Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 55
কাল বাসায় অনেক গেস্ট ছিলো।সারাদিন ব্যাস্ত ছিলাম আর খুব ক্লান্ত ও ছিলাম।আজ ও শরীর ভালো নেই আবার কাল এক্সাম।তাই অল্প করে লিখে দিলাম।)
যেখানেই যাও না কেন?যেখানেই থাকোনা কেন?তোমাকে পেয়েই যাবো ছিনিয়ে নিয়ে আসবোই।কারন এই কোব্রা লিডার রোয়েনের গন্তব্য তুমি হাজার কষ্টের মাঝে মুখে চিলতে হাসি ফোঁটার কারন তুমি,রুহী শুধু রোয়েনের।কথা গুলো ভাবতে ভাবতে হাতের ফোনটির দিকে চেয়ে মুচকি হাসলো রোয়েন।
রোয়েন ভার্সিটিতে যেতে শুরু করেছে।ক্লাশ করছে নিয়মিত।সাজিদ রায়হান ও রোয়েনকে না চাইতে ও বিশ্বাস করছেন।রোয়েনের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করছেন।কখনো বারে গল্পে মেতে উঠছেন কখনো বা নিজের বাসায় রোয়েনকে চা নাস্তা করাচ্ছেন।এতে রোয়েনের লাভ।সব কিছু বুঝে নিতে পারছে ও।অন্তত সাজিদ রায়হান নিজেকে যতোটা শক্তিশালী মনে করেন ততোটা তিনি নন।খুবই বোকা প্রকৃতির মানুষ ওনি।
রোয়েন যতোবারই ওনার সাথে দেখা করছে ততোবারই ইম্পরট্যান্ট বিষয় গুলো নোট করে নিয়েছে।
এদিকে লন্ডনে যাওয়ার ব্যাবস্থা ও করছে রোয়েন।স্টুডেন্ট ভিসায় যাবে ও।তাহলে দ্রুত সব ব্যাবস্থা হবে।বেশ কিছুদিন অপেক্ষার পর ভিসা হয়ে গেলো রোয়েনের।টিকিট ও কাঁটা হলো পরদিন রাত ১০টার। নিজের লোকদের সামনে বসে আছে রোয়েন।
শুনেছো তো লন্ডন যাচ্ছি কাল।বলে উঠলো রোয়েন।
জি স্যার।লোক গুলো বলে উঠলো।এখানে আমি তোমাদের রেখে যাচ্ছি।কারন আনিলা বেগম যেকোন কিছুই করতে পারে। তার প্রত্যেকটা আপডেট আমি চাই।আর বিশ জন যাবে আমার সাথে।সেখানে ও দরকার হবে আমার।কারন স্করপিয়নদের ওপর ভরসা নেই।যেকোন সময় কিছু করতেই পারে ওরা।
আর সাজিদ রায়হান চৌধুরী।সে কি করছে কোথায় যাচ্ছে কার সাথে মিশছে সব তথ্য আমার কাছে পৌছানো চাই।কোন ভুল সহ্য করবোনা আমি।দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।কথা গুলো বলার সময় চোখ গুলো রক্তবর্ন ধারন করেছে।
জি স্যার।কোন ভুল হবেনা।নিশ্চিন্তে যেতে পারেন আপনি।লোকগুলো মাথা নিচু করে বলল।
,
,
,
,
সন্তুষ্টির নিশ্বাস ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো রোয়েন।রাতে প্যাকিং শেষ করে সিগারেট ধরিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ালো রোয়েন।রুহী আর তিনটাদিন মাত্র।তোমাকে দেখার প্রহর যেন শেষই হচ্ছেনা।সিগারেটের শেষ ফুঁক দিয়ে ছোট্ট হয়ে যাওয়া সিগারেটটাকে হাতে নিলো রোয়েন। এই সিগারেটের মতো ওর জীবনটাও আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাবে।কিন্ত যতদিন ওর অস্তিত্ব টিকে থাকবে ততদিন রুহীকে বুকের মাঝে আগলে রাখতে চায় রোয়েন।পরদিন রাতে বেরিয়ে পড়লো রোয়েন লন্ডনের উদ্দেশ্যে।দীর্ঘ তিনদিন জার্নির পর লন্ডনে গিয়ে পৌছালো লোকজনদের নিয়ে।
আজ রাত একটা রেস্ট হাউজে কাঁটাবে।কারন যে হোটেলে থাকবে ও সেটা এখান থেকে বেশ দূরে।কথামতো রেস্ট হাউজে চলে গেলো রোয়েন তার লোকদের নিয়ে এবং সেখানেই রাতটা কাঁটিয়ে দিলো।
পরদিন খুব সকালেই হোটেলে চলে ও।রিসিপশন থেকে চাবি নিয়ে ৫০৪ নম্বর রুমটিতে চলে এলো।ওর লোকদের পাঠিয়ে দিয়েছে রুহীকে খুঁজতে।
কিছুক্ষন পর হোটেল রুম সার্ভিস থেকে একজন এসে নাস্ত দিয়ে গেলো রোয়েন কে।
নাস্তা সেড়ে ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়লো রোয়েন।ল্যাপটপ কিবোর্ড খুটখাট শব্দ করে দ্রুত চলছে রোয়েনের আঙ্গুল গুলো।হঠাৎ ফোন বেজে উঠায় রোয়েনের কাজে ব্যাঘাত ঘটলো।ফোন রিসিভ করে কানে ধরতেই অপরপাশ থেকে কেউ বলল স্যার আনিলা বেগম তার লোকজনরে লন্ডন পাঠাইছে রুহী ম্যামরে বেঁচার লাইগা।ওরা আজই আসতেছে লন্ডন।
তৎখনাৎ রোয়েনের কপালের দুপাশের রগ খাড়া হয়ে গেলো।ফোনটা জোরে শব্দ করে পাশের টি টেবিলের ওপর রাখলো।
ফোনটা হাতে নিয়ে কানের সামনে ধরলো।
হ্যালো রফিক!!!!!!
অপরপাশ থেকে বলল জি স্যার বলেন
এয়ারপোর্টে ২০জন কে পাঠাও।আর তোমরা ২০জন রুহীকে খুঁজো।বলে ফোন কেঁটে দিলো রোয়েন।
সন্ধ্যায় রফিকরা ফিরে এলো রোয়েনের কাছে।
,
,
,
,
কি খবর পেলি তোরা?রুহী কই থাকে?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
স্যার ম্যাম কই থাকে সেটা জানিনা।তবে লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে লিংগুইস্টিকসে মাস্টার্স করতেছে।বলে উঠলো রফিক।
লন্ডন ইউনিভার্সিটি!!!ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসি রোয়েনের।
তাহলে আর চিন্তার কোন কারন নেই।বলে উঠলো রোয়েন।
স্যার প্রফেসর এডামের নম্বর এনেছি।ওনি রুহী ম্যাডমের ডিপার্টমেন্টাল হেড।রোয়েনের দিকে ফোন এগিয়ে দিয়ে বলল রফিক।
গুড জব রফিক।আমি এটাই আশা করেছিলাম তোমার কাছে।বলে হাসলো রোয়েন।
ধন্যবাদ স্যার।আপনার কাজে আসতে পেরে আমি ধন্য।মাথা নিচু করে বলল রফিক।
তোমরা তোমাদের রুমে চলে যাও।আমি একা থাকতে চাই।নম্বরটি নিজের ফোনে তুলে নিয়ে বলল রোয়েন।
ওকে স্যার।বলে ওরা বেরিয়ে গেলো।
|
|
|
|
চলবে