Childhood marriage 2 !! Part- 20
#পর্ব-২০
#লেখিকা-সানজিদা সেতু
ছোঁয়াঃ কি দেখছেন?
সায়নঃ ঝালের চোটে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে তবুও খেয়েই যাচ্ছো!প্রবলেমটা কি?
ছোঁয়াঃ ও আপনি বুঝবেন না,ঝাল যে কি টেস্টি জিনিস আপনার কোন ধারণাই নেই
সায়নঃ You are really crazy…
ছোঁয়াঃ I know…এখন আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে না থেকে ঝটপট খেতে শুরু করেনতো..
সায়নঃ ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ কটমট করে উনার দিকে তাকালাম,চোখের ইশারায় খেতে বললাম
সায়নঃ কি আর করার,একটা ফুচকা তুলে মুখে দিলাম আর মুখে দিতেই যেন আমার পুরো পৃথিবীটা অন্ধকার হয়ে আসলো।ঝালে আমার তীব্র এ্যালার্জি,একটা রেঞ্জের বাইরে ঝাল জাতীয় খাবার আমি একেবারেই খেতে পারি না।ছোঁয়া কখনও আমার জন্য রান্না করেনি তাই হয়তো এই ব্যাপারে কিছুই জানেনা
ছোঁয়াঃ আরে..আপনি এমন করছেন কেন?কি হয়েছে আপনার?
সায়নঃ মনে হচ্ছে সেন্সলেস হয়ে যাচ্ছি,চোখের সামনে সবকিছুই অন্ধকার হয়ে আসছে শুধু আবছা আবছা ভাবে দেখতে পাচ্ছি একটা মুখ আমার দিকে এগিয়ে আসছে,সেটা আর কেউ নয় ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ এই যে শুনতে পাচ্ছেন?কি হয়েছে আপনার?হে আল্লাহ এখন আমি কি করি,এ কোন বিপদে পড়লাম?শোনেন…চোখ খুলেন প্লিজ…
চাচাঃ ছোঁয়া মা,শান্ত হ।আমি দেখছি কি করা যায়…
ছোঁয়াঃ উনার কিছু হয়ে গেলে বাবা-মাকে আমি কি জবাব দিব?আর দাদী?উনিতো…ইয়া খোদা আমি আর কিছু ভাবতে পারছি না,তুমিই এখন কিছু একটা কর প্লিজ…
(ফুচকাওয়ালা চাচা ততক্ষণে কিছুটা পানি এনে সায়নের চোখে মুখে ছিটিয়ে দিয়েছে,সায়ন আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকালো।ছোঁয়া ততক্ষণে রীতিমত কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে)
সায়নঃ What happened?এই মেয়ে তুমি এভাবে কাঁদছো কেন?
ছোঁয়াঃ আ..আপনি ঠিক আছেনতো?কি হয়েছিল আপনার?হঠাৎ করে এভাবে…আ..আমি আবার উল্টো পাল্টা কিছু করে বসিনিতো?যদি করে থাকি তাহলে আগে থেকেই সরি বলে দিচ্ছি।জানেন আমি কত ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম!আপনার যদি কিছু একটা হয়ে যেত তাহলেতো আমি…
সায়নঃ ছোঁয়া…look at me…দেখো আমার কিচ্ছু হয়নি,just cool down okey?
ছোঁয়াঃ কিন্তু…
সায়নঃ ও তেমন কিছু না,ঠিক হয়ে যাবে।এখন এখান থেকে চলো তো,আজ আর ঘুরব না বাড়ির দিকে যাব…
(কয়েকদিন পর)
আজকের আকাশটা অনেক মেঘলা,কাল মেঘে আকাশটা ছেয়ে আছে।দেখে মনে হচ্ছে যেন কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে।ছোঁয়া এখন বসে আছে সায়নদের বাড়ির পুকুরপাড়ে,পুকুরের পানিতে পা ডুবিয়ে এক মনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।যেদিন সায়ন সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিল,তার পরদিনই ওরা ফিরে এসেছিল।ফিরে এসেই ও মায়ের কাছ থেকে সায়নের ব্যপারে অনেক কিছুই জেনে নিয়েছে।সবকিছু জানার পর ওর নিজেরই অনেক গিল্টি ফিল হচ্ছে,ও যদি আগে থেকে সায়নের ঝালে অ্যালার্জির কথাটা জানতো তাহলে হয়তো সেদিন এমন একটা ঘটনা ঘটতো না।যাই হোক সায়ন কিন্তু ওকে মোটেও ব্লেম করেনি কিন্তু তবুও ওর নিজের কাছেই অনেক বেশি খারাপ লাগছে…
অলরেডি ঝড় শুরু হয়ে গেছে,ছোঁয়া আর দেরি করল না,সিড়ি ভেঙ্গে পুকুরপাড়ে উঠে আসলো তারপর একেবারে কিনারায় দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করে দুই হাত প্রসারিত করে আকাশের দিকে তাকিলো।দেখে মনে হচ্ছে ঝড় বৃষ্টিকে নিজের দিকে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে
সায়নঃ এই মেয়ে,তোমার মাথায় কি সত্যি সত্যি কোন প্রবলেম আছে?
(হঠাৎ সায়নের কণ্ঠ শুনে পেছনে ফিরে তাকালো ছোঁয়া)
ছোঁয়াঃ উফ!আপনিতো আমাকে ভয়ই পাইয়ে দিয়েছিলেন,এভাবে কেউ কাউকে ডাকে?
সায়নঃ ভয়!তোমার আবার ভয় ডর আছে নাকি?থাকলে কি কেউ এই ঝড় বৃষ্টির মধ্যে এভাবে পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকে!
ছোঁয়াঃ এভাবে থাকলে মনে হয় যেন আমি হাওয়ায় ভাসছি,নিজেকে অনেক হালকা হালকা লাগে।আপনি একবার ট্রাই করে দেখুন,আপনারও ভাল লাগবে
সায়নঃ তোমার ইচ্ছে হয় তুমি কর,আমি বাবা ওসব পাগলামির মধ্যে নেই
ছোঁয়াঃ একবার করেই দেখুন না প্লিজ…একরকম জোর করেই উনার হাত দুটো ঠিক আমার মত করে তুলে দিলাম
সায়নঃ ছোঁয়া…এসব কিন্তু…
ছোঁয়াঃ শসসস…যা বলছি তাই করেনতো…
সায়নঃ কি আশ্চর্য!আমিও দেখছি এই মেয়ের পাগলামির সাথে তাল মেলাচ্ছি,অবশ্য কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝতে পারলাম ব্যাপারটা বেশ মজার।বাতাসের ধাক্কায় মাঝে মাঝেই মনে হচ্ছে হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছি,এক অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে
(সায়ন যখন বাতাসের বেগটাকে ফিল করতে ব্যস্ত ছোঁয়া তখন সমানে চিৎকার দিয়ে যাচ্ছে,যেন বাতাসের শব্দের সাথে পাল্লা দিয়েছে।কে কাকে হারাতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে,সায়ন অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে)
সায়নঃ এসব আবার কি?
ছোঁয়াঃ গলা ছেড়ে চিৎকার দিচ্ছি
সায়নঃ সেটাতো দেখতেই পাচ্ছি কিন্তু এটা আবার কোন ধরণের পাগলামি?
ছোঁয়াঃ আপনিও করে দেখুন মজা পাবেন
সায়নঃ মোটেও না,এবার আর তোমার কথা শুনছি না
ছোঁয়াঃ আগেরবার আমার কথামত কাজ করে মজা পেয়েছেন না?এবারও পাবেন,একবার ট্রাইতো করে দেখেন…
(সায়ন কিছুক্ষণ কি যেন ভাবলো তারপর ছোঁয়ার কথামত চিৎকার দিতে লাগলো)
ছোঁয়াঃ কি এখন কেমন লাগছে?
