Childhood marriage

Childhood marriage 2 !! Part- 18

#পর্ব-১৮
#লেখিকা-সানজিদা সেতু
সায়নঃ আসতে পারি?
ছোঁয়াঃ (চমকে উঠে)আরে আপনি!কিছু কি লাগবে?
সায়নঃ কেন এমনিতেই কি আসতে পারি না?
ছোঁয়াঃ না মানে ঠিক তা না…
সায়নঃ আচ্ছা তোমার এক্সাম কবে?
ছোঁয়াঃ আগামী পরশু,লাস্ট এক্সাম
সায়নঃ তারমানে তো তোমাকে বেশ ঝামেলায় ফেলে দিলাম…
ছোঁয়াঃ ঝামেলা!কিসের ঝামেলা?
সায়নঃ এই যে তোমার এক্সাম আর আমার জন্য কাল সারারাত জেগে থাকতে হল,একটুও পড়াশোনা করতে পারলে না…
ছোঁয়াঃ না না এটা তেমন কোন ব্যাপার না,আপনি না আসলেও এই এক্সামটা আমার এমনিতেও খারাপ হত
সায়নঃ কিন্তু কেন?
ছোঁয়াঃ আসলে হায়ার ম্যাথ এক্সামতো আর এই সাবজেক্টটা আমি এমনিতেই একটু কম বুঝি তাই যাই করি না কেন এক্সামটা একটু খারাপই হবে
সায়নঃ তাই নাকি?কিন্তু হায়ার ম্যাথতো অনেক ইন্টারেস্টিং একটা সাবজেক্ট
ছোঁয়াঃ (অবাক হয়ে)এই জঘন্য সাবজেক্ট আবার ইন্টারেস্টিং হয় কিভাবে?
সায়নঃ আসল মজাটা ধরতে পারো নি তাই তোমার কাছে এমন লাগছে।আচ্ছা একটা কাজ করলে কেমন হয়,আমি যদি এটাতে তোমাকে হেল্প করি?
ছোঁয়াঃ না না তার আর দরকার হবে না,আমি ম্যানেজ করে নিব
সায়নঃ Just as a compensation I mean কাল রাতে তুমি আমার জন্য এতকিছু করলে আর আমার জন্যেইতো কাল তোমার পড়াশোনার এত ক্ষতি হয়ে গেল সো…
ছোঁয়াঃ আপনি কিন্তু শুধু শুধু নিজেকে ব্লেম করছেন
সায়নঃ আচ্ছা ওটা নাহয় বাদ দিলাম বাট এখনতো আমরা ফ্রেন্ড তাইনা?সো ফ্রেণ্ড হিসেবে এইটুকু হেল্পতো করতেই পারি কি বল?
ছোঁয়াঃ কিন্তু…

সায়নঃ ব্যাস,আর কোন কথা শুনতে চাই না।চুপচাপ ঐ ঘরে চল,বেশি সময় নেই সো তোমার কোন কোন টপিকে প্রবলেম সেগুলোই আগে করব কেমন?
ছোঁয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে বাট বিনিময়ে আপনাকেউ কিন্তু আমি কিছু দিলে একসেপ্ট করতে হবে ঠিক আছে?
সায়নঃ ঠিক আছে বাট কি দেবে?
ছোঁয়াঃ আপনি যা চাইবেন…
সায়নঃ যা চাইব তাই পাব?
ছোঁয়াঃ অবশ্যই,আমি কখনও কোন মিথ্যে আশ্বাস দেই না
সায়নঃ এখনও সময় আছে ভেবে দেখো,যা চাইব তাই কিন্তু দিতে হবে
ছোঁয়াঃ আমি ভেবেই বলেছি,আমি ওসবে মোটেও ভয় পাই না
সায়নঃ ওকে ফাইন তাহলে তাই হবে
ছোঁয়াঃ হুম বাট কি চাই আপনার?
সায়নঃ সেটা সময় হলেই জানতে পারবে,আপাতত পড়াশোনাটা তো শুরু করি…
ছোঁয়াঃ আচ্ছা চলুন…

(দুদিন পর)
আজকে ছোঁয়ার এক্সাম শেষ হয়ে গেল,এই দুদিন সায়ন ওকে অনেক হেল্প করেছে তাই এক্সামটা বেশ ভালই হয়েছে।বেশ কিছুক্ষণ হয়ে গেল ছোঁয়া বাড়ি ফিরেছে,ফিরেই সায়নকে থ্যাঙ্কস জানাতে চেয়েছিল কিন্তু সায়ন তখন ঘুমাচ্ছিল তাই আর ডিস্টার্ব করেনি।
ছোঁয়া এখন বসে আছে এ বাড়ির সান বাঁধানো পুকুরপাড়ে,দুপুরের পর এই সময়টাতে সময় পেলেই ও এখানেই এসে বসে থাকে।সেই প্রথম যেদিন এ বাড়িতে এসেছিল তখন থেকেই জায়গাটা ওর অনেক পছন্দ তাই সময় পেলেই এখানে এসে বসে থাকে।
সায়নঃ ছোটবেলার অভ্যাসটা এখনও যায় নি দেখছি
(হঠাৎ সায়নের কণ্ঠ শুনে পেছনে ফিরে তাকালো ছোঁয়া)
ছোঁয়াঃ ওহ আপনি?কখন উঠলেন?
সায়নঃ এইতো কিছুক্ষণ আগে,বসতে পারি?
ছোঁয়াঃ হ্যাঁ অবশ্যই প্লিজ…
সায়নঃ তোমার এক্সাম কেমন হল?
ছোঁয়াঃ যা এক্সপেক্ট করেছিলাম তার থেকে অনেক ভাল।Thanks to you obviously…
সায়নঃ My pleasure.তা এখনও এখানে বসা হয়?
ছোঁয়াঃ হ্যাঁ সময় পেলেই বসি,অনেক ভালোলাগে
সায়নঃ ওহ
ছোঁয়াঃ আমি এখানে কেন বসে থাকি জানেন?
সায়নঃ নো আইডিয়া বাট ছোটবেলাতেও তোমাকে দেখতাম মাঝে মাঝেই এখানে বসে থাকো,কোন স্পেশাল কারণ আছে নিশ্চয়
ছোঁয়াঃ যেদিন প্রথমবার এ বাড়িতে আসলাম সেদিনই দেখেছিলাম পুকুরের একপাশে এই জায়গাটাতে দুটো পদ্মফুল ফুটে আছে যাদের একটা ছোট আর অন্যটা বেশ বড়
সায়নঃ পদ্মফুল!ইউ মিন এখন যে দুটো দেখতে পাচ্ছি?
ছোঁয়াঃ হুম,সেদিনের পর থেকেই খেয়াল করে দেখেছি সবসময়ই ঠিক এই জায়গাটাতে দুটো করেই ফুল ফোটে,একটা ছোট আর অন্যটা বেশ বড়
সায়নঃ রিয়েলি!ইটস সো স্ট্রেঞ্জ!বাট এটার সাথে তোমার কি সম্পর্ক?
ছোঁয়াঃ আচ্ছা আপনি কি আমার ফ্যামিলির ব্যাপারে কিছু জানেন?
সায়নঃ না তেমন কিছুতো জানিনা,আশরাফ চাচাকে মাত্র কয়েকবার দেখেছি এর বাইরে আর তো কাউকেই দেখিনি ইভেন তোমাকেও বিয়ের আগে মাত্র একবার…
(সায়ন থমকে দাঁড়ালো,মনে হল যেন গভীরভাবে কিছু চিন্তা করছে।ছোঁয়াও আর কথা বাড়ালো না,উঠে বাড়ির দিকে হাঁটা ধরলো)

(রাতে)
সায়নঃ কোথায় যাচ্ছো?
ছোঁয়াঃ দাদীর ঘরে ঘুমাবো
সায়নঃ কেন এই ঘরে কি প্রবলেম?
ছোঁয়াঃ আপনিইতো বলেছিলেন আমাকে ঐ ঘরে থাকতে আর সরি আমার এক্সাম চলছিল তাই এই কয়েকদিন আপনাকে কষ্ট দিয়েছি।আসলে দাদীর রুমে থাকলে রাত জেগে পড়া যেত না তাই…
সায়নঃ শসসসস…
ছোঁয়াঃ টেবিলে পানি রেখে দিয়েছি আর যদি অন্য কোন দরকার পড়ে তাহলে আমাকে জানাবেন ঠিক আছে?
সায়নঃ ছোঁয়া…

ছোঁয়াঃ জ্বি?
সায়নঃ হাতের বালিশ কাঁথা সব যেখানে ছিল ওখানেই রেখে দাও
ছোঁয়াঃ কিন্তু…
সায়নঃ যা বলছি তাই কর
ছোঁয়াঃ কি করব বুঝছি না,এই লোকের মাথায় কখন যে কি চলে আল্লাহই ভাল জানে।আগে জানতাম মেয়েদের ষোল কলা এই লোকের দেখছি ষোল দুগুনে বত্রিশ কলা!
সায়নঃ এই মেয়ে আবার কি ভাবছো?
ছোঁয়াঃ কই কিছু নাতো
সায়নঃ তাহলে কি বলছি শুনতে পাওনি?
ছোঁয়াঃ পেয়েছি কিন্তু…
সায়নঃ নাহ এই মেয়ে এভাবে শুনবে না,ওর হাত থেকে সবকিছু নিয়ে জায়গামত রেখে দিলাম
ছোঁয়াঃ আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না
সায়নঃ তোমাকে অতকিছু বুঝতে হবেও না,এখন থেকে তুমি বেডে ঘুমাবে আর আমি সোফায় ঠিক আছে?
ছোঁয়াঃ কিন্তু…
সায়নঃ কোন কিন্তু না,এটা আমার ঘর সো আমি যা বলব তাই হবে বোঝাতে পেরেছি?
ছোঁয়াঃ হুম
সায়নঃ অনেক রাত হয়েছে এখন ঘুমিয়ে পড়,আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে সো গুড নাইট।আমি সোফায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম
ছোঁয়াঃ গুড নাইট
সায়নঃ আর শোন
ছোঁয়াঃ জ্বি?
সায়নঃ কাল সকালে রেডি থেকো একটা জায়গায় নিয়ে যাব
ছোঁয়াঃ কোথায়?
সায়নঃ সেটা গেলেই জানতে পারবে
ছোঁয়াঃ কিন্তু…
সায়নঃ গুড নাইট
ছোঁয়াঃ আচ্ছা শোনেন…
সায়নঃ কি?
ছোঁয়াঃ আমার কাছে না আপনার একটা গিপ্ট পাওনা ছিল…
সায়নঃ হ্যাঁ তো?
ছোঁয়াঃ কি গিপ্ট নিবেন বলেন
সায়নঃ কথা কি ছিল মনে আছে তো?
ছোঁয়াঃ অবশ্যই,বলেছিলাম যা চাইবেন তাই পাবেন।আমি আমার কথা রাখব,আপনি শুধু একবার বলেই দেখুন না…
সায়নঃ হুম সেটা নাহয় কালকেই বলব
ছোঁয়াঃ আবার কালকে?
সায়নঃ হুম,তোমাকে যেখানে নিয়ে যাব ওখানে গিয়ে বলব
ছোঁয়াঃ আচ্ছা…আল্লাহই জানে এই ব্যটা আবার কি মতলব আঁটছে,তবে যাই হোক আই এ্যাম রেডি
সায়নঃ ভাবনা চিন্তা বন্ধ হলে এবার কি ঘুমানো যায়?
ছোঁয়াঃ উনার কথা শুনে চুপচাপ বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম
সায়নঃ গুড নাইট
ছোঁয়াঃ গুড নাইট

(পরদিন সকালে)
বেশ সকাল সকালেই ছোঁয়াকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছে সায়ন,ছোঁয়া অনেকবার জানতে চেয়েছে ওরা কোথায় যাচ্ছে বাট সায়নের ওই একই জবাব গেলেই জানতে পারবে।শেষে ছোঁয়া একেবারে হাল ছেড়ে দিয়েছে,রিক্সায় চুপচাপ সায়নের পাশে বসে আছে।দুজনের মধ্যে বেশ খানিকটা গ্যাপ যেটা নরমালি দুজন মানুষ রিকশায় উঠলে থাকে না কিন্তু ওরা দুজনই দুদিকে একটু সরে বসেছে যার ফলে এই গ্যাপটা তৈরী হয়ে গেছে।সায়নের কেন যেন ভয় হচ্ছে যে ছোঁয়া যেকোন সময় রিকশা থেকে পড়ে যেতে পারে তাই ওর পেছন দিয়ে হাত দিয়ে ওপাশের হ্যাণ্ডেলটা ধরে রেখেছে যাতে জরুরী মুহূর্তে ব্যাকআপ দিতে পারে।প্রায় দশ মিনিট হল ওরা রিকশায় উঠেছে কিন্তু ছোঁয়া এর মধ্যে একটা কথাও বলেনি,ব্যাপারটা সায়নের কাছে একটুও ভাল লাগিছে না,কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগছে
সায়নঃ ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ জ্বি?
সায়নঃ এমন চুপ করে আছো যে?
ছোঁয়াঃ কি করব,আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করলেতো ঠিকমত কোন উত্তরই পাচ্ছি না
সায়নঃ তাই নাকি?আচ্ছা ঠিক আছে তোমার কি প্রশ্ন আছে এবার করতে পারো,সব উত্তর পেয়ে যাবে
ছোঁয়াঃ প্রমিজ?
সায়নঃ হুম

ওরা যখন কথা বলছিল তখনই রিক্সাটা একটা গর্তে পড়ল,এত জোরে ঝাঁকি দিয়ে উঠল যে আরেকটু হলেই ছোঁয়া নিচে পড়ে যেত!যাই হোক সায়ন কোনমতে এই যাত্রায় ওকে বাঁচিয়ে দিল,ওর পেছন দিয়ে বাড়িয়ে রাখা হাতটা দিয়ে শক্ত করে ওর কোমড় পেঁচিয়ে ধরে নিযের দিকে টেনে নিয়ে আসলো।
সায়নঃ (রেগে গিয়ে)এই মামা,আপনাকে না বললাম একটু দেখে শুনে চালান,জোরে যাওয়ার দরকার নেই তারপরও এভাবে…আরেকটু হলেইতো…
ছোঁয়াঃ ইটস ওকে,আমি ঠিক আছি।এই মামা,আপনি আপনার মত করে চালানতো
সায়নঃ বললেই হল!এই মামা,আপনি আস্তে আস্তে চালান
(ছোঁয়া এতক্ষণে খেয়াল করল যে সায়ন ওকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে,এবার ওর বেশ আনইজি ফিল হচ্ছে)
ছোঁয়াঃ এখনতো সব ঠিক আছে,এবার একটু সরে বসুন প্লিজ আর আমাকে ছেড়ে দিলে ভাল হয়
সায়নঃ মোটেও না,আমি ছেড়ে দেই আর আবার একই সিচুয়েশান হোক তাইনা?যেভাবে বসে আছো চুপচাপ বসে থাকো
ছোঁয়াঃ কিন্তু…
সায়নঃ শসসস….
(ছোঁয়া আর কথা বাড়ালো না,এতক্ষণ খেয়াল করেনি কিন্তু এবার আশেপাশে তাকাতেই পুরো ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয়ে গেল)
ছোঁয়াঃ আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
সায়নঃ কি কথা?
ছোঁয়াঃ আমরা কি আমার বাড়িতে যাচ্ছি?
সায়নঃ কি মনে হয়?
ছোঁয়াঃ আপনি সবসময় এভাবে ঘুরিয়ে উত্তর দেন কেন?সোজাসুজি কথা বললে কি এমন ক্ষতি হয়ে যায়?
সায়নঃ আচ্ছা ঠিক আছে সোজাসুজিই বলছি,আমরা এখন তোমাদের বাড়ি যাচ্ছি তোমার মা আর ছোটবোনের সাথে দেখা করতে
ছোঁয়াঃ সত্যি!Thank you thank you thank you so…much
(এক্সাইটমেন্টে ছোঁয়া খেয়ালই করেনি যে ও সায়নকে জড়িয়ে ধরেছে,যখন বুঝতে পারলো তখনই একটু সরে বসলো)
ছোঁয়াঃ একটা রিকুয়েস্ট করব?
সায়নঃ হুম কর
ছোঁয়াঃ প্লিজ একটু সরে বসুন আসলে গ্রামের মধ্যে এভাবে ভাল দেখায় না তাই…
(ছোঁয়ার কথা শুনে সায়ন ওকে ছেড়ে দিয়ে একটু সরে বসলো)
সায়নঃ এখন কমফোর্টেবল?
ছোঁয়াঃ হুম।আচ্ছা আপনার হঠাৎ এখানে আসার চিন্তা মাথায় আসলো কি করে?
সায়নঃ আসলে অনেক ভেবে দেখলাম আমি আসলেই তোমার ফ্যামিলি সম্পর্কে তেমন কিছুই জানিনা আর এটা আমার খুবই অন্যায় হয়েছে আর তাছাড়া তোমার কালকের কথাগুলোর একচ্যুয়াল মিনিংটাও বোধহয় ধরতে পেরেছি তাই…
ছোঁয়াঃ একচ্যুয়াল মিনিং!সেটা কি?
সায়নঃ সেটা পরেও বলা যাবে,আপাতত রিকশা থেকে নামো আমরা চলে এসেছি

বিয়ের পরে এই প্রথম সায়ন ছোঁয়াদের বাড়িতে এসেছে,ছোঁয়ার মা তাই কি করবে আর কি না করবে কিছুই বুঝতে পারছে না।ছোঁয়ার ছোটবোন দিয়ারও ওই একই অবস্থা।আসলে সায়নের সাথে কখনই সেভাবে কথা বলার সুযোগ হয়নি ওদের,ইনফ্যাক্ট ছোঁয়া সাথে না আসলে হয়তো সায়নকে ওরা চিনতেই পারতো না।আসলে ওদের বিয়ের প্রায় সাত বছর হতে চলল,এরমধ্যে ছোঁয়া মাঝে মাঝেই এ বাড়িতে এসে ঘুরে গেছে কিন্তু বৌভাতের পর আর কখনই কেউ সায়নকে দেখেনি।এই প্রথম জামাইকে আপ্যায়নের সুযোগ পেয়ে আয়েশা বেগম যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছেন,আপ্যায়নের কোন ত্রুটি রাখছেন না কিন্তু ছোঁয়াকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।সেই সকালে এ বাড়িতে এসেছে,এখন বিকেল হয়ে গেল অথচ এই মেয়ের কোন খবর নেই!একরকম বাধ্য হয়েই সায়ন দিয়াকে ছোঁয়ার কথা জিজ্ঞেস করে বসলো।
ছোঁয়ার ছোটবোনের নাম দিয়া,ওর থেকে মাত্র বছর দুয়েকের ছোট কিন্তু ছোঁয়ার সাথে ওর সম্পর্কটা অতটা গভীর নয় কারব একটাই ছোঁয়ার যখন এ বাড়ি ছেড়ে চলে যায় তখন ও অনেক ছোট তাই খুব বেশিদিন ছোঁয়ার সাথে কাটানোর সৌভাগ্য ওর হয়ে উঠেনি।যার ফলে সম্পর্কটাও অতটা গভীরতা পায়নি,অনেকটা কাজিনদের মধ্যে যেমন রিলেশন হয় সেই রকম সম্পর্ক ওদের মধ্যে।সায়ন এ বাড়িতে আসার পর থেকেই এক রকম পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে দিয়া তাই সায়ন হঠাৎ ওকে ডাকায় প্রথমে বেশ চমকে গেল তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে ওকে ছোঁয়ার কাছে নিয়ে গেল।ছোঁয়া তখন বাড়ির পেছেনের ফুলের বাগানটাতে গাছগুলোর দেখাশোনায় ব্যস্ত ছিল তাই ওরা এসেছে খেয়ালই করেনি।
দিয়াঃ দুলাভাই,আপনারা কথা বলেন আমি একটু আসছি
সায়নঃ আচ্ছা…

(দিয়া চলে গেল)
সায়নঃ একা একা এখানে কি করছো?
ছোঁয়াঃ (চমকে উঠে)ও আপনি?কখন এলেন?
চলবে….
#শুরুতেই বলে রাখি কাল কিন্তু গল্প দিতে পারব না,সো কেউ প্লিজ অপেক্ষা করবেন না।প্রজেক্ট পেপার লেখা নিয়ে সপ্তাহ খানেক অনেক ব্যস্ত থাকব আর রোজার মাস তাই ঠিকমত লিখতেও পারছি না।আশা করি আমার প্রবলেমটা সবাই বুঝতে পারছেন।যাই হোক যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি দেয়ার চেষ্টা করব।কেমন লাগছে জানাতে ভুলবেন না প্লিজ….