Love

Love !! Part- 07

রিপনের দল নিলা ধরে নিয়ে যাচ্ছিলো। গাড়ি সামনে হঠাৎ একটা টাক এসে পরে ব্রেক করার আগেই গাড়িটার সাথে ধাক্কা খেয়ে খুব খারাপ অবস্থা সবার ই। রাজ এদিক দিয়েই যাচ্ছিলো হঠাৎ একটা এক্মিন্ডেন্ট নিজের চোখের সামনে দেখবে ভাবতেও পারে নাই।

এতো রক্ত যে ও ভয় পেয়ে গেছে ছোট্ট বেলা থেকেই রাজ রক্তে অনেক ভয় পায়। কারণে ও নিজের চোখের সামনে ওর দাদা দাদি কে মরতে দেখেছে। তখন অনেক ছোট্ট ছিলো এতো ভয় পেয়েছিল যে একমাস অসুস্থ ছিলো এর পর আর রক্ত দেখতে পারে না অসুস্থ হয়ে পরে।

এখন ও তাই হচ্ছে কিন্তু চোখের সামনে একজন পরে আছে মনে হচ্ছে মেয়ে বেচে আছে মনে হয় কিন্তু তার সামনে যাওয়ার সাহস হচ্ছে না সারা শরীর রক্তে মাখা কিন্তু চোখে সামনে কাউকে মরতে দেখতে ও ভালো লাগছে না।

আস্তে আস্তে গিয়ে বসলাম মেয়েটির পাশে সারা শরীরের রক্ত কিন্তু চোখ মুখ বাধা তার মানে কেউ মেয়েটাকে কীডনাপ করেছিল। তারাতারি পালস চেক করলাম না বেচে আছে এখনি হাসপাতালে নিতে হবে। চোখের মুখে বাধন খুললাম। যে আমি রক্ত দেখতে পারি না সে আমি মেয়েটিকে নিয়ে হাসপাতালে আসলাম।

কেন জানিনা মেয়েটিকে দেখে অনেক আপন মনে হয়েছে ভনে হয়েছে নিজের কেউ। জানিনা এমন কেন মনে হলো। হাসপাতালে নিয়ে এসেছি আমি বাইরে বসে আছি অনেক চিন্তা হচ্ছে মেয়েটা সুস্থ হবে তো।

হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো তাকিয়ে দেখি আম্মু সন্ধ্যা হয়ে গেছে এখন ও বাড়ি যায় নি।তারাতারি রিসিভ করলাম

রাজ- হ্যাঁলো আম্মু

আম্মু – রাজ তুমি কই আছো এখন ও বাড়ি ফিরছো না কে আমাদের যে চিন্তা হয় তুমি কি বুঝতে পারছো না। কোথায় আছ তুমি

রাজ- আম্মু আমার কথা শুন আমি হাসপাতালে আছি একটু দরকারে।

আম্মু- মানে তুমি হাসপাতালে কেন কি হয়েছে তোমার। তোমাকে আমি কতবার বলেছি দেখে চলা ফেরা করবে তুমি তো আমার কথায় শুনো না। দাড়াও আমি এখন ই আসছি।

বলেই ফোন রেখে দেয়। রাজ আর ও কয়েক বার ফোন দেয় কিন্তু ওয়েটিং সে জানে এখন কি হচ্ছে তার মা এখন বাবাইকে ফোন করে সব বলছে তার পর দুজনেই এই হাসপাতালে এসে পরবে এখন আর ফোন রিসিভ হবে। এতো চিন্তা কেন যে করে তারা আমাকে নিয়ে আমি বুঝতে পারি না।

কিছুক্ষণের মধ্যে রাজের মা বাবা দুজনেই অস্থির হয়ে দৌড়ে হাসপাতালে আসে সবাই তো হা করে তাকিয়ে আছে কারণ সবাই চেনে তাদের সচারচর পাবলিক প্রেসে তাদের দেখা যায় না। ডাক্তার এসে তাদের জিগ্গেস করে,,, স্যার ম্যডাম আপনারা এখানে

রাজের বাবা- আমার ছেলে রাজ সে নাকি এখানে কি হয়েছে তার

ডাক্তার – সে একটা মেয়েকে নিয়ে এসেছে তার অবস্থা অনেক খারাপ বাচঁবে বলে মনে হচ্ছে না।

রাজের মা আর বাবা তো অবাক হয়ে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে। আর ভাবছে মেয়েটা কে একে কি তাহলে রাজ ভালবাসে। হয়তো কারণ রাজকে বেশি মেয়েদের পাশে দেখা যায় না। আবার এক্মিডেন্ট রোগী হলে কাছেই গেষে না রক্তে ওর অনেক ভয়।

রাজের কাছে গিয়ে দেখে চিন্তিত মুখ করে বসে আছে। রাজ তাদের দেখে উঠে দাঁড়ায় আর সমস্ত ঘটনা খুলে বলে।

দেখতে দেখতে তিন দিন চলে গেছে তিন দিন পর মেয়েটিকের গ্যান ফিরে। এই তিন দিন অনেক বার রাজ দেখতে এসেছে সবাই ই এসেছিল। মেয়েটির পাশে বসে আছি কিন্তু একি এর তো আগের কোনো কথাই মনে নাকি।

ডাক্তার বললো মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে আগের কথা ভুলে গেছে। এখন একে তার বাড়ি কি করে পৌঁছে দিবে। না না চিন্তা ভাবনা করে রেহেনা বেগম সিদ্ধান্ত নেন যত দিন আগের কথা মনে না পরে তত দিন নিজের বাড়িতে রাখবে। তার নিজের কোন মেয়ের নাই এই মেয়েকে দেখে অনেক আপন লাগে।

এদিকে

মেহেদী তিন দিন ধরে নিলার সাথে যোগাযোগ করতে পারে নি টেনশন পাগল পাগল লাগছে। সবার সাথে কথা বলেছে সবাই বলেছে নিলা নাকি অসুস্থ কি কি এমন হয়েছে যে একটু ও কথা বলা যায় না।

চলবে,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *