Childhood marriage

Childhood marriage 2 !! Part- 33

#পর্ব-৩৩
#লেখিকা-সানজিদা সেতু
ছোঁয়াঃ এই যে,শুনুন…
সায়নঃ হ্যাঁ বল,কোন সমস্যা?
ছোঁয়াঃ না মানে বলছিলাম যে ওয়াশরুমটা কোনদিকে?আসলে পুরো ভিজে গেছিতো তাই…
সায়নঃ ও হ্যাঁ চলো তোমাকে দেখিয়ে দেই
(সায়ন ছোঁয়াকে ওয়াশরুমটা দেখিয়ে দিলে ছোঁয়া ভেতরে ঢুকে গেল।হঠাৎ কিছু একটা মনে করে সায়ন রুমের দিকে চলে গেল তারপর ঝটপট কিছু জামা-কাপড় হাতে নিয়ে আবারও ফিরে এলো)
সায়নঃ নক..নক…ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ জ্বি?
সায়নঃ দরজাটা একটু খোল দরকার আছে
ছোঁয়াঃ উনি হঠাৎ দরজা কেন খুলতে বলছেন!কি এমন দরকার আছে?আমার কি খোলা উচিত নাকি…(মনে মনে)
সায়নঃ কি হলো খোল…ডোন্ট ওরি,তোমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে তোমাকে টাচও করব না সো প্লিজ…
ছোঁয়াঃ না..মানে…আমি সেটা মিন করিনি,আ..আসলে…আমি…
সায়নঃ ইট’স ওকে,আসলে তুমিতো পুরো ভিজে গেছো তাই ভাবলাম…এই জামা কাপড়গুলো পরে নিও
ছোঁয়াঃ না না,লাগবে না একটু পরেই সব শুকিয়ে যাবে
সায়নঃ দেখো এমনিতেই বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে,এত ইজিলি শুকাবে না তাই বলছি এগুলো পরে নাও নাহলে ঠাণ্ডা লেগে যাবে
ছোঁয়াঃ বললামতো লাগবে না,আমি এভাবেই ঠিক আছি
সায়নঃ ওকে এগুলো এখানেই রেখে যাচ্ছি,মন চাইলে পরে নিও
(সায়ন চলে গেল,একটু পরেই ছোঁয়া কি যেন মনে করে কাঁপা কাঁপা হাতে কাপড়গুলো ভেতরে নিয়ে নিল)

(এদিকে মারুফ পার্টি থেকে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে যেতে নিয়েছে,লোপা কিছুতেই বুঝতে পারছে না মারুফের এমন তাড়াহুড়ো করার কারণটা কি…)
লোপাঃ এই আপনি কোথায় যাচ্ছেন বলুনতো
মারুফঃ এই একটু বাসা থেকে ঘুরে আসছি
লোপাঃ কেন হঠাৎ বাসায় কেন যেতে হবে?কোন সমস্যা?
মারুফঃ না না কোন সমস্যা না,সমস্যা যাতে না হয় সেই ব্যবস্থায় করতে যাচ্ছি
লোপাঃ মানে কি?আপনার কথার মাথা মুণ্ডু কিছুইতো বুঝতে পারছি না,একটু ক্লিয়ার করে বলুনতো
মারুফঃ আরে এখন অতকিছু বলার টাইম নেই,শুধু এইটুকু শুনে রাখো আমার বন্ধু আর তোমার বান্ধবী ওরা দুজন আজকে আমাদের বাসায় থাকবে।এমনিতেতো ওদের দুজনের মধ্যে কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাই যাতে কিছু হয় সেই ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি
লোপাঃ কি আশ্চর্য কথা!এই লোক দেখি আমার মাথা মুণ্ডু নষ্ট করেই ছাড়বে,এই আপনি সোজাসুজি কোন কথা বলতে পারেন না?
মারুফঃ সব পরে বুঝিয়ে বলবো আপাতত একটা কাজ কর,আমি না আসা পর্যন্ত রাকিব,আসিফ বা দীপু ওরা কেউ যেন পার্টি ছেড়ে না বেরুতে পারে
লোপাঃ এই যে শুনুন,আরে আরে আমার কথাটাতো শুনে যান…আমি কিভাবে…এই দেখ,কিছু না শুনেই চলে গেল!কি এমন রাজকার্য করতে যাচ্ছে কে জানে…এক মিনিট উনি কি বোঝাতে চাইলেন?উনার বন্ধু আর আমার বান্ধবী মানেতো…তারমানে ছোঁয়া আর সায়ন ভাই…লোপা লোপা লোপা তুই আসলেই একটা গাধী,এটা বুঝতে এত টাইম লাগে!যাই হোক এখন ঝটপট কাজে লেগে পড় নাহলে যে সব প্ল্যান ভেস্তে যাবে…

(কিছুক্ষণ পর)
লোপাঃ আপনি ফিরে এসেছেন!সব ঠিকঠাক মত করতে পেরেছেনতো?
মারুফঃ হ্যাঁ হ্যাঁ সব ঠিকঠাক
লোপাঃ আচ্ছা আপনার প্ল্যানিংটা কি বলেনতো
মারুফঃ দেখো ওরা যে দুজন দুজনকে ভালোবাসে সেটা ওদের দুজনের কেউই জানে না।আমি জানি এমন একটা সিচুয়েশনেও ওদের মধ্যে কিছুই হবে না বাট আমি চাই ওদের মাঝে কিছু একটা হোক,এভাবে যদি ওদেরকে কিছুটা কাছে আনা যায়…
লোপাঃ কিন্তু আপনি কি করেছেন বলবেনতো
মারুফঃ পানিতে ড্রাগস আর জুসের সাথে অ্যালকোহল মিশিয়ে রেখে এসেছি
লোপঃ হোয়াট!আপনি কি পাগল…আপনি এসব…I can’t believe this…
মারুফঃ তোমার কাছে কি এর থেকে বেটার কোন আইডিয়া আছে?
লোপাঃ না নেই কিন্তু…
মারুফঃ তাহলে চুপচাপ যা হচ্ছে হতে দাও,কনসিকুয়েন্সটা নিয়ে পরেও ভাবে যাবে।এখন আপাতত সবাইকে কিভাবে ম্যানেজ করব সেটা নিয়ে ভাবতে হবে
(ওরা যখন কথা বলছে বাঁকিরা তখনই বেরিয়ে আসলো)
রাকিবঃ কি রে,যাবি না?
মারুফঃ হ্যাঁ যাওয়াতো যায় বাট একটা ঝামেলা হয়ে গেছে
আসিফঃ হেয়ালী না করে কি হয়েছে বলে ফেল
রাকিবঃ আসলে বাসার চাবিটা…নিয়ে আসতে ভুলে গেছি
দীপুঃ ভুলে গেছিস মানে!তুই নিয়ে এসেছিস ভেবেতো আমিও নিয়ে আসলাম না
রাকিবঃ আচ্ছা সে নাহয় হল,সায়নের কাছেতো আরেকটা চাবি থাকে ও কোথায়?
মারুফঃ ও কোথায় জানিনাতো,ফোন দিচ্ছি বাট রিসিভ করছে না
তানিঃ তাতো হবেই,ওই মেয়েটা সবাইকে যে শকটা দিল…আই হোপ সায়ন ঠিক আছে।আমি ভাবতেও পারিনি ছোঁয়া মেয়েটা এমন
মারুফঃ দেখ পুরোপুরি না জেনে কারো ব্যপারে এভাবে কথা বলা ঠিক না
তানিঃ তো কি করব,ব্যাপারটা ও আগেই সবাইকে জানিয়ে দিতে পারতো।শুধু শুধু দুইটা ছেলেকে…এখনতো মনে হচ্ছে ভার্সিটি ফোরামে যা লিখেছিল সব সত্যি
মারুফঃ শাট আপ তানি,আর একটাও বাজে কথা বললে কিন্তু…
আসিফঃ এই তোরা চুপ করতো,আগে সায়নকে খুঁজে বের কর তারপর এসব নিয়ে চিন্তা করা যাবে
মারুফঃ শোন আমি বলি কি ওকে একটু একাই ছেড়ে দে
দীপুঃ তাহলে আমরা এখন কি করব?
তানিঃ এক কাজ কর আজকে তোরা আমার বাসায় চল,সবাই মিলে সারারাত আড্ডা দিব আর তারসাথে বারবি কিউ পার্টি কি বলিস সবাই?
