Love

Love !! Part- 05

ঘড়ির এলাম বারবার বেজে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু রাজের উঠার নাম গন্ধ ও নেই। বালিশের নিচে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে ফোনের শব্দে বিরক্ত হয়ে তাকালো।
ঘুমের সময় ডিসটার্ব একদম পছন্দ করে না। ফোন হাতে নিয়ে ছুড়ে মারে। আবার ঘড়ির এলাম বাজতে লাগে ওটাও ছুড়ে মারার আগে কাশেম দৌড়ে আসে।
প্রতিদিন কিছু না ভাঙবেই ঘড়ি বন্ধ করে দেয়।
কাশেম- ছোট্ট স্যার আর কত ফোন আর ঘড়ি ভাঙবেন প্রতিদিন ই একটা করে ভাঙগেন।
রাজ তো ঘুমিয়ে পরেছে আবার কথা উওর আর দিবে কি।
রেহেনা বেগম রাজের মা। ভাঙার শব্দ পেয়ে উপর আসে। সে জানে কে ভেঙেছে তবু জিগ্গেস করে,,কাশেম কে ভেঙে ছে
কাশেম – বড় ম্যডাম আমি স্যার কি করে নি।
রেহেনা বেগম জানে এসব কাজ রাজের ই তবুও জিগ্গেস করে কারণ কখনো কাশেম রাজের না বলে না রাজের দোষ নিজের গারে নেয় এটাই তার ভালোবাসা রাজের প্রতি। রাজ ও অনেক ভালোবাসে কাশেম কে।
রেহেনা বেগম রাজের মাথার কাছে বসে পরে আর মাথায় হাত বুলিয়ে ডাকতে লাগে।
রেহেনা বেগম – রাজ উঠো দশটা বেজে গেছে তো তুমি উঠবে না কখন থেকে তোমাকে কাশেম ডাকছে উচছো না কেন আমাকে কি তুমি একটু ও শান্তি তে থাকে দেবে না প্রতিদিন আমার ই কেন তোমাকে ডাকতে হয়। রাজ
অনেক ক্ষণ ডাকার পর রাজ চোখ মেলে তাকায় তারপর ফোন খুজতে লাগে।
রেহেনা বেগম – কি খুজছো
রাজ- আমার ফোন
রেহেনা বেগম – সেটা কি এখন ও আসত আছে নাকি ভেঙে ফেলেছো।
রাজ- কি কখন
রেহেনা বেগম – তুমি সে জানো। প্রতিদিনই তো একটা না একটা কি ভাঙা যাবেই।
হঠাৎ ই রাজের মনে পরে আজ তো তার জূলির সাথে দেখা হওয়ার কথা ছিলো দশটায়।
রাজ- আম্মু কত বাজে এখন
রেহেনা বেগম কিছু বলার আগেই রাজ বলে ওঠে।
রাজ- ও নো দশটা আম্মু তোমার সাথে আমি পরে কথা বলি আমার জরুরী কাজ আছে বলে।
বলেই দৌড়ে ফ্রেশ হতে চলে যায়। রেহেনা বেগম নিজের মনে বকবক করতে করতে চলে গেছে। ছেলেটা তার বড় অবাধ্য হয়ে গেছে। কারো কথি শুনে না নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করে।
কোটিপতি বাবা একমাত্র সন্তান রাজ। নিজের মন মতো চলতে পছন্দ করে। রাজ দেখতে অনেক সুন্দর যে কেউ এক দেখাতে প্রেমে পরে যায়। বাবা মায়ের আদরের সন্তান।
রেহেনা বেগমের অনেক চেষ্টার পর এই সন্তান। তাই ভালোবাসা টাও অনেক বেশি। তাই ছেলে কে কিছু বলতে পারে না। রাজের বাবা আলী চৌধুরী অনেক বড় বিজনেস ম্যান।
রাজ লেখাপড়া শেষ করে এখন গুড়ে গাড়ে খায়। বন্ধুদের সাথে পার্টি ঘুরতে যাওয়া আর মেয়েদের সাথে টাইমপাস। কাউকেই অবশ্য ভালোবাসে না। আর রিলেশন বড় জুড় এক মাস এর উপর যায় না কারণে সব মেয়েরা কিছু দিনের মধ্যে রাজের জন্য পাগল হয়ে যায়। অসহ্য হয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয়।
রাজ ফ্রেশ হয়ে এসে রেডি হয়ে নেয়। সাদা শার্ট কালো ফান্ট হাতে ঘড়ি। চোখে সানগ্লাস দিয়ে গাড়ির চাবি নিয়ে বেরিয়ে পরে।
নিচে আসলে রেহেনা বেগম অনেক খেয়ে যেতে বলে কিন্তু রাজ তারা বলে চলে যায়।
এদিকে
নিলা আর তুলি বসে আছে চিন্তিত মুখ নিয়ে।
কিছুক্ষণ আগে
নিলা ভার্সিটিতে আসছিলো হঠাৎ রিপন এসে হাটু গেরে বসে পরে। আমি তো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি হঠাৎ বলতে শুরু করে।
রিপন- আই লাভ ইউ সুন্দরী। আমি তোকে ভালোবাসি। তোকে বিয়ে করব তুই কি রাজি আসত। রাজি না থাকলে বিয়ে করবো। এখন তোমার কথা বলো।
আমি কি বলব বুঝতে পারছি না এটা কি প্রপোজ করা বলে নাকি থ্রেড।
আমি – দেখুন আমি বিবাহিত আমাকে এসব কথা আপনি বলতে পারেন না। আপনি আমার বড় ভাইয়ের মতো।
রিপন আমার কথা শুনে উঠে দাঁড়িয়ে যায় তারপর হাসতে লাগে। হাসতে হাসতে আমার দিকে এগিয়ে আসে
রিপন- কি বললি তুই বিবাহিত। ( বলেই হাসতে লাগে) তুই আমাকে যা বুঝাবি আমি তাই বিশ্বাস করবো ভাবলি কি করে। আমার থেকে পালানোর জন্যই তো তুই মিথ্যা বলছিস তাই না। তুই বিবাহিত হলেও আমি তোকে বিয়ে করবো কথাটা মাথায় ভালো করে ঢূকিয়ে নে।
আমি – দেখুন আমি
কি বলতে না দিয়ে হঠাৎ ই রিপন আমাকে জরিয়ে ধরতে আসে আমি পিছিয়ে যেতে নিলে আমার হাত ধরে রাগে দুঃখে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে ধাক্কা মারি কিন্তু আবার আসতে নিলে আমি রিপনে গালে থাপ্পড় দিয়ে দেয়। কতোটা খারাপ হলে একটা ছেলে সারা ভার্সিটির মানুষের সামনে একটা মেয়ের সাথে এমন করার সাহস পায়।
আজ বুঝলাম ওই দিন তুলিরা কেন এতো ভয় পাচ্ছিলো এদের। এমন কাপুরুষ মানুষ ও আছে ভার্সিটির সবাই দাঁড়িয়ে তামাশা দেখলো কিন্তু কেউ এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করলো না। এতোই ভয় এদের। হঠাৎ ই তুলি দৌড়ে আমাকে জরিয়ে ধরে। ও তো কান্না করছে আমি রিপনদের দিকে তাকিয়ে দেখি কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে।
হঠাৎ রিপন চলে সবাই কে নিয়ে কিছুই বুঝতে পারলাম না।
চলবে,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *