Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 16

রায়না রহমানের ঘুম ভাঙ্গলো কারোর ঠোঁটের উষ্ঞ ছোঁয়ায়।চোখ না খুলে ঠোঁটে মিষ্টি হাসি এনে স্বামীর বুকের গভীরে চলে গেলেন।সাইফ নিজেও ওনার প্রিয়তমা স্ত্রীকে বুকে জড়িয়ে নিলেন শক্ত করে।
রায়না বেগমের মাথার এককোনে ঠোঁট ছুঁয়ে তার কানের সামনে মুখ নিয়ে এলেন সাইফ রহমান।Can we marry once again?ফিসফিসিয়ে নেশা ধরানো কন্ঠে বললেন সাইফ। চমকে উঠলেন আর সাথে লজ্জা ও পেলেন স্বামীর কথায়।ছিঃ সাইফ এই বুড়ো বয়সে ভিমড়তী ধরেছে?কোন কথা মুখে বাঁধেনা তোমার।স্বামীর কাছ থেকে সরে আসতে আসতে বলছিলেন রায়না রহমান।সাইফ রহমান স্ত্রীর হাত টেনে ধরলেন।কি হলো আব,,,,, পুরো কথা শেষ করতে পারলেননা। ততক্ষনে সাইফ ওনার গলায় ঠোঁট বুলাতে শুরু করেছে।আরে সাইফ কি করছো কি?সরো।কি যে করো এসব?সকাল সকাল তোমার যতো রোম্যান্স শুরু হয়ে যায় হুহ!!!উফ রায়না তুমি ও না। বয়স তোমাকে পেয়ে বসেছে।কিছুটা,অভিমানী গলায় বললেন সাইফ রহমান।
রায়না রহমান কিছু না বলে চুল খুলতে খুলতে ওয়াশরুমের পানে পা বাড়ালেন।ফ্রেশ হয়ে দুজনে বেরিয়ে এলেন রুম থেকে।রেহান ফ্রেশ হয়ে সবে মাত্র নিচে নামলো।সাইফ রহমান ছেলেকে দেখে মায়াময় না
হাসি নিয়ে এলেন মুখে।রেহান কাল ঘরে কখন ফিরেছিলি?প্রশ্ন করলেন সাইফ।
ড্যাড আসলে কাজের চাপ টা একটু বেশি হয়ে গেছিলো তাই লেট হয়ে গেছে।চেয়ারে বসতে বসতে বলল রেহান।ইটস ওকে ডিয়ার।অতো চাপ নিও না।ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন সাইফ রহমান।
রায়না রহমান বাবা আর ছেলের কথা শুনে মুচকি হাসি দিয়ে স্যান্ডউইচে কামড় বসালেন।
রায়না ভাবছিলাম তেমাদের মাইন্ড রিফ্রেশ হওয়া দরকার।অনেক দিন তো কোথাও যাওয়া হয়না।তাই ভাবছিলাম নেক্সট মান্থ তো অনেক লং হলিডে আছে।সো লেটস গো টু বাংলাদেশ।কিছুটা উত্তেজনায় বলে উঠলেন সাইফ রহমান।রেহান রায়না দুজনে ওনার মুখের দিকে চেয়ে আছে।কি হলো?তোমরা আমার প্রস্তাবে খুশি হওনি?মুখের হাসি চলে গিয়ে হালকা চিন্তা ওনার মুখে এসে ভর করলো।
হঠাৎ রেহান ওনার কাঁধে চাপর দিয়ে ফ্যান্টাস্টিক আইডিয়া ড্যাড।হেসে বলে উঠলো রেহান।রায়না বেগম ও হেসে উঠলেন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখে তিনজনেই হেসে দিলো।
খাবার শেষে সাইফ রহমান আর রেহান অফিসে চলে গেলো।
রোয়েনের আজ ব্যান্ডেজ খুলবে।রুহী ও এসেছে ওর সাথে।প্রায় জোর করেই এসেছে রুহী।নার্স রোয়েন কে নিয়ে ড্রেসিং করতে। রুহী রোয়েনের পাশে দাঁড়িয়ে ওর হাত ধরে আছে।
নার্স হেসে দিয়ে বলল আপনাদের বন্ডিংটা অনেক সুন্দর।আমার হাসবেন্ড ও এতো টা ভালবাসেনা আমাকে।রোয়েন নার্সের কথা শুনে মুখে হাসি টেনে রুহী দিকে রাগী চোখে দাঁতে দাঁত চেঁপে তাকালো।রুহী হাসি মাখা মুখে রোয়েনের তাকানোর উপেক্ষা করে ওর হাত ধরে রইলো।ব্যান্ডেজ খুলার পর থেকে ও রুহীর রোয়েনের প্রতি যত্ন একটু ও কমেনি।রোয়েনের খাওয়ার থেকে শুরু করে ওর প্রত্যেকটা দিক খেয়াল রেখেছে রুহী।
রোয়েনের যেন এই সহানুভূতি গুলো সইছিলো না।রুহীকে ধমকালে ও কিছু বলতো না, জিজ্ঞেস করলে ও কিছু বলতোনা।রোয়েন প্রায় বিরক্ত হয়ে যায় রুহীর আচরনে।বেশ কিছুদিন পর রোয়েনের প্লেটে ওর প্রিয় পাস্তা বাড়তেই রোয়েন রুহীর হাত জোরে ধরে ফেললো।সহানুভূতি দেখানো বন্ধ করো।ইটস এনাফ।আমি এখন পুরো পুরি ঠিক আছি।চলে যাও না কেন?লজ্জা করেনা আমার এতো কথা শুনার পর এখানে থাকতে?কেন থাকছো এখানে?কিসের আশায়?কোন সম্পর্কের টানে?আমি তোমার কেউ না আর না আমাদের মাঝে কিছু ছিলো।সো গেট আউট।কখনো আসবানা আমার সামনে।আই হেট ইউ।লিভ চিৎকার করে কথা গুলো বলল রোয়েন।ওর চোখজোড়া রক্ত বর্ন হয়ে গেছে।কপালের রগ ফুলে উঠেছে ওর।রুহীর চোখ জোড়া পানিতে ভরে গেছে।গলা যেন আটকে এসেছে কাঁদতে ও পারছেনা।পিছনে ফিরে দাঁড়ালো রোয়েন।রুহীর কান্না যে ওর সহ্য হচ্ছেনা।আই সেইড লিভ নাউ চিৎকার করে বলে পাশের লম্বা ভাস টিকে লাথি দিয়ে ফেলে দিলো রোয়েন।রুহী কিছুটা চমকে উঠে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে চলে গেলো।রোয়েন আর কোন দিকে না তাকিয়ে বেরিয়ে গেলো ঘর থেকে।
সারাদিন আর ভালো কাঁটেনি রোয়েনের।আজ এতোটা রুড কিভাবে হলো ও রুহীর সাথে?ভাবতেই নিজের ওপর ভীষন রাগ হলো রোয়েনের।নিজের কাজ শেষে ঘরে ফিরে আসলো রোয়েন।রুমে ঢুকতেই ড্রেসিং টেবিলের আয়নার দিকে চোখে পড়লো রোয়েনের।সেখানে একটি কাগজ লাগানো।ভ্রু কুঁচকে সেদিকে পা বাঁড়ালো রোয়েন।কাগজ টি হাতে নিয়ে এর ভাজ খুলে দেখলো একটা চিঠি।রোয়েন পড়তে আরম্ভ করলো।
প্রিয়,
চলে গিয়েছি আমি। আজ খুব কষ্ট লাগছিলো যখন বলছিলেন আমাকের আর দেখতে চাননা।তার থেকে বেশি কষ্ট পেয়েছিলাম যখন বলছিলেন ভালবাসেননা আমাকে।আপনার প্রতিটি কথায় আপনার কষ্ট গুলোকে খুব বেশি অনুভব করতে পারছিলাম।বুঝতে পেরেছিলাম সেদিন কতোটা কষ্ট পেয়েছিলেন।কিন্তু জানেন এরপর প্রত্যেকটা দিন আপনাকে দেয়া কষ্টটা কুঁরে কুঁরে খেয়েছে আমায়।এমন কোন দিন যায়নি যে আপনাকে মিস করিনি।খুব বেশি মন টানছিলো আপনার জন্য।জানিনা কখন কিভাবে আপনার নেশায় আসক্ত হয়ে গেছি।এসেছিলাম নতুন করে আপনার নেশায় নিজেকে জড়িয়ে নিতে।আপনার ঘরের লক্ষী হয়ে থাকতে চেয়েছিলাম।কিন্তু ভাগ্য এতোটা নির্মম হয় আপনার বাসা ছেড়ে আসার সময় বুঝতে পেরেছিলাম।ভালো থাকবেন।আর কখনো আপনার সামনে আসবোনা।আর কষ্ট পেতে হবেনা আপনাকে।
ইতি
অভাগিনী রুহী
চিঠিটা পড়ে স্তব্ধ হয়ে রইলো রোয়েন মুহূর্তের জন্য।দৌড়ে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।এরুম ওরুম করে পুরো ঘরে রুহীকে খুঁজতে লাগলো রোয়েন।কিন্তু নেই রুহী।
ফোন বের করে আজিজ রায়হানের ফোনে কল দিলো রোয়েন।
হ্যালো স্যার!!!! অপর পাশ থেকে বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।
রুহী কই?জিজ্ঞেস করে উঠলো রোয়েন।
বাসায় আসার পর থেকে নিজের রুমে ঢুকে বসে আছে।কারোর সাথে কথা বলেনি।বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।
ওহ।ফোন কেঁটে পকেটে ঢুকিয়ে বেরিয়ে পড়লো রোয়েন আজিজ রায়হানের বাসার উদ্দেশ্যে।
আজিজ রায়হানের ঘরে ঢুকে কাউকে পেলো না রোয়েন।রুহীর রুমের দরজা আধো খোলা।রোয়েন কিছুনা ভেবেই ঢুকে পড়লো রুহীর রুমে।কেমন হাত পা মেলে ঘুমিয়ে আছে অসভ্য মেয়েটা।সব কিছু উপেক্ষা করে রুহীকে কোলে তুলে নিলো রোয়েন।রুহীকে নিয়ে বাসায় এসে খাটে শুইয়ে দিলো রোয়েন।কেমন মেয়ে গাড়িতে কতোগুলো ঝাঁকুনি খেয়ে ও ঘুম ভাঙ্গলোনা ম্যাডামের।রুহীর কপালে চুমো একেঁ ওকে বুকে টেনে নিয়ে শুয়ে পড়লো রোয়েন।
আধঘন্টা পর ঘুম ভেঙ্গে দুহাতে চোখ কঁচলে আশেপাশে চোখ ঘুরাতে থাকে রুহী।ওর রুম কই? এটা তো!! লাফ দিয়ে উঠে বসলো রুহী।কখন এলাম এখানে?বলে উঠলো রুহী।
যখন মরার মতো ঘুমোচ্ছিলে তখন।পাশ থেকে কেউ বলে উঠলো।
পাশে তাকালো রুহী।কেন এনেছেন আমাকে?বাসায় যাবো।বলে উঠলো রুহী।
এটাই বাসা।রোয়েন বলে উঠলো।
আমার বাসায় যাবো।বলে উঠলো রুহী।
এটাই তোমার বাসা।শান্ত ভাবে বলল রোয়েন।এটা আপনার বাসা।আমার বাসায় যাবো বলে খাট থেকে নেমে দরজার দিকে পা বাঁড়াতেই ওর হাত টেনে দেয়ালের সাথে চেঁপে ধরলো রোয়েন।
ইটস এনাফ।সহ্যের অনেক পরীক্ষা নিয়েছো।আর না।কোন সাহসে বাসার বাহিরে পা রাখলে তুমি?খুব বাড় বেড়েছো তাইনা?বলেছি তাই বলে কি চলে যেতে হবে?আর যদি এমন করেছো পা ভেঙ্গে হাত ধরিয়ে দিবো অসভ্য কোথাকার।রুহীকে দেয়ালে জোরে চেপে কথা গুলো বলছিলো রোয়েন।রুহী কেঁদে দিয়েছে।লোকটা এমন কেন?ওর ফিলিংস বুঝেনা।ভাবছে রুহী।রুহীর গালে ঠোঁট ছোঁয়ালো রোয়েন।ওর চোখের পানি গুলো কে শুষে নিতে থাকলো।রুহীর চোখ জোড়া বড় হয়ে গেছে।রোয়েনের বন্ধ চোখের কোনা বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।রুহী রোয়েনের দুগালে হাত রেখে বলল আপনার রুহীকে পেয়েছেন আপনি।প্লিজ আবার ও নিজের নেশায় নতুন করে জড়িয়ে নিন আমায়।ভালবাসায় রাঙ্গিয়ে দিন আমার জীবন।কাঁদতে কাঁদতে বলছিলো রুহী।রোয়েন চোখ খুলে রুহীকে দেখলো।তারপর রুহীর কোমড় ধরে হ্যাচকা টানে নিজের কাছে টেনে নিলো রোয়েন।রুহী ওর মুখ কিছুটা এগিয়ে দিলো রোয়েনের দিকে।ঠোঁটের কোনে হাসি রোয়েনের।রুহীর রসালো ঠোঁট জোড়ায় আলতো করে একবার চুমো খেতেই কেঁপে উঠলো রুহী।রুহী রোয়েনের কালো কোটটার কাঁধ খামচে ধরে নিজের দিকে টানছে।রোয়েনের ঠোঁটে সেই ঘায়েল করা বাঁকা হাসি।রুহী টানছে রোয়েনকে নিজের কাছে।আর বিলম্ব করলোনা রোয়েন।রুহীর ঠোঁট জোড়াকে নিজের ঠোঁটের ভাজে নিয়ে নিলো।রুহী পরম আনন্দে চোখে বুজে নিলো।রুহীর কোমড় ছেড়ে ওর চুলের ভিতর দিয়ে রুহীর গলা দুই হাতে জড়িয়ে ধরে রুহীর পুরো ঠোঁট নিজের মাঝে নিয়ে নিলো রোয়েন।রুহী আজ সুখের সাগরে ভাসছে।আগে যদি জানতো তাহলে নিজের মিঃকিলার প্রিন্স চার্মিংকে ছেড়ে কখনোই যেতোনা।কথা গুলো ভেবেই রোয়েনের গলা জড়িয়ে ধরলো।
চলবে