বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 37

তিথি হাঁটছে আর চোখের পানি মুছছে,,,রাস্তায় প্রচুর বাতাস,, হচ্ছে বাহিরে তো ঝড় চলছেই আর তিথির ভিতরে ও,,,তিথি একটা পার্কে যায় গিয়ে বসে একটা সিটে,,,বৃষ্টি ও শুরু হয়ে যায়,,তিথি ভিজছে বৃষ্টির পানির সাথে চোখের পানি মিশে যাচ্ছে,,,মনে পড়ে যায় অই দিনটি যা পাল্টে দেয় সব কিছু,,তিথি চলে আসার কারণ তিন বছর ধরে সবার কাছ থেকে দূরে থাকার কারণ
তিন বছর আগে,,,,,,
তিথি আবিরের দেওয়া শাড়িটা বুকে জড়িয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছে কখন বিকাল হবে,,
তিথিঃ আজ বজ্জাত আমাকে প্রোপজ করবে ইয়াহুউউউ ফাইনালি আমি বজ্জাত কে আজ বলতে পারবো যে আমিও তাকে ভালোবাসি,,,ইসস কি না লজ্জা লাগছে এই ভেবে যে কি ভাবে বলবো
নিজে নিজে লজ্জা পাচ্ছে আর ভাবছে অনেক কিছু,,স্বপ্নের দুনিয়ায় যেন সে আজ,,,হঠাৎ করে মনে পড়লো রিতুর কথা
তিথিঃ এতো বড় কথা আর রিতুকে না বলে আছি ইসস সে তো আমায় কাঁচা গিলবে না বললে,,,আমি জানি সব চেয়ে খুশি রিতু হবে আমার সব খুশিতে আগে খুশি হয়,,ওকে কল দিয়ে জানাই
তিথি তাড়াতাড়ি রুমে গিয়ে ফোন খুজতে থাকে,,ফোন টা বিছানায় পড়ে আছে আর সে পাগল এর মত খুজছে,,খুশিতে আতহারা হয়ে গেছে,,,ফোন টা খুজে রিতুকে কল দেয়,,,
রিতুঃ হ্যাঁ তিথি বল
তিথিঃ কই তুই তা আগে বল
রিতুঃ আ,,মি আ,,সলে আমি একটা কাজে আছি,,তুই কেন কল দিলি তা বল
তিথিঃ আজ আবির আমাকে প্রোপজ করবে(অনেক খুশি হয়ে)
রিতুঃ রেলি?(কিছুটা খুশি হয়ে) আমি অনেক হেপ্পি তোর জন্য ফাইনালি আবির তোকে প্রোপজ করবে,,ওয়াও
কথা গুলো শুনে একজন প্রচুর রেগে যায়,,,রাগে গ্লাস অনেক জোরে চাপ দেয় আর ভেঙ্গে হাতে ঢুকে,,রিতু তাড়াতাড়ি ফোন টা রেখে এসে বলে
রিতুঃ শিহাব তুমি ঠিক আছো?হাতে লাগলো কি ভাবে
শিহাব রিতুর হাতটা ঝাড়া দিয়ে বলে ড্রাম অফ করো ওকে
রিতুঃ শিহাব কি বলছো কি?

অই সময় নিয়া আসে,,হোটেলের রুমে,,,নিয়া এসে মুচকি হেসে বলে
নিয়াঃ ওয়াও শিহাব এতো জলদি কাজ হবে ভাবতে ও পারি নাই,,
রিতুঃ তুমি এখানে কি করছো?
নিয়াঃ তোমার মত মেয়েদের জানা আছে,,,প্রেম করেছো কয়দিন আর সোজা বেডে ওয়াও গ্রেট
শিহাব উঠে নিয়ার কাছে গিয়ে বলে
শিহাবঃ আবির আজ তিথিকে প্রোপজ করবে ওকে আটকাতে হবে,,,তিথির মনে আবিরের জন্য প্রচুর ঘৃনা জমাতে হবে যে তিথি আবিরের নাম পর্যন্ত না শুনতে পারে,,
নিয়া মুচকি হেসে একটা প্যাকেট বের করে বলে
নিয়াঃ আর এই কাজ করবে রিতু
রিতুঃ মানে?? কি বলছো তোমরা?শিহাব তিথির ক্ষতি কেন করতে চাও
শিহাবঃ তোর মত মেয়েরা আমার টাইপের না ওকে,,একদিন তোর মত মেয়েদের আমি ব্যবহার করি তারপর ছুড়ে ফেলে দেই,,দেখ জীবনে প্রথম আমি কাউকে লাভ করছি আর তা তিথি,,এতো সহজে আমি আবিরকে তিথি পেতে দিবো না,,আর নিয়া আবিরকে চায় আমি তিথিকে চাই ব্যস আর তুই সাহায্য করবি আমাদের,,,
রিতুঃ শিহাব তুমি তো আমায় ভালোবাসো তাহলে
নিয়াঃ হাহা তুমি কি মনে করলে শিহাব তোমার মত মেয়েকে লাভ করবে ওহ হ্যালো ইউ আর ডাম রেলি,,,
রিতুঃ শিহাব তুমি আমার সাথে এমন কেন করলে,,
শিহানঃ প্লিজ ড্রামা অফ কর, আর যা বলবো তাই করবে,না হয়
রিতুঃ আমি এমন কিছু করবো না ওকে,,আমি এখনই আবিরকে সব বলবো,,
নিয়া তার ফোন টা বের করে একটা ভিডিও প্লে করে আর রিতুর কাছে গিয়ে বলে
নিয়াঃ ওকে যাও বলো আমিও এই ভিডিও নেটে,ফেসবুকে সব জায়গায় ভাইরাল করে দিবো,,তখন কি করবে মুখ দেখাতে পারবে তো? তোমার পরিবার ওদের কি অবস্থা হবে ভেবে দেখো?ওকে ওকে যাও তুমি আমিও ভাইরাল করি তোমার এতো সুন্দর ভিডিও
রিতু নিচে বসে যায়,,কান্না করতে থাকে অনেক রিকুয়েস্ট করে কিন্তু নিয়া আর শিহাব কিছু শুনে না উল্টো হাসতে থাকে,,রিতুর মাথায় কিছু ডুকছে না কি করবে,,,
শিহাব আর রিতু একটা হোটেল রুমে,,,রিতু শিহাবকে ভালোবাসে আর শিহাব জানতে পারে যে রিতু তার প্রতি দুর্বল অই সুযোগ নেয় আর নিয়া আর শিহাব মিলে একটা প্লেন করে রিতুকে বাধ্য করে শিহাব এর সাথে সময় কাটাতে,,,আর এই সুযোগে ভিডিও করে যাতে রিতুকে ব্লাকমেইল করতে পারে,,আর তারা সাকসেস ও হয়েছে,,,রিতু চোখ মুছে বাধ্য হয় তাদের কথা মানতে,,,,
রিতুঃ ওকে আমি রাজি,,তারপর আমাকে এই ভিডিও দিয়ে দিবে প্রমেস করো
নিয়াঃ ওকে প্রমেস পেয়ে যাবে আগে কাজ তো করো,, আর শুনো আবিরের ব্যাপারে এই সব বলবে আর পিক গুলো দেখাবে,,আর লাস্টে তুমি ওর সাথে তোমার ফ্রেন্ডশিপ ভেঙ্গে দিবে,,ওকে আমি একা দেখতে চাই ও একা হলে শিহাব ওর লাইফে জায়গা করতে পারবে,,,এই পিক নকল তা শুধু আমরা জানি তিথি না,,,
রিতু না চাইতে নিয়া শিহাবের কথায় রাজি হয়,,,,রিতু ভাবে একবার ভিডিও গুলো হাতে পাওয়ার পর তিথিকে সব সত্যি বলে দিবে,,,, এই বিশ্বাস নিয়ে রিতু হোটেল থেকে বের হয়ে যায়,,তার নিজের উপর রাগ হচ্ছে সে তার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে এমন করতে,,,,
তিথি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নেয়,,বাসা থেকে বের হতেই যাবে তখন দেখে রিতু,,রিতুর মুখটা অনেক মলিন হয়ে আছে,,,
তিথিঃ কিরে মুখটা বাংলার পাঁচ বানিয়ে কেন রেখেছিস,,,
রিতু প্যাকেট টা তিথির সামনে নিয়ে বলে
রিতুঃ দেখ এই গুলো
তিথি প্যাকেটটা খুলে যা দেখে তার জন্য মোটে ও তেরি ছিলো না,,প্যাকেটে কিছু পিক যা আবির আর নিয়ার,,যেখানে খুব বাজে রকম পিক তিথি পিক গুলো ছুড়ে ফেলে দিয়ে বলে
তিথিঃ এই সব কি রিতু?ফাজলামি করার একটা লিমিট থাকে ওকে
রিতুঃ এই পিক দেখে ও তোর মনে হচ্ছে না কিছু,,,দেখ তিথি আবিরের মত বড় লোক ছেলেরা এমন হয়,,,ওদের কাছে মেয়েরা শুধু সময় কাটানোর একটা যন্ত্র ব্যস আর কিছু না,,,আবির তোকে ভালোবাসে না শুধু তোকে ধোকা দিচ্ছে,,,,,, সে তোকে সে মিথ্যা বলে ওর সাথে রাখতে চায়,,ওর কাছে তোর ফিলিংস সব কিছু মিথ্যা,,ওহ শুধু খেলছে সে তোকে নিয়ে তোর ফিলিংস নিয়ে ,, আবির তোকে কখনো ভালোবাসে না তিথি কখনো না
তিথিঃ চুপ অনেক বলেছিস তুই,, যা না তা বলেই যাচ্ছিস,,, আমার আবির এমন চিপ মাইন্ডের না ওকে,,,বাকি ছেলেদের মত আবির না,,,আবির যদি আমার সাথে খারাপ কিছু করার কথা মাথায় থাকতো না তাহলে সে আমাকে জঙ্গলে থাকা অবস্থায় করতো তখন সুযোগ ছিলো বুজলি কিন্তু সে আমাকে বাঁচিয়েছে সব কিছু থেকে,,,, আবির আমাকে ভালোবাসে শুধু বুজলি তুই
রিতুঃ তাহলে কি এই পিক গুলো মিথ্যা? আর পুরো ভার্সিটির মানুষ জানে আবিরের জিএফ নিয়া,,নিয়া কি ভাবে আবিরের সাথে থাকে আবির কখনো কিছু বলে না,,নিয়া আবিরের জিএফ সো এই সব হতেই পারে তুই মান আর না মান আবির একটা চিটার,,,,
তিথি প্রচুর রেগে যায় রিতুর উপর,,,তার বিশ্বাস হচ্ছে না আবির তাকে ধোকা দিবে,,আবির এমন,,রিতু তিথিকে রেগে বলে
রিতুঃ তুই আমাকে কেন বিশ্বাস করবি আমি কে হই?আসলে কি জানিস তিথি তুই একা থাকার যোগ্য ছোট বেলায় নিজের মাকে খেয়েছিস তারপর তোর বাবা চলে যায় কেউ তোর সাথে থাকতে চায় না,,তোকে কেউ কি ভাবে সহ্য করবে তুই তো এমন একটা মেয়ে যাকে সহ্য করার চেয়ে দূরে থাকা অনেক বেটার,,,তোর সাথে থেকে থেকে আমিও অনেক কিছু হারিয়েছি,,আমার মা বাবা সবাই আমাকে মানা করে তোর সাথে না চলতে কিন্তু আমি তারপর ও চলি কিন্তু তোর মত মেয়ে কখনো তা বুজবে না,,
তিথিঃ রিতু কি বলছিস এই,, দেখ আমার কথা শুন
রিতুঃ ব্যস তিথি অনেক বলেছিস,,,তোর জন্য আমার লাইফ অনেক হেল হয়েছে,,আমার লাইফে তুই আর আসবি না,,,আজকের পর তোর চেহারা ও আমাকে দেখাবি না,তোর ছায়াও আমার লাইফে যাতে না আসে,,,তুই কিছুর যোগ্য না কিছুর না,,,
তিথি থমকে দাঁড়িয়ে থাকে,,,রিতু এই ভাবে তাকে কথা শুনাবে তা ভাবতে ও পারে না,,রিতু যাওয়ার সময় বলে যায়
রিতুঃ অনেক সময় আমরা যা দেখি তা সত্যিও না হতে পারে,,হয়তো আমরা কোনো দুর্বলতার কারণে এমন টা করতে বাধ্য হই,,,
রিতু চলে যায়,,,তিথির প্রচুর কান্না আসছে,,,চোখের পানি মুছে নিজেকে শক্ত করে আবিরের কাছে যেতে লাগে আর নিজেকে নিজে শান্তনা দেয়
তিথিঃ তিথি তোর আবির এমন না,,আবির আমাকে কখনো ধোকা দিবে না এই পিক এই সব মিথ্যা,, আবির আমাকে ভালোবাসে,,তার চোখে আমার জন্য ভালোবাসা দেখেছি,,আবির আমায় ভালোবাসে আজ সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে আমি এখনই আবিরকে সব বলবো রিতুর কথা তারপর আমি আর আবির মিলে রিতুকে বোজাব সব ঠিক হয়ে যাব সব,,,
এই দিকে নিয়া জানতে পারে আবির কোথায়,, নিয়া আবিরের কাছে আসে এসে দেখে আবির টেবিলে নিজের হাতে ফুল দিয়ে সাজাচ্ছে,,,,মুখে অনেক হাসি,,,
নিয়াঃ আজ অনেক খুশি মনে হচ্ছে?
আবির পিছনে ঘুরে দেখে নিয়া,,
আবিরঃ আরে নিয়া তুমি এখানে
নিয়াঃ আসলে আমি একটা কাজে যাচ্ছিলাম হঠাৎ তোমায় দেখি তাই,,এতো কিছু কেন হুম
আবিরঃ আসলে আমি,,,

নিয়াঃ তিথিকে প্রোপজ করবে তাই তো?
আবিরঃ হুম তুমি কি করে বুজলে?
নিয়াঃ তোমার খুশির কারণ তো সে আমি জানি,,আমি অনেক হেপ্পি তোমাদের জন্য সত্যি
আবিরঃ ধন্যবাদ নিয়া,,,
নিয়া পিছনে তাকিয়ে দেখে তিথি গাড়ি থেকে নামছে তখন নিয়া আবিরকে বলে
নিয়াঃ তিথিকে কি কি বলবে
আবিরঃ আসলে আমি নিজে ও জানি না,একটু নার্ভাস ওকে কি ভাবে বলবো আমার ফিলিংস
নিয়াঃ আচ্ছা আমি সহজ করে দিচ্ছি তুমি ভাবো আমি তিথি আর তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমাকে তিথি ভেবে ওই সব বলো যা তোমার মনে আছে,এতে তোমারও সহজ হয়ে যাবে, আর তিথিও আসতে হয়তো লেট আছে তো সব কিছু অনেক বেটার হবে
আবিরঃ হুম তাও কথা,,ওকে ওয়েট
তিথি আবিরের কাছে তো আসে কিন্তু নিয়াকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়,,,আবির নিয়ার সামনে হাঁটু ঘেরে বসে আর নিয়ার সামনে একটা রিং ধরে চোখ বন্ধ করে আর ভাবে তার সামনে তিথি
আবিরঃ অনেক ভালোবাসি আমি তোমাকে অনেক বেশি,,,আমার নিশ্বাসে এখন তুমি মিশে আছো,,,জানি না কি ভাবে তোমায় এতো ভালোবেসেছি শুধু জানি তুমি ছাড়া আমি এখন শূন্য,,,আমার জীবনে তোমার জায়গা গুলো আর কেউ নিতে পারবে না,,,সব সময় তোমায় আগলে রাখবো এই বুকে,,,তোমার মুখের হাসির জন্য সব করবো,,,ভালোবাসি তোমায়,,,আমায় বিয়ে করবে প্লিজ,,মিসেস আবির রহমান হবে?কথা দিচ্ছি সব সময় তোমার পাশে থাকবো কখনো তোমায় কাঁদতে দিবো না,,,আই লাভ ইউ আই লাভ ইউ সো মাচ
কথা গুলো শুনে তিথি নিজের মধ্যে নেই,,,পিছনে পা যায় তার,,চোখের পানি যেন থামার নামও নিচ্ছে না,,,,,নিয়া আবিরের হাত থেকে রিংটা পড়ে নেয় আর আবিরকে জড়িয়ে ধরে
তিথি অই খানে আর দাঁড়াতে পারছে না,,,চোখের পানি আজ বাধা ও মানছে না,,,দৌড়ে চলে যায় অই খান থেকে যা নিয়ার নজরে পড়ে,,নিয়া মুচকি হাসে,,,আবির নিয়াকে সরিয়ে বলে
আবিরঃ কি করছো নিয়া,,এই রিং তিথির জন্য আর এই সব তিথিকে ভেবে বলেছি
নিয়াঃ এই সব শুনে তিথি না কখনো করতে পারবে না,,দেখবে এই ভাবে সে জড়িয়ে ধরবে,,,
আবিরঃ হুম তিথি এসে যাবে কিছু ক্ষন পর,, মাত্র ৪ টা বাযে কিছু কাজ আছে অই গুলো তাড়াতাড়ি করে নেই,,
নিয়াঃ ওকে আবির অল দ্যা বেস্ট,, আমি আসি তুমি তোমার তিথিকে বলে দিয়ো তোমার ফিলিংস,,,,
নিয়া চলে যায়,,আবির অপেক্ষা করতে থাকে তার তোতাপাখির জন্য ,,
এইদিকে তিথির পুরো দুনিয়া উলটে যায়,,রিতুর দেওয়া পিক নিয়াকে আবির ওই সব বলায় তিথি যেন নিজের মধ্যেই নেই,,চোখের পানি ধরে রাখতে পারছে না,,,রাস্তায় মাঝ খানে হাঁটতে থাকে,,,হঠাৎ একটা বাস আসছে অই দিকে তার খবর পর্যন্ত নাই,,কেউ একজন টান দেওয়ায় তিথি তাকিয়ে দেখে মামা
মামাঃ পাগল নাকি তুই রাস্তার মাঝ খানে কেন হাঁটছিস,,যদি কিছু হয়ে যেতো,, আর তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন কি হয়েছে
তিথি মামাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়,,,
মামাঃ কি হয়েছে মা বল আমায়,,,প্লিজ কান্না করিস না তোর কান্না আমার একদম সহ্য হয় না তা জেনে ও কেন কাঁদছিস
তিথিঃ মামা প্লিজ আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও,,প্লিজ মামা আমি এই শহরে থাকতে চাই না প্লিজ মামা আমাকে নিয়ে যাও এই শহর থেকে প্লিজ,, আমার ধম বন্ধ হয়ে আসছে,প্লিজ আমায় নিয়ে যাও প্লিজ মামা প্লিজ
তিথি প্রচুর কাঁদে তিথির কান্না দেখে মামার চোখে পানি আসে,,তিথিকে কিছু আর বলে না অই খান থেকে নিয়ে যায়,,,তারা ২ ঘন্টার মধ্যে ওই শহর ছেড়ে দেয়,,শুধু প্রয়োজনী কিছু জিনিস সাথে আনে,,,মামানি জিজ্ঞেস করায় মামা বলে উনার অফিসের কাজে তাদের শহর ছাড়তে হয়,,,
চট্টগ্রামে তিথি তো আসে কিন্তু তার হাসি, মন সব কিছু আবিরের কাছে রেখে আসে,,,,প্রতি রাতে কান্নায় বালিশ ভিজাতো তা কেউ না দেখলে ও মামা ঠিক দেখতো,,,কেটে যায় এক বছর কিন্তু তিথির মুখের হাসি যেন হারিয়ে যায়,,মামা তা সহ্য করতে না পেরে তিথির রুমে আসে এক সন্ধ্যায়
মামাঃ তিথি মা
তিথিঃ জ্বি মামা
মামা তিথির পাশে বসে,,অনেক ক্ষন চুপ থাকার পর তিথির হাতটা নিয়ে নিজের মাথার উপর রেখে বলে
মামাঃ আমার কসম লাগে প্লিজ আমায় বল তোর কি হয়েছে কেন তুই এমন চুপচাপ হয়ে গেলি,,,প্লিজ আমায় বল
তিথি মামাকে জড়িয়ে ধরে সব খুলে বলে,,,মামা তিথির মাথায় হাত বুলিয়ে বলে
মামাঃ আমি আবিরের সাথে কথা বলবো এমন ও হতে পারে যা তুই ভাবছিস তা মিথ্যা,, আমি আবিরের সাথে কথা বলবো
তিথিঃ প্লিজ মামা যেও না,,আমি নিজেকে সামলে নিবো প্লিজ মামা,,
মামাঃ চুপ একদম আমার সামনে আমার মেয়ে এই ভাবে কষ্ট পাবে আর আমি চুপচাপ দেখবো কখনো না,,আমি এখনই যাবো ঢাকা আর সব কিছু আবিরকে জিজ্ঞেস করবো বুজলি তুই,,, জিজ্ঞেস করবো কেন সে এমন করেছে,,,,
অই দিন মামা তিথির কথা শুনে না আর আবিরের সাথে দেখা করতে ঢাকা যায়,,কিন্তু ঢাকা যাওয়ার সময় গাড়ি এক্সিডেন্ট করে মামা,,,ওই দিন থেকে উনি কোমায়,,, তাকিয়ে থাকে সব শুনে কিন্তু কিছু বলতে পারে না,,,তিথি সব কিছুর জন্য আবিরকে দায়ী করে সে ভাবে যদি মামা অই দিন তার সাথে দেখা করতে না যেতো তাহলে মামার এমন অবস্থা হতো না,,
এই ভাবে কেটে যায় তিন বছর এই তিন বছরে তিথি আবিরকে ঘৃনা করে,আর রিতুর কোনো খবর ও নাই,,শিহাব পাগল এর মত খুজে তিথিকে সেও পায় না,,,নিয়ার প্লেন তো সাকসেস হলো কিন্তু আবিরকে কখনো নিজের করতে পারে নাই,,আবির তিথির জন্য অপেক্ষা করে,,,
বর্তমানে,,,

বৃষ্টিতে ভিজছে চোখের পানি ও পড়ছে,,,,হাতের মুটো শক্ত করে রাগী সুরে তিথি বলে
তিথিঃ আই হেট ইউ আই জাস্ট হেট ইউ মিস্টার আবির রহমান,, সব কিছু তোমার জন্য হয়েছে,,আমার মামার এই অবস্থা তোমার জন্য আজ তোমার জন্য আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আমার পাশে নাই,,,আমার লাইফ থেকে সব সুখ হাসি সব কিছু তুমি কেড়ে নিলে,,কেন এলে আমার লাইফে কেন(চিৎকার করে)
এই দিকে তিথিকে কোথায় দেখতে না পেয়ে সবাই তাকে খুজতে লাগে,,,আবিরের মাথায় কাজ করছে না তিথি কোথায় গিয়েছে,,
আকাশঃ আবির তিথির কি হয়েছে?
আবিরঃ কেন?তুই তিথিকে দেখেছিস?
আকাশঃ হ্যাঁ একটু আগে কান্না করতে করতে গেট দিয়ে বের হয়ে যায় আমি আওয়াজ ও লাগালাম কিন্তু শুনে নাই,,,
আবির চিন্তা করতে থাকে তিথি হঠাৎ এই ভাবে কেন গেলো তখন মনে পড়ে
আবিরঃ ওহ শিট নিশ্চিয় তখন আমি নিয়ার সাথে ফাজলামি করায় সুর মিলাতে রেগে গেছে আর কান্না করতে করতে বের হয় যায়,,শিট আমিও পাগল যে ওকে জেলাস ফিল করাতে গেলাম,আচ্ছা তুই এই দিক দেখ আমি ওকে খুজে নিয়ে আসি কেমন
আবির গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যায় তিথিকে খুজতে,,,তিথিকে চারপাশে অনেক খুজে কোথায় তাকে পাচ্ছে না,,ভয় ও করছে মেয়েটা রাতের বেলায় গিয়েছে কই,,,
চলবে,,,,,,