Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 57

রুহী দরজা খুলতেই রোয়েন দেরি না করে রুহীর ঘরে ঢুকে পড়লো।রুহী অবাক দৃষ্টিতে রোয়েন কে দেখেই যাচ্ছে।রোয়েন হাতের গিফট গুলো সোফায় রেখে রুহীকে বুকে জড়িয়ে নিলো।কারোর মুখে কোন কথা নেই।রোয়েনের চোখের কোনা জ্বলজ্বল করছে।আর রুহী ও তো কোন এক অজানা ঘোরে ডুবে আছে।
চোখের পানি ও ঝড়ছেনা আজ।রুহী তো রোয়েনের অবহেলা মাখানো কথা গুলো নিয়ে যেমন তেমন ভাবে বাঁচতে শুরু করেছিলো।এইতো সেদিন যখন রোয়েনকে বলছিলো” তুমি না আমাকে সময় দাও?সব সময় তোমার বন্ধুদের।আমি তো থেকে ও নেই তোমার দুনিয়ায়।কেন রোয়েন?কেন এমন করছো?
আর রোয়েন জবাব দিয়েছিলো”রুহী তুমি জানো আমি প্রচুর বিজি কাজ আর পড়াশুনা নিয়ে।আর ফ্রেন্ডদের সাথে সময় কাঁটাতেই পারি।কারন ওদের সাথে পড়াশুনা করছি আমি।আর তোমাকে তো বললাম কল দিবো সময় ও দিবো।এই যে দিলাম আজ।
কিন্তু তুমি কেঁদে কেঁদে একগাদা শুনিয়ে দিলে আমায়।কথা গুলো মনে আসায় রুহীর চোখ জোড়া ভিজে আসে।
কিন্তু সে তো নষ্ট অপবিত্র। রোয়েন কখনো মেনে নিবেনা ওকে।আর মেনে নিলে ও রোয়েনকে ধোঁকা দেয়া হবে।নিজের পাপের ভার আরেকজনের ওপর চাপিয়ে দিতে পারবেনা রুহী।আর সেটা যখন রোয়েন।
রোয়েনকে স্বজোরে ধাক্কা দিলো রুহী।
ধাক্কাটা সামলে নিলো রোয়েন।রুহী আমি জানি আমার ওপর ভীষন রেখে আছো তুমি।অবশ্য রাগারই কথা।আমি তোমাকে সময় দিতে পারিনি।নিজের পড়াশুনা ফ্রেন্ডসার্কেল নিয়ে বিজি ছিলাম।রুহী এখন আমি শুধু তোমার।আমাদের মাঝে আর কিছু নাই।রুহীর হাতধরে বলছিলো রোয়েন।
ইয়েস আমাদের মাঝে আর কিছু নাই।কখনো ছিলো ও না বলে মনে করি।নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে চিৎকার করে বলল রুহী।নিজের মনের আয়েশ মেটাতে আমাকে নিজের কাছে রেখেছিলেন।যখন যা ইচ্ছা করেছিলেন।ইচ্ছে হয়েছে বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন।ইচ্ছে হয়েছে ছুড়ে ফেলেছেন।কখনো ফ্রেন্ডস কখনো পড়াশুনার ছুতা দিয়েছেন।নিজের ফ্রেন্ডদের সামনে আমাকে কিছুই মনে করেননি।চিৎকার করে বলছিলো রুহী।তবে রোয়েনের দিকে তাকাতে পারছিলোনা।
আমি ভালোবেসেছিলাম রোয়েন।খুব ভালোবেসেছিলাম।কি করেছেন আপনি।ভালবাসার মর্যাদা দেননি।বান্ধুবী এসেছে।রুহী অন্য রুমে চলে যাও।আমাদের ডিস্টার্ব হবে।কেন আমার সামনে স্টাডি করা যেতোনা নাকি অন্য কিছুতে ডিস্টার্ব হতো আপনাদের। চিৎকার করে বলল রুহী।
রুহী!!!রাগী গলায় বলল রোয়েন।ওর চোখজোড়া ফেঁটে কানি বেরিয়ে আসতে চাইছে।আমি আমার দোষ মানছি।তাই বলে এসব ভিত্তিহীন কথা বলতে পারোনা তুমি।আমি শুধু চাইছি তুমি আমার সাথে আসবে।বলে উঠলো রোয়েন।
নেভার।আমি কখনো যাবোনা আপনার কাছে।এই আশা ছেড়ে দিন মিঃ রোয়েন চৌধুরী। আমাদের মাঝে কিছু নেই।ভালবাসা ছিলো সেটা অনেক আগেই শেষ।বেরিয়ে যান আমার সামনে থেকে।আপনার উপস্থিতি সহ্য করতে পারছিনা।অন্যদিকে ফিরে বলল রুহী।চোখের পানি গুলো বড্ড বেহায়া।বাঁধা মানছেইনা।
রোয়েন রুহীর দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বলল আজ চলে যাচ্ছি।খুব শীঘ্রই ফিরে আসবো,তোমাকে ও নিয়ে যাবো।কথাটা বলে বেরিয়ে গেলো রোয়েন।দরজার শব্দ হতেই পিছনে ফিরে দাঁড়ায় রুহী।ঘোর কাঁটতেই ফ্লোরে বসে হাত পা ঝাপটিয়ে কাঁদতে লাগলো।
গাড়ি থামতেই রুপন্তীর দিকে তাকালো রেহান।মেয়েটা রেগে অন্যপাশে ফিরে বসে আছে।রুপন্তীর আঙ্গুল গুলো নিজের জামা খামচাচ্ছে।ঠোঁট কামড়াচ্ছে।
রুপন্তীকে নিয়ে শপিং এ যাবে রেহান।রুপন্তীর ক্লাশ শেষ হতে ৪টার বেশি বেজে গেলো।রেহান তো সেই তিনটার থেকে অপেক্ষা করছিলো রুপন্তীর ভার্সিটির সামনে।
অবশ্য ভালোবাসার মানুষটির জন্য ১০ ঘন্টা অপেক্ষা করতে ও সমস্যা নেই।কিছুক্ষনের মাঝেই রুপন্তী এসে গাড়ির পাশে দাঁড়ায়।রেহান গাড়ির দরজা খুলতেই রুপন্তী ঢুকে বসে পড়লো।কখন এলেন?মিষ্টি হেসে জিজ্ঞেস করলো রুপন্তী।এই তো একটু আগেই।বলে উঠলো রেহান।
মিথ্যা কথার জায়গা পাননা?তিনটা ত্রিশে আপনাকে দেখলাম উপর থেকে।বলে উঠলো রুপন্তী।রুপন্তীর কাঁধ জড়িয়ে ওর চুলে মুখ ডুবালো রেহান।ক্লাশ ফা্কি দিয়ে আমাকে দেখা হচ্ছিলো বুঝি?কথাটা বলে রুপন্তীর চুলের গভীরতা পেরিয়ে ওর ঘাড়ে ঠোঁট ছুয়ালো রেহান।
রুপন্তী কিছুটা কেঁপে উঠলো।ন ন না ম ম মানে আমার টিফিন টাইম ছিলো তখন। তাই খাচ্ছিলাম বাহিরে দাঁড়িয়ে।কাঁপা গলায় বলল রুপন্তী।
রুপন্তীর কথায় ঠোঁট ছড়িয়ে হাসলো রেহান।রুপন্তীর গালে চুমু খেয়ে সরে এলো।শপিং করা শেষে একটা ক্যাফেটেরিয়ায় এলো ওরা।রুপন্তী কোল্ড কফি আর রেহান ব্লাক কফি নিলো।
হঠাৎ একটা লম্বা ফর্সা চিকন মেয়ে এসে রেহানকে জড়িয়ে ওর গালে চুমু খেয়ে বসলো।
হায় রেহান বেবি।হাউ আর ইউ?মেয়েটা জিজ্ঞেস করে উঠলো।
রেহান ভয়ার্ত চোখে রুপন্তীকে দেখলো।রুপন্তী ভাষাহীন চোখে ওদের দেখছে।
কি রেহান বেবি ভুলে গেছো আমাকে?আমি না তোমার মারিয়া!!!!
রুপন্তী চোখ বড় করে চেয়ে আছে।কি বলে?এটা মারিয়া!!!!রুপন্তী রেগে অন্যদিকে ফিরে তাকালো।ভালো আছি মারিয়া।তোমার কি খবর? রুপন্তীকে শুনিয়ে বলল রেহান।
ইয়েস বেবি ভালো আছি।মারিয়া বলে উঠলো।কবে এলে দেশে?একবার ও কল দিলেনা।জিজ্ঞেস করলো রেহান।
সরি বেবি।কাল এসেছি আমি।বাংলাদেশের সিম উঠাতে হবে।তোমার নম্বর দাও।কল করবো।বলে উঠলো মারিয়া।রেহান নিজের নম্বর দিলো মারিয়া কে।মারিয়া যাবার সময় রেহান কে আরো একবার জড়িয়ে ধরে চলে গেলো।সেই তখন থেকেই রুপন্তী রেহানের দিকে একবার ও তাকায়নি।অনবরত নিজের জামা খামচিয়ে গেছে।আর ঠোঁট কামড়েছে।কথা গুলো মনে হতেই হেসে দেয় রেহান।পাশে রুপন্তী গাড়িতে আগের মতো বসে নিজের ওপর রাগ ঝাড়ছে।
আরে যা করার করো।আমার জিনিসটাকে কামড়াচ্ছো কেন?হেসে বলল রেহান।রেহানের কথায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো।কি বলছেন কি?কোনটা আপনার জিনিস হ্যা। শালা লুচু?কয়টা লাগে আপনার।আগের প্রেমিকা ফিরে আসছে এখন তো আর আমাকে দরকার নেই।অসভ্য জানোয়ার লো,,,,,,কথাটা শেষ না হতেই রেহান নিজের ঠোঁটের ভাজে রুপন্তীর ঠোঁট জোড়া নিয়ে নিলো।
চোখ বড় করে আছে রুপন্তী।রেহানের মুখে দুষ্ট হাসি।মনের সুখে রুপন্তীর রসালো ঠোঁটের স্বাদ নিচ্ছে।রুপন্তী হাত দিয়ে রোয়েনের বুকে ধাক্কা দিচ্ছে সরে যাওয়ার জন্য।কিন্তু রেহান আরো রুপন্তীর হাত চেঁপে ধরছে।
হঠাৎ রুপন্তীর চোখ চলে যায় ওদের বাসার গেইটে।আজিজ রায়হান বের হচ্ছেন।
|
|
|
|
চলবে