Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 41

রুহীর ঘাড় থেকে সরে এসে ওর কাঁধে চুমু দিয়ে রুহীর কাঁধে মাথা রাখলো।রুহী পাশ ফিরে রোয়েনকে দেখার চেষ্টা করতেই রোয়েন বলল নড়বেনা একদম,এভাবেই থাকো।রুহী মাথা সোজা করে রাখলো।
কাঁধে ভিজা অনূভব হচ্ছে রুহীর।কি হচ্ছে ওর সাথে?রোয়েন কি কান্না করছে নাকি?রুহীর দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে কিন্তু ঘাড় ঘুরালে থাপড় খাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
রুহীর যে ভীষন ইচ্ছে হচ্ছে লোকটাকে জড়িয়ে কাঁদতে।
তার দুঃখ কষ্ট নিজের করে নিতে।কিন্তু তাকে দেখলে অপমান সূচক কথা গুলো বারবার মনের মাঝে উঁকি দেয়।রুহী তখন আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনা।রাগের মাঝে ও ভালোবাসাটা গভীর ভাবে জড়িয়ে আছে।রুহী ঘুমের ভান করেই পাশ ফিরে রোয়েনকে জড়িয়ে ধরলো।রুহীর হঠাৎ এভাবে জড়িয়ে ধরায় অবাক হয় রোয়েন।রুহীর চোখ বন্ধ দেখে মলিন হাসলো রোয়েন।ঘুমিয়ে গেছে মেয়েটা।রুহীর কপালে চুমু দিয়ে চোখ বুজে রোয়েন।
রুহী হালকা চোখ খুলে রোয়েনের দিকে তাকায়।রোয়েন ঘুমিয়ে আছে।
রোয়েনের খালি বুকে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে গেলো রুহী।
রোয়েন মুচকি হেসে অপরপাশ ফিরে শুয়ে পড়লো।
সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই উঠে বসলো রুহী।রোয়েন পাছন ফিরে পরনের সাদা বাথ ড্রেস টা খুলে ডার্ক ব্রাউন শার্টটা হাতে নিলো।পিঠের কোব্রা ট্যাটুটা জায়গায় ব্যান্ডেজ করা।রুহীর ভিতর টা কেঁপে উঠলো।
আয়নায় রুহীকে বসে থাকতে দেখে দ্রুত শার্টটিকে গায়ে জড়িয়ে পিছনে ফিরলো রোয়েন।
ফ্রেশ হয়ে নিচে এসো।নাস্তা করবে।বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো রোয়েন।
রুহী রোয়েনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করলো।এগুলো কি দেখলো ও?কিভাবে হলো এসব?রুহীর চোখ বেয়ে টপটপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে থাকে।
ম্যাম স্যার নিচে যেতে বলেছেন ফ্রেশ হয়ে,কাজের লোকটি বলল।
রুহী মাথা উঠিয়ে চোখ মুছে নিলো।জি আসছি আমি।বলে ওয়াশরুমে চলে গেলো রুহী ফ্রেশ হতে।
নাস্তা সেরে রুহীকে কোলে তুলে নিলো রোয়েন।
কি হলো?কোলে নিয়েছেন কেন?রাগী গলায় বলে উঠলো রুহী।
রোয়েন চোখের কোনা দিয়ে রুহীর দিকে এভাবে তাকালো যেন গিলে ফেলবে আর একটা কথাও বললে।অগত্যা চুপ হয়ে থাকলো রুহী।রোয়েন সামনে তাকিয়ে বাঁকা হেসে সিড়ি বেয়ে রুমে চলে এলো।
