Childhood marriage

Childhood marriage 2 !! Part- 23

#পর্ব-২৩
#লেখিকা-সানজিদা সেতু
মেয়েঃ এক্সকিউজ মি,কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টটা কোনদিকে বলতে পারবেন?
(রাকিব সবাইকে চোখ টিপে ইশারা করলো।ওরা আগের মেয়ে তিনটাকে ছেড়ে দিয়ে এবার এই মেয়েটার দিকে মনোযোগ দিল)
মেয়েঃ এক্সকিউজ মি ভাইয়ারা,আমার আসলে একটু দেরি হয়ে গেছে,আপনারা যদি কাইণ্ডলি একটু হেল্প করতেন…
দীপুঃ কি হেল্প যেন?
মেয়েঃ না মানে কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট…আমিতো চিনি না,আপনারা যদি কেউ চিনেন তাহলে…
আসিফঃ চিনব না কেন?অবশ্যই চিনি
মেয়েঃ থ্যাঙ্ক গড,তাহলে যদি একটু হেল্প করতেন…
রাকিবঃ হেল্প…না?করব না কেন,অবশ্যই করব কিন্তু তার আগে তোমাকেও যে আমাদের জন্য কিছু একটা করতে হবে…
(মেয়েটা মনে হয় এবার একটু ভয় পেয়ে গেল তাই সবার দিকে একবার চোখ বুলিয়েই একটা ঢোক গিলল)
মেয়েঃ কি..ক..কা..জ ভাইয়া?
রাকিবঃ সত্যিইতো ওকে কি করানো যায় বলতো…ওই তোরা একটু হেল্প কর না…
মারুফঃ সে নাহয় হবে,আগে মিস ফ্রেশার নিজের ইনট্রোতো দিক…
দীপুঃ হ্যাঁ হ্যাঁ তো মিস ফ্রেশার,শুরু কর কুইক…
মেয়েঃ হাই,আ..আমি তা..তাসনিয়া মাহবুব,এখানে কম্পিউটার সায়েন্স এণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছি।আমার বাসা…
রাকিবঃ ব্যাস ব্যাস আর লাগবে না…তাসনিয়া মাহবুব!বাহ নামটাতো বেশ সুন্দর
আসিফঃ তা ওকে দিয়ে কি করাবি বলে ঠিক করলি?

রাকিবঃ তোরাই বল কি করালে ভাল হয়
মারুফঃ কোন একটা হিন্দী আইটেম সঙে নাচলে কেমন হয়?
রাকিবঃ নট আ ব্যাড আইডিয়া বাট আজকে না,অন্য কোনদিন আমরা নাচ দেখব
দীপুঃ তাহলে…আমাদের পুরো এক সেমিস্টারের অ্যাসাইনমেন্ট আর প্র‍্যাক্টিকালের দ্বায়িত্ব দিয়ে দিলে কেমন হয়?
আসিফঃ আরে না না,এটা করা যাবে না,ঐ দুইটা(সায়ন আর তানি)জানতে পারলে আর আস্ত রাখবে না…
রাকিবঃ যা বলেছিস,তাহলে এখন কি করা যায়?
(ওরা সবাই মুখে হাত দিয়ে কি করা যায় ভাবছে,ওদের কাহিনী দেখে ছোঁয়ার চোখ মুখ অলরেডি শুকিয়ে গেছে।মেয়েটা মনে মনে পালানোর প্ল্যান কষছে)
ছোঁয়াঃ এ কোন বিপদে পড়লাম?এখন কি করব,পালাবো?কিন্তু…(মনে মনে)
রাকিবঃ পেয়েছি…এই মেয়ে শোন
ছোঁয়াঃ (চমকে উঠে)জ্বি ভাইয়া?
রাকিবঃ এই যে সামনের এন্ট্রি গেটটা দেখছো না,এই গেট দিয়ে প্রথমে যেই আসবে সেটা ছেলে হোক বা মেয়ে তাকে কিস করতে হবে
(রাকিবের কথা শুনে ছোঁয়ার চোখ চোখ কপালে উঠে গেল)
ছোঁয়াঃ না ভাইয়া প্লিজ অন্য কিছু করতে বলেন,আমি কিভাবে কাউকে…
দীপুঃ হ্যাঁ রাকিব,আমার মনে হচ্ছে এটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।তুই আবার একটু ভেবে দেখ
রাকিবঃ তাহলে কি করব?
আসিফঃ শোন কিস টিসের ঝামেলায় জড়াস না,তার থেকে বরং আই লাভ ইউ বলতে বল সেটাই ভাল হবে
রাকিবঃ ওকে তাহলে তাই হোক,এই যে মিস তাসনিয়া রুলস চেঞ্জ হয়েছে।কিস না,যে ফার্স্টে এন্ট্রি করবে তাকে প্রপোজ করতে হবে তবে তা আমাদের লেখা স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী
ছোঁয়াঃ কিন্তু…
রাকিবঃ শোন আর কোন চেঞ্জ হবে না,এটাতে রাজি না হলে কিন্তু আবারও আগের টাস্ক করতে বলব…
ছোঁয়াঃ ইয়া খোদা…এখন কি হবে?কি করব…(মনে মনে)
দীপুঃ ইয়ার রাকিব,সবইতো বুঝলাম কিন্তু ও প্রপোজটা কাকে করবে বলতো..এদিকেতো কাউকেই আসতে দেখছি না…
ছোঁয়াঃ হে আল্লাহ কেউ যেন না আসে কেউ যেন না আসে আর আসলেও যেন কোন মেয়ে হয়…(মনে মনে)
রাকিবঃ Wait a minute.এইতো পেয়েছি,ওই যে সাদা শার্ট আর ব্লু জিন্স পরা যেই ছেলেটা এদিকে আসছে ওকেই প্রপোজ করতে হবে
(রাকিবের কথা শুনে সবাই সেদিকে ফিরে তাকালো,ছেলেটাকে দেখেই ছোঁয়ার মুখ শুকিয়ে গেল।ব্লু জিন্স,সাদা শার্ট,চোখে সানগ্লাস,কাঁধে মাঝারি সাইজের একটা ব্যাগ আর পায়ে স্পোর্টস কেডস পরা ছেলেটা পার্কিং লটে নিজের বাইকটা পার্ক করে এদিকেই এগিয়ে আসছে।ছয় ফুটের কাছাকাছি হাইট,হাইট আর ওয়েটের ব্যালেন্সটা খুব ভালোভাবেই মেইনটেইন করেছে,পুরো চেহারায় স্পষ্ট লেডি কিলার লেডি কিলার ভাব ফুটে উঠছে,তারসাথে যুক্ত হয়েছে ঠোঁটের কোণে লেগে থাকা দুষ্টুমি মাখা হাসি,যখন হেটে ওদের দিকে এগিয়ে আসছে তখন ওর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে মনে হচ্ছে যেন ওই এখানকার রাজা আর চারপাশে কি হচ্ছে না হচ্ছে তা নিয়ে ওর কোনই মাথা ব্যাথা নেই।এক কথায় ছেলেটার একটা ঝলকই যে কোন মেয়েকে ক্রাস খাওয়ানোর জন্য যথেষ্ট।ছোঁয়া ওদিকে তাকিয়ে নিজের অজান্তেই একটা ঢোক গিলল।)
মারুফঃ ছেলেটা কে রে?তোরা কেউ চিনিস?

দীপুঃ ঠিক চিনি তা বলা যাবে না তবে বেশ কয়েকবার এই বিল্ডিংয়ের আশেপাশেই দেখেছি
আসিফঃ তা আর চিনবি কিভাবে,ক্যাম্পাসের কোন খোঁজ খবর রাখিস?
