Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 40
চোখ খুলতেই দুজন লোকের কথা শুনতে পেলো রুহী।পিটপিট চোখে তাকালো রুহী।রোয়েন দাঁড়িয়ে আছে খাটের পাশে আর ওর বন্ধু সাজ্জাদ খাটে বসে আছে।ভ্রু কুঁচকে রোয়েনের দিকে তাকিয়ে ডাক্তারের দিকে তাকালো রুহী।
ভাবি এখন কেমন লাগছে?জিজ্ঞেস করলো সাজ্জাদ।
ভ ভালো।বলে উঠলো রুহী।
দোস্ত আমার যেতে হবে।আর ভার্সিটির কথা পরে জানাবো তোকে।বলে উঠে দাঁড়ালো সাজ্জাদ।
চল তোকে নিচে এগিয়ে দেই।সাজ্জাদের সাথে যেতে যেতে বলল রোয়েন।রুহী ও ওদের পিছু পিছু নিচে চলে এলো।সাজ্জাদের পর পরই বেরিয়ে যেতেই হাতে টান পড়লো রুহীর।পিছনে তাকায় রুহী।
যাচ্ছো কোথায়?শান্ত গলায় প্রশ্ন করলো রোয়েন।
বাসায় যাবো।ছাড়েন আমাকে।চিৎকার করে বলল রুহী।রোয়েন কিছু না বলে রুহীকে কোলে তুলে নিয়ে রুমে চলে এলো।রুহীকে খাটে বসিয়ে দিলো জোর করে।বসো,নড়ার চেষ্টা করলে আমার থেকে ও খারাপ কেউ হবেনা।দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।
রোয়েন সুপ আনার জন্য বেরিয়ে গেলো।রুহী খাটে বসে বিছানার চাদর খাঁমচাতে থাকে।
রুহীর মনে হতে থাকে রোয়েনের বলা কথা গুলো।”নিজের লেভেলের কাউকে বিয়ে করে নিও।তোমার সাথে আমি স্যাটিসফাইড না।”রুহী নিজেকে আর সামলাতে পারছেনা।খাট থেকে নেমে সব ভাঙ্গতে লাগলো।এতোদিন এসব বলে আজ আটকাতে চাইছেন কেন?কি চায় সে?আর কতো কষ্ট দেয়া বাকি?চিৎকার করে কাঁদছিলো আর ভাঙ্গচুর করছিলো রুহী।
রোয়েন ট্রলিতে স্যুপ আর ঔষধ নিয়ে রুমে আসতেই থমকে গেলো।রুহী এসব কি হচ্ছে?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
আমার কাছে আসবেননা।আমি তো আপনার লেভেলের না।আপনার যোগ্যনা।কেন আনলেন এখানে?চিৎকার করে বলছিলো রুহী।রোয়েন এসে রুহী কে ধরতেই ওর বুকে জোরে ঘুষি মারতে থাকে রুহী।হঠাৎ কাঁধে আঘাত লাগায় রক্ত বেরুতে থাকে রোয়েনের কাঁধ বেয়ে।রুহীকে শক্ত করে জড়িয়ে ওর ঠোঁটে ঠোঁট বসিয়ে দিলো রোয়েন।রোয়েনকে সরাতে চেষ্টা করছে রুহী কিন্তু রোয়েন আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে রুহীকে।রুহী নিজেকে সরাতে পারছেনা রোয়েনের বাহুডোর থেকে।
এবার কেঁদে দিলো রুহী।রুহীকে কাঁদতে দেখে সরে এলো রোয়েন।তখনই রুহী মারতে থাকে রোয়েনকে।রুহীর আঙ্গুলের আচড়ে রোয়নের শার্টের কাঁধের অংশটুকু ছিড়ে গিয়ে ব্লিডিং হতে থাকে।
র র রক্ত!!!!!আ আ আমি ক ক কিছু ক ক করিনি,কাঁদতে কাঁদতে বলছিলো রুহী।তুমি কিছু করোনি কাঁদতে হবেনা তোমায়।বলে উঠলো রোয়েন।রুহী দৌড়ে আলমারি থেকে ফাস্টএইড বক্স নিয়ে এলো।নিজেই রোয়েনের শার্ট খুলে দিলো।রোয়েনের কাঁধের বেশ বড় একটা অংশ থেকে যেন মাংস উঠে এসেছে।রুহী ঔষধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিলো।রুহী উঠতে চাইতেই ওর হাত টেনে বসিয়ে দিয়ে কথা বলে উঠলো রোয়েন।তোমার সাথে আমার কথা আছে।কোন কথা নেই আপনার সাথে বলে উঠলো রুহী।
কথাতো তোমাকে বলতে হবে।তোমাকে সব জানতে হবে কি হয়েছিলো।
কিছু জানতে চাইনা,কিছু বুঝতে চাইনা।যেতে দিন আমায়।চিৎকার করে উঠলো রুহী।
তাহলে তোমাকে ও আমি ছাড়বোনা।গেট দ্যাট?দাঁতে দাঁত চাপলো রোয়েন।
রুহী জ্বলজ্বলে চোখে রোয়েনের দিকে চেয়ে আছে।
রোয়েন বাঁকা হেসে রুহী কাঁধের চুল সরিয়ে সেখানে মুখ ডুবালো।
রোয়েনকে ধাক্কা দিয়ে সরাতে যেতেই রুহীর হাত জোড়া রোয়েন একহাতে বন্দী করে নিলো।