মারুফঃ গুড আইডিয়া

শাওয়ার শেষ করে গুঁটি গুঁটি পায়ে বের হয়ে আসলো ছোঁয়া,সায়নের শার্ট আর ট্রাউজার পরে ওর খুব আনইজি ফিল করছে তাই রুমে ঢুকতে পারছে না
সায়নঃ ওখানে কি করছো,ভেতরে আসো
ছোঁয়াঃ হ্যাঁ আসছি,ভয়ে ভয়ে এগিয়ে গেলাম,উনার দিকে তাকাতে পারছি না তাই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি
সায়নঃ ওকে দেখেতো ফোর ফর্টি ভোল্টের শক খেলাম,কিছুতেই ওর দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছি না,মনেই হচ্ছে না এই ছোঁয়া আর আগের ছোঁয়া একই মানুষ।ইচ্ছে করছে এক্ষুণি ওর কাছে ছুটে যাই,অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে রেখেছি।দাঁড়িয়ে আছো কেন,তাড়াতাড়ি বসে পড়ো খাবার রেডি…
ছোঁয়াঃ খাবার!কিন্তু কেন?
সায়নঃ পার্টিতেতো তেমন কিছুই খাওয়া হয়নি তাই…তেমন কিছুই নেই,আসলে এই বৃষ্টির মধ্যেতো বাইরে যেতে পারিনি তাই এই হালকা পাতলা কিছু ব্যবস্থা করলাম আরকি
ছোঁয়াঃ আপনি আবার শুধু শুধু কষ্ট করতে গেলেন কেন বলেনতো
সায়নঃ আসলে আমারওতো ক্ষুধা লেগেছিল তাই…নাও নাও শুরু কর আর হ্যাঁ আমি কিন্তু রান্নাবান্না তেমন পারিনা সো…
(কিছুক্ষণ পর)
সায়ন আর ছোঁয়া এখনও ড্রয়িংরুমেই বসে আছে,কেউ কারো সাথে কোন কথা বলছে না।
সায়নঃ হঠাৎ করেই মাথাটা কেমন যেন ঝিমঝিম করছে,নিজেকে কেমন যেন মাতাল মাতাল লাগছে
ছোঁয়াঃ সবকিছু এমন ঝাপসা ঝাপসা লাগছে কেন?আশেপাশের সবকিছুই মনে হচ্ছে মুভ করছে কিন্তু কেন?
সায়নঃ ইয়ে…ছোঁয়া…তুমি বরং ওই রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়,আমি নাহয় ড্রয়িংরুমেই…(কি আশ্চর্য!এখন আবার কথাও জড়িয়ে যাচ্ছে!এসব হচ্ছেটা কি?)
ছোঁয়াঃ আচ্ছা…উঠতে যাব তখনই মাথাটা কেমন জানি ঘুরে উঠল,তাল সামলাতে না পেরে পড়েই যাচ্ছিলাম,উনে ধরে ফেললেন
সায়নঃ Are you okey?
ছোঁয়াঃ হুম

সায়নঃ চলো তোমাকে রুমে দিয়ে আসি
ছোঁয়াঃ আচ্ছা আমার মাথাটা এমন ঘুরছে কেন বলুনতো?কথাগুলোও কেমন যেন জড়িয়ে যাচ্ছে…
সায়নঃ এই আমারও না সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছে,মনে হয় উল্টো পালটা কিছু খেয়ে ফেলেছি
ছোঁয়াঃ উল্টো পাল্টা!কিন্তু কি?
সায়নঃ আমিও জানিনা হাহাহা
ছোঁয়াঃ এই আপনি হাসছেন কেন?
সায়নঃ কি জানি,খুব হাসতে ইচ্ছে করছে
ছোঁয়াঃ আমারও না হাসতে ইচ্ছে করছে হিহিহি…
সায়নঃ আচ্ছা তুমি এমন উল্টো হয়ে দাঁড়িয়ে আছো কেন,এভাবে মাথা নিচে পা উপরে দিয়ে কেউ হাঁটে!
ছোঁয়াঃ এমা আপনিওতো উল্টো হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন!আর আপনি এমন ছুটোছুটি করছেন কেন বলুনতো,এক জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না?আর আপনি এমন মোটা হয়ে গেলেন কখন?বাব্বা একেবারে গ্রেট খালির মত লম্বা আর মোটা ভাবা যায়!
