Love !! Part- 06
রাজ রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকে দেখে জুলি বসে আছে রেগে। রাজ ও আজ ভেবেই এসেছে বেশি বললে আজই ব্রেকআপ করে দেবে। মেয়েটা অনেক জালিয়েছে আজই একে বিদায় করতে হবে।
হঠাৎ জুলি আমাকে জরিয়ে ধরে ওফ মেয়েটাকে এই জন্যই সহ্য করতে পারি সবসময় শুধু গায়ে ঘেষে।
ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে সরিয়ে দিলাম।
রাজ- ওফ তোমাকে বলছি না এসব আমার পছন্দ না।
জুলি- কি আমি টাচ করলে তুমি পছন্দ করো না। আমি তো তোমাকে ভালোবেসে এসব করি বেবি।
রাজ- আমার এমন ভালবাসার দরকার নাই ভাই আমার থেকে দূরত্ব বজায় রাখবে।
জুলি- দূরত্ব বজায় রাখবো কেন তুমি আমার বয়ফ্রেন্ড আমি যা ইচ্ছে করতেই পারি। আর তুমি আমার কল রিসিভ করো না কেন আবার ফোন ও বন্ধ। এটা কিন্তু আমি মেনে নেব না এখন থেকে আমি যা বলব তুমি তাই করবে।
রাজ- ওয়াট তোমার কথা শুনে চলবো মানে কি। আমি কোন কথা শুনতে পারবো না আমার যা ইচ্ছা আমি তাই করি আর ভবিষ্যতে ও তাই করবো। আর এতো ফোন কেউ করে তোমার যন্ত্রনায় আমি ফোন ধরে শান্তি পাই না।
জুলি- কি আমার ফোন তোমার কাছে যন্ত্রণা মনে হয়। এক সপ্তাহে তুমি দুই বার আমার ফোন রিসিভ করেছো আর ব্যস্ততা দেখিয়ে রেখে দিছো। এই ভাবে কি রিলেশন করা যায়।
রাজ- তো করতে বলেছে কে। ব্রেকআপ করে ফেলি চলো।
জুলি- মানে তুমি আমার সাথে ব্রেকআপ করবে।
রাজ- হ্যাঁ
জুলির সাথে অনেক সময় তর্ক করে অবশেষে ব্রেকআপ করেই ফেললাম। জুলি অবশ্য আমাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু আমি আর শুনিনি আমার কথা বলে কেটে পরেছি মেয়েটা যে কি বলবে কে জানে।
এদিকে
নিলা আর তুলি বসে আছে আর কি করবে ভাবছে। হঠাৎ ফোন টা বেজে উঠে হাতে নিয়ে দেখি মেহেদী কল করেছে।
আমি – হ্যালো
মেহেদী- কি করো। কতো বার কল করেছি রিসিভ করছো না কেন।
আমি – বিজি ছিলাম বলো কি দরকারে ফোন দিছিলে
মেহেদী – এটা কেমন কথা দরকার ছাড়া কি ফোন দেওয়া যায় না নাকি। তোমার কন্ঠ এমন লাগছে কেন কিছু কি হয়েছে
আমি – না কি হবে এখন রাখি পরে কথা হবে।
মেহেদী কে কোন কথা বলা সুযোগ না দিয়ে ফোন রেখে দিলাম। এখন কথা বললে ও ধরে ফেলবে কিছু হয়েছে আমার। কিন্তু আমি চাইনা আমাকে নিয়ে কোন টেনশন করুক এখন।
তুলি- ভাইয়াকে কিছু বললি না কেন
আমি – কি বলবো এখন ও দেশের বাইরে আছে আমি চাইনা ওখানে থেকে আমার জন্য চিন্তা করে।
তুলি- আমার মতে তুই কিছু দিন ভার্সিটিতে আসিস না রিপন ছেলেটা অনেক খারাপ। আজকে সাবধানে বাড়ি যা। শুধু পরিক্ষার সময় আসিস। আমি তোকে সাজেশন দিয়ে দেবো নি।
অনেক ক্ষণ বসে থেকে বাড়ির দিকে রওনা হয়। তুলির বাড়ি আর আমাদের বাড়ি আলাদা দিকে রাস্তায় দাড়িয়ে আছি কোন গাড়ি থামছে না অথচ গাড়ি সব খালিই যাচ্ছে তবুও থামছে না। হতাশ হয়ে হাটতে লাগলাম কিছু হেঁটে যাবাপর মনে হচ্ছে কেউ আমার পিছু নিচ্ছে।
বারবার পিছনে তাকাচ্ছি কিন্তু কাউকেই দেখছি না কিন্তু কেন জানি অনেক ভয় করছে আমার আগে কখনো এতো ভয় কিছুতে করে নি। রাস্তায় ও আজ মানুষের আনাগোনা কম।
হঠাৎ কেউ আমার মুখ কিছু দিয়ে বেধে ফেললো। আমার চোখ মুখ ডাকা কিছু দেখছি না কথা ও বলতে পারছি না কেউ আমাকে কিছু তে উঠালো গাড়ির শব্দ তার মানে কোন গাড়িতে উঠিয়েছে।
চলবে,,,