1. নতুন গল্পঃ3. রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প গুলোঃবস বয়ফ্রেন্ড Season 2

বস বয়ফ্রেন্ড Season 2 ! পর্ব- ১ থেকে শেষ !

নিলান্তিকা নাদিয়া
মেঘ : তারা তারা আমার কফি কই??
এখন নিয়ে আসন কেন??

তারা : ৫ বার কফি নিয়ে গেছি।
মগের মুল্লুক পেয়েছে নাকি??
।আর যাব না।

সে সারাদিন ভরে জিম করবে আর আমি
সারাদিন ধরে কফি নিয়ে দৌড়াই তাই না? ?
জি না এতো খায় না।

কানে হেডফোন লাগায় গান শুন্তে লাগলাম

মেঘ : সাহস কত বড়। এখন কফি নিয়ে
আসছেনা।
দেখাচ্ছি মজা। আমার কথা না শুনা বের
করছি।

তারা! ! তারা “!” তারা! !
এই মেয়ে গেছে কই। ?
কন সারা শব্দ নাই কেন? ?
এইভাবে তো সারাদিন চিল্লাতে থাকে।
আজ কই গেছে।

রনি! ! রনি? ?

রনি : জি স্যার।

মেঘ,: তারা কই খুজে আন।
২মিনিট এর মধ্যেে আমি ওকে আমার সামনে
দেখতে চাই।

রনি : জি স্যার।

মেঘ : আজ আমার একদিন না হয় ওর একদিন।

রুমি : কি ব্যপার সুমি স্যার এত রেগে আছেন
কেন? ?
।তারা ম্যাম কি আজ ও কিছু করেছে??

সুমি : দুর বাদ দেও।
স্যার একটু বেশি বেশি করে।
মেয়ে টা কে জালিয়ে খায়।মেয়েটা আর কত
সহ্য করবে? ?
কি ভাগ্য নিয়ে যে এই বাড়ি তে এসে জুটল
এত সুন্দর মেয়েটা।

রুমি : বাদ দেও স্যার শুনলে হবে আরেক
জালা।

রনি : মম্যাম! ম্যাম! !
উফফ উনি হেড ফোন এ গান শুনছেন তাই তো
কিছু বুঝতে পারছেন না।
ম্যাম! ম্যাম

তারা : আরে কি হয়েছে?? চিল্লাচ্ছো
কেন? ?

ম্যাম স্যার আপনাকে নিয়ে যেতে বলেছে
: বলে দেও যাবনা? ??

: স্যার বলেছে আপন ভাল কথায় না বলে তুলে
নিয়ে যেতে।

: কি বললে তুমি এতো বড় সাহস।

মেঘ : হ্যা সাহস।
রনি তুমি যাও আমি দেখছি।

রনি ; জি স্যার

মেঘ : দরজা টা লাগিয়ে দিলাম কারন আমি
জানি তারা পালিয়ে যেতে পারে।

তারা : আরে আরে দরজা লাগাচ্ছেন কেন? ?
।এই এই দেখুন অমন রাক্ষস মারকা চেহারা
নিয়ে আমার দিকে এগুবেন্না! ভাল হবেনা
বলে দিলাম


মেঘ : কি ভাল হবে আর হবেনা সেটা আমি
দেখব।
তোমার দ্বায়িত্ব হচ্ছে আমাকে দেখা তুমি
আমার আদেশে উঠবে বসবে তা না করে তুমি
আমার কথা কানেই তুলছনা? ??

তারা : দেখুন ভাল হবেনা অমন ভুত মার্কা
ফেস আমাকে দেখাবেন্না? ?
মেঘ : কি আমি ভুত? ? রাক্ষস! ! তবেরে রে
::ওকে শক্ত করে ধরলাম।কানের কাছে মুখ
নিয়ে এখন বল কি বলছিলে

তারা : কিছু না বলে দিলাম পায়ে পাড়া ।
তারা আপন প্রান বাচা!!

মেঘ: খবর দার পালাবানা। তাহলে কিন্তু! !!!

তারা : কে শুনে কার কথা : জানালা খুলে
দিলাম দৌড়। পরের টা পরে দেখা যাবে।
এখন তো পালাই।

রহিম চাচা গাড়ি বের করেন তো। বাইরে
যাব।

: মামনি জানই তো স্যার এর কথা ছাড়া কনো
গাড়ি বাসা থেকে বের হয়না।

তারা : উফফ কি জালা। আচ্ছা আমি হেটেই
যাচ্ছি।
।হেটে হেটে বাড়ির পাশের পার্কে চলে
আসলাম।

হুম এবার আপনাদের আসল ঘটনা বলি এইখানে
কিভাবে আসলাম। কি করে এই শয়তান
ছেলেটার দেখা শুনার ভার পেলাম। শুনুন
তাহলে।

অনেক আগের কথা: রাফি চৌধুরী ঢাকা
শহরের একজন নাম করা ব্যবসায়ী। নাম্বার ১
বিজনেস ম্যান।
যেহেতু অনেক টাকা তাই শত্রু অনেক বেশি।
তাই তার বডি গার্ড ও অনেক
আর সব চেয়ে পুরান এবং বিসস্ত হচ্ছেন ফারুক
হাসান। তার কথায় বাকি বডি গার্ড রা উঠে
আর বসে। রাফি চৌধুরী অন্ধ এর মতো তাকে
বিশ্বাস করেন। আর উনি ই হচ্ছেন
আমার বাবা।
আমার বাবা আমার সাথে যতটা না থাকতেন
তার চেয়ে বেশি থাকতেন তার সাথে।
আমার মা নেই আগেই মারা গেছেন।
আমি ছোট থাকতে বাবার সাথে তার বাসায়
অনেক গেছি।
সে আমাকে খুব ভালিবাসতেন।
বাবা একদিন আংকেল কে বাচা তে যেয়ে
নিহত হয়।
তার পর থেকেই সে আমাকে বাবার আদর
দিয়ে বড় করেন।
।আমি যেন তার ই
মেয়ে।

আর তার ছেলেই হচ্ছে মেঘ চৌধুরী।

আমি যখন তার বাসায় বড় হচ্ছিলাম তখন মেঘ
অই খানে থাকতনা।
ওর যখন ৬ বছর বয়স অকে পাঠিয়ে দেন লন্ডন
এ।
ওর সুরিক্ষার জন্য।

তাই পুরো বাড়ি তে ছিল আমার রাজত্য।

দেখতে দেখতে ১৬ বছর কেটে গেল।

হঠাত একদিন দেখলাম পূরা বাড়ি সাজানো
হচ্ছে।
তারা : আংকেল এতো আয়োজন কিসের? ?

আংকেল : আজ আমার ছেলে ২০ বছর পর বাড়ি
আসছে। তাই।

আমি কখন ওকে দেখিনি। তাই ওকে দেখলেও
চিনতে পারবনা।

বিকাল : এই এই তোমরা তাড়াতাড়ি হাত
চালাও। উনি এখনি চলে আসবেন।

তারা : আংকেল আপনি গাড়ি পাঠিয়েছেন
তো।

আংকেল : ভাল কথা মনে করিয়েছিস মা।
আমি তো ভুলেই গেছি।
দাড়া এখনি পাঠাচ্ছি।

মেঘ : আমি আসব যেনেও গাড়ি পাঠায়নি !!??

নাহ ১ঘন্টা ধরে দাড়িয়ে আছি আর না।

এক্টা গাড়ির শো রুম এ গেলাম।
বাহ এই গাড়ি টা সুন্দর !
.
মেঘ :: ম্যানেজার ম্যানেজার! !

: জি স্যার। কি সাহায্য করতে পারি।

মেঘ : এই গাড়ি টা আমি নিয়ে যাচ্ছি। রাফি
চৌধুরীর কাছে বিল টা পাঠিয়ে দিবেন।

::: জি জি স্যার। আমাদের কনো ড্রাইভার
কি আপনাকে বাড়ি দিয়ে আসবে।??

মেঘ : তার দরকার হবেনা।

তারা : মালি গুলা কন কাজের না। এক্টা
গাছেও পানি দেইনি।

মালি মালি! !!


মালি : জি ম্যাম।

তারা : পানির পাইপ আনো। আমি গাছে
পানি দিব।
আহারে গাছ গুলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।

মেঘ : বাড়ি কেমন অচেনা লাগছে।
এটা আমার বাড়ি বুঝাই যাচ্ছেনা।উফফ পায়ে
কাদা লাগল কিভাবে?? এই মেয়ে এই
মেয়ে? ? কানে শুননা??

তারা : আমি? ?

মেঘ : হুম।আমার জুতা টা পরিস্কার করে দেও
তো।

তারা : কিহ? ?

মেঘ : দেও তারাতারি।

তারা : দারা দেখাচ্ছি মজা।

দিলাম পাইপ এর পানি দিয়ে ছেলেটা কে
ভিজিয়ে। আমাকে বলে নাকি জুতা
পরিস্কার করতে। শখ কত!!

মেঘ : এই মেয়ে এটা কি করলে।
জানো আমি কে?? তোমাকে আমি দেখে
নিব।

তারা : তুমি জানো আমি কে।??এই বাড়িটা
দেখছনা? ? এটা আমার আংকেল এর বুঝলা? ?

মেঘ: কি বলে যাতা।
দারাও দেখাচ্ছি মজা। বাবা! ! বাবা!

তারা : বাবা বাবা করছে কেন??? মেঘ না
তো?? অরে হাই হাইই। ভাগ তারা ভাগ।
গেলাম বাড়ির ভেতর।

মেঘ : বাবা কি সব আজাইরা কাজের মানুষ
রেখেছ??
শিক্ষা নেই দিক্ষা নেই??

আংকেল : কি হয়েছে! আর তোর কেন এই
অবস্থা

মেঘ : তোমার কাজের মানুষ করেছে।

আংকেল : কি এতো বড় সাহস। কে সে ডাক
দে।

তারা : আড়ালে দারিয়ে কথা শুন ছিলাম।

মেঘ : ওই যে ওই যে ওই মেয়েটা।

আংকেল : কই?? আরে তারা তুমি ওইখানে কি
করছ। এইখানে আসো মা।

মেঘ : অবাক হয়ে ও কে? ?

আংকেল : সব বলব পরে।
তারা এই হচ্ছে আমার ছেলে। আর মেঘ এটা
হচ্ছে তারা।

তারা : আমি উবার দিকে তাকিয়ে একটু
হাসার চেস্টা করলাম।
কিন্তু উনি তো একেবারে রেগে
আগুন। আমার তো যায় যায় অবস্থা। ও আল্লাহ
এখন কি হবে। এই ররাক্ষস এইখানে থাকবে
এখন থেকে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে পাজির
হাড্ডি। ( মনে মনে)
রাতের খাবার শেষ এ সবাই গেল। আমি
নিচের রুমে। উনি উপরের রুমে যাক বাচা
গেল। যত দুরত তত ভাল।

। রাত ২ টা:
তারা : আল্লাহ এতো পানির পিপাসা
লেগেছে কেন? ?
দুর ছাতা আবার বাইরে যাও।

রান্নাঘর এর দিকে পা বাড়াতেই ওমা এটা
কে চোর না তো।
দাড়া বেটা চোর দেখাচ্ছি মজা। একটা
চাদর এনে দিলাম ফেলে বেটার উপর তারপর
ইচ্ছা মত কিলালাম ঘুসালাম। আর চোর চোর
চিল্লালাম।
এর মধে্্য সবাই হাজির অন্ধকারে সবাই মিলে
আর মারল।
এবার লাইট জালিয়ে চাদর সরিয়ে সবাই হা
হয়ে গেল।

তারা : মনে মনে) অরে তারা এটা কি করলি
এটা তো মেঘ । পালা তারা পালা। ।
মেঘ : এই এই থাম থাম বলছি।

তারা : সরি সরি ভুল হয়ে গেছে। ।
মেঘ : ( মনে মনে) এই টুকু দেখতে আর কি
জোড়! ! সব হাড্ডি ভেংগে গেল রে। কিন্তু
সবার সামনে প্রকাশ করা যাবেনা। ।
আংকেল : বেশি কিছু হয়নি তো।

