমার তো শুধু লুচুগিরিই চলে মনে।
এতক্ষন সুখের সাগরে ভাসছিলেন প্রনয় খান।এর আগেও অনেক মেয়েদের সাথে ছিলেন ওনি।
কিন্তু তেমন স্যাটিসফেকশন মেলেনি কারোর সাথে কিন্তু আজ অনেক বছর পর ভীষন তৃপ্তি পেয়েছেন।
বয়স হলে ও আনিলার ফিগারে এখনো বয়স্কের ছোঁয়া পায়নি।আগের মতোই আছে ও।সবই আগের মতো আছে।
আনিলা বেগম উঠে যেতে নিলে ওনার হাত টেনে ধরলো প্রনয় খান।
-কই যাও?জিজ্ঞেস করে উঠেন প্রনয় খান।
-ফ্রেশ হতে যাচ্ছি প্রনয়।বলে উঠেন আনিলা।
-আনিলাকে টেনে শুইয়ে দিয়ে জড়িয়ে ধরলেন প্রনয় এতো জলদি ছাড়ছিনা তোমায়।আরো অনেক কিছু বাকি আছে।
আনিলার কাঁধে নাক ঘষতে লাগলেন প্রনয় খান।
-দেখো বাসায় ফিরতে হবে আমার।বলে উঠেন আনিলা।
-কেন?তোমার সেই ফেক স্বামীর জন্য?জিজ্ঞেস করেন প্রনয় খান।
-একদম না।রুপন্তী কোথায় আছে কি করছে সেটা জানতে হবে।বলে উঠেন আনিলা বেগম।
-প্রনয় খান আনিলার পা জোড়া ওনার পা দিয়ে আটকে ধরলেন।অতসতো বুঝিনা।এখন তুমি যাবেনা এটাই ফাইনাল।বলেই আনিলা কে আর কথা বলার সুযোগই দিলেননা প্রনয় খান।
রুহীকে বুকে জড়িয়ে সুন্তুষ্টির হাসি দিচ্ছে রোয়েন।এটা ওর মায়াবতীর সুখের কান্না।প্রিয় মানুষটার বুকে মাথা রেখে কান্নাটা কম সুখের নয়।
রুহীকে সামনে আনে রোয়েন।মাথা নিচু করে কাঁদছে রুহী।রোয়েন রুহীর কপালে চুমু এঁকে ওকে সোফায় বসিয়ে দিলো।তারপর পাশের টিটেবিলে রাখা গ্লাসের পানি টুকু খাইয়ে দিলো।
-বাস অনেক হয়েছে রুহী, আর না।এবার কান্না থামাও।বলে উঠে রোয়েন।
রুহী কোনমতে নিজেকে সামলে রোয়েনের দিকে তাকায়।
রুহীর থুতনিতে হাত রেখে ওর মুখ উঁচু করে রোয়েন।
-মায়াবতীটা আরো মায়াময় হয়ে উঠেছে,বলে উঠে রোয়েন।
-রুহী কান্না জড়িত চোখে হেসে দেয়।
রোয়েন এবার রুহীর ঠোঁটের কাছে এগিয়ে আসে।
আচমকা রুহীর ভীষন লজ্জা লাগতে শুরু করে।হয়ত অনেকদিন পর এভাবে কাছে আসায়।তারপর ও কেমন জানি লাগছে ওর।যেন রোয়েন প্রথমবার ওর কাছে আসছে।
রুহী চোখ খিচে বন্ধ করে নেয়।বুকে কেমন এক অজানা তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে।রুহী খুব বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে।নিশ্বাস গুলো প্রত্যেকবার রোয়েনের বুকের মাঝে বাড়ি খাচ্ছে।
রোয়েনের পাগল হওয়ার অবস্থা রুহী হাতের বাহুজোড়া শক্ত করে চেপে ধরে রুহীকে একদম নিজের কাছে নিয়ে এলো।
ব্যাথা পেয়ে ও কোন টু শব্দ করলো না রুহী।ব্যাথা টা ও যেন ভীষন আরামদায়ক লাগছে ওর।
আর রোয়েন সে তো প্রিয়তমার স্পর্শে উন্মাদ আজ।রুহীর ঠোঁটজোড়া আজ আর বেশি তৃপ্তিদায়ক লাগছে ওর।
রুহী আজ উত্তেজনায় কোন ভাবেই রোয়েন চুমু খেতে পারছেনা।
ওর যে পুরো শরীর কাঁপছে।মাছ যেমন পানির স্পর্শে খুশিতে লাফায়,মানুষ যেমন অক্সিজেন পেলে বাঁচার আশা পায় তেমনি রুহী ও যেন স্পর্শটার অপেক্ষা যুগ যুগ ধরে করছিলো।
আর আজ তা পেয়ে ও গেলো।রুহীর অসাড় হয়ে যাওয়া হাত রোয়েনের পিঠের কাপড় খাঁমচে ধরলো।রোয়েন রুহীকে বুকের মাঝে আটকে নিলো।
একে অপরের নিশ্বাস, হার্টবিট অনূভব করতে পারছে।
সন্ধ্যায় বিছানা ছেড়ে উঠে যান আনিলা বেগম।ফ্রেশ হয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন।
প্রনয় খান লোভাতুর দৃষ্টিতে আনিলা বেগমের শরীর পর্যবেক্ষণ করছেন।
প্রনয়ের খানের তাকানোয় লজ্জা পায় আনিলা বেগম।
-এভাবে তাকাচ্ছো কেন প্রনয়?
-লোভ লাগে যে ডার্লিং।বলে উঠলেন প্রনয় খান।
-অতো লোভ ভালো না সোনা।আদুরে গলায় বলেন আনিলা বেগম।
-কি করবো তোমার ফিগার যে চোখ ধাঁধানো।
তাহলে রুহীর ফিগার দেখলে তো খেয়েই ফেলতে মন চাইবে তাইনা। বলেই শয়তানি হাসি দেয় প্রনয় খান।
রুহীর কথায় কিছুটা কষ্ট লাগে আনিলার।প্রনয় তার আর কারোর না।বিছানায় অন্য মেয়েদের সাথে প্রনয় থাকবে সেটা ওনি কল্পনাই করতে পারেননা।
আনিলার রেসপন্স না পেয়ে প্রনয় খান বলেন,
-কষ্ট পেয়েছো বুঝি?
-নাহ পাইনি।বলে উঠেন আনিলা বেগম।
-কি করবো বলো রুহীর আমার আগের থেকেই নজর।ওকে জাস্ট রাতের জন্য পেলেই চলবে।বলে উঠেন প্রনয় খান।
-আনিলা চুপচাপ বেরিয়ে যেতে নিবে তখনই তার হাত চেঁপে ধরলেন প্রনয়।
-এভাবে মাঝে মাঝে এসো।
-ফালতু যত্তসব।বলে বিরক্তি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে আনিলা বেগম।
আনিলা বেগম ঘরে ফিরে আসতেই রুপন্তী ওনার সামনে তেড়ে এলো।
-ঐ লোকের কাছে কেন নিলে আমায়?
-ঠিক ভাবে কথা বল,সে তোর বাবা।রাগী গলায় বলেন আনিলা বেগম।
-আমি মানিনা।ওনি কখনো আমার বাবা হতেই পারেননা।আর হলে ও মানিনা আমি।সে যদি বাবা হতোই এতো বছর কই ছিলো সে?
কেন দূরে ছিলো সে?বলো কেন দূরে ছিলো।সে কি জানতো না তার একটা মেয়ে আছে?
