Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 58

রুপন্তী না পারতেই রেহানকে জোরে ধাক্কা দিলো।রেহান অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।রুপন্তী ঢোক গিলে রেহানের পিছন দিকে ইশারা করলো।রেহান রুপন্তীর ইশারা বুঝতে পেরে পিছে তাকায়।আজিজ রায়হান নিজের চশমা পরছেন।সেই সুযোগে রেহান জানালা লাগিয়ে দিলো।রুপন্তীর দিকে শয়তানি হাসি দিলো রেহান।
,
,
,
,
ক ক কি হলো?একটু ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করলো রুপন্তী।রেহান এবার রুপন্তীর বাহু চেপে নিজের কাছে এনে ওর গালে ঠোঁটে চুমু দিয়ে ভরিয়ে দিতে লাগলো।
রুপন্তী রেহানের এমন আচরনে ভয় পেয়ে যতোই সরতো চাইছে রেহান নিজের সাথে চেপে ধরছে।রুপন্তী এক সময় রুপন্তী বাচ্চাটির মতো রেহানের বুকের মাঝে মিশে যায়।
,
,
,
,
রুহী নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে উঠে দাঁড়ায়।দৌড়ে দরজার কাছে এসে দাঁড়ালো।রোয়েন চলে গেছে কিনা দেখার চেষ্টা করলো।রোয়েন আর নজরে পড়লো না রুহীর।কোনমতে ফুঁপাতে ফুঁপাতে দরজা লাগিয়ে দিলো রুহী।সেখানে আর দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে দৌড়ে রুমে চলে আসে রুহী।ফ্লোরে পা ভেঙ্গে বসে পাগলের মতো কাঁদতে থাকে রুহী।ফোনের রিংটোনের শব্দ ও রুহীর কান পর্যন্ত পৌছাচ্ছেনা।
,
,
,
,
ওর কান্নায় আজ যেন পুরো পরিবেশটা কেমন নীরব হয়ে গেলো।ভালবাসার মানুষটাকে এভাবে তাড়িয়ে দেয়ার কষ্ট রুহীর থেকে ভালো কেউ বুঝতে পারবেনা।
রুপন্তীকে বেশকিছুক্ষন পর ছাড়লো রেহান।রুপন্তী চোখ বুজে রেহানের বুকের মাঝে পড়ে আছে।গাল ঠোঁট একবারে লাল হয়ে আছে।
ঘরে এভাবে গেলে ইজ্জতের বারোটা বাজবে।
,
,
,
,
রুপন্তীকে ডেকে উঠালো রেহান।রুপন্তী চোখ খুলেই ধড়ফড়িয়ে রেহান থেকে সরে এলো।রেহান ওর দিকে পানির বোতল ধরলো।মুখ ধুয়ে নাও।বাসায় গেলে ভালো দেখা যাবেনা বিষয়টা।রুপন্তী রেহানের হাত থেকে বোতল টা নিয়ে মুখ ধুয়ে নিলো।রেহান আর রুপন্তী গাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘরে চলে এলো।
,
,
,
,
রায়না রহমান রুপন্তী আর রেহান কে দেখেই দৌড়ে এসে পড়লো।এসে গেছিস তোরা?শপিং হলো সব?জিজ্ঞেস করলেন রায়না রহমান।
,
,
,
,
জি মামী হয়ে গেছে মোটামুটি।বলে উঠলো রুপন্তী।রায়না রহমান মুচকি হেসে রুপন্তীর কপালে চুমু খেলেন।যা মা ফ্রেশ হয়ে নে।রেহান বাবা আমার সাথে আয় একটু কথা আছে।বলে উঠলেন মামী।
রেহান মায়ের সাথে ওনার রুমে চলে গেলো।রুপন্তী ফ্রেশ হতে চলে যায়।
,
,
,
,
সেদিন রাত টা নির্ঘুম কেঁটে যায় দুজনের।রুহী আর রোয়েন কেউই ঘুমোতে পারেনি একফোঁটা।পরদিন সকালে ভার্সিটি চলে যায় রুহী।রোয়েন ঠিকই পিছু নিয়েছে ওর।এখন ওকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে রুহীর ব্যাপারে।কারন স্করপিয়ন এর লোকেরা এখানে আছে।
,
,
,
,
রেহান কাল মায়ের রুম থেকে এসে ভালো বোধ করছেনা।মায়ের কথা গুলো অস্বাভাবিক লাগছে।বুঝতে পারছেনা রেহান মার কি হচ্ছে।স্বপ্নকে কি মা সত্যি ভাবছেন নাকি সত্যি কিছু হচ্ছে।রেহান মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো।মার ব্যাপারটায় বেশ চিন্তা হচ্ছে ওর।আবার না আগের মতো হয়ে যায়?নাহ নাহ হতে পারেনা।মাকে আগের মতো অসুস্থ হতে দিবেনা ও।ভাবতে থাকে রেহান।
,
,
,
,
রুহী ঘরে ফিরে খুব পরিচিত নেশা ছড়ানো একটা ঘ্রান পেলো।এই ঘ্রানটায় রাতের পর রাত দিনের পর দিন মাতাল হয়ে থাকতো রুহী।কতো রাত এ নেশা ধরানো গন্ধে ঘুম ভেঙ্গেছে আবার কখনো নেশায় মোহিত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলো।এই ঘ্রান যেকোন দামী পারফিউম কে হারমানায়।যেকোন পানীয়র নেশাকে ও হার মানায় এই ঘ্রান।
,
,
,
,
ঘ্রানে মাতাল রুহী হঠাৎ চমকে উঠে।এই ঘ্রানটা ওর ঘরে।যতোই এগুচ্ছে ততো যেন তীব্র আকার ধারন করছে।রুমে আসতেই রোয়েন রুহীকে চমকে দিয়ে বলল সারপ্রাইজ!!!!!