মেঘ : না বাবা। তোমরা সবাই এখন যাও ।
কিন্তু তারা আমি তোমাকে যেতে বলিনি। ।
তারা : নাউযুবিল্লাহ। এটা কি কয়?? আল্লাহ
বাচাও।

আংকেল : ওকে কিছু বলিস না। বাচ্চা মেয়ে।

মেঘ : তুমি যাও তো।
সবাই চলে গেল আমাকে রেখে এই রাক্ষস এর
কাছে।
পালা তারা পালা।

মেঘ : এই এই পালাই যাবা কই দাড়াও বলছি। ।
এই তো ধরছি।

তারা : সরি সরি আমাকে মাফ করে দিন। ।

মেঘ :
টানতে টানতে নিয়ে গেলাম রুমে । আটকে
ধরলাম দেওয়ালের সাথে! ।
তারা : ও মা মাথাটা গেলরে আমার। ।
মেঘ : চুপ একদম চুপ।

তখন পানি দিয়ে ভিজিয়েছ। এখন মার
খাইয়েছ। তোমাকে কি এমনি এমনি ছেড়ে
দিব ভেবেছ।

তারা : দেখুন…..

মেঘ : হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলাম।
.
মেঘ : এতো সহজে তোমার মাফ নেই। এখন
তুমি বুঝবে মজা। বলে ওকে কলে তুলে
নিলাম। আর স্টোর রুমে নিয়ে গেলাম।
তারাকে নামালাম আএ বললাম থাক এখন
সারারাত অন্ধকারে।

রেখে রুমে চলে এলাম।

মেঘ মেঘ!

মেঘ : বাবা তুমি!! এতো সকালে?? ।
বাবা : এতো সকাল ১১ টা বাজে। তারাকে
খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। চল থানায় যাব।

মেঘ) : মনে মনে ( আরে ও তো স্টোর রুমে।
বাবা জানতে পারলে ….. বাবা তুমি রুমে
যাও আমি একটু আসছি।

:::: হুম তারাতাড়ি আসবি।

মেঘ : তারাতাড়ি করে স্টোর রুমে গেলাম।
দেখি ও ঘুমিয়ে। অনেক ডাক দিলাম উঠল না
বেহুশ হয়ে গেছে।
তাড়াতাড়ি কলে নিয়ে রুমে নিয়ে আসলাম।
ডাক্তার আসল।
বলল ভয়ে এমন হয়েছে।
ওষধ দিল।
বাবা অনেক বকা দিল।
আমার খুব রাগ হচ্ছিল।
রুমে চলে আসলাম। এই মেয়ের জন্য এতো বকা
শুনতে হল???

আমিও কম না এই মেয়ে কে আমি ভাগাবই। ।
এই প্রত্তিজ্ঞা করে উনি সব কিছু তেই
আমাকে টর্চার করে যাচ্ছেন সেটা অফিস
হক আর বাড়ি তেই হক।
অনেক চেয়েছি চলে যেতে শুধু আংকেল কে
দেওয়া কথার জন্য আর যাওয়া হয়না।
আংকেল যতদিন ছিল উনি তেমন কিছু করতে
পারতেন না।
কিন্তু আংকেল ২মাস হয়েছে মারা গেছে।
যাওয়ার আগে উনাকে দেখার দায়িত্ব দিয়ে
গেছে। তাই আমিও তার ঋণ শোধ করার জন্য
এইখানে শত অপমানের পরও পরে আছি। আর
এই হচ্ছে কাহিনি। এখন বাসায় যাই আরেক
দফা টর্চার সহ্য করতে। তারা : সুমি উনি কই।

সুমি : ম্যাম আপনি কই ছিলেন?? আজ স্যার খুব
রেগে আছেন। কি যেন আপনার রুমে খুজছিল।
তারা : তারাতাড়ি রুমে গেলাম পুরা রুম তছনছ
করা

ফোন এ দেখি ২০ টা মিসকল।

আবার ফোন বেজে উঠল।
।চলবে…….

বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *