Childhood marriage 2 ! Part- 10
#লেখিকা-সানজিদা_সেতু
মা রহিমকে ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে সায়নকে রুমে নিয়ে আসলেন তারপর পুরো শরীরে ঠাণ্ডা বরফ আর আরো কি কি যেন লাগালেন।তাতে একটু আরাম মিললেও জ্বালাপোড়া পুরোপুরি ঠিক হল না।একটু পরেই রহিম ডক্টর চাচাকে নিয়ে আসলো।ডাক্তার চাচা সায়নকে দেখেই পুরো কাহিনী বুঝে ফেললেন কিন্তু সায়নের অনুরোধে কাউকে কিছুই বললেন না।কয়েকটা ঔষধ আর অয়েন্টমেন্ট দিয়ে চলে গেলেন
সায়নঃ ইচ্ছে করেই ডক্টর চাচাকে কিছু বলতে বারণ করেছি।কারণ একটাই ওই পাঁজি মেয়েটার ব্যবস্থা আমি নিজেই করব,ওর জন্যে আমি একাই যথেষ্ট…
(এদিকে স্কুলে)
লোপা একটু পর পর ছোঁয়ার দিকে তাকাচ্ছে,আজ ওকে একটু অন্যরকম লাগছে,যত দেখছে ততই অবাক হচ্ছে।
লোপাঃ ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ হুম?
লোপাঃ কি ব্যাপার বলতো?
ছোঁয়াঃ কি ব্যাপার?কোন ব্যপার নেইতো
লোপাঃ সকাল থেকে দেখছি একটু পর পর মুচকি মুচকি হাসছিস,কাহিনী কি?
ছোঁয়াঃ এতক্ষণ যাও একটু কন্ট্রোল করছিলাম,লোপার কথা শুনে আর পারলাম না।এতক্ষণতো মুচকি মুচকি হাসছিলাম,এবার একেবারে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লাম
লোপাঃ এই যে আবার পাগলের মত হাসছিস,আরে বাবা কি হয়েছে সেটাতো বল,আমিও নাহয় তোর সাথে একটু হাসি
ছোঁয়াঃ ঐ বান্দরটা…হিহিহি…
লোপাঃ ছোঁয়া…হাসি বন্ধ কর আর পুরো কাহিনী খুলে বল
ছোঁয়াঃ কি করব,লোকটার এতক্ষণে কি অবস্থা হয়েছে ভাবলেই আমার…হিহিহি
লোপাঃ কোন লোকটা?আর কি করেছিস তুই?
ছোঁয়াঃ ঐ যে কালকে যেই বেয়াদবটার জন্যে ক্লাসে লেট হল তাকে আজকে…হিহিহি…হিহিহি
লোপাঃ আর সহ্য হচ্ছে না তাই ছোঁয়াকে বেশ জোরেই একটা ধমক দিলাম।ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ লোপার ধমক খেয়ে ওর দিকে বড় বড় করে তাকালাম
লোপাঃ চুপ একদম চুপ,আর একবার হাসলে না তোর সব কয়টা দাঁত খুলে নিয়ে ইঁদুরকে খাওয়াবো এই আমি বলে দিলাম
ছোঁয়াঃ এ্যা এ্যা এ্যা তুই আমাকে এভাবে বলতে পারলি!
লোপাঃ বেশ করেছি,আর একবার যদি প্যান প্যান করিস তাহলে যা বলেছি সব সত্যি সত্যি করে দেখাব
ছোঁয়াঃ লোপা…
লোপাঃ চুপ কর
ছোঁয়াঃ এই রে এ দেখি সত্যি সত্যিই রেগে গেছে।ভয়ে ভয়ে মুখে আঙুল দিয়ে দাঁড়ালাম
লোপাঃ দ্যাটস বেটার।এবার প্রথম থেকে বল আবার কি অকাজ করে এসেছিস
ছোঁয়াঃ অকাজ কেন করব?যা করেছি শুনলে না তুই আমাকে বাহবা দিবি
লোপাঃ আগে বলতো,তারপর দেখা যাবে কি করা যায়
ছোঁয়াঃ ওকে সব খুলে বললাম
লোপাঃ ছোঁয়া তুই…তুই কি জানিস তুই কি করেছিস?ওই বুনো বিছুটিগুলো..আল্লাহই জানে মানুষটার এখন কি অবস্থা।How could you do this Chowa!আমি জাস্ট ভাবতে পারছি না,ফাযলামির একটা লিমিটেশন থাকা উচিত
ছোঁয়াঃ এ্যা হে আমি ভাবলাম তুই আমাকে বাহবা দিবি আর তুই!
লোপাঃ কি এমন মহান কাজ করছিস যে তোকে বাহবা দিতে হবে!এই তুই যাতো এখান থেকে,তোকে আমার দেখতে ইচ্ছে করছে না
ছোঁয়াঃ লোপা…
লোপাঃ একদম ঢং করবি না,আমি না ডাকা পর্যন্ত আমার আশেপাশেও আসবি না
ছোঁয়াঃ লোপা…দোস্ত…এমন করিস না প্লিজ…
লোপাঃ আচ্ছা ঠিক আছে,তোকে যেতে হবে না,আমিই চলে যাচ্ছি।এই বৃষ্টি,তোর পাশের সিটটা ফাঁকা না?
বৃষ্টিঃ হুম
লোপাঃ আচ্ছা আমি বসব ওখানে
ছোঁয়াঃ লোপা প্লিজ রাগ করিস না…
(লোপা কোন কথাই শুনলো না,উঠে চলে গেল।ছোঁয়া মন খারাপ করে নিজের সিটেই বসে রইল)
।
মাঃ এখন কেমন লাগছে বাবা?
সায়নঃ চিন্তা কর না মা,আমি একদম ঠিক আছি।ডাক্তার চাচার ঔষধ কি কখনও মিস করেছে?
মাঃ যাক বাবা,নিশ্চিন্ত হলাম।আচ্ছা তুই তাহলে এখন রেস্ট নে,আমি বরং ওদিকটা দেখি
সায়নঃ রেস্টতো আমি তখনই নেব যখন ওই বদের হাড্ডিটাকে শাস্তি দিতে পারব,তার আগে নো রেস্ট…(মনে মনে)
ছোঁয়ার বাড়ি ফিরতে ফিরতে দুপুর হয়ে গেল,আজ বিকেলের প্র্যাক্টিকাল ক্লাসটা নাকি হবে না তাই একটু তাড়াতাড়িই ছাড়া পেয়ে গেছে।
ছোঁয়াঃ যাক বাবা বাঁচা গেল,এখন সকাল সকাল গিয়ে মার হাতের রান্না খাওয়া যাবে।উনিতো আবার লাটসাহেব আসা উপলক্ষে সব উনার পছন্দের খাবার রান্না করেছেন।দূর ছাই আর ভাল্লাগে না,এত কিসের আদিখ্যেতা!এই বেটা বজ্জাতটা যে কবে যাবে…আর এই লোপার বাচ্চাটা ওই বদ লোকটার জন্যে আমার সাথে সারাদিন কথা বলল না!এ্যা হে সবাই আমার সাথে শত্রুতা করছে তাও ওই বেটা ফাযিলটার জন্যে।যাই হোক আজকে যে শিক্ষা দিয়েছি না..জীবনে আর আমার সাথে লাগতে আসবে না…
(আপন মনে বকবক করতে করতেই বাসায় পৌঁছে গেল ছোঁয়া)
ছোঁয়াঃ মা…ও মা…
মাঃ কি রে চলে এসেছিস?
ছোঁয়াঃ হ্যাঁ মা বিকেলের ক্লাসটা নাকি হবে না
মাঃ ভালই হল,তুই ফ্রেশ হয়ে নে,আমি খাবার দিচ্ছি
ছোঁয়াঃ আচ্ছা
(ছোঁয়া রুমে ঢুকতেই সায়ন এক বালতি রঙ গোলানো পানি ওর গায়ে ছুড়ে দিল।কিছু বুঝে উঠার আগেই ছোঁয়া একেবারে কাক ভেজা হয়ে গেল)
সায়নঃ ছোঁয়ার গলা শুনেই বুঝেছিলাম ম্যাডাম এসে গেছেন,সবকিছু আগে থেকেই রেডি করা ছিল শুধু ওর আসার অপেক্ষা করছিলাম।মহারাণী যে রুমে ঢুকেছে অমনি আমার কাজ সেরে ফেললাম
ছোঁয়াঃ (রেগে মেগে)এটা কি হল!
সায়নঃ যা হল তাতো দেখতেই পাচ্ছো
ছোঁয়াঃ এসবের মানে কি?
সায়নঃ সকালে আমার সাথে যা করেছো তার ফলস্বরূপ ছোট্ট একটা শাস্তি দিলাম।মেয়ে বলে অল্পের উপর দিয়ে পার পেয়ে গেলে নাহলে…
ছোঁয়াঃ বেটা উল্লুক,আমার সাথে ফাযলামি!এক্ষুনি মাকে সব বলে দিচ্ছি দাঁড়ান
সায়নঃ বলতে চাইলে বল,আমি একটুও বারণ করব না।তবে হ্যাঁ আমার টাওয়েলে বিছুটি পাতার রস যে তুমিই লাগিয়েছিলে এটাওতো তাহলে বলা লাগবে…
ছোঁয়াঃ মাকে ডাকতে যাচ্ছিলাম,উনার কথা শুনে থমকে দাঁড়ালাম
সায়নঃ কি হল ম্যাডাম,ডাকুন মাকে
ছোঁয়াঃ আ..আমি কিন্তু কিছু করিনি
সায়নঃ করেছেন কি করেননি সবই প্রমাণ হয়ে যাবে।ওয়েট আপনাকে আর ডাকতে হবে না,মাকে নাহয় আমিই ডেকে দিচ্ছি
মা…ম..ম..
(সায়ন আর কিছু বলতে পারল না,কারণ ততক্ষণে ছোঁয়া ওর মুখ চেপে ধরেছে)
ছোঁয়াঃ প্লিজ প্লিজ প্লিজ মাকে ডাকবেন না,Okey fine,I’m sorry
সায়নঃ ওকে…ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ জ্বি?
সায়নঃ আমার মনে হয় তোমার এখন ওয়াশরুমে যাওয়া উচিত
ছোঁয়াঃ কেন?
সায়নঃ না মানে পুরো রঙে ভর্তি হয়ে আছো তাই…
ছোঁয়াঃ ও হ্যাঁ
(ছোঁয়া ওয়াশরুমে ঢুকে গেল)
ছোঁয়াঃ কি আশ্চর্য!এতবার করে সাবান দিচ্ছি কিন্তু এই ছাতার রঙ উঠছে না কেন?প্রবলেমটা কি কিছুইতো বুঝতে পারছি না
সায়নঃ এতক্ষণ হয়ে গেল,মেয়েটা এখনও বের হচ্ছে না কেন?কোন প্রবলেম হল নাতো…
(আরো কিছুক্ষণ পর)
সায়নঃ ছোঁয়া এখনও বের হয়নি!ওহ শিট আমিতো ওকে বলতে ভুলেই গেছি।তাড়াতাড়ি ওয়াশরুমের দিকে ছুটলাম
ছোঁয়াঃ অসহ্য,আর কতবার এভাবে ঘসাঘসি করব?ইয়া খোদা উঠায় নাও,আমারে না এই বেয়াদব রঙটাকে
সায়নঃ ওয়াশরুমের দরজায় নক করতে লাগলাম।ছোঁয়া…ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ এই লোক আবার চেঁচায় কেন?একটু কি শান্তিমত গোসলও করতে দেবে না!
সায়নঃ ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ কি
সায়নঃ তখন একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম
ছোঁয়াঃ ওসব পরে শুনবে,এমনিতেই এখন আমি বিরাট প্যারার মধ্যে আছি
সায়নঃ বাট…কথাটা কিন্তু অনেক জরুরী
ছোঁয়াঃ উফ!এই লোকটাকে নিয়ে আর পারিনা,আমি মরছি আমার জ্বালায় আর উনি আছেন উনার কথা নিয়ে।আরে বাবা,কথা কি পরে বলা যেত না?
সায়নঃ কি হল কথা বলছো না কেন?
ছোঁয়াঃ ওই মিয়া,আপনে যানতো।আমার এখন কথআ বলা বা শোনা কোনটারই মুড নেই
সায়নঃ কিন্তু…
ছোঁয়াঃ আপনি যাবেন,নাকি আমিই….
সায়নঃ আচ্ছা ঠিক আছে যাচ্ছি বাট এত ঘষামাজা করে লাভ নেই,যা উঠার একবারেই উঠে গেছে আর যেগুলো উঠেনি ওগুলো আর উঠবে না।কয়েকদিন দেরি হবে
ছোঁয়াঃ এটাই আপনার জ্বরুরী কথা?
সায়নঃ হুম
ছোঁয়াঃ তাহলে এখনও দাঁড়িয়ে আছেন কেন?যেতে বলেছি না…
সায়নঃ ওকে বাই
ছোঁয়াঃ আচ্ছা উনি কি বলে গেল?আমি কি ঠিক শুনলাম নাকি…এই এক মিনিট এক মিনিট,শুনতে পাচ্ছেন?
সায়নঃ হুম
ছোঁয়াঃ একটু আগে কি যেন বলছিলেন?
সায়নঃ বলছিলাম যে,রঙ উঠানোর জন্যে বেশি ঘষাঘষি করে লাভ হবে না,যা উঠার একবারেই উঠবে নাহলে…
ছোঁয়াঃ মানে কি!আপনি কি কিছু…
সায়নঃ না মানে রাগের মাথায় রঙের সাথে একটু ফেভিকলও মিশিয়ে দিয়েছিলাম তাই…
ছোঁয়াঃ কিহ!আপনি কি পাগল নাকি?
সায়নঃ এটা যদি পাগলামি হয় তাহলে সকালে তুমি আমার সাথে যা করেছিলে সেটাকে কি বলবে?
ছোঁয়াঃ আ..আপনি…আপনি আসলেই একটা….
সায়নঃ কি?
ছোঁয়াঃ খাটাশ
সায়নঃ থ্যাংকস ফর ইয়োর কমপ্লিমেন্ট
ছোঁয়াঃ রাগে দুঃখে নিজের মাথার চুল নিজেই ছিড়তে লাগলাম।বেটা বজ্জাত,তোরেতো আমি…
সায়নঃ নিজের সাথে বকবক না করে ঝটপট বের হও,নাহলে কিন্তু ঠাণ্ডা লেগে যাবে
ছোঁয়াঃ আমার চিন্তা আপনাকে করতে হবে না,আপনি আপনার কাজ করেন
সায়নঃ ওকে বাই
ছোঁয়াঃ এ্যা হে,এখন কি হবে?গায়ের রঙ নাহয় ম্যানেজ করে নিব কিন্তু মুখ,মুখেরটা কি করব?এই লোক কি পাগল!একটা মেয়ের সাথে কেউ কখনও এমন করে…একটু আগে মনে হচ্ছিল সকালে কাজটা আমি একদম ঠিক করিনি,সরিও বলতে চেয়েছিলাম!ভাগ্যিস বলিনি,এই লোকের সাথে এমনটাই করা উচিত।আমারতো মনে হয় এই লোক আরও খারাপ কিছু ডিজার্ভ করে,মি.সায়ন আপনাকেতো এত সহজে ছাড়ছি না…
ছোঁয়া খাবার খেতে বসতেই সায়ন মুখ টিপে হাসতে লাগলো আর মাতো চিৎকারই করে বসল।
মাঃ ছোঁয়া…মা তোর চোখে মুখে এসব কি?
ছোঁয়াঃ ও কিছু না মা,আসার সময় একটা পাগলা ষাঁড় তাড়া করেছিলতো,পালাতে গিয়ে রঙের ড্রামের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম
সায়নঃ ওর কথা শুনে বেশ জোরে সরেই বিষম খেলাম,আমাকে পাগলা ষাঁড় বলা!এত্ত বড় দুঃসাহস!
মাঃ কি রে তোর আবার কি হল?
ছোঁয়াঃ মনে হয় গলায় আটকে গেছে,এই ধরুন পানি খান সুবিধা হবে
মাঃ তোদের দুজনের কাহিনীতো কিছুই বুঝতে পারছি না
ছোঁয়াঃ বুঝতে হবেও না মা,তুমি খাওতো
মাঃ কি জানি বাপু,কর তোদের যা ইচ্ছে
(রাতে)
সায়নঃ তুমি!এখানে?
ছোঁয়াঃ হ্যাঁ কেন কোন সমস্যা?
সায়নঃ তুমি কি আজকেও এই রুমে ঘুমাবে নাকি?
ছোঁয়াঃ হ্যাঁ কেন?
সায়নঃ বের হও আমার রুম থেকে
ছোঁয়াঃ মানে?
সায়নঃ কাল কিছু বলিনি কারণ তুমি অসুস্থ ছিলে কিন্তু আজ আর কোন ছাড় দিব না।বের হও বলছি
ছোঁয়াঃ কক্ষণও না,এটা আমার রুম।আমি কেন যাব?যেতে হলে আপনি যাবেন
সায়নঃ হোয়াট!আমার রুম থেকে আমাকেই চলে যেতে বলছো!তোমার সাহসতো কম না!
ছোঁয়াঃ এ্যাহ,বললেই হল,এটা আমার রুম তাই আমিই থাকব।You get lost
সায়নঃ তাই?এটা আপনার রুম?কবে থেকে শুনি…
ছোঁয়াঃ ছয় বছর আগে থেকে
সায়নঃ আর আমি এই রুমে থাকি যখন আমার বয়স ছয় বছরও ছিল না তখন থেকে
ছোঁয়াঃ যাই হোক,আমার প্রচণ্ড ঘুম পাচ্ছে।গুড নাইট
সায়নঃ গুড নাইট মানে!এই মেয়ে ওদিকে কোথায় যাচ্ছো?বের হয়ে যেতে বললাম না…
ছোঁয়াঃ সোজা বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম।গুড নাইট…
সায়নঃ গুড নাইট মাই ফুট,এই মেয়ে উঠো বলছি…
ছোঁয়াঃ কি আশ্চর্য!হাত ধরে টানাটানি করছেন কেন?এটা কোন ধরণের ভদ্রতা!
সায়নঃ তুমি এটাই ডিজার্ভ কর
ছোঁয়াঃ অসভ্য,ইতর বাড়িতে কি মা…আর কিছু বলতে পারলাম না কারণ আমি আর যাই হোক উনার বোন হতে পারব না
সায়নঃ সবই আছে,তার সাথে ফ্রিতে একটা আপদও আছে।সেটা কে জানো?সেটা আর কেউ না,তুমি
ছোঁয়াঃ কিহ!আমি আপদ!
সায়নঃ জ্বি
ছোঁয়াঃ আপনাকেতো আমি…
সায়নঃ দেখে নেবেতো?ঠিক আছে পরে দেখে নিও,আপাতত আমার রুম থেকে বের হও
ছোঁয়াঃ কক্ষণও না,আমিতো এখানেই থাকব
সায়নঃ ঠিক আছে,আমিও দেখি তুমি কিভাবে এখানে থাকো।
ছোঁয়াঃ আরে আরে,করছেনটা কি?এটা কোন ধরণের বেয়াদবী!নামান বলছি…
সায়নঃ সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুলটা একটু বাঁকাতেই হয়,এমনিতেতো আপনি শুনবেন না তাই ঘাড়ে করেই…
ছোঁয়াঃ আমি কিন্তু চিতকার দিব
সায়নঃ দিতে চাইলে দাও,আমি কি তোমার মুখ বেঁধে রেখেছি?
ছোঁয়াঃ না বাবা,চিৎকার করে লাভ নেই,এমনিতেই সবাই ঘুমাচ্ছে…
সায়নঃ ওকে রুমের বাইরে নিয়ে এসে নামিয়ে দিলাম,গুড নাইট মিসেস শাকচুন্নি
ছোঁয়াঃ কটমট করে উনার দিকে তাকালাম
সায়নঃ এভাবে কি দেখছো?আমাকে কি এতই মনে ধরেছে?
ছোঁয়াঃ আয়নায় নিজের চেহারা দেখেছেন কখনও?
সায়নঃ সেতো রোজই দেখি,তুমি বোধহয় দেখো না
ছোঁয়াঃ রাগে গজগজ করতে করতে দাদীর রুমে এসে ঢুকলাম,চুপচাপ দাদীর পাশে শুয়ে পড়লাম যাতে দাদী জেগে না যায়।মি.সায়ন আমার সাথে হিটলারি!এর শাস্তিতো তুমি পাবেই….
চলবে…