দীপুঃ এমন ভাব ধরছিস যেন তুই খুব ভালোভাবেই চিনিস…
আসিফঃ অফকোর্স চিনি,ওকে ক্যাম্পাসের নাইন্টি পার্সেন্ট স্টুডেন্টই চিনে।কি রে রাকিব,তুইওতো চিনিস তাইনা?
রাকিবঃ আয়ান শরীফ,কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট,আমাদেরই ব্যাচমেট,ভার্সিটির বাস্কেটবল টিমের ক্যাপ্টেন,ব্যাডমিন্টন সিঙ্গেলসে ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন,আমাদের সায়নের পরে যদি এই ক্যাম্পাসে কেউ পপুলার থেকে থাকে তাহলে সে হল আয়ান,CSE ডিপার্টমেন্টের মোস্ট হ্যাণ্ডসাম আর ক্যাম্পাসের সেকেণ্ড হ্যাণ্ডসাম মেল স্টুডেন্ট
দীপুঃ এতই যখন পপুলার তাহলে আমরা চিনি না কেন?
আসিফঃ কারণ ওর কোন গ্যাং নেই,কারো সাথে তেমন মিশেও না জাস্ট ক্যাম্পাসে আসে আর যায়,অন্য কোথাও কোন কাজে ছাড়া কখনই ওকে দেখা যায় না,এক কথায় নিজেকে শো অফ করতে মোটেও পছন্দ করে না।আর তাছাড়া তোরাতো কখনও টেনিস বা ব্যাডমিন্টন কোর্টের দিকে ভুলেও তাকাস না তাহলে আর চিনবি কিভাবে?
মারুফঃ হুম বুঝলাম,তা এখন কি করবি?
রাকিবঃ কি আর করব,আমাদের এই মিস ফ্রেশার এখন এই এ্যাটিটিউডের ডিব্বাটাকে প্রপোজ করবে…
দীপুঃ ভালই হবে ফ্রীতে বিনোদন পাওয়া যাবে…
(রাকিব নিজের হাতঘড়ির দিকে ইশারা করে ছোঁয়াকে ওয়ার্নিং দিল,ছোঁয়া ভয়ে চোখ বন্ধ করে সামনের দিকে এগোতে লাগলো…)

সায়নঃ সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে গিয়েছিলাম একটা বই ইস্যু করতে,ফিরতে একটু দেরিই হয়ে গেল তাই আর সময় নষ্ট না করে ডিপার্টমেন্টের দিকে এগোচ্ছিলাম।আমাদের ক্লাস হয় দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনে তাই সচরাচর এদিকটায় আসা হয় না,আজ লাইব্রেরিতে যাওয়ার সুবাদে এদিক দিয়ে ফিরছিলাম।ফোর্থ সায়েন্স বিল্ডিংয়ের পাশ দিয়ে যেতেই থমকে দাঁড়ালাম।বিল্ডিংয়ের এন্ট্রি গেটে বেশ বড় সড় একটা জটলা,হয়তো সিনিয়ররা জুনিয়রদের র‍্যাগিং করছে ভেবে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম।কিন্তু দুই কদম গিয়েই আবার ফিরে আসলাম,ভিড় ঠেলে খুব পরিচিত একটা মুখ যেন চোখের সামনে উঁকি দিচ্ছে!নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না,ভিড়ের দিকে এগোতে লাগলাম।একটু এগোতেইতো আমার চোখ ছানাবড়া,এই মেয়ে এখানে কি করছে?ব্যাপারটা একটু ভালোভাবে বোঝার জন্য আরেকটু এগোতেই পুরো ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয়ে গেল,এই মেয়ে এখন ঐ আয়ানটাকে প্রপোজ করবে!মেজাজটা চরম রকমের খারাপ হয়ে গেল তাই আর দেরি না ভিড় ঠেলে সামনে এগিয়ে গেলাম…
ছোঁয়াঃ কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না,র‍্যাগিং শব্দটা আগেও অনেকবার শুনেছি কিন্তু কখনও ভাবিনি যে একদিন আমাকেও এর শিকার হতে হবে!কি আর করার চোখ বন্ধ করে দোয়া-দরূদ পড়তে পড়তে সামনে এগোতে লাগলাম।হঠাৎ…

সায়নঃ এখানে কি হচ্ছে!What’s going on?
(সায়নের কণ্ঠ শুনে সবাই পেছনে ফিরে তাকালো,ছোঁয়াতো চোখ খুলেই অবাক ওর সামনে স্বয়ং সায়ন দাঁড়িয়ে আছে!অবশ্য মনে মনে একটু খুশিই হয়েছে কারণ এখন একটা আশার আলো ফুটেছে যে এই বিপদ থেকে ও অন্তত ওকে উদ্ধার করতে পারবে)
রাকিবঃ ওহ সায়ন!চলে এসেছিস?আয় আয় তাড়াতাড়ি আয়,সিনেমা শেষ হয়ে গেল তো…
(সায়ন রাকিবের কথায় কোন পাত্তা না দিয়ে সোজা ছোঁয়ার দিকে এগিয়ে গেল,সবাই অবাক হয়ে সেদিকে তাকিয়ে আছে)
সায়নঃ এই মেয়ে,এখানে কি করছো?
ছোঁয়াঃ না মানে আমি আ..আসলে সি..সিএসই ডিপার্টমেন্ট…
সায়নঃ সিএসই ডিপার্টমেন্টতো ওইদিকে তাহলে এখানে দাঁড়িয়ে কি করছো?কাজ কাম না থাকলে মানুষ যা করে আর কি,টাইমপাস করার ইচ্ছে থাকলে বাসায় গিয়ে কর ক্যাম্পাসে এসে পরিবেশ নষ্ট করার কি দরকার?যত্তসব স্টুপিড পাবলিক…
ছোঁয়াঃ এই প্রথম উনার কড়া কড়া কথাগুলো শুনতে একটুও খারাপ লাগছে না বরং অনেক বেশি ভালো লাগছে।ইশ!আজকে উনি না থাকলে কি যে হত…
সায়নঃ একি এখনও বোকার মত দাঁড়িয়ে আছো!যাও নিজের ক্লাসে যাও…
রাকিবঃ কিন্তু দোস্ত আমরাতো ওকে…
(রাকিবকে সায়ন ইশারায় থামতে বলল তারপর আবারও ছোঁয়ার দিকে তাকালো)
সায়নঃ আমি কি বললাম শুনতে পাওনি?
ছোঁয়াঃ জ্বি পেয়েছি
সায়নঃ তাহলে এখনও দাঁড়িয়ে আছো কেন?ক্লাসে যেতে বললাম না…
ছোঁয়াঃ জ্বি যাচ্ছি…
সায়নঃ এই এক মিনিট…
ছোঁয়াঃ জ্বি?
(সায়ন ভিড়ের দিকে একবার চোখ বুলালো,ডানদিকে চোখ পড়তেই মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠল)
সায়নঃ তানি…এদিকে আয়…
(রিয়ার সাথে ঝামেলা হওয়ার পর এই প্রথম সায়ন তানিকে এভাবে ডাকল তাই ব্যাপারটা নিতে ওর একটু সময় লাগলো)
সায়নঃ (দাঁতে দাঁত চেপে)ওই তানির বাচ্চা,শুনতে পাচ্ছিস না?
(এবার আর তানি দেরি করল না,এক ছুটে সায়নের সামনে এসে দাঁড়ালো)
তানিঃ হ্যাঁ বল
সায়নঃ ওকে ওর ক্লাসে পৌঁছে দিয়ে আয়
তানিঃ (অবাক হয়ে)আ..আমি!
সায়নঃ না তোর বাপ
তানিঃ ওই ওই একদম বাপ তুলে কথা বলবি না বলে দিচ্ছি তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হয়ে যাবে…
সায়নঃ আচ্ছা মেরি মা…আমার ভুল হয়ে গেছে,I am sorry.এবার প্লিজ আর কোন কথা না বলে যা বলেছি কর প্লিজ…
তানিঃ ওক্কে বস…
সায়নঃ (ভিড়ের দিকে তাকিয়ে)আর এই যে আপনারা,নাটকতো শেষ সো অযথা টাইম ওয়েস্ট না করে এখন যে যার কাজে যান না…যত্তসব…
(তানি ছোঁয়াকে নিয়ে চলে গেল।সায়ন একবার সবার দিকে চোখ বুলিয়ে নিল,সবাই বেশ অবাক হয়ে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে!যাই হোক ওদিক থেকে চোখ ফিরিয়ে সায়ন চলে যেতে নিল কিন্তু পথ আটকে দাঁড়ালো রাকিব)
সায়নঃ হোয়াট…
রাকিবঃ এটা কি ছিল?তুই মেয়েটাকে সরিয়ে দিলি কেন?
সায়নঃ আমি এই ব্যাপারে আর একটা কথাও শুনতে চাই না,আমি ক্লাসে যাচ্ছি তোরা গেলাম আয় নাহলে এখানেই বসে থাক
রাকিবঃ মানেটা কি!এটলিস্ট একটা মিনিমাম এক্সপ্লেনেশনতো দেয়া উচিত তাইনা?
সায়নঃ I don’t need to do that.আমি গেলাম বাই…
রাকিবঃ দেখ সায়ন,এটিটিউডের কিন্তু একটা লিমিট থাকা উচিত,সায়ন এই সায়ন কোথায় যাচ্ছিস?আমাদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কোত্থাও যাবি না তুই সায়ন…সায়ন…
(সায়ন চলে গেল,একবার ওদের দিকে ফিরেও তাকালো না)
রাকিবঃ তোরা দেখলি,কোন এক্সপ্লেনেশন না দিয়েই চলে গেল!This is too much আমি কিন্তু এসব একদমই নিতে পারছি না…
মারুফঃ তুই একটু শান্ত হ প্লিজ,আমি দেখছি ব্যাপারটা…

ওখান থেকে এসেই সোজা কমনরুমের দিকে চলে এসেছে সায়ন,ফার্স্ট ক্লাসটা একটু আগেই শুরু হল কিন্তু এখন আর ওদিকে যেতে ইচ্ছে করছে না।যাই হোক একটা ফাঁকা জায়গা দেখে ফোনটা বের করে হাতে নিল তারপর ডায়াল করল সোজা বাড়ির নাম্বারে।দুই একবার রিং হলেই ওপাশ থেকে জবাব এলো
ফুলিঃ হ্যালো ভাইজান…
সায়নঃ ওই তুই ফোন ধরছিস কেন?মাকে দে
ফুলিঃ খাড়ান দিতাছি
(একটু পর)
মাঃ হ্যাঁ খোকা…কি রে কেমন আছিস?মার কথা এতদিনে মনে পড়ল!
সায়নঃ এসব কি মা?তোমরা আমার সাথে এমনটা কিভাবে করতে পারো!আমারতো বিশ্বাসই হচ্ছে না তোমরা…
মাঃ কেন কি হয়েছে?
সায়নঃ তোমরা না বলেছিলে ছোঁয়া এখানে অ্যাডমিশন দেবে না,ওর রেজাল্ট খারাপ তাই এ্যাপ্লাই করতে পারেনি তাহলে এখন ও এখানে…
মাঃ ওতো তাই বলেছিল,আমরাওতো কিছুই জানতাম না
সায়নঃ হোয়াট!আই কান্ট বিলিভ দিস…সে যাই হোক ও যে এখানে ভর্তি হয়েছে এটাতো জানতে?
মাঃ হ্যাঁ তোর বাবাইতো গিয়ে ভর্তি করে দিয়ে আসলো
সায়নঃ কিহ!বাবা এখানে আসলো আর আমি কিছুই জানতে পারলাম না!আর ও যে এখানে এসেছে সেই খবরটা পর্যন্ত তোমরা আমাকে দাও নি,আরে বাবা আমিতো এখানে ছিলাম নাকি?আমাকে বললে আমিই সব ব্যবস্থা করতাম,বাবাকে এত দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে হত না
মাঃ আমরাতো বলতেই চেয়েছিলাম কিন্তু…
সায়নঃ কিন্তু?
মাঃ ছোঁয়া নিষেধ করেছিল,তোকে নাকি সারপ্রাইজ দেবে তাই…
সায়নঃ হোয়াট!এই মেয়ের প্রবলেম কি?ফাযলামির একটা লিমিট আছে,আচ্ছা মা এখন রাখছি আর তোমরা কিন্তু কাজটা একদম ভাল করনি।যাই হোক পরে কথা বলব আপাতত ঐ পাজিটাকে একটা উচিত শিক্ষা দিতে হবে…
মাঃ সায়ন…বাবা তুই মেয়েটাকে আবার বেশি বকাবকি করিস না কিন্তু
সায়নঃ সে নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না,কি করতে হবে না হবে আমার ভাল করেই জানা আছে…

ছোঁয়াদের আজকে প্রথম ক্লাস ছিল তাই শুধু দেড় ঘণ্টার একটা অরিয়েন্টেশন ক্লাস নিয়েই শেষ করে দিয়েছে,আজকে আর কোন ক্লাস হবে না।ছোঁয়ার মনটা আজকে বেশ ভাল কারণ প্রথম ক্লাসেই বেশ কয়েকজন নতুন ফ্রেণ্ড বানিয়ে ফেলেছে।আপাততঃ সবার সাথে ক্যাম্পাসটা ঘুরে দেখার প্ল্যান রয়েছে কিন্তু তার আগে লোপাকে খুঁজে বের করতে হবে।ও হ্যাঁ আপনাদেরকে তো বলাই হয়নি,লোপাও কিন্তু এই ক্যাম্পাসেই ভর্তি হয়েছে তবে সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টে।
ছোঁয়া আর ওর বন্ধুরা ক্যাফেটেরিয়ার পেছন দিকটাতে চলে এসেছে,সায়নদের ক্লাব হাউজটাও এপাশেই।ছোঁয়াদের গ্রুপটা সবে ক্যাফেটেরিয়াটা পার হয়েছে,ছোঁয়া লোপার নাম্বারে ট্রাই করতে ছিল তাই সবার থেকে একটু পিছিয়ে পড়েছে।ব্যাপারটা খেয়াল করে যেই একটু জোরে হাঁটা ধরল অমনি বামপাশ থেকে কেউ একটানে ওকে ওখান থেকে সরিয়ে নিল।ছোঁয়া যে চিৎকার দেবে তাও পারল না কারণ ততক্ষণে কেউ ওর মুখ চেপে ধরেছে!ছোঁয়া কিছুই বুঝতে পারছে না ওর সাথে ঠিক কি হচ্ছে,শুধু এতটুকু বুঝতে পারছে কেউ ওকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে আর যেই জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে তার চারপাশটা একেবারে ঘুটঘুটে অন্ধকার,হাজার চেষ্টা করেও ও কিছুই দেখতে পাচ্ছে না…
চলবে….
#নোটঃ কি এবার সবাই খুশি তো?সবার চাওয়ায়তো পূরণ করে দিলাম,ছোঁয়াকে সায়নের ক্যাম্পাসে এন্ট্রি দিয়ে দিলাম।কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না…