রুহীকে খাটে বসিয়ে ডার্ক ব্রাউন একটি শার্ট গায়ে জড়িয়ে নিলো।রুহী মাথা নিচু করে বসে আছে।পিছনে ফিরে রুহীকে দেখে নিলো রোয়েন।তারপর ওর দিকে এগিয়ে এসে তুড়ি বাজালো।তুড়ির শব্দে মাথা উঁচু করে তাকলো রুহী।বাহিরে যাচ্ছি প্রায় একঘন্টার জন্য।আমার অনুপস্থিতিতে যদি বাহিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছো তো হাত পা ভেঙ্গে ঘরে বসিয়ে রাখবো।রুহীর দিকে আরো একটু ঝুঁকলো রোয়েন।রুহীর খুব কাছে রোয়েন।রোয়েনের নিশ্বাস রুহীর নিশ্বাসের সাথে বাড়ি খাচ্ছে।কখনো দূরে যেতে পারবেনা, আমার কাছেই থাকতে হবে।কারন তুমি শুধু আমার।তোমার পুরোটা জুড়েই শুধু আমি থাকবো।কথা গুলো বলে রুহীর গাল ধরে চুমো খেতে যেতেই রুহী ঘাড় ঘুরিয়ে নিলো।রোয়েন দাঁতে দাঁত চেপে চোখ বুজে রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করলো।রুহীর গাল চেপে ধরে ওর ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ালো রোয়েন।রুহীর ঠোঁটে আলতো কামড়ে ভরে দিতে লাগলো।রুহী রোয়েনকে সরাতে চেষ্টা করতে থাকলো।যতোই সরাচ্ছে রোয়েন ততোই রুহীকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরছে।রুহী হাল ছেড়ে শান্ত হয়ে গেলো।রোয়েন এবার সরে এসে রুহীকে শুইয়ে দিয়ে ওর পাশে একটা কোন আইসক্রিম রেখে দিলো।খেয়ে নিও কথা টা বলে বেরিয়ে গেলো রোয়েন।রুহী উঠে বসেলো রোয়েন চলে যেতেই।রুহী কোন আইস্ক্রিম টা হাতে নিয়ে কামড় বসালো।
আপনার ভাই চাচ্ছে টা কি হ্যা?যখন ইচ্ছে হবে খেলবে যখন মন চাইবে ছুড়ে ফেলবে?মেয়েরা কি এতোটাই পঁচে গেছে?অভিমানী স্বরে বলতে লাগলো রুপন্তী।
রেহান আর রুপন্তী ছাদের দোলনাটায় বসেছিলো।ভাইয়ের নামে কিছু কথায় কিছুটা খারাপ লাগলে ও নিজেকে সামলালো রেহান।
হয়ত ভাইয়া কোন সমস্যায় ছিলো যেখানে রুহীকে জড়াতে চায়নি।বলে উঠলো রেহান।
যে সমস্যাই ছিলো আপুকে একটা বার শেয়ার করতে পারতো।একটা সম্পর্কে ট্রাস্ট আর শেয়ারিং থাকতে হয়।নাহলে সেটা কোন সম্পর্ক হয়না।বলে উঠলো রুপন্তী।
হয়ত রুহীর কোন ক্ষতি হতে পারতো।হয়ত ভাইয়ার লাইফটা রিস্কি ছিলো তাই রুহীকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলো।যেন ভাইয়ার কিছু হলে ও রুহী নিজেকে সামলে নিতে পারে।বলতে লাগলো রেহান।
রুপন্তী উঠে রেলিংয়ের কাছে এসে দাঁড়ালো।বোনটার কষ্ট গুলা সহ্য হয় না ওর।রেহান এসে রুপন্তীকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।
রুপন্তীর ঠোঁটের কোনে মুগ্ধ করা হাসি ফুঁটে উঠলো।
রেহান রুপন্তীর গালে আলতো করে ঠোঁট ছুইয়ে গালের সাথে গাল লাগিয়ে সেভাবেই দাঁড়িয়ে রইলো।
ঘরে ফিরে এলো রোয়েন।রুমে এসে রুহীকে দেখে কিছুটা হাসি পেলে ও নিজেকে সামলে নিলো রোয়েন।মেয়েটা সারা মুখে আইস্ক্রিম মাখিয়ে রেখেছে।রোয়েন বাথরুম থেকে পানি এনে সেখানে রুমাল ভিজিয়ে রুহীর মুখ মুছিয়ে দিলো।রুহী!!!রুহী!!!উঠো।বেশ জোরেই ডাকলো রোয়েন।ধড়ফড় করে উঠে বসলো রুহী।রোয়েন রুহীর হাতে একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিলো।জলদি তৈরি হয়ে নাও।দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।রুহী প্যাকেটটি নিয়ে বসে আছে।হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় ভালো লাগছেনা ওর।
কি হলো আমি পরিয়ে দিবো?জিজ্ঞেস করে উঠলো রোয়েন।
রোয়েনের কথায় মাথা তুলে তাকায় রুহী।জি?
না না না।আমি পরে আসছি।আচমকাই চিৎকার করে উঠলো রুহী।দ্রুত অন্যরুমে গিয়ে দরজা লাগালো রুহী।
প্যাকেটটির ভিতর থেকে কালো একটি শাড়ি বের করলো।সেই সাথে ম্যাচিং গলার সেট আর চুড়ি আছে।রুহী নিজেকে সাজিয়ে তুলল।কোঁকড়া চুল গুলোকে খোপায় গুঁজে নিলো।রেডি হয়ে নিচে নেমে এলো রুহী।রোয়েন আজ ডার্ক ব্লু কালারের একটা কমপ্লিট সুট পরে আছে।রোয়েন থেকে আজ চোখ সরাতেই পারছেনা রুহী।এতো হ্যান্ডসাম লাগছে যা বলার মতো না।
ধীর পায়ে হেঁটে রোয়েনের পাশে এসে দাঁড়ালো রুহী।
রুহীর দিকে এক নজর তাকিয়ে সামনে হাঁটতে লাগলো রোয়েন।রুহী রোয়েনের পিছু পিছু বেরিয়ে গেলো।
রোয়েনের গাড়িটা বেশ বড় জাঁকজমক পূর্ন একটা হোটেলের সামনে এসে থামলো।রুহীর হাত ধরে সামনে আগাতে থাকলো রোয়েন।দুইপাশে কিছু লোক দাঁড়িয়ে আছে যাদের সাথে রোয়েন হাঁটতে হাঁটতে হালকা কথা বলে নিলো।হোটেলে ঢুকে গেলো ওরা।খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে পুরো হল টাকে।রোয়েন আর রুহী ভিতরে ঢুকতে কিছু মেয়ে রোয়েনকে ঘিরে ধরলো।সবাই রোয়েনের পা ধরে সালাম করছে।আর ন্যবাদ জানাচ্ছে।সবার গায়ে বেশ ভালো পোষাক।এরা কে তাহলে ভাবতে লাগলো রুহী।
ভাইয়া আপনি কতো বড় উপকার করলেন আমাদের বলে বুঝাতে পারবোনা।একজন বলে উঠলো।পাশের মেয়েটি বলল ভাইয়া স্কুলটা গড়ে দিয়ে পড়ালেখার সুযোগ করে দিলেন আমাদের।
আল্লাহ যেন সব বোনদের এমন একটা ভাই দেয়।
রুহী এবার বুঝতে পারলো এরা আসলে এতিম মেয়ে।ওদের পড়াশুনার জন্য স্কুল তৈরি করেছে।রোয়েন মেয়ে গুলোর মাথা হাতিয়ে দিলো।কিছুক্ষন পর মেয়ে গুলো থেকে সরে এসে রুহীর হাত ধরে সামনে এগুলো।স্টেজে একজন দাঁড়িয়ে আছে মাইক হাতে।রুহীকে নিয়ে একটা গোল টেবিলে বসলো রোয়েন।ওদের টেবিল সবার সামনে।টেবিলে একটা কার্ডে রোয়েনের নাম লেখা।
Good evening all the guests of this successful party.This party has thrown by the cobra leader Royen chowdhury. He has done a great thing for the orphan girls.That is his Rayna Girl’s school,where the girls can read without any fees or any expense. They will get free books in evary class.So a loud clap for our dark prince.কথা গুলো বলেই লোকটা হাতে তালি দিতে লাগলো।সকল গেস্টরাও হাতে তালি দিতে লাগলো।রুহী হাতে তালি দিতে যাবে তখনই রোয়েনের চোখ চোখ পড়তেই হাত নামিয়ে নিলো রুহী।
রুহীর থেকে চোখ সরিয়ে রোয়েন স্টেজের দিকে পা বাঁড়ালো।মাইক হাতে নিলো ও।
Good evening gentleman and ladies.Thanks to all of you for your love and support.Today Iam gonna announce something special for my lady love Ruhi.We are going to get married very soon.সাথে সাথে আরেক দফা হাততালি।রুহী চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে রোয়েনের দিকে।রোয়েন ওদের টেবিলে এসে বসলো।রুহী যেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। খাওয়াদাওয়া সেড়ে হালকা ড্রিংকস করলো সবাই।রোয়েন ওদের দুজনের জন্য সফ্টড্রিংকসের ব্যাবস্থা করলো।
ড্রিংকস শেষে সবাই ওদের কাপল ড্যান্সের জন্য জোর দিতে লাগলো।
রুহীর হাত ধরে রোয়েন ড্যান্স ফ্লোরে এসে দাঁড়ালো।কেউ কেউ শিস বাজাতে লাগলো।রুহীর কোমড় জড়িয়ে কাছে টেনে আনলো রোয়েন।গান বাজতে লাগলো।রোয়েন রুহীর কোমড় একহাতে ধরে রুহীর একটা হাতের নিজের আঙ্গুলের ভাজে নিয়ে নিলো।
Pyaar manga hai tumhi se
Mujhe pyaar karo
Aaj abhi zidd maano meri
Na intezaar karo
Main bhi dil ki sun raha hoon
Tum bhi dil ki suno
Pyar manga hai tumhi se
Mujhe pyaar karo
Tujhe paane ka junoon iss qadar hai
Tere khwabon se bhari yeh nazar hai
Zara dheere se mere paas aao
Tumhe kitna pyaar hai yeh batao
Pucho naa, bas dil de do
Mujhe pyaar karo…
Pyaar manga hai tumhi se
Na inkaar karo
Aaj abhi zidd maano meri
Na intezaar karo,,,,,,,,,
চলবে