Love

Love !! Part- 09

দৌড়ে নিচে চলে আসলাম মামুনি দৌড়ে আসতে দেখে নানা কথা জিগ্গেস করেছে কিন্তু আমি কিছুই বলি নি।
কেন যে গেলাম ওই রুমে। সকালের নাস্তা করার জন্য বসেছি সবাই।

মামুনি – রাজ রোপাকে নিয়ে শপিং এ যেও তো আজ ওর তো তেমন ড্রেস নেই আমাদের কাছে। শাড়ি পরে কয়দিন থাকবে।

রাজ- আম্মু আমি কি মেয়েদের কিছু বুঝি নাকি তুমি যাও না।

মামুনি – আমি যেতাম কিন্তু তোর খালামনি আসবে। তুই ওকে নিয়ে যা ওর ইচ্ছে মতো ওই ই পছন্দ করে নেবে।

রাজ- আমার এক জায়গায় যাওয়ার ছিলো

মামুনি – ওই তো ফ্রেড দের সাথে ঘুরা একদিন না ঘুরলে কিছুই হবে না। আমি কিছুই শুনতে চাই না তুমি যাবে।

রাজ আর কথা বাড়ালো না রাজি হয়ে গেল সে জানে তার মা তার কথা এখন আর শুনবে না।
রাজ- যাও রেডি হয়ে আসো

আমি – আচ্ছা

হঠাৎ আমার চোখ আটকে গেল রোপাকে দেখে নীল কালারে একটা শাড়ি পরেছে এটা আম্মুর শাড়ি অসম্ভব সুন্দর লাগছে রোপা কে আম্মু অনেক বার পরেছে কিন্তু তখন আমার শাড়ি টা এতো ভালো লাগেনি কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এটাই সব থেকে সুন্দর শাড়ি। হা করে তাকিয়ে আছি। কারো কথায় ধ্যান ভাঙলো

রোপা- আপনার দেখা হলে আমরা কি যেতে পারি।

রাজ- আমি তোমাকে দেখছিলাম ( বলে হাসতে লাগলাম কারণ আমি বুঝতে দিতে চাই না যে দেখছিলাম ) হাসালে তোমাকে আমি কোন দুঃখে দেখতে যাবো। এই শাড়িটাই তোমাকে কতো খারাপ লাগছে জানো মনে হচ্ছে আশি বছরের বুড়ি।

রোপা- কি আমাকে আশি বছরের বুড়ি লাগছে। ( রাগী ভাবে তাকিয়ে )

রাজ- এ এ আবার নাক ফুলাসসো কেন এখন তো রাগী বুড়িদের মতো লাগছে।

রোপা- মুটেও না আমি দেখতে যথেষ্ট সুন্দর আগে কতো ছেলে আমার পিছনে ঘুরেছে জানেন।

রাজ- তুমি নিজেই তো ভুলে গেছো আমি জানবো কি করে।

কথাটা তালে তালে বলে রোপার দিকে তাকিয়ে দেখি মুখটা মলিন করে ফেলেছে। ইস কেন যে এই কথাটা বলতে গেলাম। আমার সামনে কেউ মন খারাপ করে থাকলে আমার অনেক খারাপ লাগে কি করে মন ভালো করা যায়।

রাজ- এখন তো তুমি আমার দিকে তাকিয়ে আছো আমাকে দেখতে অনেক সুন্দর আমি জানি এভাবে তাকালে আমার লজ্জা লাগে।

আমার কথা শুনে রোপা হেসে উঠে। ওফ তাও মনটা ভালো করা গেল।

তারপর গাড়িতে উঠে বসলাম। গাড়িতে উঠে ও রোপা মুখটা মলিন করেই রেখেছে অনেক কথা বলে ওর মন অবশেষে ভাল করতে সক্ষম হয়েছি।

শপিং মলে

রাজ- আর কতো ঘুরবে এবার তো কিছু কিনো আমি ঘুরতে ঘুরতে তো শেষ।

রোপা- এক ঘন্টার মধ্যেই শেষ আমার অনেক টাইম লাগবে।

রাজ- এই তুমি ছেলেদের টাই ঢুকেছো কেন এখানে থেকে আবার কি কিনবে।

রোপা- কথা কম বলেন তো চুপ থাকুন নয় আরও সময় বেশি লাগবে।

রাজ আর কথা বলে নি সময় বেশি লাগবে শুনে। ঘুরতে ঘুরতে শেষ মেয়েদের এতো সময় লাগে না এলে জানতোই না।

অবশেষ কেনা শেষ হলো তার এতো ড্রেস কার জন্য নিলো কে জানে। শপিং মলে থেকে বের হচ্ছি হঠাৎ মনে হলো কেউ ডেকে উঠলো পিছনে তাকিয়ে দেখি পাপিয়া আমার গালফ্রেন্ড কাল আমাকে বলেছিল তার সাথে শপিং এ আসতে আমি তো বানিয়ে বানিয়ে মিসে কথা বলেছী তাকে এখন গেলাম ধরা পরে।

পাপিয়া – জানু তুমি এখানে তুমি না বললে আজ সিলেট যাবে। আমাকে মিথ্যা বলেছিলে।

রাজ- যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু

পাপিয়া – এই মেয়েটা কে। তোমার গালফ্রেন্ড নয়তো এর জন্য তুমি আমাকে মিথ্যা বলেছো।

রাজ- সটপ নেকা কান্না বন্ধ করো তো।

পাপিয়া – আমার কান্না তোমার কাছে নেকা মনে হচ্ছে।

রাজ- হ্যাঁ আর কি মনে হবে। তুমি জানো আমি তোমাকে ভালোবাসি না। শুধু কান্না করো না।

আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি এমন গালফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড দেখছি বলে আমার জানা নেই মুখে উপর বলে দিল ভালবাসে না।

অনেক ক্ষণ ধরে দেখছি রোপা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হয় কিছু ভাবছে আমি ওর মাথায় একটা টুকা মারলাম এবার তার ভাবা বন্ধ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

রাজ- কি ম্যডাম কি ভাবছেন আমাকে নিয়ে নাকি।

রোপা- মুখের উপর বলে দিলেন ভালোবাসেন না।

রাজ- হ্যাঁ সত্যি তো বাসি না মিথ্যা বলে কি লাভ।

রোপা- তাহলে রিলেশন করার কি দরকার তাদের সাথে এটা অন্যায়

রাজ- বাদ দাও তো চলো আমার কিন্তু খারাপ লাগছে।

আমার কোন কথার জবাব না দিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসে পরলো। আমি ও আর কি এসে বসলাম।

রাতে

শুয়ে আছি হঠাৎ আম্মু আসলো

আম্মু- এটা তোমার ধরো

রাজ- আমার জন্য কে এনেছে

আম্মু- তুমি না রোপার সাথে গেলা। জানো না ও কি কিনেছে। তোমার জন্য আমার জন্য তোমার আববু জন্য আর নিজের জন্য দুইটা ড্রেস এনেছে তাও কম দামের ভেতরে তোমাকে ওর সাথে পাঠিয়ে কি হলো মেয়েটাকে কিছুই কিনে দাওনি। আমাদের টাকা বলেই এমন করেছে।

রাজ- আমি তো সাথেই ছিলাম কিন্তু সে যে নিজের জন্য কিছু কিনবে না আমি কি করে জানবো।

আম্মু- তোমার কিছুই জানতে হবে না।

বলেই রেগে চলে গেল।
আমার জন্য আনতে হবে অসহ্য নিজের জন্য ইন এখন আমাকে বকা খেতে হলো। উঠে রোপার রুমে গেলাম রুমে উকি দিয়ে দেখি রুমে নাই ভিতরে গিয়ে খুজতে লাগলাম দেখলাম বারান্দার দরজা খুলা গিয়ে দেখি রোপা আনমনা হয়ে কিছু ভাবছে। আমি ও পাশে গিয়ে পাশে বসলাম কিন্তু এতোই ভাবনায় ডুবে আছে যে আমাকে খেয়ালই করে নি।
কিছু বলতে যাবো কিন্তু রোপার মুখের দিকে তাকিয়ে আমি অন্য জগতে হারিয়ে গেলাম।

চাদেঁর আলো মুখের উপর পরে আছে আর রোপা কিছু নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করছে একটু পর পর কপাল কুকচাচছে দেখতে অনেক মায়াবী লাগছে। মনে হচ্ছে সারাজীবন দেখলেও এই দেখা মিটবে না।

চলবে,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *