Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 17
রুহীর নিশ্বাস আটকে আসছিলো।ওর নাকটা রোয়েনের গালের মাঝে আটকে গেছে।লোকটার কোন খবরই নেই মনের চুমো খেয়ে যাচ্ছেন যেন ঠোঁট টা ওনার।রুহীর জান যায় যায় অবস্থা।ঠোঁট টা মনে হয় আর নেই।হায় হায় ঠোঁট ছাড়া বের হবো কেমনে?লোকে দেখলে কি বলবে? হায় হায়।বাচ্চা গুলো ও তো হবে ঠোঁট ছাড়া। বিয়ে কেমনে দিবো?রোয়েনের ভালোবাসার মাঝেই কথা গুলো ভাবতে থাকে রুহী আর ভয়ে শিউরে উঠতে থাকে।চোখজোড়া খুলে রোয়েনের দিকে পিটপিট করে তাকায় রুহী।রোয়েন ও ওর দিকে পলকহীন ভাবে চেয়ে আছে।রুহীর নাকটা লাল হয়ে আছে ভীষন।হালকা হেসে রুহীর থেকে সরে আসে রোয়েন।রোয়েনের সরে যেতেই রুহী বড় বড় নিশ্বাস নিতে থাকে।হাতের চারটা আঙ্গুল দিয়ে নিজের ঠোঁট টাকে স্পর্শ করে রুহী।আছে কিনা সেটা দেখার জন্য।রোয়েন ভ্রু কুঁচকে রুহীর দিকে চেয়ে আছে।মেয়েটা কি করতে চাইছে বুঝতে পারছেনা রোয়েন।রুহী ঠোঁটে হাত রেখে এখন ও স্পর্শ করছে।
কি করতে চাইছো তুমি?দাঁতে দাঁত চেপে জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
আমার ঠোঁটকে পুরা ত্যানা ত্যানা করে দিয়েছেন।ন্যাকা কান্না করে বলল রুহী।
ঠোঁটে বাঁকা হাসি রোয়েনের।রুহীর আরো কাছে এগিয়ে এসে ওর দুহাতের কবজি ধরে ফেললো রোয়েন।রুহী অবাক চোখে রোয়েনের দিকে চেয়ে আছে।লোকটার চোখে দুষ্টু দুষ্টু ভাব।কে জানি কি করতে চাইছে?
রুহীর ঘোর কাঁটিয়ে জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।তুমি কি চাও ওগুলো আমি ঠিক করে দেই?বাঁকা হেসে বলল রোয়েন।
ক কোন গ গুলো?ভয় পেয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল রুহী।
ইওর লিপস।নেশা জাগানো কন্ঠে বলে উঠলো রোয়েন।
রুহী চোখ বড় করে রোয়েনের দিকে চেয়ে আছে।হু???? বলে উঠলো রুহী।
আর কিছু না বলেই মায়াবতীকে দেয়ালের মাঝে চেপে ধরলো রোয়েন।
হ্যলো ভাই ভালো আছেন?অপর পাশ থেকে বলে উঠলো আজিজ রায়হান।
হুম ভালো।বলে উঠলেন সাইফ রহমান।তুমি কেমন আছো আজিজ?
হুম ভালো।ভাবি আর ছেলে কেমন আছে। হালকা হেসপ বললেন আজিজ রায়হান।
হুম ভালো।আমার বোন আর ভাগনীদের কি খবর আজিজ?বলে উঠলেন সাইফ রহমান।
আনিলা বেগমের কথায় গলা ভেঙ্গে আসতে চাইলো আজিজ রায়হানের তবু ও নিজেকে সামলে নিলেন।ও ভালো আছে।আপনাদের বাড়িতে গেলো।আর রুহী রুপন্তী ভালোই আছে।
বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।
হুম।আজিজ ভাবছিলাম বাংলাদেশে আসবো।তোমার ভাবির ও মাইন্ড রিফ্রেশ হয়ে যাবে।
হুম।আমাদের বাসায় আসবেন এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি।
হুম অবশ্যই।তা মামনিরা কই?বলে উঠলেন সাইফ রহমান।
রুপন্তি কলেজে আর রুহী ও কলেজে বলে উঠলেন আজিজ।
হুম।নেক্সট উইক আসবো আমরা।বলে উঠলেন সাইফ রহমান।
ওহ।খুব ভালো লাগবে আমার।আপনার বোনকে ও ডেকে আনবো।বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।
হুম হুম অবশ্যই।হেসে উঠলেন সাইফ রহমান।
ফোন রেখে বড় নিশ্বাস নিয়ে ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলেন আজিজ রায়হান।
রুহীকে ছেড়ে সরে দাঁড়ালো রোয়েন।কিছুটা মুড নিয়ে রুহীর দিকে না তাকিয়ে বলল কফি আনো আমার।
রুহী রোয়েনের দিকে এক ঝলক তাকিয়ে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
চুলায় পানি গরম বসিয়ে রুহী চোখ বুজে ঠোঁট জোড়াকে স্পর্শ করে রোয়েনের ভালোবাসা গুলোকে মনে করার চেষ্টা করতে থাকে রুহী।কফি বানানোর একপর্যায়ে রুহী কারোর গরম নিশ্বাস নিজের কাঁধে গভীর ভাবে পাচ্ছে।দুটো হাত ওর কোমড় জড়িয়ে ধরেছে।রুহীর কাঁধ থেকে গেঞ্জীর হাতা সরিয়ে সেখানে ঠোঁট বুলাতে থাকে রোয়েন।রুহীর নিশ্বাস ভারি হয়ে আসতে থাকে।এম এমন ক করলে কফি বানাতে পারবোনা।কাঁপা গলায় বলতে থাকে রুহী।রুহীকে নিজের বুকের মাঝে আরো জোরে চেঁপে ধরে রোয়েন।ডোন্ট ডিস্টার্ব মি।বলে রুহীর গালে ঠোঁট বুলিয়ে ওর কানের লতিতে আলতো করে কামড় বসালো রোয়েন।আহ!!!! আস্তে শব্দ করলো রুহী।কফি বানিয়ে রোয়েনের হাত ধরিয়ে বেরিয়ে আসতে নিবে তখনই হাতে টান পড়ে রুহীর।চুলার পাশে মগটাকে রেখে রুহীকে কোলে উঠিয়ে চুলার পাশের উঁচু জায়গাটায় বসিয়ে দিলো রোয়েন।ক ক কি করছেন?বলে উঠলো রুহী।
সাট আপ।রুহীর গলা থেকে গেঞ্জী একটু সরিয়ে রুহীর গলার খানিকটা নিচেই লাল তিলটায় ঠোঁট বসালো রোয়েন।কেউ চলে আসবে। বলে উঠলো রুহী।রুহীর কথার পাত্তা না দিয়ে রোয়েন নিজের কিচেন রোম্যান্সে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো।রোয়েন আর রুহীর দুষ্ট মিষ্টি ভালোবাসায় পরিপূর্ন সময় গুলো।রোয়েনের সময় অসময়ের রোম্যান্স আর রুহীর লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া সব মিলিয়ে সময় গুলো স্বপ্নের মতো রঙ্গীন হয়ে উঠছিলো।ওরা একে অপরের মাঝে নতুন ভাবে নিজেদের আবিষ্কার করছিলো।
সাইফ রহমান ও তার পরিবারের আসার সময় হয়ে যায়।রুহীকে আজিজ রায়হান বাসায় যেতে বলে কারন এভাবে রোয়েনের কাছে থাকার ব্যাপারটা মামা ভালো ভাবে নাও নিতে পারে।কথা গুলো ভেবেই রুহীর নম্বরে কল দিলেন আজিজ রায়হান।
হ্যালো বাবা বিছানা গুছাচ্ছিলো রুহী।আজিজ রায়হানের কল পেয়ে মুখে মিষ্টি হাসি ফুঁটে উঠলো রুহীর।
কিরে মা ভালো আছিস?বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।
জি বাবা। তুমি কেমন আছো?
এইতো ভালো।শোন তোর বড় মামা আসবে পরশু।
তুই কাল চলে আয়।তোর মামা রোয়েনের কাছে থাকার ব্যাপারটা ভালো ভাবে নাও নিতে পারেন।
রোয়েনকে ছেড়ে যাওয়ার কথায় রুহীর বুকের মাঝে ঝড় শুরু হয়ে যায়।
কিরে মা শুনছিস?কাল চলে আয়।
জি বাবা।বল উঠলো রুহী।
ওকে মা।ফোন কেঁটে গেলো।
কান থেকে ফোন সরিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলো রুহী।রোয়েন কে ছেড়ে কিভাবে যাবে ও?রোয়েন ও ওকে যেতে দিবেনা।সেটা খুব ভালো ভাবে বুঝে গেছে রুহী।
কথা গুলো ভাবছিলো রুহী।ঠিক তখনই রুমে ঢুকে রোয়েন রুহীর দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকায়।ভীষন চিন্তিত মনে হচ্ছে মেয়েটাকে।
এনি প্রবলেম?বলে উঠলো রোয়েন।
হুম।বলে উঠে রুহী
কি প্রবলেম?গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন।
পরশু বড় মামা আসবে।বাবা যেতে বলেছে বাসায় কাল।
কোথা ও যাবেনা।সরাসরি নাকোচ করে দিলো রোয়েন।
রুহী রোয়েনের সামনে এসে দাড়িয়ে ওর গলা জড়িয়ে রোয়েনের কাঁধে মাথা রাখলো।আপনাকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছেনা আমারও।কিন্তু কি করবো বলেন মামা আপনার কাছে এভাবে থাকাটা ভালো ভাবে নেবেননা।মায়াবী গলায় বলে উঠে রুহী।ওনি কি মনে করলো না করলো আই ডোন্ট কেয়ার।কোথাও যাবেনা তুমি।
রুহীর গালে চুমু খেলো রোয়েন ।কয়টা দিনেরই তো ব্যাপার জান।চোখের পলকে শেষ হয়ে যাবে সময়।মামা যেতেই উড়ে আপনার কাছে আসবো।
রোয়েন অর্থহীন চোখে রুহীর দিকে তাকিয়ে রইলো।
চলবে