সায়নঃ অনে…ক ভালো…
ছোঁয়াঃ বলেছিলাম না ভালো লাগবে?মাঝে মাঝে একটু আধটু পাগলামি করা ভাল,কি বলেন?
সায়নঃ এটাকে তুমি একটু আধটু পাগলামি বলছো!You know what you are a complete pakage of madness…
ছোঁয়াঃ I know…
(সায়নের ফোনটা হঠাৎই বেজে উঠল,সায়ন একটু সরে এসে ফোনটা বের করল।স্ক্রিনে রিয়ার নামটা ভেসে উঠেছে,
নামটা দেখেই সায়ন ফোনটা কেটে দিল তারপর আবার পকেটে রেখে দিল।একট পরে আবারও ফোনটা বেজে উঠল,এবার আর সায়ন কেটে দিল না,ফোনটাই বন্ধ করে পকেটে রেখে দিল তারপর আবার ছোঁয়ার পাশে গিয়ে ওর মত করে দাঁড়িয়ে পড়লো)
ছোঁয়াঃ কে ফোন দিয়েছিল?কোন সমস্যা?
সায়নঃ কই নাতো,হঠাৎ এ কথা কেন বলছো?
ছোঁয়াঃ না মানে বার বার ফোন দিচ্ছিল বাট আপনি কথা বললেন না তাই…
সায়নঃ তেমন ইম্পর্টেন্ট কেউ না তাই…
ছোঁয়াঃ সত্যিতো?
সায়নঃ হুম,এখন চুপ করতো।আবার আগের মত বাতাসের সাথে যুদ্ধ করতে ইচ্ছে করছে
ছোঁয়াঃ ওকে…তাহলে তাই হোক…
প্রবল বেগে বাতাস বইছে,চারিদিকে বাতাসের শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দই ভালো করে শোনা যাচ্ছে না।এর মধ্যে ওরা দুজন যে কথা বলছে সেগুলোও চিৎকার দিয়ে বলতে হচ্ছে।এই প্রতিকূল আবহাওয়ায় এই পুকুর পাড়ে শুধু ওরা দুজন মানব-মানবী আকাশের দিকে তাকিয়ে দুবাহু দুদিকে বাড়িয়ে দিয়ে নিজেদের মাঝে কথা বলছে আর একটু পর পর ইচ্ছেমত চিৎকার দিচ্ছে।ওদের আশেপাশে আর কোন কিছু হচ্ছে কিনা সেদিকেও ওদের যেন কোন খেয়াল নেই,নিজেদের মাঝেই যেন নিজেরা হারিয়ে গেছে…
(রাতে)
সায়নঃ কি আশ্চর্য!এসবের মানে কি ছোঁয়া?এই মাঝরাতে আবার এখানে নিয়ে আসলে কেন?
ছোঁয়াঃ একটা খুব মজার কাজ করব তাই
সায়নঃ তো যা মজা করার কর না,আমাকে এসবের মধ্যে জড়াচ্ছো কেন?
ছোঁয়াঃ মি.মাহবুব সায়ন,আপনি বোধহয় ভুলে যাচ্ছেন যে আমরা এখন ফ্রেন্ড আর এক ফ্রেণ্ডের উচিত নিজের সব ভালোলাগার মুহূর্তগুলো অন্য ফ্রেণ্ডের সাথে শেয়ার করে নেওয়া সো…আর তাছাড়া আপনিতো আর কদিন বাদেই চলে যাবেন তাই হয়তো অন্য কোনদিন এই সুযোগ নাও পেতে পারি…
সায়নঃ আচ্ছা বুঝলাম,এখন ঝটপট বলে ফেলেন কি এমন কাজ করতে এই মাঝরাতে জরুরী তলব…
ছোঁয়াঃ সেটা আর আমি বলব না,একটু পরে নিজেই দেখতে পাবেন
সায়নঃ মানে কি?তুমি কি আমার সাথে ফাযলামি…
ফুলিঃ ভাইজান,আপামণি এই যে তোমাগো জিনিস
সায়নঃ (চমকে উঠে)তুই আবার এইখানে কেন?
ফুলিঃ আপায় এইডা আনতে কইছিল
ছোঁয়াঃ ফুলি আপা,তুমিও বসো আমাদের সাথে
ফুলিঃ না না,আপনেরা খান,আমি আইতাছি
(ফুলি চলে গেল)
সায়নঃ কি এটাতে?
ছোঁয়াঃ আমার খুব পছন্দের একটা জিনিস
সায়নঃ কিন্তু সেটা কি?নিশ্চয়ই উল্টো পাল্টা কোন জিনিস…
ছোঁয়াঃ উল্টো পাল্টা কেন হবে!আমার কি সবই উল্টো পাল্টা জিনিস পছন্দ নাকি?
সায়নঃ খালি জিনিস না,তোমার সবকিছুই উল্টো পাল্টা
ছোঁয়াঃ মোটেও না
সায়নঃ আচ্ছা ঠিক আছে সেটা এক্ষুণি প্রমাণ হয়ে যাবে,বক্সটা খোল তারপর দেখা যাবে
ছোঁয়াঃ মুচকি হেসে বক্সটা খুলে ফেললাম
সায়নঃ What the…এমনিতেই কি বলি যে তোমার মাথায় সমস্যা আছে?
ছোঁয়াঃ কেন এখানে আবার আমার মাথা খারাপের কি আছে?
সায়নঃ কি আছে তাইনা?তাহলে এই যে বক্স ভর্তি আইসক্রিম তাও আবার এই মাঝরাতে এই পুকুরপাড়ে!এটা কি কোন সুস্থা স্বাভাবিক মানুষের লক্ষণ?
ছোঁয়াঃ আচ্ছা আপনি কখনও শীতের রাতে আইসক্রিম খেয়ে দেখেছেন?
সায়নঃ হোয়াট ননসেন্স!শীতের রাতে খামোখা আইসক্রিম খেতে যাব কেন?আমি কি পাগল নাকি!
ছোঁয়াঃ ওহ,তাহলে আর আপনি বুঝবেন কিভাবে
সায়নঃ কি বুঝব না?
ছোঁয়াঃ আসলে আইসক্রিম খাওয়ার আসল মজাতো রাতেই তা যদি আবার শীতের রাত হয় তাহলেতো কথায় নেই।কারণ কি জানেন,শীতের মধ্যেই আইসক্রিমের আসল টেস্টটা পাওয়া যায়।গরমে রোদের মধ্যে আমরা যখন খাই তখন শুধু এর ঠান্ডাটাই অনুভব করি,অন্য কোন টেস্ট অনুভব করতে পারি না
সায়নঃ হুহ তুমি আর তোমার থিওরি
ছোঁয়াঃ হ্যাঁ কি প্রবলেম আমার থিওরিতে?আপনার ইচ্ছে হলে খান নয়তো চুপ করে বসে থাকেন,আমিতো এক্ষুণি খাব নাহলে সব গলে যাবে
সায়নঃ আমার বাবা খেয়ে কাজ নেই,তুমিই খাও
ছোঁয়াঃ একটা বাইট প্লিজ প্লিজ প্লিজ…
সায়নঃ কেন জানি না করতে পারলাম না,বক্সটা থেকে একটা আইসক্রিম বের করে খাওয়া শুরু করলাম
ছোঁয়াঃ একটা জিনিস কি জানেন,আইসক্রিম খেতে হলে সবসময় কাঠি আইসক্রিম খাবেন,অন্যগুলো কেমন যেন কৃত্রিম কৃত্রিম লাগে,আইসক্রিম বলে মনে হয় না…
সায়নঃ আচ্ছা এখানেতো আমরা দুজন মাত্র মানুষ,তাহলে আইসক্রিম এতগুলো কেন?Don’t say তুমি একাই এতগুলো খাবে…
ছোঁয়াঃ আমি একাই অবশ্য সব খেয়ে ফেলতে পারব বাট এগুলো আমার জন্য না
সায়নঃ তাহলে?
ছোঁয়াঃ সবগুলো এই পুকুরে দিয়ে দিব
সায়নঃ কিন্তু কেন?
ছোঁয়াঃ পুকুরের মাছ আর অন্য যা কিছু আছে তাদের জন্য,আমাদের খেতে দেখে ওদেরও যদি খেতে ইচ্ছে করে…
সায়নঃ এই মেয়ে বলে কি!ওর কথা শুনে না হেসে পারলাম না
ছোঁয়াঃ ওই মিয়া এভাবে পাগলের মত হাসেন কেন?
সায়নঃ You know what you are just crazy…
আকাশের চাঁদটা আজ বোধহয় একটু বেশিই আলো ছড়াচ্ছে,চাঁদের আলোয় দূর থেকে আবছা আবছা দেখা যাচ্ছে সান বাঁধানো পুকুরটার সিঁড়িতে ওরা দুজন বসে আছে।দুজনেই পানিতে দুই পা ডুবিয়ে রেখেছে,মাঝে মাঝে পানিতে হালকা দোলা দিচ্ছে আর হাতে থাকা আইসক্রিম থেকে একটু একটু করে স্বাদ নিচ্ছে।বাড়ির আর সবাই সেই কখন ঘুমিয়ে পড়েছে,জেগে আছে শুধু ওরা দুজন এই জোছনা রাতের সাক্ষী হয়ে…
(কিছুক্ষণ পর)
ছোঁয়াঃ এই নিন ধরুন,ঠাণ্ডা হওয়ার আগেই খেয়ে ফেলবেন কেমন?
সায়নঃ কি এটা?
ছোঁয়াঃ আমার হাতের বানানো স্পেশাল জিঞ্জার টি
সায়নঃ চা!আর এখন!
ছোঁয়াঃ আপনি না বলছিলেন আজ আপনার ঠাণ্ডা লেগে যাবে,যাতে না লাগে তারজন্য এই ব্যবস্থা…
সায়নঃ কিন্তু…
ছোঁয়াঃ শসস…ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে সো…
সায়নঃ চায়ে ছোট করে একটা চুমুক দিলাম,বেশ কড়া আর ঝাঁঝালো একটা টেস্ট পেলাম তবে টেস্টটা কিন্তু বেশ ভাল
ছোঁয়াঃ কি কেমন লাগলো?
সায়নঃ হুম ভাল,আচ্ছা এর মধ্যে তুমি কি কি দিয়েছো বলবে?
ছোঁয়াঃ নরমাল চা বানাতে যা যা লাগে,তারসাথে একটা লবঙ্গ,দুইটা এলাচি,একটা দারুচিনি,একটু আদা,এক চিমটি লবণ,কয়েকটা তুলসীপাতা আর এক চামচ মধু।খেতে অতটা ভাল না জানি বাট কারো ঠাণ্ডা লাগলে এটা ইনেকটা ঔষধের মত কাজ করে
সায়নঃ খেতে কিন্তু অতটাও খারাপ না
ছোঁয়াঃ রিয়েলি!!!
সায়নঃ হুম আচ্ছা শোন,অনেক রাত হয়ে গেছে এবার বরং ঘুমিয়ে পড় কেমন?
ছোঁয়াঃ ওকে…চুপচাপ বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম,উনিও সোফায় গিয়ে শুয়ে পড়লেন।গুড নাইট…
সায়নঃ গুড নাইট…
চলবে…
#নোটঃ সারাদিন রোযা রেখে,ল্যাবে কাজ করে গল্প লেখার সময় পাই না আর ইফতারির পর লেখার কোন এনার্জিই পাইনা তাই কন্টিনিউ গল্প দিতে পারি না।এখন থেকে একদিন পর পর গল্প দিব,কারো যদি এতে প্রবলেম মনে হয় তাহলে সিম্পলি বলছি গল্পটা পড়ার দরকার নেই।শুধু শুধু আমাকে গালিগালাজ আর দোষারোপ করার চেয়ে আমার গল্পকে এভয়েড করুন নো প্রবলেম…