অন্ধপ্রেম

অন্ধপ্রেম !! Part- 35

ময়মনসিংহের হূমায়ন আহমেদেের উপন্যাস যেমন বিখ্যাত তেমন অমায়িক….
যদি তিনি বেচে থাকতেন তাহলে রাজ তাদের প্রেমের কাহিনি নিয়েও একটা উপন্যাস লিখাতো স্যারকে দিয়ে,,,,,
রাজ সরাসরি মক্তোগাছা গেলো….
সেখান থেকে সরাসরি অমৃতি খেতে গেলো সে….
কয়েকদিন ধরে রাজ কিছুই খায়নি….
এভাবে থাকলে সে লড়াই করার জন্য কোনো শক্তি পাবেনা…
এদিকে সে খেতেও পাচ্ছেনা শীতলের বিরহে…
.
.
.
রাজ ভাবলো যদি নিজের দেশের বাংলাদেশ বিখ্যাত ময়মনসিংহের অমৃতি খেতে পারে….
শীতল বিছানায় বসে বসে কাদছেঁ…
সে কি করবে না করবে ভাবতে পারছেনা….
রাজের জায়গস অন্য কাউকে কিভাবে দেবে সে…
সে যে রাজকে জিবনের থেকেও ভালোবাসে….
রাজের কষ্ট শীতল নিজের চোখে না দেখলেও তার অনুভূতি বলছে সে ভালো নেই….

দুই দিন পর রাজ খোজে পেলো শীতলের বাড়ির ঠিকানা…
রাজ লেট না করে শীতলের বাড়ির পেছন দিকে গেলো ড্রাইভ করে….
শীতলের রুম আন্দাজ করতে পেরেছে কিছুটা রাজ….
রাজের মন বলছে শীতল ঠিক এই পাশেই আছে…
.
.
.
শীতল দের বাড়ির পাশ দিয়ে শান্ত শিষ্ট ভ্রমপুত্র নদ বয়ে যাচ্ছে…..
রাজ হঠাৎ শীতলকে দেখতে পেলো..
শীতল জানালা দাড়িয়ে কাদছেঁ…
রাজ সেটা পরিষ্কার দেখতে পেলো…..
রাজের বুক ফেটে যাচ্ছে শীতলের চোখের পানিতে…
.
.
.
রাজ শীতলকে কিছুক্ষন দেখেই চলে গেলো….
বিকালে সজল জোর করে শীতলকে নিয়ে গেলো ঘুরতে….
বোটানিক্যাল গার্ডেনে ময়মনসিংহের…
সেখানে যাওয়ার আগে ব
রোদ সহ শীতলের বাবা মা শীতলকে কিছুক্ষন থ্রেড করলো যেনো সে সুযোগে রাজকে ফোন না করে…
রাজকে ফোন করলে রোদ আর তার বাবা মা একই দড়ি দিয়ে ফাসি দেবে…
.
.
.
শীতল ভাবতে পাচ্ছেনা না নিজের বাবা মা এমনকি ভাইও তার সাথে এমন ভিহেবিয়ার করবে….
.
.
.
শীতল কে পাশে বসিয়ে সজল ড্রাইভ করছে…
গার্ডেনে টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকতেই শীতলের রাজের কথা আরো বেশি মনে পড়লো…
গার্ডেনটা এতো সুন্দর জাসট বলার বাহিরে….
সজল যে এতো কথা বলতে পারে এটা তার জানা ছিলোনা…
বক বক করেই যাচ্ছে আর করেই যাচ্ছে সজল…
শীতলের মাথা ব্যাথা করছে…
একটা বাম হলে ভালো হতো তাহলে মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতো….
হঠাৎ একটা ছোট ছেলে শীতলের উড়না ধরে টান দিলো…
ছেলেটা দেখতে সেই রকমের কিউট…
শীতল ঠিক এমন কিউট একটা বেবি চেয়েছিলো আল্লাহর কাছ থেকে তার আর রাজের জন্য….

শীতলের আশা আশায় থাকবে…
সে কখনো রাজের সন্তানের মা হতে পারবেনা…
ছেলেটা শীতলকে মাথা ব্যাথার একটা বাম দিলো…
শীতল বাম টা হাতে নিয়ে অবাক হয়ে গেলো…
ছেলেটা জানলো কিভাবে তার এটা প্রয়োজন…
শীতল মাথায় লাগিয়ে নিতেই ছেলেটা দৌড়ে কোথায় যেনো চলে গেলো…
শীতল ও ছেলেটা পেছনে দৌড়ানো শুরু করলো…
শীতলের মনে হচ্ছে আশেপাশে রাজ আছে…
.
.
.
বাট এটা তো অসম্ভব …
সে ময়মনসিংহে আর রাজ ঢাকায়…
রাজ তো জানেনা শীতল কোথায় তাহলে এখানে রাজের আসা তো সম্ভব না…
এতো অপমানের পর রাজ নিঃশ্চয় রেগে আছে…
কখনো শীতলের মুখ দেখতে চাইবে না…
শীতলের বেশ কষ্ট হচ্ছে এই কথা ভেবে….
খুশিও লাগছে রাজ তাকে ভুলে গিয়ে নতুন জিবন শুরু করবে….
ভালোই হবে সবকিছু…
.
.
.
শীতল হঠাৎ পেছন থেকে কারো নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পেলো….
যেটা খুব চেনা চেনা…
শীতল তাকিয়ে দেখলো রাজকে…
শীতলের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো….
সাথে ভয়ও কাজ করছে…
সে যে সজলের সাথে এসেছে এটা রাজ জানলে সজলকে মেরেই ফেলবে হয়তো…
শীতলজেও ছেড়ে দেবেনা রাজ….

শীতল চোখ বন্ধ করে রাজের সামনে দিয়ে চলে যেতে লাগলো….
_কোথায় পালাচ্ছো তুমি ??
শীতল রাজের কন্ঠ শুনে থামলো…
রাজের মুখ রাগে লাল হয়ে রয়েছে….
সে শীতলকে মনে হয় খেয়েই ফেলবে এমন বোঝা যায়…
শীতলের বেশ ভয় লাগছে…
সে কি করবে বুঝতে পারছেনা…
রাজের সাথে নিজে থেকে কথা বললে ওয়াদা ভঙ্গ করলে সবার মৃত্যু দেখতে হবে তার ….
.
.
.
.
শীতল কিছু বোঝে উঠার আগেই রাজ শীতলকে ঠোট নিজের ঠোটে লাগিয়ে দিলো…..
আশেপাশে লোকজন নেই তেমন…
চারদিকে শুধু সবুজ সবুজ গাছপালা ফুল…
সজল শীতলের জন্য আইসক্রিম কিনতে গিয়ে ফিরে এসে দেখে শীতল নেই…
.
.
.
রাজ শীতলের ঠোটে অনে ক্ষন চুমো খেলো..
শীতল আটকালোনা…
সে তো নিজে থেকে কিছু করছেনা…
রাজ তাকে জোর করছে…
রাজ শীতলকে খুব কাছ থেকে বললো…
_আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো তিন চারদিন ধরে তোমায় না দেখতে পেয়ে…
আজ প্রাণ ফিরে এসেছে তোমাকে দেখে…
তোমার স্পর্ষের ছোয়ায় জিবন ফিরে পেয়েছি…
শীতল চুপচাপ …
সে রাজের দিকে একবার তাকিয়ে দেখলো শুধু ….
রাজের শরীর ভেঙে পড়েছে…..
রাজের উপর তার পরিবার অত্যাচার করে কি হাল করেছে…
.
.
.
শীতল মনে মনে চাচ্ছিলো রাজ যেনো তাকে আরেকবার জরিয়ে ধরে চুমো খায়…
এতে তার কষ্ট লাঘব হবে কিছুটা….
.
.
.
যেই ভাবা সেই কাজ …
রাজ শীতলকে আবার জরিয়ে ধরে আরো কিছক্ষন চুমো খেলো…
রাজ বললো…
_কে জানে আমার শ্যালক তোমাকে আমার কাছ থেকে আরো কত জায়গায় লুকিয়ে রাখে….
আর আমি তোমাকে দেখতে না পেয়ে মরে যাবো…
.
.
.
তুমি কিভাবে পাচ্ছো আমাকে ছেড়ে থাকতে…
আমি তো এক মূহুর্ত পাচ্ছিনা তোমাকে ছাড়া থাকতে…
এক ফোটা পানিও খেতে পাচ্ছিনা তোমায় ছাড়া…
_আমাকে যেতে দিন আমি‌ আপনার সাথে কথা বলতে চাইনা…
রাজ রেগে বললো…
_ আমি তোমায় না দেখে থাকতে পাচ্ছিনা আর তুমি কিনা ???
যাইহোক তোমায় কিছু বলতে হবেনা…
সব সমাধান আমিই বের করবো….
তারপর তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসবো….
.
.
.
শীতল চিৎকার করে বললো…
_কি চান আমার কাছে আপনি ???
আমি আপনাকে ঘৃনা করি শুধু …
আমার থেকে দূরে থাকুন…
শীতল দৌড়ে চলে গেলো…
সিএনজি নিয়ে সজলকে কিছু না বলেই চলে গেলো বাড়িতে শীতল…
.
.
.
রাজ শীতলকে বলেছিলো সকালে যেনো শীতল নিজ হাতে রান্না করে নিয়ে আসে রাজের জন্য…
রাজ ততক্ষন পর্যন্ত কিছুই খাবেনা..
প্রতিজ্ঞা করেছে রাজ শীতলের হাত দিয়ে খাবে সে…
মরে গেলেও এক ফোটা পানি পান করবেনা সে…

শীতল সোজা গিয়ে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ফেললো…
সে কিছু ভাবতে পাচ্ছেনা…
.
.
.
শীতল ড্রয়ার থেকে ব্লেড করলো আর নিজের হাত কেটে ফেললো…
হাত দিয়ে রক্ত পড়ছে….
শীতলের মুক্তি আজকে…
সব দুঃখ আজ মুছে যাবে তার…
কারো উপর কোনো অভিযোগ নেই তার…
রাজের কথা মনে পড়ছে শীতলের…
রাজ শীতলকে মৃত্যুর কথা শুনে পাগল হয়ে যাবে হয়ত…
.
.
.
.
চলবে…(খুব তাড়াতাড়ি লিখেছি)