Childhood marriage

Childhood marriage 2 ! Part- 09

সায়নঃ হ্যাঁ আমি,Any problem?
ছোঁয়াঃ আ…আপনি এখানে কি করছেন!মা…ম…
(এবার আর দেরি করল না সায়ন,ছোঁয়া মুখ খোলার আগেই ওর মুখ চেপে ধরল।ছোঁয়া চোখ বড় বড় করে ওর দিকে তাকালো)
সায়নঃ শসসসস…তোমাকে আর কষ্ট করতে হবে না,আমিই সবাইকে ডেকে দিচ্ছি।
(সায়ন বেরিয়ে গেল,ছোঁয়া অবাক হয়ে সেদিকে তাকিয়ে আছে)
ছোঁয়াঃ কে উনি?আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না…
(তখনই মা আর দাদীকে নিয়ে সায়ন ঘরে ঢুকল)
মাঃ ছোঁয়া..এখন কেমন আছিস রে মা?
ছোঁয়াঃ হ্যাঁ মা ভাল,মা এই লো…
দাদীঃ সাবাইকেইতো ভয় পাইয়ে দিয়েছিলি!
ছোঁয়াঃ মা..এই লোক..
মাঃ সায়ন,বাবা তুই একটু ওর পাশে বোস,আমি বরং ওর জন্যে খাবার নিয়ে আসি,ঔষধ খাওয়াতে হবেতো
সায়নঃ আচ্ছা মা
ছোঁয়াঃ সায়ন নামটা শুনেই বেশ বড়সড় একটা ধাক্কা খেলাম।অবাক হয়ে সবার মুখের দিকে তাকাচ্ছি
মাঃ মা আপনি বরং ঘুমিয়ে পড়েন,অনেক রাত হয়ে গেল
দাদীঃ কি লো সই,ওভাবে কি দেখছিস?আমার দাদুভাইকে কি মনে ধরছে?
ছোঁয়াঃ দাদীর কথা শুনে লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিলাম,লোকটা দেখলাম নির্লজ্জের মত দাঁত বের করে হাসছে!
সায়নঃ উফ দাদী,তুমি যাওতো
দাদীঃ হ্যাঁ হ্যাঁ যাচ্ছি,এখন কি আর এই বুড়িকে ভাল লাগবে…
সায়নঃ দাদী…
দাদীঃ আচ্ছা আচ্ছা যাচ্ছি
(দাদী চলে গেল,ছোঁয়া তখনও লজ্জায় মাথা নিচু করে রেখেছে)
সায়নঃ ইটস ওকে,দাদী চলে গেছে
ছোঁয়াঃ ওই মিয়া,আপনেরে জিগাইছি?
সায়নঃ এইটা কোন ধরণের ভাষা!
ছোঁয়াঃ তাতে আপনার কি?আমার যেই ভাষায় ইচ্ছে আমি কথা বলতে পারি,এটা আমার জন্মগত অধিকার
সায়নঃ ওকে ফাইন,I am sorry
ছোঁয়াঃ তো আপনিই…
সায়নঃ (হাত বাড়িয়ে)Hi,I am Mahbub Hasan Sayon
(ছোঁয়া হাত মেলানোর কোন আগ্রহই দেখালো না)
সায়নঃ এটা কোন ধরণের ব্যবহার ছোঁয়া?
(ছোঁয়া সায়নের দিকে তাকিয়ে একবার ভেংচি কাটলো)
সায়নঃ ওর কাণ্ড দেখে না হেসে পারলাম না
ছোঁয়াঃ ওই মিয়া হাসেন কেন?চুপ করেন নাহলে কিন্তু…এমনিতেই আজ সারাদিন আমার সাথে এতকিছু হয়ে গেল তার উপর এই লোক আবার হাসে!উফ অসহ্য
সায়নঃ তা সারাদিনে কি কি হয়েছে তোমার সাথে?
ছোঁয়াঃ কি হয়নি তাই বলেন,একেতো আপনার জন্যে কলেজে টাইমলি পৌঁছাতে পারিনি তাই হাসনাত স্যার রুমের বাইরে এক পায়ে দাঁড় করে রেখেছিল।সেটা নিয়ে সবাই খুব হাসাহাসি করেছে,তার উপর মনে মনে স্যারকে গালাগালি করার সময় স্যার শুনে ফেলেছে তাই টিফিন পিরিয়ডে আমাকে উনার রুমে বসিয়ে উনার নেক্সট ক্লাসের পিডিএফ লেকচার টাইপ করিয়েছে!আপনি জানেন আমাকে লাঞ্চ পর্যন্ত করতে দেয়নি!
সায়নঃ এই এক মিনিট এক মিনিট,মনে মনে গালি দিলে স্যার শুনলো কি করে?
ছোঁয়াঃ তা আমি কি করে বলব,মনে হয় অনেক জোরে জোরে চিন্তা করছিলাম
সায়নঃ চিন্তা আবার জোরে জোরে করে কিভাবে?
ছোঁয়াঃ কি জানি…

সায়নঃ আচ্ছা তুমি কি সবসময়ই এভাবে জোরে জোরে চিন্তা কর?
ছোঁয়াঃ মনে হয়,নাহলে সবাই শুনতে পায় কিভাবে?
সায়নঃ হুম খুব চিন্তার কথা,এক কাজ করতে পারো,এবার থেকে একটু আস্তে আস্তে চিন্তা করবে কেমন?
ছোঁয়াঃ আমিও তাই ভাবছিলাম..এক মিনিট আপনি কি আমার সাথে মশকরা করছেন?
সায়নঃ অনেক্ষণ ধরে হাসিটাকে কন্ট্রোল করে রেখেছিলাম,এবার আর না হেসে পারলাম না
ছোঁয়াঃ বেটা বজ্জাত,সারাদিনে আমার এত ক্ষতি করে এখন আবার দাঁত বের করে হাসা হচ্ছে!দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা,ছুটে গিয়ে শয়তানটা চুল ধরে টানতে লাগলাম
সায়নঃ হঠাৎ দেখলাম ছোঁয়া আমার দিকে এগিয়ে আসছে,কি হচ্ছে বুঝে উঠার আগেই দেখলাম মেয়েটা আমার চুল ধরে টানাটানি শুরু করেছে!
ছোঁয়াঃ বেটা বজ্জাত, আমার সাথে ফাযলামি!এখন বুঝবা এই ছোঁয়া কি জিনিস…
সায়নঃ আহ!ছোঁয়া..কি করছো?লাগছেতো…
ছোঁয়াঃ লাগার জন্যেইতো ধরেছি
সায়নঃ ছাড় বলছি,নাহলে কিন্তু খুব খারাপ হয়ে যাবে
ছোঁয়াঃ কি খারাপ হবে শুনি?খারাপ হতে আর কি কিছু বাঁকি আছে?সারাদিন যতকিছু হয়েছে আমার সাথে তারপরে আরতো কিছু বাঁকি থাকার কথা না
সায়নঃ এক থেকে দশ পর্যন্ত গুনব,এর মধ্যে যদি না ছাড় তখন বুঝবে আরো কিছু বাঁকি আছে কি নেই
ছোঁয়াঃ গুনতে ইচ্ছে হলে গোনেন,আমি কি কাউকে ভয় পাই নাকি?
সায়নঃ এক…দুই…তিন…
ছোঁয়াঃ এই লোক দেখি সত্যি সত্যিই গোনা শুরু করল!
সায়নঃ চার…পাঁচ…ছয়
ছোঁয়াঃ না বাবা,আর সাহস দেখিয়ে কাজ নেই,এই লোককে কোন বিশ্বাস নেই কখন কি করে বসবে!কিন্তু এত ইজিলি ছেড়ে দিব!কক্ষণও না
সায়নঃ সাত…আট…
ছোঁয়াঃ কি করা যায়,কি করা যায়?ছোঁয়া..ছোঁয়া..ছোঁয়া..তাড়াতাড়ি কিছু একটা উপায় বের কর..
সায়নঃ নয়…
(সায়ন দশ বলার আগেই মা রুমে ঢুকলেন।রুমে ঢুকেইতো উনার চোখ ছানাবড়া!)
মাঃ (অবাক হয়ে)এসব কি হচ্ছে!
(ছোঁয়া সায়নকে ছেড়ে দিয়ে একটু সরে দাঁড়াল)
মাঃ ছোঁয়া…সায়ন…তোরা কি মারামারি করছিস?
দুজনে একসাথেঃ কই নাতো
মাঃ তাহলে…?
সায়নঃ না মানে,মা..আসলে হয়েছে কি…
মাঃ কি হয়েছে সেটাইতো জানতে চাইছি
সায়নঃ কি বলা যাই?কি বলে যায়?কিছুইতো মাথায় আসছে না
মাঃ কিরে কথা বলছিস না কেন?আমি জানতে চাইছি একটু আগে ওসব কি হচ্ছিল
সায়নঃ আসলে মা..
ছোঁয়াঃ মা তোমার ছেলের মাথায় অনেক খুশকি,মনে হয় নিয়মিত গোসল টোসল করে না তাই…
(কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলেই ছোঁয়া হাঁপাতে লাগলো)
সায়নঃ খুশকি!
ছোঁয়াঃ উনি কথাটা অনেক আস্তে বললেও আমি ঠিকই শুনিতে পেলাম।বেটা দেখি আস্ত একটা গাধা!কিছু বোঝে না নাকি?কটমট করে উনার দিকে তাকালাম
সায়নঃ ছোঁয়ার তাকানো দেখে বুঝে নিলাম আমাকে এখন কি করতে হবে
মাঃ খুশকি!মানে কি?
সায়নঃ হ্যাঁ মা,তুমিতো জানোই আমি ভাল করে শ্যাম্পু করতে পারিনা তাই হয়তো…আমিতো এতদিন ব্যপারটা খেয়ালই করিনি,একটু আগে ছোঁয়া দেখে বলল তারপর বিশ্বাস হল
(ছোঁয়া সায়নের চুল থেকে খুশকি তাড়ানোর ভান করতে লাগল)
ছোঁয়াঃ ইশ রে!কত খুশকি!
মাঃ ও…সে যাই হোক,ছোঁয়া…হাত-মুখ ধুয়ে আয়তো মা,আমি খাবার নিয়ে এসেছি
ছোঁয়াঃ আচ্ছা মা
(ছোঁয়া ফ্রেশ হয়ে আসার পর মা নিজ হাতে ওকে খাবার আর ঔষধ খাইয়ে দিয়ে চলে গেল।সায়ন এতক্ষণ রাগটা কন্ট্রোল করে ছিল,মা চলে যেতেই ছোঁয়ার কান টেনে ধরল)

ছোঁয়াঃ আহ..লাগছেতো…
সায়নঃ লাগুক,লাগার জন্যেইতো ধরেছি
ছোঁয়াঃ কেন কি করেছি আমি?আপনি দশ গোনার আগেইতো ছেড়ে দিয়েছি
সায়নঃ ছেড়ে দিয়েছি!এই মেয়ে আমার মাথায় খুশকি!আমি নিয়মিত গোসল করি না?তোমার এত বড় সাহস!
ছোঁয়াঃ তো আর কি করতাম?ওই সময় মাথায়তো আর কিছুই আসছিল না,আপনিওতো কিছুই বলতে পারছিলেন না তাই…
সায়নঃ তাই বলে এই এক্সকিউজ দেখাবে!
ছোঁয়াঃ আমার মাথায় যা এসেছে আমি তাই বলেছি,আপনার মাথায় যদি বেটার কোন আইডিয়া এসে থাকে তাহলে তখন বললেন না কেন?
সায়নঃ আমার মাথায় কিছু আসলেতো বলব
ছোঁয়াঃ তাহলে আবার আমাকে দোষারোপ করছেন কেন?
সায়নঃ তাছাড়া আর কাকে দোষ দিব?এ সবকিছুই হয়েছে তোমার জন্য
ছোঁয়াঃ কেন আমি আবার কি করলাম?
সায়নঃ কে বলেছিল আমার চুল ধরে টানতে?
ছোঁয়াঃ বেশ করেছি,আরো করব
সায়নঃ How dare you?
ছোঁয়াঃ ডেয়ারের দেখেছেনটা কি?এখানে যখন এসেই গেছেন,এই ছোঁয়া যে কি জিনিস আর কি কি করতে পারে সব হাড়ে হাড়ে টের পাবেন
সায়নঃ তাই নাকি?ঠিক আছে,আমারও কিন্তু বাঘে সিংহে লড়াইটাই পছন্দ
ছোঁয়াঃ বাঘ ছাড়ুন,এবার দেখবেন বাঘিনীর লড়াই।তৈরি থাকুন
সায়নঃ ওকে লেটস সি,আমিতো রেডি তুমি রেডিতো?
(সায়ন আর কোন জবাব পেল না)
সায়নঃ কি ম্যাডাম,ভয় পেয়ে গেলেন নাকি?ছোঁয়া…ছোঁ…
(এতক্ষণ সায়ন পেছন ফিরে ছিল,ছোঁয়ার দিকে ফিরতেই দেখলো ও ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেছে)
সায়নঃ ছোঁয়া…কি আশ্চর্য!কথা বলতে বলতে কেউ এইভাবে ঘুমিয়ে পড়ে!কিভাবে সম্ভব?আচ্ছা মা ওকে যেই ঔষধ খাওয়ালো তাতে কি ঘুমের কোন ডোজ দেয়া আছে?মে বি…
ছোঁয়া বালিশে হেলান দিয়েই ঘুমিয়ে পড়েছিল,সায়ন ওকে বিছানায় ঠিক করে শুইয়ে দিল তারপর নিজে সোফায় গিয়ে শুয়ে পড়ল।

(সকালে)
ভোরের আলো ফুটে উঠতেই ঘুম ভেঙ্গে গেল ছোঁয়ার,আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠে বসতেই দেখলো সায়ন হাত পা ছড়িয়ে সোফায় শুয়ে আছে।
ছোঁয়াঃ এহ,লাটসাহেব দেখি বেশ শান্তি করে ঘুমাচ্ছে!ঠিক আছে জনাব,ঘুমান ঘুমান শান্তি করে ঘুমিয়ে নিন,আর যে কয়দিন আছেন এমন শান্তির ঘুম আর হবে কিনা সন্দেহ আছে।ইচ্ছেতো করছে এক্ষুণি গায়ে এক বালতি পানি ঢেলে বেটার ঘুমের বারোটা বাজিয়ে দেই কিন্তু না,এত সহজ শাস্তি দিলে চলবে না কঠিন কোন ব্যবস্থা করতে হবে
(তখনই বাইরে থেকে সায়নের মায়ের হলা শোনা গেল,মনে হয় রহিমকে কিছু বোঝাচ্ছে)
ছোঁয়াঃ কি করি..কি করি..হ্যাঁ,পেয়েছি।বেটাকে শায়েস্তা করার জন্যে মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে,সবকিছু যদি ঠিকঠাক হয় তাহলে…তাড়াতাড়ি হাত মুখ ধুয়ে বাইরে চলে আসলাম
মাঃ ছোঁয়া…এত তাড়াতাড়ি উঠে পড়েছিস!
ছোঁয়াঃ হ্যাঁ মা,ঘুমটা ভেঙ্গে গেল তাই…
মাঃ আচ্ছা উঠেছিস ভাল কথা,বেশি ঘোরাঘুরি করিস না
ছোঁয়াঃ আচ্ছা,মার চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়ির পেছনদিকে চলে আসলাম তারপর চুপচাপ কাজটা শেষ করে রুমে চলে গেলাম।মি.সায়ন এবার বুঝবে এই ছোঁয়া কি জিনিস মুহাহা…
(কিছুক্ষণ পর)
ছোঁয়াঃ মা আমি আসছি
মাঃ আসছি মানে!কোথায় যাচ্ছিস?
ছোঁয়াঃ কোথায় আবার কলেজে
মাঃ আজ আর যেতে হবে না,তুই বরং রেস্ট নে
ছোঁয়াঃ না মা,এমনিতেই কাল হোমওয়ার্ক না জমা দেয়ায় হাসনাত স্যার এক পায়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল।আজকেও যদি যেতে দেরি করি তাহলে হয়তো দুই পায়েই দাঁড় করিয়ে রাখবে
মাঃ তোর বাবা কলেজে বলে দেবে,তোর আর গিয়ে কাজ নেই
ছোঁয়াঃ না মা,যেতেই হবে।অনেক জরুরী ক্লাস আছে না গেলে কিছুই বুঝতে পারব না(মিথ্যে কথা,কোন জরুরী ক্লাস নেই।ঐ শয়তানটার কাছ থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই ভাল,আর আমি আজকে যে কাজ করেছি বেটা যদি একবার জানতে পারে তাহলেই হয়েছে।আমাকে আর আস্ত রাখবে না তাই উনি উঠার আগেই পালাচ্ছি)
মাঃ ঠিক আছে,যাবি যা কিন্তু নাস্তা করে যা
ছোঁয়াঃ আচ্ছা মা,ঝটপট নাস্তা শেষ করেই উঠে পড়লাম
মাঃ দাড়া মা,একা একা যাস না।আমি সায়নকে ডেকে দিচ্ছি,ও তোকে নামিয়ে দিয়ে আসবে
ছোঁয়াঃ না না মা,তার আর দরকার হবে না।আমি লোপাদের সাথেই চলে যেতে পারব
মাঃ পারবি তাতো জানিই কিন্তু এই অসুস্থ শরীর নিয়ে একা একা…
ছোঁয়াঃ এই রে,সর্বনাশ করেছে।যার থেকে পালানোর চেষ্টা করছি,মা দেখি তার সাথেই আমাকে পাঠানোর জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে!না না উনাকে আটকাতে হবে
মাঃ তুই দুই মিনিট বোস,আমি সায়নকে ডেকে দিচ্ছি
ছোঁয়াঃ বললামতো মা,আমি একাই যেতে পারব।আমিতো এখন একেবারে সুস্থ আর তাছাড়া উনি কাল জার্নি করে এসেছেন আর বেশ রাত করে ঘুমিয়েছেন।তাই বলছিলাম উনাকে আর ডেকে কাজ নেই আমি বরং লোপাদের সাথেই চলে যাই কি বল?
মাঃ তুই যখন এত করে বলছিস,তখন…
ছোঁয়াঃ এইতো আমার লক্ষ্মী মা…
(ছোঁয়া একটু দূরে গিয়েই আবার ফেরত আসলো)
মাঃ কি রে আবার কি?
ছোঁয়াঃ কিসের একটা গন্ধ পাচ্ছি মনে হচ্ছে,কি রান্না করছো?
মাঃ এতদিন পর ছেলেটা এলো তাই ওর জন্যে পায়েস আর একটু পুডিং বানাচ্ছি
ছোঁয়াঃ বাহ ভালতো,ছেলেকে পেয়ে এই মেয়েটার কথা দেখছি ভুলেই গেছো
মাঃ ভুলব কেন?তোর জন্যেও তো স্পেশাল রান্না হচ্ছে
ছোঁয়াঃ সত্যি!কি বানাচ্ছো?
মাঃ বাসমতি চালের পোলাও,গরুর মাংস,বেগুন ভাজি আর তারসাথে তোর ফেভারিট জলপাইয়ের আচার
ছোঁয়াঃ ইয়ে…লাভ ইউ মা…
মাঃ পাগলী একটা,আজকে একটু তাড়াতাড়ি আসিস কেমন?
ছোঁয়াঃ তুমি যে কথা শোনালে,তাড়াতাড়ি না এসে কি পারি?

সায়নঃ ইশ রে,ঘুম থেকে উঠতে অনেক দেরি হয়ে গেল!সব হয়েছে ওই পাঁজি মেয়েটার জন্য।আর অসুস্থ হওয়ার সময় পেল না?ওর জন্যে আমাকে সোফায় ঘুমাতে হয়েছে,সারারাতে ঠিকমত ঘুমই আসেনি,ভোরের দিকে একটু ঘুমিয়েছি তাই উঠতেও দেরি হয়ে গেল।আজকে আবার টগরদের সাথে দেখা করার কথা,কালকে একদমই সময় পাইনি,আজকেও যদি দেখা না করি তাহলে আমার খবর আছে।আর দেরি না করে ওয়াশরুমের দিকে ছুটলাম…
শরীরটা ম্যাজ ম্যাজ করছিল তাই ভাবলাম একেবারে গোসল করেই বের হব।যেই ভাবা সেই কাজ,ঝটপট গোসলটা সেরে নিলাম কিন্তু বিপত্তিটা বাঁধলো অন্য জায়গায়।গোসল শেষ করে যেই টাওয়েলটা দিয়ে গা মুছেছি অমনি পুরো শরীরে চুলকানি শুরু হল!
ফের পানিতে ডেটল,স্যাভলন যা কিছু আছে সবকিছু মিশিয়ে গোসল দিলাম কিন্তু কিছুতেই কোন লাভ হল না বরং চুলকানির মাত্রা আরও বেড়ে গেল!চুলকে চুলকে পুরো শরীর লাল হয়ে গেল আর সেই সাথে জ্বালাপোড়াতো আছেই।এতক্ষণে বুঝতে পারছি আসল ঘটনাটা কি,এসবই ওই বজ্জাত মেয়েটার কাজ।আজ খালি একবার সামনে পাই,সব সুদ আসলে শোধ তুলবো।ছোঁয়া…ছোঁয়া…
(সায়নের ডাক শুনে ফুলি ছুটে আসলো)
ফুলিঃ ভাইজান,আফায়তো কলেজ গেছে।আপনের কিছু লাগব?লাগলে আমারে কন,আইনা দিতাছি
সায়নঃ কিছু লাগবে না,তুই যা
ফুলিঃ ভাইজান..আপনের কি হইছে?গায়ে এইসব…ও চাচী..তাড়াতাড়ি এইদিকে আহেন,ভাইজানের কি জানি হইছে
সায়নঃ ওই তুই যাবি?বললামতো কিছু হয়নি
(মা ততক্ষণে চলে এসেছে)
মাঃ কি হয়েছেরে ফুলি?এভাবে ডাকছিস কেন?
ফুলিঃ দেহেন না ভাইজানের গায়ে এইসব কি বের হইছে
(মা এতক্ষণে সায়নের দিকে তাকালো,একবার দেখেই আঁতকে উঠলো)
মাঃ খোকা!!!এসব কি?

সায়নঃ ওসব কিছু না মা,এই এমনি…
মাঃ কিছুনা বললেই হল?পুরো শরীর কেমন লাল হয়ে গেছে আর তুই বলছি কিছুই হয়নি!
সায়নঃ খালি লাল না মা,প্রচণ্ড চুলকাচ্ছে।
গোসল দেয়ার পর থেকে এই অবস্তা
মাঃ মনে হয় গোসলের পানিতে কিছু পড়েছিল
সায়নঃ তাই হবে হয়তো(পানির কোন দোষ নেই মা,সব তোমার ওই আদরের বৌমার কীর্তি।ওকেতো আমি…)
চলবে…