রুহী ওর রুম দেখলো।রোয়েনের বাসায় ওর রুমটার মতো হুবুহু সাজানো।পুতুলে ভরা খাট।গোলাপী দেয়ালের মাঝে বিভিন্ন বার্বিকুইন্সদের পোর্ট্রেইট, আর ফুলের তোড়া।চকোলেট কয়েক বক্স।
,
,
,
,
রুহী পুরো রুমে চোখ বুলিয়ে নিয়ে রোয়েনের দিকে রাগী চোখে তাকালো।তারপর চুপচাপ গিয়ে পুতুল গুলো ছিড়তে শুরু করলো।তুলির রং দিয়ে পুরো দেয়াল নষ্ট করে দিলো।রোয়েন বড় বড় চোখে রুহীকে দেখছে।কেঁটে যাওয়া হাত পিছনে সরিয়ে নিলো রোয়েন।
,
,
,
,
রুহী এবার পিছনে ফিরলো সেদিনে বের করার পর ও লজ্জা হয়নি আপনার তাইনা?বেহায়ার মতো আবার ও চলে আসলেন।কেন?এখন এতো ভালোবাসা উতলায়ে পড়ছে কেন আপনার?৪মাস আগে এই ভালোবাসাটায় কই ছিলো?চিৎকার করে বলল রুহী।এবার রোয়েনের কাছে এসে বলল You are a lier.You can never love me.Get that?Get out.I said get outআরো জোরে চিৎকার করে বলল রুহী।
,
,
,
,
রোয়েন রুহীর দিকে একবার তাকিয়ে পিছনে ফিরে বেরিয়ে গেলো।এ এগ এগুলো ক ক কি বললাম?চোখজোড়া ভরে আসে রুহীর।যেগুলো বলা হয়েছে সেগুলো সত্যি না। তাহলে কেন বলতে গেলো এসব?কথা গুলো ভাবতেই কেঁদে ফেলে রুহী।
,
,
,
,
সেদিন কোনমতে সামলিয়ে নিলো রুহী।পরদিন সকাল ঘুম ভাঙ্গতেই নাকের সামনে ঘিয়ে ভাজা পরোটা আর হালুয়ার ঘ্রান পায় রুহী।এটা ওর ভীষন প্রিয় খাবার।চোখ খুলতেই রোয়েন কে ওর সামনে দেখতে পায় রুহী।রুহীর সামনে খাটে বসলো রোয়েন।ডান হাতের কবজি ব্যান্ডেজ করা রোয়েনের।যাও ফ্রেশ হয়ে আসো একসাথে নাস্তা করবো নে।বলে উঠলো রোয়েন।
রুহী এবার চুপচাপ নাস্তার প্লেট ছুড়ে ফেলে দিলো।কাঁচের টুকরো গুলো গড়াগড়ি খাচ্ছে।
,
,
,
,
না করেছিলাম আসবেননা।কেন বারবার আসেন?অপমানিত হতে কি খুব ভালো লাগে?যাই করেন যতো করেন কখনো পাবেননা আমাকে।আমার ভালোবাসার যোগ্য না আপনি।চিৎকার করে বলল রুহী।
,
,
,
,
আমার ওপর তুমি রাগ।অন্তত খাবারের অপমান করতে পারোনা।দাঁতে দাঁত চেপে কথা গুলো বলে রুহীর কপালে আর গালে জোর করে চুমু দিয়ে বেরিয়ে গেলো রোয়েন।
|
|
|
|
চলবে