Childhood marriage

Childhood marriage 2 !! Part- 19

#পর্ব-১৯
#লেখিকা-সানজিদা সেতু
সায়নঃ এইতো এক্ষুণি,তোমার কি গার্ডেনিং এর শখ আছে নাকি?
ছোঁয়াঃ তা একটুতো আছেই,জানেন এখানকার বেশিরভাগ গাছই আমার হাতে লাগানো
সায়নঃ তাই নাকি!তাহলেতো বলতে হয় বেশ ভালই ঝোঁক আছে গার্ডেনিং এর
ছোঁয়াঃ সে যাই হোক আপনি হঠাৎ এইদিকে…কোনকিছু লাগবে?
সায়নঃ হ্যাঁ তাতো লাগবেই
ছোঁয়াঃ কি লাগবে বলুন,এক্ষুনি ব্যবস্থা করছি
সায়নঃ তাই?তাহলে আর ব্যবস্থা করতে হবে না,ব্যবস্থা হয়ে গেছে
ছোঁয়াঃ মানে?
সায়নঃ মানে আমার তোমাকে প্রয়োজন,কোন জিনিস না
ছোঁয়াঃ কি আবোল তাবোল বকছেন!
সায়নঃ আমি ঠিকই বলছি,সেই সকালে এ বাড়িতে এসেছি তারপর আর একবারও আমার খবর নিয়েছো?
ছোঁয়াঃ আপনি কখন কি করছেন সব খবরই কিন্তু আমি জানি
সায়নঃ বেশ,কিন্তু শুধু খবর নিলেই কি সব দ্বায়িত্ব শেষ হয়ে যায়?
ছোঁয়াঃ Okey fine,আমার ভুল হয়ে গেছে I am sorry.এখন বলেন কি করতে হবে
সায়নঃ চলো ওদিকটায় একটু হাটাহাটি করে আসি
ছোঁয়াঃ আচ্ছা চলেন

(কিছুক্ষণ পর)
ছোঁয়াঃ আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
সায়নঃ হুম কর
ছোঁয়াঃ তখন যে বলছিলেন আমার কালকের কথার হিডেন মিনিং বের করে ফেলেছেন ওটার মানে কি?
সায়নঃ তার আগে এটা বল সেদিন আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উল্টো তোমার ফ্যামিলি সম্পর্কে আমি কিছু জানি কিনা কেন জানতে চেয়েছিলে?
ছোঁয়াঃ আমি…আসলে…
সায়নঃ ওকে ফাইন,আমিই বলে দিচ্ছি।আসলে পুকুরের ওই পদ্মফুল দুইটার মাঝে তুমি তোমার মা আর বোনের ছায়া দেখতে পাও তাই সময় পেলেই ওখানে গিয়ে সুখ দুঃখের গল্প কর,কি ঠিক বললাম?
ছোঁয়াঃ না..মা..ম..মানে তেমন কিছু না..আ..আমি..আ..আসলে…
সায়নঃ I am sorry Chowa
ছোঁয়াঃ (অবাক হয়ে)সরি!কিন্তু…
সায়নঃ সেই ছোটবেলা থেকেই আমার সাথে যা যা ঘটেছে তারজন্য আমি সবসময় তোমাকেই ব্লেম করে এসেছি কিন্তু একবারও চিন্তা করে দেখিনি যে আমার থেকেও তোমার সাথে বেশি অন্যায় হয়েছে।তোমার কষ্টগুলো একবারও বোঝার চেষ্টা করিনি!
ছোঁয়াঃ কি বলব কিছুই বুঝতে পারছি না তাই চুপচাপ উনার সাথে হাঁটছি
সায়নঃ আমি জানি তুমি যে মাঝে মাঝে আমার সাথে শুধু শুধু ঝামেলা কর তার কারণটাও এটাই,একচ্যুয়ালি তুমিও আমাকেই দায়ী মনে কর সবকিছুর জন্য জাস্ট লাইক মি।But believe me we botha are sufferers so please try to forget everything.এখন থেকে জাস্ট এ্যাক্ট লাইক ফ্রেণ্ডস ওকে?
ছোঁয়াঃ আচ্ছা আমার কাছে আপনার একটা গিপ্ট পাওনা আছে না?এখন বলেন কি নেবেন
সায়নঃ এটাকে কি আমাদের ফ্রেণ্ডশিপের ফার্স্ট স্টেপ হিসেবে কাউন্ট করতে পারি?
ছোঁয়াঃ হুম…তা অবশ্য করা যায়,তো জাহাপনা,বলুন আপনার কি চাই এই বান্দা এক্ষুণি আপনার সামনে সব হাজির করবে
সায়নঃ লেট মি থিঙ্ক,হুম…পেয়েছি
ছোঁয়াঃ কি?
সায়নঃ কালকের দিনটা আমাকে দিতে হবে
ছোঁয়াঃ মানে?
সায়নঃ মানে তোমাদের এই এলাকায় আমি এই প্রথম আসলাম,সো এলাকাটা ঘুরিয়ে দেখানোর দ্বায়িত্বটা তোমার
ছোঁয়াঃ তারমানে আমরা কি আজকে এই বাড়িতে থাকছি?
সায়নঃ অফকোর্স থাকছি,আবার কবে আসবো তারতো ঠিক নেই সো…
ছোঁয়াঃ ইয়ে…Thank you thank you thank you so…much…
(ছোঁয়া যে খুশিতে সায়নকে জড়িয়ে ধরেছে খেয়ালই করেনি,যখন বুঝতে পারলো ছেড়ে দিয়েই ছুটে পালালো)
সায়নঃ (মুচকি হেসে)পাগলি একটা…

(রাতে)
সায়নঃ কোথায় যাচ্ছো?
ছোঁয়াঃ দিয়ার রুমে,আজকে ওর সাথেই ঘুমাব
সায়নঃ কেন এই রুমে কি প্রবলেম?
ছোঁয়াঃ আসলে এখানেতো সোফা নেই তাই…
সায়নঃ তাই তুমি অন্য রুমে যাচ্ছো তাইতো?
ছোঁয়াঃ হুম
সায়নঃ আচ্ছা তোমার মাথায় কি কোন সমস্যা আছে?
ছোঁয়াঃ মানে?
সায়নঃ মানে তুমি কি সবাইকে জানাতে চাইছো যে আনাদের সম্পর্কটা মোটেও স্বাভাবিক না?
ছোঁয়াঃ কিন্তু আমিতো…
সায়নঃ দেখো ছোঁয়া,ও বাড়িতে সবাই আমাদের ব্যপারটা জানে তাই কেউ কিছু মনে করে বাট এখানকার কারোরই এ ব্যপারে কোন ধারণা নেই আর আমি চাইনা ব্যপারটা কেউ জানুক।সো প্লিজ ট্রাই টু প্রিটেণ্ড লাইক এ হ্যাপি কাপল ওকে?
ছোঁয়াঃ আচ্ছা
সায়নঃ অনেক রাত হয়েছে,ঘুমিয়ে পড়
ছোঁয়াঃ কিন্তু…
সায়নঃ কিন্তু কি?আচ্ছা ওয়েট,ও কি বলতে চাইছে আমি বুঝতে পারছি তাই ঝটপট হাত চালাচ্ছি
ছোঁয়াঃ কি করছেন এসব?আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না
সায়নঃ বেডের ঠিক মাঝ বরাবর দুপাশের ওয়ালে একটা দড়ির দুই মাথা বেধে ফেললাম
ছোঁয়াঃ কি আশ্চর্য!আপনি কি করতে চাইছেন বলিবেন তো…
সায়নঃ আচ্ছা এই ঘরে কোন শাড়ি বা এই ধরণের বড় কোন কাপড় আছে?
ছোঁয়াঃ কেন কি করবেন?
সায়নঃ আছে কিনা বল
ছোঁয়াঃ এই লোক সবসময় এমন করে,আমার কোন কথারই উত্তর দিতে চায় না!প্রবলেমটা কি কে জানে…
সায়নঃ কি হল দেখো আছে কিনা,না থাকলে তোমার কয়েকটা ওড়না হলেও চলবে
ছোঁয়াঃ হ্যাঁ দিচ্ছি,আলমারি থেকে একটা বেডশিট আর আমার কয়েকটা ওড়না বের করে উনার হাতে ধরিয়ে দিলাম
সায়নঃ বেডশিট আর ওড়নাগুলোকে দড়ির উপর দিয়ে মেলে দিলাম,এখন আর এটাকে একটা বেড বলে মনে হচ্ছে না।মনে হচ্ছে পাশাপাশি দুটো রুমের দুটো আলাদা বেড!
ছোঁয়াঃ অবাক হয়ে উনার দিকে তাকিয়ে আছি।এ…এটা…
সায়নঃ আশা করি এখন আর তোমার ঘুমাতে কোন প্রবলেম হবে না
ছোঁয়াঃ আর কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়লাম
সায়নঃ আমিও শুয়ে পড়লাম,অনেক রাত হয়েছে ঘুমানোটা আসলেই অনেক দরকার…
রাত বেড়ে চলেছে,একই বিছানায় পাশাপাশি শুয়ে রয়েছে ওরা দুজন।পাশাপাশি থাকলেও দুজনের মধ্যে ব্যবধানটা অনেক বেশি কারণ ওদের মাঝে র‍য়েছে একটা কাপড়ের দেয়াল যার একপাশে রয়েছে ছোঁয়া আর অন্যপাশে সায়ন।কেউ কাউকে দেখতে পাচ্ছে না বাট দুজনের নিঃশ্বাসের শব্দও যেন দুজন অনুভব করতে পারছে!রাত যত গভীর হচ্ছে শব্দটা তত তীব্র হচ্ছে,প্রায় পুরো রাতটা নির্ঘুম কাটিয়ে শেষমেশ দুজনের চোখেই নেমে এলো ক্লান্তির ঘুম…

(সকালে)
যদিও কাল রাতে বেশ দেরি করে ঘুমিয়েছে তবুও ভোরের আলো ফুটে উঠতেই ঘুম ভেঙ্গে গেল সায়নের।কাপড়ের দেয়ালটা এখনও অমনই আছে কিন্তু ছোঁয়া…ছোঁয়া কোথায়?ওকেতো কোথাও দেখা যাচ্ছে না!হয়তো আগেই উঠে পড়েছে এটা ভেবে সায়ন বেডশিট আর ওড়নাগুলো নামাতে লাগলো।পর্দাটা সরে যেতেই মেঝের দিকে চোখ পড়লো সায়নের,আর পড়তেই অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো কারণ ছোঁয়া মেঝেতে শুয়ে আছে,এখনও ঘুমাচ্ছে।সায়নের হাসির শব্দে ওর ঘুম ভেঙ্গে গেল
ছোঁয়াঃ আপনি হাসছেন কেন?
সায়নঃ তুমি ওখানে কি করছো?
ছোঁয়াঃ এমা…আমি আবার পড়ে গেছি!
সায়নঃ মানে কি?তুমি কি ছোট বাচ্চা যে ঘুমের ঘোরে বিছানা থেকে পড়ে যাবে?
ছোঁয়াঃ আপনার যা ইচ্ছে ভাবতে পারেন কিন্তু এটাই সত্যি,আমি ঘুমের মধ্যে একটু বেশিই নড়াচড়া করি তাই স্পেস একটু বেশিই লাগে।আজকে স্পেসটা কম ছিল তাই…
সায়নঃ তাই নিচে পড়ে গেলে!হাহাহা…
ছোঁয়াঃ (রেগে গিয়ে)আপনি আবার হাসছেন!চুপ করেন বলছি,নাহলে কিন্তু খুব খারাপ হয়ে যাবে…
সায়নঃ হাহাহা মানুষ হাস্যকর কাজ করতে পারে আর আমি হাসতে পারিনা!
ছোঁয়াঃ না পারেন না

সায়নঃ প্রাণ খুলে হাসা আমার জন্মগত অধিকার তাই কেউ আমাকে আটকাতে পারবে না
ছোঁয়াঃ কেন আমি আটকাবো আপনাকে
সায়নঃ তাই নাকি?তা কিভাবে আটকাবে শুনি…সবাই যখন জানবে ছোঁয়া ঘুমের ঘোরে এসব করে তখন যে কি হবে ভাবলেই আমার হাসি চলে আসছে হাহাহা…
ছোঁয়াঃ আপনি আবার হাসছেন!চুপ করেন বলছি…
সায়নঃ পারছি না কিছুতেই হাসি আটকাতে পারছি না হাহাহা…
ছোঁয়াঃ আপনাকেতো আমি…
ছোঁয়া ছুটে গিয়ে সায়নকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মারতে লাগলো আর সায়ন নিজেকে বাঁচানোর জন্য ওর থেকে পালানোর চেষ্টা করতে লাগলো।এভাবে ছুটোছুটি করতে করতে একসময় নিজের অজান্তেই সায়ন ছোঁয়াকে বাহুবন্ধনে আবদ্ধ করে ফেলল।
কখন যে দুজন দুজনের এত কাছে চলে এসেছে বুঝতেই পারেনি,যখন বুঝতে পারলো দুজন দুজনকে ছেড়ে দিয়ে যার যার মত পালিয়ে বাঁচলো।
(কিছুক্ষণ পর)
ছোঁয়া বাড়ির পেছন দিকে কয়েকটা বাচ্চা ছেলে-মেয়ের সাথে খেলছিল।সায়ন ওদিকে গিয়ে পিচ্চিগুলোকে ইশারায় চলে যেতে বলল,ওরা চলে গেল
সায়নঃ তা আমরা আজকে কোথায় যাচ্ছি?
ছোঁয়াঃ (চমকে উঠে)ওহ আপনি?কখন আসলেন?
সায়নঃ এইতো এক্ষুনি,বললে নাতো আজকে আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে
ছোঁয়াঃ নিয়ে যাব মানে?আমাদের কি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল নাকি?
সায়নঃ That’s not fare Chowa,কালকের কথা আজকেই ভুলে গেলে!আমাকে না তোমাদের পুরো এলাকাটা ঘুরিয়ে দেখানোর কথা…
ছোঁয়াঃ ওহ সরি সরি,একদম ভুলে গিয়েছিলাম।আপনি একটু দাঁড়ান,আমি এক্ষুণি আসছি

বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে চলে এসেছে সায়ন আর ছোঁয়া,এখন একটা খালের ধার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে
সায়নঃ আমরা এদিকে কোথায় যাচ্ছি?
ছোঁয়াঃ আপনাকে একটা খুব ইম্পর্টেন্ট জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি
সায়নঃ কোথায়?
ছোঁয়াঃ সেটা গেলেই দেখতে পারবেন
সায়নঃ আর কতদূর?

ছোঁয়াঃ উফ!আপনি না বড্ড অধৈর্য,একটুতেই টায়ার্ড হয়ে যান এটা কিন্তু ঠিক না
সায়নঃ ওকে ফাইন,আর কিছু বলব না
(আরও কিছুক্ষণ হাঁটার পর ওরা একটা বিশাল আমবাগানে এসে হাজির হল)
ছোঁয়াঃ হুম আমরা এসে পড়েছি
(সায়ন একবার চারপাশটায় চোখ বুলিয়ে নিল)
সায়নঃ এটাই তোমার সেই ইম্পর্টেন্ট জায়গা!I just can’t believe this
ছোঁয়াঃ অফকোর্স এটা ইম্পর্টেন্ট জায়গা,এটা এই এলাকার সবচেয়ে বড় আমবাগান।আপনি জানেন এখানকার আমগুলো খেতে কত্ত মজা!
(সায়ন চোখ মুখ কুঁচকে ছোঁয়ার দিকে তাকালো,ছোঁয়া ততক্ষণে অলরেডি একটা ছোট খাট গাছ বেয়ে উঠতে শুরু করেছে।সায়নে ছুটে গিয়ে ওকে আটকালো)
সায়নঃ এই মেয়ে,কি করছো এসব?
ছোঁয়াঃ দেখছেন না,আমগাছে উঠছি।মাস্টার বাড়ির বাগানে ঢুকেছি অথচ আম না খেয়েই বেরিয়ে গেছি এইটাতো সম্ভব না…
সায়নঃ তাই বলে এভাবে গাছে উঠবে!হাত-পা ভেঙ্গে গেলে কি হবে…
ছোঁয়াঃ হুহ হাত-পা কেন ভাঙবে?আমিতো গাছে উঠতে পারি,কিচ্ছু হবে না আপনি সরেনতো…
সায়নঃ ওয়েট,তোমাকে গাছে উঠতে হবে না,আমিই পেড়ে দিচ্ছি
(সায়ন একটা লাঠি জোগাড় করে আম পাড়ার চেষ্টা করতে লাগলো)
ছোঁয়াঃ আরে আরে এত শব্দ করছেন কেন?তাড়াতাড়ি করুন নাহলে দারোয়ান জানতে পারলে খবর আছে…
সায়নঃ তারমানে তুমি চুরি করে আম খাচ্ছো!
ছোঁয়াঃ চুরি কেন হবে?এই বেটার বাড়িতে খাওয়ার মানুষ নাই অথচ কাউকে একটা আমও দেয় না!তাই…
সায়নঃ তাই বলে চুরি করবে!আচ্ছা ঠিক আছে,তোমার কাঁচা আম চাইতো?আমি ম্যানেজ করে দিচ্ছি,এখন এখান থেকে চলো…
ছোঁয়াঃ মোটেও না,আগে আম পাড়ব তারপর যাবো
সায়নঃ কি আশ্চর্য!এত জেদ করছো কেন?প্রশ্নতো আম নিয়ে তাইনা,আমিতো বলেছি ম্যানেজ করে দিব তারপরও…
ছোঁয়াঃ হুহ আমি এভাবে নিব না,হয় আপনি পেড়ে দেন নাহলে আমিই গাছে উঠব
সায়নঃ কিন্তু কেন?
ছোঁয়াঃ আরে বাবা,চুরি করে খাওয়ার যে মজা সেটা আপনি বুঝবেন না
সায়নঃ তাই বলে চুরি!
ছোঁয়াঃ আপনি পাড়বেন নাকি আমি গাছে উঠব?
সায়নঃ এই না না,আমি পাড়ছি…
সায়ন ঝটপট কয়েকটা আম পেড়ে নিয়েই দৌঁড় দিল,সেটা দেখে ছোঁয়ার সেকি হাসি!যাইহোক আমটা যখন ছোঁয়া কাঁচা মরিচ,বীট লবণ আর সরিষা বাটা দিয়ে মেখে সায়নের দিকে বাড়িয়ে ধরল সায়নতো ভয়ে একেবারে জমে গেল।সায়ন টক একেবারেই খেতে পারে না তাই এক কামড় দিয়েই রেখে দিল,মনে মনে ভাবছে এত টক মানুষে খায়?কিন্তু ছোঁয়ার দিকে চোখ পড়তেই থমকে গেল,এই মেয়ের মুখের এক্সপ্রেশন দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছে।সায়ন আর কিছু বলতে পারলো না চুপচাপ ছোঁয়ার খাওয়া দেখতে লাগলো…

সায়নঃ এখন আবার কোথায় যাচ্ছি?
ছোঁয়াঃ আমার স্কুলে
সায়নঃ কেন?ওখানে আবার কি আছে?
ছোঁয়াঃ কি নেই তাই বলেন,ওখানকার ভেলপুরি আর ফুচকা যদি একবার খেয়েছেন জীবনেও ভুলতে পারবেন না
সায়নঃ এই না না,আমি ওসব একদম খেতে পারি না
ছোঁয়াঃ একবার ট্রাইতো করে দেখেন
সায়নঃ মোটেও না,এসব জাঙ্কফুড আমি মুখেও তুলবো না
ছোঁয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে,আপনাকে খেতে হবে না।আমি খাব,আপনি বসে বসে দেখবেন ঠিক আছে?
সায়নঃ ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ এইতো আমরা চলে এসেছি।চাচা(ফুচকাওয়ালা)কেমন আছো?
চাচাঃ আরে ছোঁয়া মা!কেমন আছিস রে মা?
ছোঁয়াঃ একদম ফার্স্টক্লাস,এখন এক কাজ করতো দুইপ্লেট ফুচকা আর একপ্লেট ভেলপুরি বেশি করে টক আর ঝাল দিয়ে তাড়াতাড়ি দাও
চাচাঃ আচ্ছা মা,এক্ষুণি দিচ্ছি
সায়নঃ দুইপ্লেট ফুচকা আর এক প্লেট ভেলপুরি!এই মেয়ে কি রাক্ষস নাকি!
(ফুচকাওয়ালা চাচা সবকিছু রেডি করে দিতেই ছোঁয়া সায়নের দিকে একটা প্লেট এগিয়ে ধরলো)
সায়নঃ বললাম না,আমি এসব একদম খাই না..
ছোঁয়াঃ আরে বাবা,খান না তো কি হয়েছে,একবার ট্রাইতো করে দেখেন…
সায়নঃ ছোঁয়া…

ছোঁয়াঃ আপনার ইচ্ছে হলে খান নাহলে চুপ করে বসে থাকেন,আমি বাবা আর ওয়েট করতে পারছি না…
(ছোঁয়া আর দেরি করল না,সায়নের হাতে প্লেটটা ধরিয়ে দিয়েই ঝটপট খেতে লাগলো।একটা করে খাচ্ছে আর ওর মুখের এক্সপ্রেশন চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে,ব্যপারটা সায়ন বেশ উপভোগ করছে।ছোঁয়া ব্যপারটা খেয়াল করতেই ওর দিকে বড় বড় করে তাকালো)
ছোঁয়াঃ কি দেখছেন?
চলবে…