সায়নঃ বুঝেছি তোমার পুরোপুরি চড়ে গেছে,এক কাজ কর চুপ করে এখানে শুয়ে পড়ো,ঘুম থেকে উঠলে দেখবে সব ঠিক হয়ে গেছে…
(ছোঁয়াকে রুমে রেখে সায়ন যেই চলে আসতে নিল অমনি ছোঁয়া ওর হাত চেপে ধরলো)
ছোঁয়াঃ কো..ক..কোথায় যাচ্ছেন আপনি?
সায়নঃ কেন ঘুমাতে…
ছোঁয়াঃ এই আপনি আমার কে বলুনতো
সায়নঃ তোমার বর আবার কে?
ছোঁয়াঃ তাহলে ওদিকে কেন যাচ্ছেন?কোত্থাও যাবেন না আপনি,আমার সাথে এখানেই থাকবেন
সায়নঃ এখানেই থাকব!
ছোঁয়াঃ হ্যাঁ থাকবেন,বসুন…বসুন বলছি…
সায়নঃ হুম
ছোঁয়াঃ আপনি না সবসময় আমার সাথে এমন করেন,নিজে যা ভাল বোঝেন তাই করেন আমার কথাটা একবার চিন্তাও করেন না।আপনি…আপনি খুব খারাপ
সায়নঃ কেন কি করেছি আমি?
ছোঁয়াঃ আপনি অনেক পঁচা,আমাকে একটুও ভালোবাসেন না।সবসময় শুধু শুধু ঝাড়ি দেন আমার না মাঝে মাঝে খুব রাগ হয়,আপনাকে শাস্তি দিতে ইচ্ছে করে কিন্তু…
সায়নঃ কিন্তু পারো না তাইতো?
ছোঁয়াঃ হুম কিন্তু কেন?
সায়নঃ কারণ তুমিও আমাকে ভালোবাসো
ছোঁয়াঃ মোটেও না,আমি কেন আপনাকে ভালোবাসতে যাব?আপনার মত একটা গোমড়ামুখো,এ্যাটিটিউডের ডিব্বা,শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণীকে আমি…
সায়নঃ কিহ আমি শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী!
ছোঁয়াঃ তা নয়তো কি?বাইরে ঝুম বৃষ্টি,সামনে সুন্দরী একটা মেয়ে,তাও আবার তোমারই বউ,পুরো বাড়িতে আর কেউ নেই এমন একটা সিচুয়েশনে আপনি…আপনি আসলেই আনরোমান্টিক…
সায়নঃ কিহ আমি আনরোমান্টিক!
ছোঁয়াঃ এ্যা..হে..হে..এ কোন আনরোমান্টিক বরের পাল্লায় পড়লামরে বাবা,লাগবে না আমার এমন বর,পঁচা বর…
সায়নঃ তাই না?দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা,আমাকে পঁচা আর আনরোমান্টিক বলা!কত বড় সাহস…
ছোঁয়াঃ এই আপনি কি করছেন?আমার এত কাছে আসছেন কেন?
সায়নঃ তুমিইতো বললে আমি আনরোমান্টিক,তাই রোমান্টিকতার পরীক্ষা দিচ্ছি
ছোঁয়াঃ কিন্তু…
সায়নঃ শসসস…একদম কথা বলো না,এমনিতেও কাল সকালে কিছুই মনে থাকবে না তাই বলছি যা হচ্ছে হতে দাও…

(সকালে)
জানালা দিয়ে সূর্যের আলো এসে চোখে পড়তেই ঘুম ভেঙ্গে গেল ছোঁয়ার,প্রচণ্ড মাথা ধরে আছে ঠিকমত তাকাতেও কষ্ট হচ্ছে।চোখ বন্ধ রেখেই উঠে বসতে গেল ছোঁয়া কিন্তু একি,উঠতে পারছে না কেন?মনে হচ্ছে কেউ শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে!অনেক কষ্টে চোখ মেলে তাকালো ছোঁয়া কিন্তু তারপর যা দেখলো তারজন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না…
সায়ন ছোঁয়াকে দুহাত দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে রেখেছে যেন ছেড়ে দিলেই কোথাও পালিয়ে যাবে।সায়নের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে এবার নিজের দিকে নজর দিল ছোঁয়া।পরনের জামা কাপড় খুব অগোছালো হয়ে আছে,চুলগুলোও কেমন উস্কোখুশকো,সায়নেরও একই অবস্থা।এসব দেখে রীতিমতো গলা শুকিয়ে আসছে ওর,রাতে এখানে ঠিক কি হয়েছে মনে করার চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুতেই কিছু মনে করতে পারছে না…
সায়নও ততক্ষণে উঠে বসেছে,আশেপাশে চোখ বুলিয়ে নিজেও সিচুয়েশন বোঝার চেষ্টা করছে
সায়নঃ এ…এসব…এসব কি হচ্ছে?
ছোঁয়াঃ সেটাতো আপনি বলবেন কি হচ্ছে এসব?
সায়নঃ বিলিভ মি আমি কিছুই জানিনা,কাল রাতে এখানে ঠিক কি হয়েছে আমিতো কিছুই মনে করতে পারছি না
ছোঁয়াঃ দেখুন একদম নাটক করবেন না
সায়নঃ কি আশ্চর্য!আমি আবার কি করলাম?আরে আমিতো এটাই বুঝতে পারছি না আমরা দুজন এখানে…একসাথে…আসলে আমিতো ড্রয়িংরুমে ঘুমাবো ভাবছিলাম তাহলে এখানে…
ছোঁয়াঃ এই শুনুন,আপনাদের মত ছেলেদের না আমার খুব ভাল করেই চেনা আছে।নিজেই সবকিছু করেছে আর এখন এমন ভাব ধরছেন যেন ভাজা মাছটাও উল্টে খেতে পারে না!
সায়নঃ বিশ্বাস কর,আমি আসলেই কিছু বুঝতে পারছি না
ছোঁয়াঃ এখানকার সিচুয়েশনটা দেখলে একটা বাচ্চা ছেলেও বুঝতে পারবে এখানে কি হয়েছে আর আপনি বুঝতে পারছেন না!হাউ ফানি…
সায়নঃ দেখো ছোঁয়া,তুমি যা ভাবছো সেরকম কিছু হয়নি
ছোঁয়াঃ এইমাত্র না বললেন আপনার কিছু মনে নেই আবার এখন বলছেন কিছুই হয়নি!
সায়নঃ ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ আপনি না বলেছিলেন আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করবেন না তাহলে…আপনার কথার কি কোন দামই নেই?
সায়নঃ আরে বাবা,আমি এক্স্যাক্টলি কি করেছি সেটাইতো মনে করতে পারছি না তার উপর তুমি…
(ওরা যখন কথা কাটাকাটি করছে বাসার কলিংবেলটা ঠিক তখনই বেজে উঠল,সায়ন গেটের দিকে এগিয়ে গেল)
আসিফঃ আরে,গেটতো ভেতর থেকে বন্ধ তারমানে সায়ন ভেতরেই আছে?
মারুফঃ কি জানি হয়তো ফেরত এসেছে
দীপুঃ কিন্তু গেট খুলছে না কেন বলতো
(এরমধ্যেই সায়ন গেট খুলে দিল)
রাকিবঃ কি রে তুই কখন এসেছিস?
সায়নঃ রাতেই,তোরা কি এখনই আসলি?
আসিফঃ তাছাড়া আর কি করব

মারুফঃ এই সরতো,আমাদের ভেতরে ঢুকতে দে।অনেক টায়ার্ড…
সায়নঃ সর্বনাশ!ওরা ভেতরে ঢুকলেতো…নাহ যেভাবেই হোক ওদেরকে আটকাতে হবে কিন্তু কিভাবে?
রাকিবঃ কি আশ্চর্য!তোরা কি এভাবে গেট আটকেই দাঁড়িয়ে থাকবি নাকি,সর সর ভেতরে ঢুকতে দে
সায়নঃ বলছিলাম কি,ঝড় বৃষ্টিতে বাসার অবস্থা অনেক খারাপ।তোরা বরং একটু ঘুরে আয় আমি এদিকটা গোছগাছ করি
মারুফঃ কেন বাসা কি তোর একার?ঠিকঠাক করতে হলে সবাই মিলেই করব,তুই একা করতে যাবি কেন
দীপুঃ হ্যাঁ তাইতো,নে নে আর কথা বাড়াস না সরতো আমাদের ভেতরে ঢুকতে দে
(হাজার চেষ্টা করেও সায়ন ওদেরকে আটকাতে পারলো না আর ভেতরে ঢুকতেই সবাই ছোঁয়কে দেখে অবাক হয়ে গেল)
সবাইঃ (চিৎকার করে)তুমি!তুমি..এখানে কি করছো?
চলবে…