বেশ কিছুক্ষন পর সরে এলো রোয়েন।রুহী চোখ মুখ খিচে রেখেছে।রোয়েন ধীরে ধীরে রুহীর হাত ছেড়ে দিয়ে ওকে বিছানায় শুইয়ে দিলো।রুহীর মাথার কাছে বেশ কিছু চকলেট রেখে বলল।যখন যেটা মন চাইবে খেয়ে নিও।কিন্তু এখান থেকে মুভ করার সাহস করোনা।তাহলে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবে।
দাঁতে দাঁত চেপে কথা গুলো বলে বেরিয়ে গেলো রোয়েন।।
রোয়েন বের হতেই পাশে তাকালো রুহী।বড় ৮-১০টা চকলেট বার আর ছোট্ট অনেক গুলো চকলেট আছে।রুহী ছোট্ট একটি চকলেট মুখে পুরে দিয়ে রোয়েনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।
মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন আজিজ রায়হান।পাশে রেহান আর সাইফ বসে আছে।আজিজ রুহীকে পেয়ে যাবা।কথাটা মুখে বললে ও ভিতরে নিজেরই ভীষন টেনশন হচ্ছে সাইফ রহমানের।
শতো হলে ও বোনের মেয়ে বলে কথা।
রুহী কই আছে? কেমন আছে কে জানে?মেয়েটাকে কেন একা পাঠালাম?আমারই ভুল ছিলো।কেমন বাপ আমি?আজিজ রায়হান কাঁদছিলেন কথা গুলো বলে।আচমকা আজিজের ফোন বেজে উঠায় ঘোর কাঁটলো সবার।আজিজ রায়হান ফোন সামনে এনে দেখলো রোয়েন কল করছে।রিসিভ করে কানের সামনে ধরলেন ফোন।
হ্যালো মিঃ আজিজ রায়হান।বলে উঠলো রোয়েন।
জি স্যার বলেন, রাগ দমন করে বললেন আজিজ রায়হান।
তোমার মেয়ে সেফ আছে আমার কাছে।অপর পাশ থেকে বলল রোয়েন।
আমার মেয়ে কে দিয়ে যান স্যার।বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।
No way.রুহী আমার আর আমার কাছে থাকবে।যতোদিন চাইবো নিজের কাছে রাখবো ওকে।
শুনেন স্যার যা করার করেছেন। এবার প্লিজ আমার মেয়েকে দিয়ে দাও।খুব কষ্ট পাইছে আমার মেয়ে আর না।এবার আমাদের ছাড়ো।নিজের লেভেলের কাউকে ধরো।রাগী গলায় বলতে লাগলেন আজিজ রায়হান।
রোয়েনের পুরো শরীর কাঁপছে।ওকে এতো কথা বলার সাহস কি করে হয় এই লোকের?হাত শক্ত করে মুঠ করে আছে রোয়েন।।
আমার মেয়েকে যতো দ্রুত সম্ভব আমার কাছে,,,,,কথাটা বলার মাঝেই অপর পাশ থেকে কাঁচ ভাঙ্গার শব্দ পেলেন আজিজ রায়হান। রোয়েন মুঠ করা হাত দিয়ে ড্রেসিংটেবিলের আয়নায় বাড়ি দিতেই আয়নাটা চুরমার হয়ে গেলো।হাতের ফিনকি দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে রোয়েনের।
Enough is Enough চিৎকার করে উঠলো রোয়েন।আর কিছু বলতে পারলেননা আজিজ রায়হান।আমাকে এতো কথা বলার সাহস কি করে হয় আপনার?গলা ফাঁটিয়ে চিৎকার করে বলল রোয়েন।
আপনার মেয়ে আমার কিছু হয় না?ভালোবাসি ওকে আমি।আমি নিজে ও ভালো ছিলাম না।এসবের পিছনে কারন ছিলো আমার।
আপনাকে আর বেশি কিছু বলার ইচ্ছে আমার নেই।
রুহীকে এখান থেকে নেয়ার সাহস করবেননা।বলেই কল কেঁটে দিলো রোয়েন।আজিজ রায়হান ফোন সামনে এনে থম ধরে বসে রইলেন।কি হলো বুঝতে পারছেননা ওনি।
রোয়েন রুমে এসে রুহীর দিকে এক নজর তাকালো।রুহীর চেহারাই বলে দিচ্ছে এতোদিন মেয়েটা খুব বেশি কষ্টে ছিলো।
রোয়েনের বলা প্রত্যেকটা কথা যে ওর হৃদয়কে চুরমার করে দিয়েছে সেটা বুঝে গেছে রোয়েন।রোয়েনকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে চকলেট মাখা ঠোঁট জোড়াকে মুখের ভিতর পুরে নিলো রুহী।রুহূর থেকে চোখ সরিয়ে বাঁকা হাসলো রোয়েন।
রুহী যেন নিজের কাজে লজ্জা পেলো।
রোয়েন এসে রুহীর পাশে শুয়ে ওকে বুকে টেনে নিতেই হাত দিয়ে ধাক্কা দিলো রুহী।
রোয়েন জোরে টান দিয়ে রুহীকে বুকের মাঝে আনলো।দূরে যাওয়ার চেষ্টা করেছো তো থাপড়িয়ে গাল লাল করে দিবো।চুপচাপ লক্ষীটির মতো শুয়ে থাকো।রুহী রোয়েনের বুকে শুয়ে আছে।রুহীর ঘাড়ে চুলের গভীরে রোয়েনের নরম ঠোঁট জোড়ার ছোঁয়া পাচ্ছে।রুহী সরে আসতে নিতেই রোয়েন আরো জোরে জড়িয়ে ধরে রাখছে রুহীকে।
চলবে