Love !! Part- 04
এগারোটার সময় মেহেদী বেরিয়ে গেছে যাওয়ার আগে আমাকে অনেক কিছু বলে সান্ত্বনা দিয়েছে কিন্তু আমি কিছুতেই শান্ত হতে পারি নি সারা সময় মুখ ভার করে রেখেছিলাম আমাদের বাড়ি থেকে সবাই এসেছে।
মেহেদীর যাওয়ার কথা শুনে আমার মনটা খারাপ বলে মা বলেছে আমাকে নিয়ে যাবে। আমার শশুর শাশুড়ি ও রাজি হয়েছে। ভাসিটি আমাদের বাড়ি থেকে বেশি দূরে না।
রাতে আমাদের বাড়ি আমার রুমে শুয়ে আছি হঠাৎ ফোন বেজে উঠে, হাতে নিয়ে দেখি মেহেদী, আমি কয়েকবার কল করে ছিলাম তখন বন্ধ ছিলো মনে হয় পৌঁছে গেছে। ফোন দেখে আমার আর ও বেশি কষ্ট লাগছে প্রচুর কান্না করতে ইচ্ছে করছে ফোন বাজতে বাজতে কেটে গেছে আমি রিসিভই করতে পারি নি।
আবার বেজে উঠতেই সঙ্গে সঙ্গে রিসিভ করে নেই। আমি কিছুই বলতে পারছি না শুধু কান্না আসছে ঔপাশ থেকে মেহেদী হ্যাঁলো হ্যাঁলো করেই যাচ্ছে আমার কান্নার আওয়াজ ও মনে হয় পাচ্ছে
মেহেদী – হ্যালো কথা বল নিলা কান্না করো না এক বছর খুব তারাতারি শেষ হয়ে যাবো। কান্না থামাও তুমি কান্না করলে আমি কি এখানে কাজে মন দিতে পারবো বলো। তুমি চাও না আমার কাজটা তারাতারি হয়ে করে ফিরে আসতে পারি। কি কথা বলো এমন করলে কিন্তু সব বাদ দিয়ে কালকেই চলে আসবো আর সবাই কে বলবো যে আপনাদের মেয়ে তো জামাই পাগল হয়ে গেছে।
মেহেদীর কথা শুনে জোরে হেসে দিলাম সত্যি লোকটা অনেক ভালো আমার মন ভাল করেই ছারলো। অনেকক্ষণ কথা বলে ফোন রেখে শুয়ে পরলাম।
পরদিন আজই প্রথম ভার্সিটিতে যাব সকালে উঠে রেডি হয়ে নিলাম। মেহেদী চলে যাবে বলে আর যাওয়া হয় নাই।
আমি – মা আমি ভার্সিটিতে যেতেছি।
মা- মানে এখন আর কিছু খাস ও নি তো। না খেয়ে কোথাও যাবি না যা বস আমি খাবার নিয়ে আসি।
আমি – নি এখন আর কিছু খাব না। কানটিনে কিছু খেয়ে নিবো নি। তুমি এতো ব্যস্ত হয়ো না তো।
মা- ব্যস্ত হবো না মানে কী না খেয়ে যাওয়া যাবে এই আমার শেষ কথা। কোন দিন খাওয়ার প্রতি আগ্রহ দেখলাম না।
আমি – মা
মা- কোন কথা না বস ঐখানে আমি ভাত নিয়ে আসি। আর একা যাওয়া হচ্ছে না জিসান কে নিয়ে যাবি।
কি আর করার মার সাথে কি আর পারা যায়। জোর করে আমাকে খাওয়ালো তারপর জিসান কে আমার সাথে পাঠিয়ে দিল। অর্ধেক রাস্তায় এসে জিসান কে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় আমি একাই যাই।
ভার্সিটির পরিবেশ টা অনেক সুন্দর অনেক দিন আসতে পারি নি তাই স্যার রাও অনেক সহায়তা করে সবাই অনেক ভালো। আমার দুই টা ফ্রেন্ড ও হয়েছে। সিমা, তুলি ওরা ও অনেক ভালো অনেক ফ্রেন্ড লি ওরা কিন্তু আমার বিয়ের ব্যাপারে কিছু জানে না মানে আমি ই বলি নি।
রাতে মেহেদীর সাথে কথা বলতে ছিলাম
আমি – আজ ভার্সিটিতে গেছিলাম
মেহেদী – ও ভালো তো কেমন লাগলো।
আমি – ভালো সবাই অনেক ভালো।
মেহেদী – হ্যাঁ একা গেছিলা নাকি ( একটু চিন্তিত হয়ে)
আমি -( একা গেছিলাম বললে যদি রাগ করে মেহেদী আমাকে যাওয়ার আগে বলে গেছে একা যেন কোথাও না যাই তাই মিথ্যায় বললাম ) না জিসান গেছিলো
মেহেদী – ওহ একা কোথাও যাবে না মনে থাকে যেন। এখন কার দিন কাল ভালো না।
আমি – আচ্ছা তুমি এতো চিন্তা করো না। আমি ঠিকই থাকবো নিজের দিকে খেয়াল রেখ
অনেক রাত পযর্ন্ত কথা বললাম। পরদিন ভার্সিটিতে বসে আছি একটা কিলার শেষ করে আরেকটা একটু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ একটা ছেলে দেখতে শ্যামলা বর্ণের বখাটে টাইপের তার পেছনে আর ও দুই তিন জন আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। আর বলতে লাগে,,
আমি রিপন তা তুমি কি নতুন নাকি আগে কখনো তো দেখিনি।
আমি – মাথা নেরে হ্যাঁ জানিয়ে পাশে তুলি আর সিমার দিকে তাকিয়ে দেখি কেমন যেন ভয় নিয়ে তাকিয়ে আছে।
রিপন- ও তাই তো বলি আমাদের দেখলে সালাম দাও না কেন। এখন থেকে আমাদের দেখলেই কথা বলবে।
আমি – মানে কি আপনাদের কে দেখলে কথা বলতে হবে কেন ( অবাক হয়ে)
পাশে থেকে একটা ছেলে,,ভাই বলছে তাই কথা বলবে
আমি – কেন কথা বলবো সেটাই তো জানতে চাইছি। মানে দরকার ছাড়া অযথা আমি কেন আপনাদের দেখলে কথা বলবে।
পাশের ছেলেটি,,এতো কথা বলো কেন ভাই যা বলেছে তাই করবে।(জোরে ধমক দিয়ে )
রিপন- চুপ সুন্দর মেয়েদের এভাবে বলতে নেই। চল এখন পরে কথা হবে সুন্দরী।
আমি কিছু বলার আগেই সবাই চলে গেল হাসতে হাসতে। আমি তুলিদের দিকে তাকিয়ে
আমি – কে রে এই ছেলে এমন কথা বলল কেন আর তোরাই বা ভয় পেয়েছিলি কেন
সিমা- নিলা এই ছেলে গুলো খুব খারাপ। বলতে পারিস গুন্ডা। সবাই এদের দেখে ভয় পাই কোন খারাপ কিছু করলে ও কেউ প্রতিবাদ করতে আসে না কারণ সবার জানের ভয় আছে। তুই সাবধানে থাকিছ আজ কেমন করে গেল দেখলিই তো।
চলবে,,,