Love !! Part- 08
নিলাকে নিয়ে বাড়ি এসেছেন রেহেনা বেগম। নিজের কোন মেয়ে নেয় তাই একে নিজের মেয়ের মতো করে ই ভালোবাসে ফেলেছে। অনেক মায়া হয় মেয়েটার জন্য নিশ্চিত তার পরিবারের সবাই অনেক কষ্ট পাচ্ছে কি কি করে তাকে তার ফ্যামিলির কাছে ফিরিয়ে দেব এই যে কিছুই মনে নেই।
রাজের নিজের বাবা মার প্রতি সম্মান আর ও বেড়ে গেছে অচেনা একটা মেয়েকে যে তারা এতো আপন করবে ভেবে পায় নি আমার পরে এখন এই মেয়ে তাদের কাছে অনেক আপন।
সবাই বসে নিচে রাজ রাজের বাবা মা সাথে নিলা ও আছে।
রেহেনা বেগম – ওর তো একটা নাম দিতে হয়। কি নাম দেওয়া যায়।
রাজ- আম্মু আমি বলি
রেহেনা বেগম – তুমি আচ্ছা বলো আমার মামুনির যদি ভালো লাগে তাহলেই হবে।
রাজ- রোপা
রেহেনা বেগম- ভাববা সুন্দর তো তুমি মেয়েদের নাম ও জানো দেখি।
রাজ- আম্মু আমার জন্য কিন্তু তুমি রোপা কে পেয়েছো।
নিলা বসে মা ছেলের ঝগড়া দেখছে আর ভাবছে এরা সত্যি অনেক ভালো আমাকে চেনে না জানে না অথচ কতো আপন করে নিয়েছে মনে হচ্ছে অনেক দিনের চেনা। আচ্ছা আমার ও কি এমন পরিবার আছে কিন্তু কেন মনে করতে পারছি না কেন,,
হঠাৎ কারো ডাকে বাস্তবে ফিরলাম,,,
রেহেনা বেগম – কি রে নাম পছন্দ হয়েছে
আমি – মাথা নারিয়ে হ্যাঁ জানালাম।
সবাই অনেক ক্ষণ কথা বললো আমি তেমন কথা বলিনি। রাতে শুয়ে আছি হঠাৎ দরজা খুলে রাজ রুমে আসলো। কিছু বুঝতে পারলাম না হঠাৎ রাতে আমার রুমে আসায় আমার কেন জানি রাগ হচ্ছে যতোই হোক রাজ একটা ছেলে এবাবে আমার ঘরে আসার কারণ কি।
উঠে বসলাম আগের থেকে সুস্থ কিন্তু হালকা ব্যথা শরীরের এখন ও আছে।
রাজ- আরে তুমি বসছো কেন তুমি না অসুস্থ শুয়ে পর শুয়ে পর তারাতারি আমাকে কিন্তু খারাপ ভেব না রাতের বেলা তোমার রুমে এসেছি বলে। আসলে আম্মু বলল তোমার রুমে নাকি পানি নাই তাই দিতে এলাম এই যে দেখ।
কথাটা বলেই বতলের পানি রাখে। আর আমি নিজের ভাবনার জন্য নিজের ই খারাপ লাগছে আমি এমন চিন্তা করলাম আর ছেলে টা কতো ভালো আমার চিন্তা করেই তো আসছে আর আমি ছি ছি।
আমি – বসুন
রাজ- না না এখন বসে আর তোমাকে ডিসটার্ব করতে চাই না। তুমি অসুস্থ এখন ঘুম আসো কাল কথা হবে এখন আমি বাইরে যাবে।
আমি – এখন বাইরে অনেক রাত তো
রাজ- আমি প্রতিদিনই যাই। নো প্রবলেম
আমি – প্রতিদিন মামুনি কিছু বলে না
রাজ – না সবাই আমাকে অনেক ভালো বাসে কেউ শাসন করে না। এখন আর সত্যি সময় নাই বাই
কথাটা বলেই চলে গেল আর আমি ভাবতে লাগলাম বেশি টাকা থাকলে তারা কি এমন হয় রাতে পাটি বাবা মা ও কিছু বলে না।
যাই করুক রাজ অনেক ভালো আমার সাথে তো কখনো খারাপ ব্যবহার ও করে নি। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম।
পরদিন
ঘুরতে ঘুরতে একটা রুমে চলে আসলাম এই বাড়ি আসার পর আজই প্রথম এই রুমে আসলাম। রুম টা অনেক সুন্দর কিন্তু এতো অগোছালো আমি কিছু কিছু গুছিয়ে রাখছি হঠাৎ পিছনে ঘুরেই দিলাম এক চিৎকার।
কারণে আমার সামনে রাজ শুধু মাএ একটা টাওয়াল পরে দায়িয়ে আছে আমার চিৎকারে সাথে রাজ ও চিৎকার করে উঠলো। আমি চিৎকার করা বন্ধ করে জিগ্গেস করলাম,,,আপনি চিৎকার করছেন কেন
রাজ- তোমার জন্য
আমি – মানে
রাজ- তুমি একা চিৎকার করলে শুনে ভালো লাগবে না তাই। বাই দি ওয়ে তুমি আমার রুমে এই সময় কি করছো।
আমি – (অন্য দিকে ঘুরে ) এমনি আসছিলাম।আপনি তারাতারি সরেন আমি বের হবো কি অসভ্য ছেলে এই ভাবে কেউ বের হয়।
রাজ- আমার রুমে আমি যেভাবে খুশি সেভাবেই বের হবো। তুমি তো এসেছ আমার কি দোষ।
আমি – আচ্ছা আমি অপরাধ করেছি এবার আমাকে বের হবার সুযোগ দিন প্লিজ।
রাজ- আচ্ছা যাও আজ মাফ করলাম। আর জানো আমার ব্রডি দেখার জন্য কতো মেয়েরা পাগল আর তুমি তো সুযোগ পেয়ে ও দেখলে না।
আমি – আমার এতো সখ নেই যারা পাগল তাদের কেই দেখান।
বলেই দৌড়ে বেরিয়ে আসলাম কেন যে ওই রুমে গিয়েছিলাম।
চলবে,,,