রুপন্তী আস্তে কথা বল।তোর সাহস দেখে অবাক আমি।এতো উচ্চস্বরে কথা বলছিস কেন?রাগী গলায় বললেন আনিলা বেগম।
-চুপ থাকবোনা আমি।মিথ্যা বলে ঐ লোকের কাছে নিয়ে গেছো আমায়।আবার বলছো আমার বাবা সে।ইম্পসিবল।
এতো বছর পর বাবাগিরি দেখাইতে আসছে কেন সে?চিৎকার করে বলল রুপন্তী।
-দেখ এতো কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নই আমি।সে তোর বাবা আর কেউ না।বলেই চলে যাচ্ছিলেন আনিলা বেগম।
-শুনো আমি মরে গেলে ও ঐ লোককে বাবা ডাকা তো দূরের কথা মানবোইনা।
আমার বাবা শুধু একজন আর সে হলো আজিজ রায়হান।বলতেই আনিলা তেড়ে এসে রুপন্তীর গালে চড় বসাতে গেলে কেউ একজন আনিলার হাত চেঁপে ধরলো।
বেশ কিছুক্ষন পর রোয়েন সরে এসে রুহীর কাঁধে গলায় অনবরত ঠোঁটের উষ্ণ পরশ বুলাতে থাকে।
রুহীর জান প্রান হারাবার জোগাড়।হঠাৎ রুহীর হাতের ধাক্কায় ফুলদানি পড়ে যাওয়ায় ভয় পেয়ে সরে আসে রোয়েন।
তারপর দুজনে ভাঙ্গা ফুলদানির দিকে তাকিয়ে দুজনেই হেসে দিলো।
হাসি থামিয়ে রোয়েনের দিকে তাকায় রুহী।
-কাপড় চেঞ্জ করে ফ্রেশ হয়ে নাও,খাবার লাগিয়ে দিচ্ছি।
-ওকে।রুহীর কপালে ঠোঁট ছোঁয়ায় রোয়েন।রুহী উঠে দাঁড়িয়ে দরজার দিকে পা বাঁড়ায়।
-রোয়েন পরনের শার্ট খুলে নিয়ে বাথরুমে যেতে নিবে তখনই রুহী কি যেন বলতে রুমে এসে থমকে যায়।রোয়েনের কাঁধে ব্যান্ডেজ।
রুহী কিছু বলতে পারেনা।থমকে যায় ও।সামনে ও আগাতে পারেনা পিছনে ও যেতে পারছেনা।
রোয়েন দাঁড়িয়ে রুহীর দিকে তাকিয়ে থাকে।
রুহীর গালে ফোঁটা অশ্রু দেখা যাচ্ছে।
রুহী ধীর পায়ে রোয়পনের কাছে এসে দাঁড়ায়।তারপর রোয়েনের ঘায়ে হাত দিয়ে কেঁদে দেয়।
-কি করে হলো?কাঁদো গলায় বলে উঠে রুহী।
রোয়েন কিছু বলতে পারেনা।রুহীকে দেখছে ও।রুহীর চোখের পানি ওর জন্যই বেশি ঝড়ে।
-বলো না কি হয়েছিলো?কাঁদতে কাঁদতে বলে রুহী।
-রোয়েন কাঁধে তোয়ালে রেখে বলে আরেহ তেমন কিছুনা।ভুলে লেগে গেছে।এটা তো নরমাল রুহী।এটা তো হয়ই।
-নাহ নরমাল না একদমই নরমাল না।কেন এগুলো ছেড়ে দাওনা?আমাদের জন্য কষ্ট হয়না তোমার?আমার জন্য না হলে ও নিজের সন্তানের জন্য তো ছেড়ে দাও।কাঁদতে কাঁদতে বলে রুহী।
-রোয়েন এবার বুকে জড়িয়ে নেয় রুহীকে।ছেড়ে দিবো।আমার কাজ পুরা হলেই ছেড়ে দিবো।বলে উঠে রোয়েন।।
চলবে